alt

সারাদেশ

হবিগঞ্জ আলিয়াছড়া খাসিয়াপুঞ্জীতে এখন পান তোলার ব্যস্ততা

প্রতিনিধি, হবিগঞ্জ : রোববার, ১০ আগস্ট ২০২৫

সিলেট বিভাগের মানুষের কাছে একটি বিশেষ আকর্ষণ ‘খাসিয়া পান’। যা সিলেটে ‘খাইয়া পান’ নামে পরিচিত। প্রচন্ড ঝাঁজালো এই পানে আসক্তদের কাছে অন্য জাতের পানকে পানসে লাগে। আর এই বিশেষ পান উৎপাদন করেন খাসিয়া জনগোষ্ঠী। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যপ্রাচ্যে বসবাসরত সিলেট বিভাগের লোকজনের চাহিদা মেটাতে খাসিয়া পান বিদেশেও রপ্তানি হয়।

সিলেট বিভাগের বিভিন্ন স্থানে খাসিয়াদের অবস্থান রয়েছে। এর মধ্যে হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার আলিয়াছড়া খাসিয়াপুঞ্জী। এখানে ১২৪ পরিবারের সবাই খাসিয়া পানের ওপর নির্ভরশীল। বর্তমানে পান তোলার ভরা মৌসুম চলছে। ফলে সেখানে নারী-পুরুষ সবাই পান তোলা থেকে শুরু করে পাইকারের কাছে বিক্রি পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন। যেন দম ফেলার ফুরসত নেই।

আঁকাবাঁকা পাহাড়ি ও জংলাঘেরা রাস্তা পেরিয়ে বাহুবল উপজেলার ভাদেশ্বর ইউনিয়নে অবস্থিত আলিয়াছড়া খাসিয়াপুঞ্জীতে গিয়ে মানুষদের ব্যস্ততা দেখা যায়। প্রতিটি বাড়ির চারদিকেই খাসিয়া পানের উৎপাদন হচ্ছে। লতার মতো পান গাছগুলো মাচা কিংবা অন্য কোনো গাছের সঙ্গে জড়িয়ে অনেক উঁচু পর্যন্ত উঠে গেছে। ভোর থেকেই খাসিয়ারা পান তোলা শুরু করেন। এরপর বিকেল পর্যন্ত বাড়ির সামনে সেগুলোকে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেন। বিকেলে হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সিলেট থেকে পাইকাররা এসে পান কিনে নেন।

আলিয়াছড়া খাসিয়াপুঞ্জীর প্রধান ব্যক্তিকে ‘মন্ত্রী’ বলে সম্বোধন করা হয়। বর্তমানে এই পুঞ্জীর মন্ত্রীর পদে দায়িত্বরত উটিয়ান টংপেয়ার জানান, পান উৎপাদন করে এখন ব্যয় নির্বাহ করা খাসিয়া পরিবারের জন্য কষ্টকর হয়ে দাঁড়াচ্ছে। যে কারণে এখন অনেকে পান চাষের পাশাপাশি অন্যান্য ফসল চাষ করতে হচ্ছে। গত ১ বছর ধরে খাসিয়ারা পানের পাশাপাশি পানীয়দ্রব্য কফি চাষ শুরু করেছে। এছাড়াও পুঞ্জীর গুঁটিকয়েক পরিবার পান ছাড়াও লেবু, জাম্বুরা, কলা চাষ করে। তবে অধিকাংশ পরিবার এখনও খাসিয়া পানের ওপর নির্ভরশীল।

উটিয়ান টংপেয়ার বলেন, খাসিয়া পান বিদেশে রপ্তানি হবার ব্যাপারটা আমরা জানি। তবে এতে আমাদের বিশেষ কোনো লাভ নেই। আমরা আগে যেমন পাইকারের ওপর নির্ভরশীল ছিলাম। এখনও সেভাবেই আছি। যে কারণে বিদেশে খাসিয়া পান রপ্তানি হলেও আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থার তেমন কোনো হেরফের নেই। মন্ত্রী উটিয়ান টংপেয়ারের ছেলে অনিক লামিন। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল ডিগ্রি কলেজ থেকে বি.এ. পরীক্ষা শেষে পারিবারিক সম্পদের দেখভাল করছেন। যিনি পরবর্তীতে আলিয়াছড়ার মন্ত্রীর দায়িত্ব পাবার সম্ভাবনা রয়েছে।

