ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সাদা পাথরের প্রকৃত লুটেরা ও তাদের মদতদাতাদের আইনের আওতায় না এনে গরিব দিনমজুরদের হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা শাখা । গতকাল শনিবার বিকেল ৫টায় নগরীর কোর্ট পয়েন্টে সমাবেশ থেকে নেতৃবৃন্দ এই অভিযোগ করেন। সিলেটে নদী, পাহাড় ও প্রকৃতিকে শাসক-শোষক গোষ্ঠীর লুণ্ঠন থেকে রক্ষার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল শেষে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সরকার এবং পরিচালনা করেন যুগ্ম-সম্পাদক রমজান আলী পটু। সমাবেশে নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, সম্প্রতি কোম্পানীগঞ্জের সাদা পাথর পর্যটন স্পট থেকে শত কোটি টাকার পাথর লুট হয়েছে। অথচ প্রকৃত লুটেরা ও তাদের মদতদাতাদের আইনের আওতায় না এনে উল্টো গরিব দিনমজুরদের হয়রানি করা হচ্ছে। যাদের বিরুদ্ধে এখন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে তারা মূলত চুনোপুঁটি, অথচ রাঘববোয়ালরা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছেন।
বক্তারা আরও বলেন, অভিযানের নামে প্রশাসনের কর্মকর্তারা বারকি শ্রমিকদের নৌকা ভেঙে দিয়েছেন। একের পর এক নৌকা ধ্বংস হতে দেখেও অসহায় শ্রমিকরা কিছু করতে পারেননি। এতে তাদের জীবিকার একমাত্র ভরসা নষ্ট হয়ে গেছে।
তারা বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকে আশির দশক পর্যন্ত সিলেটে সনাতন পদ্ধতিতে (বেলচা, বালতি, নেট) বালু-পাথর আহরিত হতো। এই পদ্ধতি পরিবেশের জন্য হুমকি নয়, বরং নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ রক্ষা করত। আধুনিক লুটপাটমুখী পদ্ধতিই আজ প্রকৃতিকে ধ্বংস করছে বলে জানিয়ে বালি-পাথর মহালে ইজারা প্রথা বাতিল, সনাতন পদ্ধতিতে বারকি শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা, সরকারিভাবে ক্রয়-বিক্রয় কেন্দ্র চালু, সাদা পাথর লুটের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন বক্তারা।
বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম ছদরুল, সিলেট জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. ছাদেক মিয়া, স’মিল শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন, হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইমান আলী, নেতা আনোয়ার হোসেন, সাবেক সহ-সভাপতি মীর মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, শাহপরাণ থানা কমিটির কোষাধ্যক্ষ মো. নাছির মিয়াসহ অনেকে।
শেষে নেতৃবৃন্দ দেশপ্রেমিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নদী, পাহাড় ও প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষায় সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রোববার, ১৭ আগস্ট ২০২৫
সাদা পাথরের প্রকৃত লুটেরা ও তাদের মদতদাতাদের আইনের আওতায় না এনে গরিব দিনমজুরদের হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা শাখা । গতকাল শনিবার বিকেল ৫টায় নগরীর কোর্ট পয়েন্টে সমাবেশ থেকে নেতৃবৃন্দ এই অভিযোগ করেন। সিলেটে নদী, পাহাড় ও প্রকৃতিকে শাসক-শোষক গোষ্ঠীর লুণ্ঠন থেকে রক্ষার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল শেষে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সরকার এবং পরিচালনা করেন যুগ্ম-সম্পাদক রমজান আলী পটু। সমাবেশে নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, সম্প্রতি কোম্পানীগঞ্জের সাদা পাথর পর্যটন স্পট থেকে শত কোটি টাকার পাথর লুট হয়েছে। অথচ প্রকৃত লুটেরা ও তাদের মদতদাতাদের আইনের আওতায় না এনে উল্টো গরিব দিনমজুরদের হয়রানি করা হচ্ছে। যাদের বিরুদ্ধে এখন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে তারা মূলত চুনোপুঁটি, অথচ রাঘববোয়ালরা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছেন।
বক্তারা আরও বলেন, অভিযানের নামে প্রশাসনের কর্মকর্তারা বারকি শ্রমিকদের নৌকা ভেঙে দিয়েছেন। একের পর এক নৌকা ধ্বংস হতে দেখেও অসহায় শ্রমিকরা কিছু করতে পারেননি। এতে তাদের জীবিকার একমাত্র ভরসা নষ্ট হয়ে গেছে।
তারা বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকে আশির দশক পর্যন্ত সিলেটে সনাতন পদ্ধতিতে (বেলচা, বালতি, নেট) বালু-পাথর আহরিত হতো। এই পদ্ধতি পরিবেশের জন্য হুমকি নয়, বরং নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ রক্ষা করত। আধুনিক লুটপাটমুখী পদ্ধতিই আজ প্রকৃতিকে ধ্বংস করছে বলে জানিয়ে বালি-পাথর মহালে ইজারা প্রথা বাতিল, সনাতন পদ্ধতিতে বারকি শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা, সরকারিভাবে ক্রয়-বিক্রয় কেন্দ্র চালু, সাদা পাথর লুটের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন বক্তারা।
বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম ছদরুল, সিলেট জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. ছাদেক মিয়া, স’মিল শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন, হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইমান আলী, নেতা আনোয়ার হোসেন, সাবেক সহ-সভাপতি মীর মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, শাহপরাণ থানা কমিটির কোষাধ্যক্ষ মো. নাছির মিয়াসহ অনেকে।
শেষে নেতৃবৃন্দ দেশপ্রেমিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নদী, পাহাড় ও প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষায় সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।