শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে
এরপর সীমিতভাবে খুলে দেয়া হতে পারে
করোনা সংক্রমণের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি আগামী ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার। তবে আগামী বছর যারা এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে, তাদের কথা মাথায় রেখে সীমিত পরিসরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার চিন্তাভাবনাও করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সরকারের এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে আরও বলেন, ‘সবার স্বাস্থ্য ঝুঁকিকে বিবেচনায় নিয়ে গত মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে আমরা বাধ্য হয়েছি। আগামী ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। এই সময়ের মধ্যে নানা জিনিস আরও পর্যালোচনা করে দেখছি খুবই সীমিত পরিসরে কিছু খোলা যায় কিনা।’
করোনার প্রকোপে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। বেশ কয়েক দফায় এই ছুটি বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ছুটি ছিল।
সীমিত পরিসরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার চিন্তা
সীমিত পরিসরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার জন্য বেশ কিছু তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে চেষ্টা করে দেখব পরিস্থিতি যদি অনুকূলে হয়, আমরা সীমিত পরিসরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলার চেষ্টা করতে পারি। তবে সব কিছুই নির্ভর করবে করোনা পরিস্থিতি কেমন হয় তা ওপর। আমরা দেখছি যে বিশ্বজুড়ে করোনার প্রকোপ আবার বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের এখানেও বাড়তে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আগামী বছর যারা এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষা দেবে, তাদের কথা বিবেচনায় রেখে আমরা খুবই সীমিত পরিসরে, স্বাস্থ্যঝুঁকি একেবারেই যাতে না থাকে এ রকম একটা ব্যবস্থা করে কি করা যায়, সেগুলো আমরা চিন্তাভাবনা করে দেখছি। যদি পরিস্থিতি অনুকূল হয় তাহলে আমরা সে ধরনের সিদ্ধান্তে যাব।’
প্রতি বছর ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি এবং ১ এপ্রিল থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়। তবে করোনার কারণে এবার এইচসএসসি পরীক্ষা নেবে না সরকার। অষ্টম শ্রেণীর সমাপনী এবং এসএসসি ও সমমানের ফলফলের ভিত্তিতে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল ঘোষণা করা হবে।
ডা. দীপু মনি বলেন, ‘এবার যাদের এইচএসসি দেয়ার কথা ছিল তারা কিন্তু পুরো সিলেবাস শেষ করে সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছিল। কিন্তু আগামী বছর যারা এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা দেবে, তাদের পড়াশোনায় কিছুটা হলেও ব্যাঘাত হয়েছে। আট-নয় মাস ক্লাস করতে পারনি। তাদের কথা বিবেচনায় নিয়ে তাদের জন্য সীমিত পরিসরে হলেও এখন থেকেই নির্ধারিত পরীক্ষার আগ পর্যন্ত যদি সময় দেয়া যায়, নির্ধারিত যে সিলেবাস, তা তারা হয়ত সম্পন্ন করতে পারবে। যদিও নানাভাবে ক্লাস করাচ্ছি। এরপরেও সীমিত পরিসরে হলেও তাদের ক্লাসরুমে নিয়ে এসে যেখানে যেখানে সমস্যাগুলো আছে তা দূর করতে চাই।’
আগামী বছর এসএসসি পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আশা করি, এসএসসি পরীক্ষা পেছাতে হবে না। যদি প্রয়োজন হয় পরিস্থিতির কারণে, তবে শিক্ষার্থীদের স্বার্থ বিবেচনা করে তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখব। তবে চেষ্টা করব সময়মত পরীক্ষা নেয়ার।’
মাধ্যমিকের চূড়ান্ত পরীক্ষায় বসায় আগে শিক্ষার্থীদের স্কুলভিত্তিক নির্বাচনী পরীক্ষা দিতে হবে কিনা জানতে চাইলে দীপু মনি, ‘সীমিত পরিসরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়ে আসতে পারি কিনা, এটাই এখনকার ভাবনা। কোন না কোন ধরনের অ্যাসেসমেন্ট হয়েই তারা পরীক্ষায় বসবেন। সেটা কী হবে, কী ধরনের হবে, সেটা পরিস্থিতি বুঝে আমরা জানিয়ে দেব। অ্যাসেসমেন্ট হয়েই তারা পাবলিক পরীক্ষা দিতে যাবে।’
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রসঙ্গ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের কয়েকটি পরীক্ষা বাকি থাকায় তাদের স্নাতকের ফল আটকে রয়েছে-এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের পাঁচটি পরীক্ষা হয়েছে, আর কয়েকটি বাকি। কেউ কেউ এই পাঁচটি পরীক্ষার ভিত্তিতে অন্যগুলোতে নম্বর দেয়ার কথা বলেছেন। কিন্তু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষে বা কারিগরিতে যারা আছেন, তাদের বিষয়টি ভিন্ন। কারণ তাদের এটি চূড়ান্ত পরীক্ষা, এরপর তারা কর্মজীবনে প্রবেশ করবেন। কাজেই সে পরীক্ষাগুলোর যদি সঠিকভাবে মূল্যায়ন না হয়, তাহলে তাদের চাকরির ক্ষেত্রে সমস্যা হবে। তাই পরীক্ষা ছাড়া মূল্যায়ন করা সঠিক হবে না।’