পান চাষ ও এর প্রতিকূলতা সম্পর্কে অনিক লামিন এই প্রতিবেদককে জানান, ‘জুন, জুলাই ও আগস্ট, এই তিন মাস পান চাষের ভরা মৌসুম। এই তিন মাস প্রতিদিন পান উত্তোলন ও বিক্রি করা হয়। তবে ভরা মৌসুমে পানের মূল্য থাকে কম। প্রতিকুড়ি পানের দাম ৫০০-৮০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা যায়। এই মূল্যের তারতম্য পুরোটাই পাইকারদের ওপর নির্ভর করে। ১৪৪টি পান পাতায় ১ কান্তা হয়। আর ২০ কান্তা মিলে হয় ১ কুড়ি।’

অনিক লামিন জানান, গাছ রোপনের ৩ বছর পর থেকে পান উৎপাদান শুরু হয়। এরপর প্রায় ১৬/১৭ বছর একটি গাছ থেকে পান উৎপাদন হয়। তবে নিয়মিত আগাছা পরিষ্কারসহ সারাবছরই পান গাছের বিশেষ যত্ন নিতে হয়। খাসিয়া পানের মূল বিশেষত্ব ও স্বাদ অক্ষুন্ন রাখার জন্য তারা কোনো সার-কীটনাশক ব্যবহার করেন না।

তবে পান গাছের একটি মারাত্মক রোগ আছে। এতে পানের পাতা লালচে হযে পচে যায়। আর এই রোগ মুহূর্তের মধ্যে সব পান গাছে ছড়িয়ে পড়ে। তাই এই রোগের আক্রমণের দিকে খেয়াল রাখতে হয়। যদি কোনো গাছে এই রোগ ধরা পড়ে, তাহলে গাছটির গোড়ায় কেটে দিতে হয়। গাছ কেটে ফেলা ছাড়া পানের জন্য ভয়ংকর এই রোগ মোকাবেলার কোনো উপায় নেই বলেও জানান অনিক লামিন।

পুঞ্জীর একজন গৃহবধূ জানান, এখন পানের ভরা মৌসুম হওয়ায়, বাড়ির সবাই খুব ভোরে উঠে কাজ শুরু করেন। তাদের পাশাপাশি আশপাশের এলাকার বাঙালি ও চা বাগানের শ্রমিকদের তারা দৈনিক ভিত্তিতে ভাড়া করেন। পান উত্তোলনের পর সেগুলোকে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করতে তাদের বিকেল হয়ে যায়।

ছবি

চট্টগ্রামে এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে আন্দোলন দমনে ৫ লাখ টাকা চাঁদার অভিযোগ, ভিডিও ভাইরাল

ছবি

রাজশাহীতে এনসিপি নেতার বাড়িতে কাফনের কাপড়! হুমকিপত্রে লেখা ‘প্রস্তুত হ রাজাকার’

ছবি

ভিসা হলেও যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে ১৫ হাজার ডলার পর্যন্ত জামানত দিতে হবে

ছবি

‘বিডিওএসএন টক’-এ তারিক আদনান মুন : গণিত অলিম্পিয়াড থেকে এআই সিস্টেমস- এক অনুপ্রেরণার যাত্রা

ছবি

ইনফিনিক্সের আয়োজনে পাবজি মোবাইল ক্যাম্পাস ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ অনুষ্ঠিত

‘অবৈধ ট্রলবোট বন্ধ হলে সামুদ্রিক মাছের উৎপাদন বাড়বে’

ছবি

আদিবাসী দিবস পালিত

গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু

ছবি

কুয়াকাটায় ধরা পড়লো বিরল প্রজাতির ‘অ্যাঞ্জেলফিশ’

নিখোঁজের ২ দিন পর বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার

ছবি

দেবহাটায় অসময়ের তরমুজ চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের

ছবি

মোহনগঞ্জে হারিয়ে যাচ্ছে পালের নৌকা

জুলাই বিপ্লবে অবদান রাখায় সাংবাদিক প্রতীক ওমর সংবর্ধিত

ছবি

লংলা সিমেট্রি : সিলেটের চা-উপনিবেশের নীরব সাক্ষী

চুয়াডাঙ্গা ৯ কেজি রুপা জব্দ

ছবি

‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে বিএনপি’

শাহজাদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১

ছবি

জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসক ও লোকবল সংকটে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা

