শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন থেকে সুরক্ষা চেয়ে আদালতে অভিযোগ করা তরুণী এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বুলিংয়ের শিকার হচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তার বাবা-মা। মেয়েকে যেন আর ‘বুলি’ না করা হয় এবং সে যেন ‘সুস্থ জীবন’ ফিরে পেতে পারে—এই আবেদন জানিয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তরুণীর আইনজীবী ইশফাকুর রহমান গালিব মেয়েটির বাবা-মায়ের উদ্বেগ তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, সংবাদ প্রকাশের পর মেয়েটি সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছেন, যা তাকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করেছে।
তিনি আরও জানান, মেয়েটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের শিক্ষার্থী এবং একজন ইংরেজি শিক্ষক হিসেবেও কাজ করছেন। ২৫ জন শিক্ষার্থীকে ইংরেজি পড়ান তিনি, যাদের মধ্যে একজন বিদেশি রাষ্ট্রদূতের মেয়েও রয়েছে। তার ইংরেজি দক্ষতা অত্যন্ত ভালো, এবং তিনি ভবিষ্যতে দেশের সম্পদ হয়ে উঠতে পারেন।
আইনজীবীর মাধ্যমে বাবা-মা জানান, তারা চাচ্ছেন তাদের মেয়ে যেন স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে। মেয়েকে কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে ফিরে পেতে তারা প্রস্তুত। প্রয়োজনে তারা তিনজন একসঙ্গে পারিবারিক কাউন্সেলিং করতে আগ্রহী।
সংবাদ সম্মেলনে গালিব বলেন, মেয়েটি একই বাসায় বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকেন, পাশাপাশি রুমে ঘুমান, একই টেবিলে খাওয়া-দাওয়া করেন, একই গাড়িতে চলাফেরা করেন। তবে গত পাঁচ-ছয় বছর ধরে তাদের মধ্যে সরাসরি কোনো কথা হয়নি, কেবল মেসেজে যোগাযোগ হয়। এ মানসিক দূরত্ব দূর করার আগ্রহ দুপক্ষেরই রয়েছে।
তিনি বলেন, বাবা-মা দুজনেই চাকরিজীবী হওয়ায় সন্তানের সঙ্গে সময় কাটাতে পারেননি, সেখান থেকেই দূরত্ব তৈরি হয়েছে। এটি আদালতের বাইরে সমাধান না হওয়ায় মেয়েটি আইনি সহায়তা চেয়েছে।
বাবা-মায়ের একটি চিঠির উদ্ধৃতি দিয়ে আইনজীবী জানান, তাদের একমাত্র কন্যা দীর্ঘদিন ধরে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। নানা কারণে পরিবারের সঙ্গে তার দূরত্ব তৈরি হয়েছে, যার ফলে তার মধ্যে একাকিত্ব, রাগ ও ক্ষোভ জন্মেছে। বাবা-মা চান, মেয়ে সুস্থ থাকুক, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোক এবং আদালত থেকে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা পায়।
এর আগে, গত ২২ জুন ঢাকার মোহাম্মদপুর থানাধীন নিজ বাসার অভ্যন্তরে শারীরিক আঘাত ও অবমাননার অভিযোগ এনে তরুণী আদালতের দারস্থ হন। তার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বাবা-মা তার ওপর শারীরিকভাবে আঘাত করেন, অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেন। তাকে পরিবারের সম্পদ ব্যবহারে বাধা দেওয়া হয় এবং মৌখিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়।
বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন থেকে সুরক্ষা চেয়ে আদালতে অভিযোগ করা তরুণী এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বুলিংয়ের শিকার হচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তার বাবা-মা। মেয়েকে যেন আর ‘বুলি’ না করা হয় এবং সে যেন ‘সুস্থ জীবন’ ফিরে পেতে পারে—এই আবেদন জানিয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তরুণীর আইনজীবী ইশফাকুর রহমান গালিব মেয়েটির বাবা-মায়ের উদ্বেগ তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, সংবাদ প্রকাশের পর মেয়েটি সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছেন, যা তাকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করেছে।
তিনি আরও জানান, মেয়েটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের শিক্ষার্থী এবং একজন ইংরেজি শিক্ষক হিসেবেও কাজ করছেন। ২৫ জন শিক্ষার্থীকে ইংরেজি পড়ান তিনি, যাদের মধ্যে একজন বিদেশি রাষ্ট্রদূতের মেয়েও রয়েছে। তার ইংরেজি দক্ষতা অত্যন্ত ভালো, এবং তিনি ভবিষ্যতে দেশের সম্পদ হয়ে উঠতে পারেন।
আইনজীবীর মাধ্যমে বাবা-মা জানান, তারা চাচ্ছেন তাদের মেয়ে যেন স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে। মেয়েকে কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে ফিরে পেতে তারা প্রস্তুত। প্রয়োজনে তারা তিনজন একসঙ্গে পারিবারিক কাউন্সেলিং করতে আগ্রহী।
সংবাদ সম্মেলনে গালিব বলেন, মেয়েটি একই বাসায় বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকেন, পাশাপাশি রুমে ঘুমান, একই টেবিলে খাওয়া-দাওয়া করেন, একই গাড়িতে চলাফেরা করেন। তবে গত পাঁচ-ছয় বছর ধরে তাদের মধ্যে সরাসরি কোনো কথা হয়নি, কেবল মেসেজে যোগাযোগ হয়। এ মানসিক দূরত্ব দূর করার আগ্রহ দুপক্ষেরই রয়েছে।
তিনি বলেন, বাবা-মা দুজনেই চাকরিজীবী হওয়ায় সন্তানের সঙ্গে সময় কাটাতে পারেননি, সেখান থেকেই দূরত্ব তৈরি হয়েছে। এটি আদালতের বাইরে সমাধান না হওয়ায় মেয়েটি আইনি সহায়তা চেয়েছে।
বাবা-মায়ের একটি চিঠির উদ্ধৃতি দিয়ে আইনজীবী জানান, তাদের একমাত্র কন্যা দীর্ঘদিন ধরে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। নানা কারণে পরিবারের সঙ্গে তার দূরত্ব তৈরি হয়েছে, যার ফলে তার মধ্যে একাকিত্ব, রাগ ও ক্ষোভ জন্মেছে। বাবা-মা চান, মেয়ে সুস্থ থাকুক, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোক এবং আদালত থেকে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা পায়।
এর আগে, গত ২২ জুন ঢাকার মোহাম্মদপুর থানাধীন নিজ বাসার অভ্যন্তরে শারীরিক আঘাত ও অবমাননার অভিযোগ এনে তরুণী আদালতের দারস্থ হন। তার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বাবা-মা তার ওপর শারীরিকভাবে আঘাত করেন, অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেন। তাকে পরিবারের সম্পদ ব্যবহারে বাধা দেওয়া হয় এবং মৌখিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়।