এ বিষয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘পরিস্থিতি এখনও যা আমরা মনে করছি, তাদের পরীক্ষা নেয়া যাবে। এদের সংখ্যাও অত বড় নয়। আশা করছি, পরীক্ষা নিয়ে নিতে পারব। আমি আহ্বান জানাব- এখন থেকেই যেন পরীক্ষার পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন। এক বা দুই মাস পর পরীক্ষা হলে যেন বলতে না হয় যে, ‘প্রস্তুতি নিতে পারিনি’।’
এবার বই উৎসব হচ্ছে না
করোনা পরিস্থিতির কারণে নতুন বছরে পাঠ্যবই উৎসব হবে না। তবে বিকল্প উপায়ে প্রতিটি শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই পৌঁছে দেয়া হবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বই তৈরি থাকবে। তবে যেভাবে বই উৎসব করি, যেখানে সব শিক্ষার্থী হাজির থাকে, এবার স্বাভাবিক কারণে, স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণে নিশ্চয় আমরা সমাবেশ করে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিতে পারব না। বিকল্প চিন্তা করে কীভাবে প্রতিটি শিক্ষার্থীর হাতে বই পৌঁছে দেয়া যায় সেই বিষয়ে আমরা চিন্তাভাবনা করব।’
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ২০১০ সাল থেকে শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিন উৎসব করে শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে নতুন বই তুলে দিচ্ছে। এই উৎসবের রূপকার ছিলেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। গত ১১ বছরে ৩৬৬ কোটি ৮৭ লাখ ৭৭ হাজার ৫৬৬টি বই বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে।
পাঠ্যপুস্তক উৎসবের ব্যাপারে ডা. দীপু মনি আরও বলেন, ‘উৎসব গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু সেই উৎসব করতে গিয়ে বড় একটা স্বাস্থ্যঝুঁকি আমরা নিয়ে নেব, সেটি বোধহয় সঠিক হবে না। বিকল্প কীভাবে করতে পারি সেটি আমরা জানিয়ে দেব।’
অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম খান যুক্ত ছিলেন।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে
এরপর সীমিতভাবে খুলে দেয়া হতে পারে
বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২০
করোনা সংক্রমণের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি আগামী ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার। তবে আগামী বছর যারা এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে, তাদের কথা মাথায় রেখে সীমিত পরিসরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার চিন্তাভাবনাও করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সরকারের এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে আরও বলেন, ‘সবার স্বাস্থ্য ঝুঁকিকে বিবেচনায় নিয়ে গত মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে আমরা বাধ্য হয়েছি। আগামী ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। এই সময়ের মধ্যে নানা জিনিস আরও পর্যালোচনা করে দেখছি খুবই সীমিত পরিসরে কিছু খোলা যায় কিনা।’
করোনার প্রকোপে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। বেশ কয়েক দফায় এই ছুটি বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ছুটি ছিল।
সীমিত পরিসরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার চিন্তা
সীমিত পরিসরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার জন্য বেশ কিছু তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে চেষ্টা করে দেখব পরিস্থিতি যদি অনুকূলে হয়, আমরা সীমিত পরিসরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলার চেষ্টা করতে পারি। তবে সব কিছুই নির্ভর করবে করোনা পরিস্থিতি কেমন হয় তা ওপর। আমরা দেখছি যে বিশ্বজুড়ে করোনার প্রকোপ আবার বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের এখানেও বাড়তে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আগামী বছর যারা এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষা দেবে, তাদের কথা বিবেচনায় রেখে আমরা খুবই সীমিত পরিসরে, স্বাস্থ্যঝুঁকি একেবারেই যাতে না থাকে এ রকম একটা ব্যবস্থা করে কি করা যায়, সেগুলো আমরা চিন্তাভাবনা করে দেখছি। যদি পরিস্থিতি অনুকূল হয় তাহলে আমরা সে ধরনের সিদ্ধান্তে যাব।’