সাংবাদিক তুহিন হত্যার বিচার দাবিতে পলাশে মানববন্ধন

ছবি

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ঢাকা-উত্তরবঙ্গ মহাসড়ক অবরোধ

তারাগঞ্জে চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ২

বাগেরহাটে গলায় ফাঁস দিয়ে শিশুর মৃত্যু

ছবি

পাকুন্দিয়ার বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার

ছবি

আদমদীঘির শিয়ালশন-জিনইর সড়ক যান চলাচলের অযোগ্য

ছবি

স্বেচ্ছাশ্রমে আউরা খালের ব্রিজ মেরামত করল এলাকাবাসীর

ছবি

যাচ্ছিলেন বিয়ে পাকা করতে, তারাগজ্ঞে ‘মব সন্ত্রাসে’ মুচী সম্প্রদায়ের দু’জনকে পিটিয়ে হত্যা

বগুড়ায় সিএনজি-বাস সংঘর্ষে দুই ভাই নিহত

ছবি

কিস্তিতে পণ্য কিনে ক্রেতা গেলেন মারা, পরিবার পেল নগদ অর্থ সহায়তা

উলিপুর কমিউনিস্ট পার্টির সম্মেলন

ছবি

আত্রাইয়ে ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে দেড় হাজার বিঘার আমন জমি

ফুলবাড়ীতে ছেলেকে পানিতে ফেলে হত্যার চেষ্টা বাবার

ছবি

মাতামুহুরী সেতু সড়কের দুইপাশের খেজুর চারা রোপণ

রাজশাহীতে বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন

ছবি

দুই সপ্তাহেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ

নাসিরনগরে পানিতে ডুবে দুই শিশু মৃত্যু

ছবি

জোয়ার এলেই আতঙ্কে বেতাগীর কালিকাবাড়ি প্রাইমারি স্কুল শিক্ষার্থীরা

tab

সারাদেশ

হবিগঞ্জ আলিয়াছড়া খাসিয়াপুঞ্জীতে এখন পান তোলার ব্যস্ততা

প্রতিনিধি, হবিগঞ্জ

রোববার, ১০ আগস্ট ২০২৫

সিলেট বিভাগের মানুষের কাছে একটি বিশেষ আকর্ষণ ‘খাসিয়া পান’। যা সিলেটে ‘খাইয়া পান’ নামে পরিচিত। প্রচন্ড ঝাঁজালো এই পানে আসক্তদের কাছে অন্য জাতের পানকে পানসে লাগে। আর এই বিশেষ পান উৎপাদন করেন খাসিয়া জনগোষ্ঠী। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যপ্রাচ্যে বসবাসরত সিলেট বিভাগের লোকজনের চাহিদা মেটাতে খাসিয়া পান বিদেশেও রপ্তানি হয়।

সিলেট বিভাগের বিভিন্ন স্থানে খাসিয়াদের অবস্থান রয়েছে। এর মধ্যে হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার আলিয়াছড়া খাসিয়াপুঞ্জী। এখানে ১২৪ পরিবারের সবাই খাসিয়া পানের ওপর নির্ভরশীল। বর্তমানে পান তোলার ভরা মৌসুম চলছে। ফলে সেখানে নারী-পুরুষ সবাই পান তোলা থেকে শুরু করে পাইকারের কাছে বিক্রি পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন। যেন দম ফেলার ফুরসত নেই।

আঁকাবাঁকা পাহাড়ি ও জংলাঘেরা রাস্তা পেরিয়ে বাহুবল উপজেলার ভাদেশ্বর ইউনিয়নে অবস্থিত আলিয়াছড়া খাসিয়াপুঞ্জীতে গিয়ে মানুষদের ব্যস্ততা দেখা যায়। প্রতিটি বাড়ির চারদিকেই খাসিয়া পানের উৎপাদন হচ্ছে। লতার মতো পান গাছগুলো মাচা কিংবা অন্য কোনো গাছের সঙ্গে জড়িয়ে অনেক উঁচু পর্যন্ত উঠে গেছে। ভোর থেকেই খাসিয়ারা পান তোলা শুরু করেন। এরপর বিকেল পর্যন্ত বাড়ির সামনে সেগুলোকে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেন। বিকেলে হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সিলেট থেকে পাইকাররা এসে পান কিনে নেন।

