বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় বিক্ষুব্ধ বাংলাদেশ। কাঁদছে সারাদেশের মানুষ। হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলে উত্তাল সারাদেশ। মর্মান্তিক এই ঘটনায় সবার মাঝে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। পৃথক পৃথক বিবৃতি দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন। সবারই দাবি, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করার পাশাপাশি দ্রুত বিচার আইনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার। সেই সঙ্গে নেপথ্যে যারা রয়েছেন তাদেরও বিচারের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়। আবরার ফাহাদ বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) ছাত্র। তিনি থাকতেন বুয়েটের শেরেবাংলা হলের নিচতলায় ১০১১ নম্বর কক্ষে। ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেয়ার জের ধরে তাকে ৬ অক্টোবর রোববার রাতে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দু’তলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। হত্যার ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে তার বাবা বরকত উল্লাহ ঢাকার চকবাজার থানায় মামলা করেছেন। এরই মধ্যে অভিযুক্ত বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ। আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় সোমবার থেকেই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হয়েছে। নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়ে বিভিন্ন সংগঠন বিবৃতি দিচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জ : আবরার ফাহাদ হত্যার আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রগতিশীল ছাত্র জোট। মঙ্গলবার নগরীর চাষাঢ়ায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত মানবন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়। কর্মসূচিতে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি সুলতানা আক্তারের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি সুমাইয়া আক্তার সেতু, শুভ বণিক ও বেলাল হোসেন প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, ভিন্ন মত প্রকাশের কারণে মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে রুম থেকে ডেকে নিয়ে নৃশংসভাবে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। আমার এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। অন্যথায় বিচারের দাবিতে সারাদেশে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলে এই হত্যাকাণ্ডের বিচার সম্পন্ন করতে সরকারকে বাধ্য করা হবে।
বরিশাল : আবরারকে পিটিয়ে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার এবং সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে বরিশালে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। ব্রজমোহন কলেজের (বিএম) সাধারণ শিক্ষার্থীরা এবং ছাত্র ফেডারেশন ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট পৃথক পৃথকভাবে সকালে এই কর্মসূচি পালন করে। সকাল ১০টায় বিএম কলেজের শহীদ মিনার চত্বরে সাধারণ শিক্ষার্থীরা জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। পরে মিছিলটি ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে নতুন বাজার ও নথুল্লাবাদ এলাকা প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় ক্যাম্পাসে ফিরে সমাবেশ করে। সমাবেশ থেকে বুধবার সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসে মশাল মিছিল করার ঘোষণা দেয়া হয়। এদিকে জোহরের নামাজ শেষে বিএম কলেজের একদল সাধারণ শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের রুহের মাগফেরাত কামনায় গায়েবি জানাজা পড়েন। এছাড়া সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট ও ছাত্র ফেডারেশন বেলা ১১টায় নগরীর সদর রোডে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদসভা করেছে।
নোয়াখালী : আবরার হত্যার বিচার দাবিতে নোয়াখালী টাউনহল মোড়ে মানববন্ধন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধন চলাকালে ছাত্রদের পুলিশ বাধা দিয়ে ধাওয়া ও লাঠিচার্জেরর চেষ্টা চালিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে সকাল সাড়ে ১০টায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন-সমাবেশে মিলিত হয়। আধা ঘণ্টাব্যপী ওই কর্মসূচিতে নোবিপ্রবির বিশ্ববিদ্যালয়, মহিলা কলেজ, বিভিন্ন কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
যশোর : আবরার হত্যার প্রতিবাদে যশোরে মানববন্ধন করেছে সাধারণ ছাত্র পরিষদ। বুধবার প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন সাধারণ ছাত্র পরিষদ যশোরের আহ্বায়ক আফরোজা সুলতানা মৌ, যুগ্ম আহ্বায়ক অলিক মাহমুদ, নুসরাত নাজনীন। এদিকে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে মণিরামপুরের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার সকালে পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র রাজগঞ্জ মোড়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে মণিরামপুর কলেজ এবং মণিরামপুর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ সমাবেশে আবরার হত্যার নিন্দা জানিয়ে শিক্ষার্থীরা হত্যার সঙ্গে জড়িতদের আটক ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে।
ময়মনসিংহ : আবরার হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা ও দ্রুত বিচারের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবিতে ময়মনসিংহে মুখে কালো কাপড় বেঁধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত নগরীর শহীদ ফিরোজ-জাহাঙ্গীর চত্বরে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে প্রগতিশীল ছাত্র জোট। মানববন্ধন চলাকালে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি অ্যাডভেকেট এমদাদুল হক মিল্লাত, সুজন মহানগরের সাধারণ সম্পাদক কবি আলি ইউসুফ, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি আসজাদুল বোরহান তাহাসিন, সাধারণ সম্পাদক বাহার উদ্দিন শুভ, যুব-ইউনিয়নের সাধারণ জহিরুল আমিন রনি, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের দফতর সম্পাদক ফজলুল হক রনি, রিফা সানজিদা প্রমুখ। বক্তারা বলেন, অবিলম্বে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস দখলদারিত্ব মুক্ত করে সব ছাত্র হত্যাকারীদের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে করতে বাধ্য করা হবে।
মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০১৯
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় বিক্ষুব্ধ বাংলাদেশ। কাঁদছে সারাদেশের মানুষ। হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলে উত্তাল সারাদেশ। মর্মান্তিক এই ঘটনায় সবার মাঝে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। পৃথক পৃথক বিবৃতি দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন। সবারই দাবি, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করার পাশাপাশি দ্রুত বিচার আইনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার। সেই সঙ্গে নেপথ্যে যারা রয়েছেন তাদেরও বিচারের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়। আবরার ফাহাদ বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) ছাত্র। তিনি থাকতেন বুয়েটের শেরেবাংলা হলের নিচতলায় ১০১১ নম্বর কক্ষে। ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেয়ার জের ধরে তাকে ৬ অক্টোবর রোববার রাতে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দু’তলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। হত্যার ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে তার বাবা বরকত উল্লাহ ঢাকার চকবাজার থানায় মামলা করেছেন। এরই মধ্যে অভিযুক্ত বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ। আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় সোমবার থেকেই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হয়েছে। নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়ে বিভিন্ন সংগঠন বিবৃতি দিচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জ : আবরার ফাহাদ হত্যার আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রগতিশীল ছাত্র জোট। মঙ্গলবার নগরীর চাষাঢ়ায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত মানবন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়। কর্মসূচিতে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি সুলতানা আক্তারের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি সুমাইয়া আক্তার সেতু, শুভ বণিক ও বেলাল হোসেন প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, ভিন্ন মত প্রকাশের কারণে মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে রুম থেকে ডেকে নিয়ে নৃশংসভাবে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। আমার এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। অন্যথায় বিচারের দাবিতে সারাদেশে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলে এই হত্যাকাণ্ডের বিচার সম্পন্ন করতে সরকারকে বাধ্য করা হবে।
বরিশাল : আবরারকে পিটিয়ে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার এবং সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে বরিশালে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। ব্রজমোহন কলেজের (বিএম) সাধারণ শিক্ষার্থীরা এবং ছাত্র ফেডারেশন ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট পৃথক পৃথকভাবে সকালে এই কর্মসূচি পালন করে। সকাল ১০টায় বিএম কলেজের শহীদ মিনার চত্বরে সাধারণ শিক্ষার্থীরা জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। পরে মিছিলটি ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে নতুন বাজার ও নথুল্লাবাদ এলাকা প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় ক্যাম্পাসে ফিরে সমাবেশ করে। সমাবেশ থেকে বুধবার সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসে মশাল মিছিল করার ঘোষণা দেয়া হয়। এদিকে জোহরের নামাজ শেষে বিএম কলেজের একদল সাধারণ শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের রুহের মাগফেরাত কামনায় গায়েবি জানাজা পড়েন। এছাড়া সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট ও ছাত্র ফেডারেশন বেলা ১১টায় নগরীর সদর রোডে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদসভা করেছে।
নোয়াখালী : আবরার হত্যার বিচার দাবিতে নোয়াখালী টাউনহল মোড়ে মানববন্ধন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধন চলাকালে ছাত্রদের পুলিশ বাধা দিয়ে ধাওয়া ও লাঠিচার্জেরর চেষ্টা চালিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে সকাল সাড়ে ১০টায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন-সমাবেশে মিলিত হয়। আধা ঘণ্টাব্যপী ওই কর্মসূচিতে নোবিপ্রবির বিশ্ববিদ্যালয়, মহিলা কলেজ, বিভিন্ন কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
যশোর : আবরার হত্যার প্রতিবাদে যশোরে মানববন্ধন করেছে সাধারণ ছাত্র পরিষদ। বুধবার প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন সাধারণ ছাত্র পরিষদ যশোরের আহ্বায়ক আফরোজা সুলতানা মৌ, যুগ্ম আহ্বায়ক অলিক মাহমুদ, নুসরাত নাজনীন। এদিকে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে মণিরামপুরের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার সকালে পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র রাজগঞ্জ মোড়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে মণিরামপুর কলেজ এবং মণিরামপুর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ সমাবেশে আবরার হত্যার নিন্দা জানিয়ে শিক্ষার্থীরা হত্যার সঙ্গে জড়িতদের আটক ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে।
ময়মনসিংহ : আবরার হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা ও দ্রুত বিচারের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবিতে ময়মনসিংহে মুখে কালো কাপড় বেঁধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত নগরীর শহীদ ফিরোজ-জাহাঙ্গীর চত্বরে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে প্রগতিশীল ছাত্র জোট। মানববন্ধন চলাকালে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি অ্যাডভেকেট এমদাদুল হক মিল্লাত, সুজন মহানগরের সাধারণ সম্পাদক কবি আলি ইউসুফ, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি আসজাদুল বোরহান তাহাসিন, সাধারণ সম্পাদক বাহার উদ্দিন শুভ, যুব-ইউনিয়নের সাধারণ জহিরুল আমিন রনি, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের দফতর সম্পাদক ফজলুল হক রনি, রিফা সানজিদা প্রমুখ। বক্তারা বলেন, অবিলম্বে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস দখলদারিত্ব মুক্ত করে সব ছাত্র হত্যাকারীদের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে করতে বাধ্য করা হবে।