ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রধান সমন্বয়কারী ফরহাদ হোসেন খান পদত্যাগ করেছেন। দায়িত্ব পাওয়ার ৭৪ দিন পর রোববার ডাকযোগে তিনি পদত্যাগপত্র পাঠান দলের মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ বরাবর। পদত্যাগপত্রের অনুলিপি জেলা এনসিপির আহ্বায়ক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও প্রেসক্লাবেও পাঠানো হয়েছে।
পদত্যাগপত্রে ফরহাদ উল্লেখ করেন, আলোচনা বা পরামর্শ ছাড়াই কেন্দ্রীয়ভাবে তাঁকে কমিটির প্রধান সমন্বয়ক পদে রাখা হয়েছে, যা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পরিপন্থী। এ প্রক্রিয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি পদ ছাড়ার পাশাপাশি ঘোষণা করেন, ভবিষ্যতে এনসিপির কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তিনি যুক্ত থাকবেন না।
পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরহাদ হোসেন বলেন, “আমি যে এনসিপির রাজনীতি করি, নিজেই জানি না। আমি কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্যও নই। আমাকে না জানিয়ে এই পদ দেওয়া হয়েছে।” তিনি আরও জানান, গত জুনে তিনি কারাগারে ছিলেন, পরে দুর্ঘটনায় আহত হয়ে দীর্ঘদিন শয্যাশায়ী ছিলেন। কয়েক দিন আগে ফেসবুকের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরেই তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন।
এ বিষয়ে এনসিপির ফরিদপুর অঞ্চলের সংগঠক মো. রাকিব হাসান বলেন, পদত্যাগপত্র তাঁরা এখনো হাতে পাননি। তবে কেউ যদি সংগঠনে থাকতে না চান, জোর করে রাখার সুযোগ নেই। কেন আলাপ-আলোচনা ছাড়াই কমিটি গঠন করা হলো, তা মাঠপর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে বসে খতিয়ে দেখা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ৪ জুন কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ স্বাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে ১২ সদস্যবিশিষ্ট নগরকান্দা উপজেলা সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটির মেয়াদ তিন মাস বা আহ্বায়ক কমিটি গঠন পর্যন্ত কার্যকর থাকবে বলে উল্লেখ করা হয়।
সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫
ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রধান সমন্বয়কারী ফরহাদ হোসেন খান পদত্যাগ করেছেন। দায়িত্ব পাওয়ার ৭৪ দিন পর রোববার ডাকযোগে তিনি পদত্যাগপত্র পাঠান দলের মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ বরাবর। পদত্যাগপত্রের অনুলিপি জেলা এনসিপির আহ্বায়ক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও প্রেসক্লাবেও পাঠানো হয়েছে।
পদত্যাগপত্রে ফরহাদ উল্লেখ করেন, আলোচনা বা পরামর্শ ছাড়াই কেন্দ্রীয়ভাবে তাঁকে কমিটির প্রধান সমন্বয়ক পদে রাখা হয়েছে, যা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পরিপন্থী। এ প্রক্রিয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি পদ ছাড়ার পাশাপাশি ঘোষণা করেন, ভবিষ্যতে এনসিপির কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তিনি যুক্ত থাকবেন না।
পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরহাদ হোসেন বলেন, “আমি যে এনসিপির রাজনীতি করি, নিজেই জানি না। আমি কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্যও নই। আমাকে না জানিয়ে এই পদ দেওয়া হয়েছে।” তিনি আরও জানান, গত জুনে তিনি কারাগারে ছিলেন, পরে দুর্ঘটনায় আহত হয়ে দীর্ঘদিন শয্যাশায়ী ছিলেন। কয়েক দিন আগে ফেসবুকের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরেই তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন।
এ বিষয়ে এনসিপির ফরিদপুর অঞ্চলের সংগঠক মো. রাকিব হাসান বলেন, পদত্যাগপত্র তাঁরা এখনো হাতে পাননি। তবে কেউ যদি সংগঠনে থাকতে না চান, জোর করে রাখার সুযোগ নেই। কেন আলাপ-আলোচনা ছাড়াই কমিটি গঠন করা হলো, তা মাঠপর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে বসে খতিয়ে দেখা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ৪ জুন কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ স্বাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে ১২ সদস্যবিশিষ্ট নগরকান্দা উপজেলা সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটির মেয়াদ তিন মাস বা আহ্বায়ক কমিটি গঠন পর্যন্ত কার্যকর থাকবে বলে উল্লেখ করা হয়।