আলিয়াছড়া খাসিয়াপুঞ্জীর প্রধান ব্যক্তিকে ‘মন্ত্রী’ বলে সম্বোধন করা হয়। বর্তমানে এই পুঞ্জীর মন্ত্রীর পদে দায়িত্বরত উটিয়ান টংপেয়ার জানান, পান উৎপাদন করে এখন ব্যয় নির্বাহ করা খাসিয়া পরিবারের জন্য কষ্টকর হয়ে দাঁড়াচ্ছে। যে কারণে এখন অনেকে পান চাষের পাশাপাশি অন্যান্য ফসল চাষ করতে হচ্ছে। গত ১ বছর ধরে খাসিয়ারা পানের পাশাপাশি পানীয়দ্রব্য কফি চাষ শুরু করেছে। এছাড়াও পুঞ্জীর গুঁটিকয়েক পরিবার পান ছাড়াও লেবু, জাম্বুরা, কলা চাষ করে। তবে অধিকাংশ পরিবার এখনও খাসিয়া পানের ওপর নির্ভরশীল।

উটিয়ান টংপেয়ার বলেন, খাসিয়া পান বিদেশে রপ্তানি হবার ব্যাপারটা আমরা জানি। তবে এতে আমাদের বিশেষ কোনো লাভ নেই। আমরা আগে যেমন পাইকারের ওপর নির্ভরশীল ছিলাম। এখনও সেভাবেই আছি। যে কারণে বিদেশে খাসিয়া পান রপ্তানি হলেও আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থার তেমন কোনো হেরফের নেই। মন্ত্রী উটিয়ান টংপেয়ারের ছেলে অনিক লামিন। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল ডিগ্রি কলেজ থেকে বি.এ. পরীক্ষা শেষে পারিবারিক সম্পদের দেখভাল করছেন। যিনি পরবর্তীতে আলিয়াছড়ার মন্ত্রীর দায়িত্ব পাবার সম্ভাবনা রয়েছে।

পান চাষ ও এর প্রতিকূলতা সম্পর্কে অনিক লামিন এই প্রতিবেদককে জানান, ‘জুন, জুলাই ও আগস্ট, এই তিন মাস পান চাষের ভরা মৌসুম। এই তিন মাস প্রতিদিন পান উত্তোলন ও বিক্রি করা হয়। তবে ভরা মৌসুমে পানের মূল্য থাকে কম। প্রতিকুড়ি পানের দাম ৫০০-৮০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা যায়। এই মূল্যের তারতম্য পুরোটাই পাইকারদের ওপর নির্ভর করে। ১৪৪টি পান পাতায় ১ কান্তা হয়। আর ২০ কান্তা মিলে হয় ১ কুড়ি।’

অনিক লামিন জানান, গাছ রোপনের ৩ বছর পর থেকে পান উৎপাদান শুরু হয়। এরপর প্রায় ১৬/১৭ বছর একটি গাছ থেকে পান উৎপাদন হয়। তবে নিয়মিত আগাছা পরিষ্কারসহ সারাবছরই পান গাছের বিশেষ যত্ন নিতে হয়। খাসিয়া পানের মূল বিশেষত্ব ও স্বাদ অক্ষুন্ন রাখার জন্য তারা কোনো সার-কীটনাশক ব্যবহার করেন না।

তবে পান গাছের একটি মারাত্মক রোগ আছে। এতে পানের পাতা লালচে হযে পচে যায়। আর এই রোগ মুহূর্তের মধ্যে সব পান গাছে ছড়িয়ে পড়ে। তাই এই রোগের আক্রমণের দিকে খেয়াল রাখতে হয়। যদি কোনো গাছে এই রোগ ধরা পড়ে, তাহলে গাছটির গোড়ায় কেটে দিতে হয়। গাছ কেটে ফেলা ছাড়া পানের জন্য ভয়ংকর এই রোগ মোকাবেলার কোনো উপায় নেই বলেও জানান অনিক লামিন।

পুঞ্জীর একজন গৃহবধূ জানান, এখন পানের ভরা মৌসুম হওয়ায়, বাড়ির সবাই খুব ভোরে উঠে কাজ শুরু করেন। তাদের পাশাপাশি আশপাশের এলাকার বাঙালি ও চা বাগানের শ্রমিকদের তারা দৈনিক ভিত্তিতে ভাড়া করেন। পান উত্তোলনের পর সেগুলোকে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করতে তাদের বিকেল হয়ে যায়।

back to top