সাতক্ষীরার একটি বিদ্যালয়ে ঢুকে এক সহকারী শিক্ষককে মারধর ও বাজারে টেনে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি ও ছাত্রদল নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে। রোববার সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলার বল্লী মুজিবুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিক্ষক শফিকুর রহমান সাতক্ষীরা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কে এম আজাহারুজ্জামান জানান, শফিকুর রহমান এক ছাত্রীকে আলাদাভাবে পড়িয়েছেন—এমন অভিযোগ তুলে বিএনপির কয়েকজন নেতা–কর্মী প্রথমে তাঁর অফিসকক্ষে প্রবেশ করে শিক্ষককে মারধর করেন। এরপর ১০ থেকে ১২ জন তাঁকে টেনে বাইরে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করেন এবং বাজারে ঘোরান। পরে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে তাঁকে আটকে রাখা হয়। অন্য শিক্ষক–শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা গিয়ে শফিকুর রহমানকে উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শিক্ষকের অভিযোগপত্রে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য শহিনুর রহমান, কর্মী মো. কামরুজ্জামান, রবিউল ইসলাম, ইউপি বিএনপির সাবেক সভাপতি সেলিম আক্তার, বিএনপি কর্মী আব্দুল গনি, ইউপি সদস্য আব্দুর রইচ, ইসলাম কবিরাজ ও বল্লী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদুজ্জামানসহ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে বল্লী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি সেলিম আক্তার দাবি করেছেন, বিদ্যালয়ে শুধু ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে, মারধরের নয়। তিনি ঘটনার সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করেন। একইভাবে ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা রাশেদুজ্জামানও জানান, শিক্ষকের বিরুদ্ধে আগেও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ ছিল। স্থানীয়দের উত্তেজনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় বলে তিনি দাবি করেন।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামিনুল হক বলেন, শিক্ষক শফিকুর রহমান একটি অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বল্লী মুজিবুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শোয়াইব আহমাদ জানান, তিনি দুই পক্ষের বক্তব্য শুনেছেন। শিক্ষককে মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি যদি শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তবে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫
সাতক্ষীরার একটি বিদ্যালয়ে ঢুকে এক সহকারী শিক্ষককে মারধর ও বাজারে টেনে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি ও ছাত্রদল নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে। রোববার সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলার বল্লী মুজিবুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিক্ষক শফিকুর রহমান সাতক্ষীরা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কে এম আজাহারুজ্জামান জানান, শফিকুর রহমান এক ছাত্রীকে আলাদাভাবে পড়িয়েছেন—এমন অভিযোগ তুলে বিএনপির কয়েকজন নেতা–কর্মী প্রথমে তাঁর অফিসকক্ষে প্রবেশ করে শিক্ষককে মারধর করেন। এরপর ১০ থেকে ১২ জন তাঁকে টেনে বাইরে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করেন এবং বাজারে ঘোরান। পরে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে তাঁকে আটকে রাখা হয়। অন্য শিক্ষক–শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা গিয়ে শফিকুর রহমানকে উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শিক্ষকের অভিযোগপত্রে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য শহিনুর রহমান, কর্মী মো. কামরুজ্জামান, রবিউল ইসলাম, ইউপি বিএনপির সাবেক সভাপতি সেলিম আক্তার, বিএনপি কর্মী আব্দুল গনি, ইউপি সদস্য আব্দুর রইচ, ইসলাম কবিরাজ ও বল্লী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদুজ্জামানসহ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে বল্লী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি সেলিম আক্তার দাবি করেছেন, বিদ্যালয়ে শুধু ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে, মারধরের নয়। তিনি ঘটনার সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করেন। একইভাবে ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা রাশেদুজ্জামানও জানান, শিক্ষকের বিরুদ্ধে আগেও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ ছিল। স্থানীয়দের উত্তেজনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় বলে তিনি দাবি করেন।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামিনুল হক বলেন, শিক্ষক শফিকুর রহমান একটি অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বল্লী মুজিবুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শোয়াইব আহমাদ জানান, তিনি দুই পক্ষের বক্তব্য শুনেছেন। শিক্ষককে মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি যদি শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তবে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।