প্রতি বছর ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি এবং ১ এপ্রিল থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়। তবে করোনার কারণে এবার এইচসএসসি পরীক্ষা নেবে না সরকার। অষ্টম শ্রেণীর সমাপনী এবং এসএসসি ও সমমানের ফলফলের ভিত্তিতে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল ঘোষণা করা হবে।
ডা. দীপু মনি বলেন, ‘এবার যাদের এইচএসসি দেয়ার কথা ছিল তারা কিন্তু পুরো সিলেবাস শেষ করে সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছিল। কিন্তু আগামী বছর যারা এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা দেবে, তাদের পড়াশোনায় কিছুটা হলেও ব্যাঘাত হয়েছে। আট-নয় মাস ক্লাস করতে পারনি। তাদের কথা বিবেচনায় নিয়ে তাদের জন্য সীমিত পরিসরে হলেও এখন থেকেই নির্ধারিত পরীক্ষার আগ পর্যন্ত যদি সময় দেয়া যায়, নির্ধারিত যে সিলেবাস, তা তারা হয়ত সম্পন্ন করতে পারবে। যদিও নানাভাবে ক্লাস করাচ্ছি। এরপরেও সীমিত পরিসরে হলেও তাদের ক্লাসরুমে নিয়ে এসে যেখানে যেখানে সমস্যাগুলো আছে তা দূর করতে চাই।’
আগামী বছর এসএসসি পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আশা করি, এসএসসি পরীক্ষা পেছাতে হবে না। যদি প্রয়োজন হয় পরিস্থিতির কারণে, তবে শিক্ষার্থীদের স্বার্থ বিবেচনা করে তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখব। তবে চেষ্টা করব সময়মত পরীক্ষা নেয়ার।’
মাধ্যমিকের চূড়ান্ত পরীক্ষায় বসায় আগে শিক্ষার্থীদের স্কুলভিত্তিক নির্বাচনী পরীক্ষা দিতে হবে কিনা জানতে চাইলে দীপু মনি, ‘সীমিত পরিসরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়ে আসতে পারি কিনা, এটাই এখনকার ভাবনা। কোন না কোন ধরনের অ্যাসেসমেন্ট হয়েই তারা পরীক্ষায় বসবেন। সেটা কী হবে, কী ধরনের হবে, সেটা পরিস্থিতি বুঝে আমরা জানিয়ে দেব। অ্যাসেসমেন্ট হয়েই তারা পাবলিক পরীক্ষা দিতে যাবে।’
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রসঙ্গ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের কয়েকটি পরীক্ষা বাকি থাকায় তাদের স্নাতকের ফল আটকে রয়েছে-এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের পাঁচটি পরীক্ষা হয়েছে, আর কয়েকটি বাকি। কেউ কেউ এই পাঁচটি পরীক্ষার ভিত্তিতে অন্যগুলোতে নম্বর দেয়ার কথা বলেছেন। কিন্তু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষে বা কারিগরিতে যারা আছেন, তাদের বিষয়টি ভিন্ন। কারণ তাদের এটি চূড়ান্ত পরীক্ষা, এরপর তারা কর্মজীবনে প্রবেশ করবেন। কাজেই সে পরীক্ষাগুলোর যদি সঠিকভাবে মূল্যায়ন না হয়, তাহলে তাদের চাকরির ক্ষেত্রে সমস্যা হবে। তাই পরীক্ষা ছাড়া মূল্যায়ন করা সঠিক হবে না।’
এ বিষয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘পরিস্থিতি এখনও যা আমরা মনে করছি, তাদের পরীক্ষা নেয়া যাবে। এদের সংখ্যাও অত বড় নয়। আশা করছি, পরীক্ষা নিয়ে নিতে পারব। আমি আহ্বান জানাব- এখন থেকেই যেন পরীক্ষার পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন। এক বা দুই মাস পর পরীক্ষা হলে যেন বলতে না হয় যে, ‘প্রস্তুতি নিতে পারিনি’।’
এবার বই উৎসব হচ্ছে না
করোনা পরিস্থিতির কারণে নতুন বছরে পাঠ্যবই উৎসব হবে না। তবে বিকল্প উপায়ে প্রতিটি শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই পৌঁছে দেয়া হবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বই তৈরি থাকবে। তবে যেভাবে বই উৎসব করি, যেখানে সব শিক্ষার্থী হাজির থাকে, এবার স্বাভাবিক কারণে, স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণে নিশ্চয় আমরা সমাবেশ করে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিতে পারব না। বিকল্প চিন্তা করে কীভাবে প্রতিটি শিক্ষার্থীর হাতে বই পৌঁছে দেয়া যায় সেই বিষয়ে আমরা চিন্তাভাবনা করব।’
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ২০১০ সাল থেকে শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিন উৎসব করে শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে নতুন বই তুলে দিচ্ছে। এই উৎসবের রূপকার ছিলেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। গত ১১ বছরে ৩৬৬ কোটি ৮৭ লাখ ৭৭ হাজার ৫৬৬টি বই বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে।
পাঠ্যপুস্তক উৎসবের ব্যাপারে ডা. দীপু মনি আরও বলেন, ‘উৎসব গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু সেই উৎসব করতে গিয়ে বড় একটা স্বাস্থ্যঝুঁকি আমরা নিয়ে নেব, সেটি বোধহয় সঠিক হবে না। বিকল্প কীভাবে করতে পারি সেটি আমরা জানিয়ে দেব।’
অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম খান যুক্ত ছিলেন।