গফরগাঁও-ময়মনসিংহ সড়কটি এ জেলার অন্যতম পুরনো সড়ক। এটি গফরগাঁও পৌর এলাকার পাবলিক হল মোড় থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটার দির্ঘ। ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ঘেঁষে সোজাসুজি গফরগাঁও সদরে যাওয়ার এ সড়কটি খান বাহাদুর ইসমাইল রোড নামে পরিচিত। সড়কটি বর্তমানে প্রায় পুরোটাই বেহাল।
৪০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এ সড়কটি খানা খন্দে ভরপুর। কার্পেটিং উঠে গেছে অনেক আগেই। বহুস্থানে ভাঙ্গা সড়কে বিছানো ইটও ভাঙ্গা। ওইসব অংশে যানবাহনতো দূরের কথা মানুষ হাঁটাও দায়। কেউ কেউ ঝুঁকি নিতে গিয়ে রিকশা-ইজি বাইকসহ উল্টে গেছে ওই সব গর্তে। রোগীদের রীতিমতো যুদ্ধ করে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের সামনের পথটুকু পার হতে হয়। এ অবস্থায় যানবাহন চালকেরা সড়কটি ব্যবহার একেবারে বন্ধ করে দিয়েছে। অতিরিক্ত সময় ব্যয় হলেও চালকরা এখন বিকল্প পথে যাতায়াত করতে শুরু করেছে।
গফরগাঁও ছাড়াও ধলা, বালিপাড়া, কালির বাজার, সুতিয়াখালী এলাকার অনেক মানুষের সড়ক যোগাযোগে অন্যতম পথ এ সড়কটি। গত দশ বছরে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) ঠিকাদারের পাশাপাশি নিজস্ব তত্বাবধানে কমপক্ষে ৮ বার সড়কটি সংস্কার করেও কোন লাভ হয়নি। বর্তমানে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী সড়কটি। এ অবস্থায় জরুরি প্রয়োজনে লোকজন ঢাকা-ময়মনসিংহের ৈ বৈলর বা ত্রিশাল অথবা ভালুকা হয়ে গফরগাঁও যাতায়াত করে।
গফরগাঁও উপজেলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাইনুদ্দিন খান মানিক জানান, হাসপাতালের সামনের অংশটুকু এতই খারাপ যে রোগীরা ভয়ে হাসপাতালে আসতে চাননা।
রোগীদের নিরাপদে আসা-যাওয়ায় জন্য দ্রুত মেরামত হওয়া দরকার। এ ব্যাপারে কালীরবাজার স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি রতন সরকার বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি এখন আর চলাচলের উপযোগী নয়। ময়মনসিংহ থেকে এ সড়ক ধরে তিনি আধ ঘণ্টায় বাড়ি পৌঁছাতেন। কিন্তু এখন বিকল্প সড়ক ধরে বাড়ি পৌঁছাতে সময় লাগে কমপক্ষে এক ঘণ্টা। এভাবেই চলছে গত প্রায় সাত বছর।
জানা যায়, চাঁদনী মোড় থেকে পৌর শহরের শেষ সীমানা পর্যন্ত সড়কটির দেড় কিলোমিটার সড়ক ও জনপথ বিভাগের হওয়ায় পৌর কর্তৃপক্ষ সংস্কার করতে পারছে না। এদিকে সড়কটি সংস্কার কাজের জন্য তিন মাস পূর্বে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ প্রদান করলেও রহস্যজনক কারণে তারা কাজ শুরু করছে না।
জানা যায়, ২০১১/১২ অর্থবছরে সওজ ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে এ সড়কটি মেরামত করার কার্যাদেশ দেয়।
পরে নিয়ম ভঙ্গ করে আরেক প্রতিষ্ঠান সাব কন্ট্রাক নিয়ে ২০১২ সালের জুন মাসে মেরামত কাজ সম্পন্ন করে। অভিযোগ রয়েছে তারা অধিকাংশ জায়গায় সংস্কার না করে চূড়ান্ত বিল উত্তোলন করায় কয়েকমাস পরেই সড়কটি চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
এমনিভাবে গত দশ বছরে সওজ ঠিকাদারের পাশাপাশি নিজস্ব তত্ত্বাবধানে কমপক্ষে ৮ বার সড়কটি সংস্কার করে। কিন্তু এ সংস্কারের কোন লাভই পাচ্ছেন না এলাকাবাসী।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ ময়মনসিংহের নির্বাহী প্রকৌশলী ওয়াহিদুজ্জামান সোহেল বলেন, যত দ্রুত সম্ভব এ সড়কের সংস্কার কাজ শুরু করার জন্য ঠিকাদারকে তাগিদা দেয়া হচ্ছে। আশা করছি শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।
বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯
গফরগাঁও-ময়মনসিংহ সড়কটি এ জেলার অন্যতম পুরনো সড়ক। এটি গফরগাঁও পৌর এলাকার পাবলিক হল মোড় থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটার দির্ঘ। ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ঘেঁষে সোজাসুজি গফরগাঁও সদরে যাওয়ার এ সড়কটি খান বাহাদুর ইসমাইল রোড নামে পরিচিত। সড়কটি বর্তমানে প্রায় পুরোটাই বেহাল।
৪০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এ সড়কটি খানা খন্দে ভরপুর। কার্পেটিং উঠে গেছে অনেক আগেই। বহুস্থানে ভাঙ্গা সড়কে বিছানো ইটও ভাঙ্গা। ওইসব অংশে যানবাহনতো দূরের কথা মানুষ হাঁটাও দায়। কেউ কেউ ঝুঁকি নিতে গিয়ে রিকশা-ইজি বাইকসহ উল্টে গেছে ওই সব গর্তে। রোগীদের রীতিমতো যুদ্ধ করে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের সামনের পথটুকু পার হতে হয়। এ অবস্থায় যানবাহন চালকেরা সড়কটি ব্যবহার একেবারে বন্ধ করে দিয়েছে। অতিরিক্ত সময় ব্যয় হলেও চালকরা এখন বিকল্প পথে যাতায়াত করতে শুরু করেছে।
গফরগাঁও ছাড়াও ধলা, বালিপাড়া, কালির বাজার, সুতিয়াখালী এলাকার অনেক মানুষের সড়ক যোগাযোগে অন্যতম পথ এ সড়কটি। গত দশ বছরে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) ঠিকাদারের পাশাপাশি নিজস্ব তত্বাবধানে কমপক্ষে ৮ বার সড়কটি সংস্কার করেও কোন লাভ হয়নি। বর্তমানে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী সড়কটি। এ অবস্থায় জরুরি প্রয়োজনে লোকজন ঢাকা-ময়মনসিংহের ৈ বৈলর বা ত্রিশাল অথবা ভালুকা হয়ে গফরগাঁও যাতায়াত করে।
গফরগাঁও উপজেলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাইনুদ্দিন খান মানিক জানান, হাসপাতালের সামনের অংশটুকু এতই খারাপ যে রোগীরা ভয়ে হাসপাতালে আসতে চাননা।
রোগীদের নিরাপদে আসা-যাওয়ায় জন্য দ্রুত মেরামত হওয়া দরকার। এ ব্যাপারে কালীরবাজার স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি রতন সরকার বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি এখন আর চলাচলের উপযোগী নয়। ময়মনসিংহ থেকে এ সড়ক ধরে তিনি আধ ঘণ্টায় বাড়ি পৌঁছাতেন। কিন্তু এখন বিকল্প সড়ক ধরে বাড়ি পৌঁছাতে সময় লাগে কমপক্ষে এক ঘণ্টা। এভাবেই চলছে গত প্রায় সাত বছর।
জানা যায়, চাঁদনী মোড় থেকে পৌর শহরের শেষ সীমানা পর্যন্ত সড়কটির দেড় কিলোমিটার সড়ক ও জনপথ বিভাগের হওয়ায় পৌর কর্তৃপক্ষ সংস্কার করতে পারছে না। এদিকে সড়কটি সংস্কার কাজের জন্য তিন মাস পূর্বে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ প্রদান করলেও রহস্যজনক কারণে তারা কাজ শুরু করছে না।
জানা যায়, ২০১১/১২ অর্থবছরে সওজ ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে এ সড়কটি মেরামত করার কার্যাদেশ দেয়।
পরে নিয়ম ভঙ্গ করে আরেক প্রতিষ্ঠান সাব কন্ট্রাক নিয়ে ২০১২ সালের জুন মাসে মেরামত কাজ সম্পন্ন করে। অভিযোগ রয়েছে তারা অধিকাংশ জায়গায় সংস্কার না করে চূড়ান্ত বিল উত্তোলন করায় কয়েকমাস পরেই সড়কটি চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
এমনিভাবে গত দশ বছরে সওজ ঠিকাদারের পাশাপাশি নিজস্ব তত্ত্বাবধানে কমপক্ষে ৮ বার সড়কটি সংস্কার করে। কিন্তু এ সংস্কারের কোন লাভই পাচ্ছেন না এলাকাবাসী।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ ময়মনসিংহের নির্বাহী প্রকৌশলী ওয়াহিদুজ্জামান সোহেল বলেন, যত দ্রুত সম্ভব এ সড়কের সংস্কার কাজ শুরু করার জন্য ঠিকাদারকে তাগিদা দেয়া হচ্ছে। আশা করছি শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।