কক্সবাজারের টেকনাফ সেন্টমার্টিনে কুকুরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে পর্যটক এবং দ্বীপের বাসিন্দারা। প্রায় ১০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ছোট্ট এই দ্বীপে ৫ হাজারের মতো কুকুর রয়েছে বলে স্থানীয়দের দাবি। যে দ্বীপে প্রায় ১০ হাজার মানুষের বসবাস সেখানে এতো কুকুর পর্যটক এবং স্থানীয়দের রীতিমত ভাবিয়ে তুলছেন। এসব কুকুর বেশিরভাগই বেওয়ারিশ বলে জানা গেছে। এদিকে কুকুরের কারণে দ্বীপের অনেক অভিভাবক, ছেলে-মেয়েদের স্কুল মাদরাসায় পাঠাতেও ভয় পাচ্ছেন। জানা যায়, দ্বীপের বাজার, সী-বীচ এবং জেটির পার্শ্ববর্তী এলাকায় বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব বেশি রয়েছে। বিষয়টিকে পর্যটকসহ স্থানীয় বাসিন্দারা পর্যটনের জন্য ক্ষতির কারণ হিসেবে দেখছেন। পর্যটকরা ভোর এবং বৈকালিন সময়ে সমুদ্রে অবাধে বিচরণ করতে পারে। সেই জন্য দ্রুত সময়ে কুকুর নিধন প্রক্রিয়া শুরুর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দ্বীপের জনপ্রতিনিধিরা জানান, গত কয়েকবছর ধরে কুকুর নিধন প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে। এই কারণে কুকুরের সংখ্যা বহুগুণ বেড়ে গেছে।
চট্টগ্রাম থেকে বেড়াতে আসা এনজিও কর্মী শাহাদত হোছাইন জানান, সেন্টমার্টিনের মতো এত ছোট জায়গায় এতো কুকুর! যা একেবারেই অকল্পনীয়। কুকুরের জ্বালায় বীচে ঘুরাঘুরি করাটা আতঙ্কের ব্যাপার। দ্বীপে বেড়াতে আসা আরেক পর্যটক জানান, কুকুরে শঙ্কিত পর্যটকরা। জীবনেও দেখিনি এত কুকুর! জনধিক বিবেচনায় তিনি কুকুর নিধনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুর আহমদ জানান, দ্বীপে প্রায় ৫ হাজারেরও বেশি বেওয়ারিশ কুকুর রয়েছে। এসব কুকুরের কারণে পযর্টকসহ স্থানীয়রা রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছে। তিনি বিষয়টি জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত সভায় একাধিকবার উত্থাপন করেছেন জানিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের বাঁধার কারণে কুকুর নিধন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, আইনী জটিলতার কারণে দ্বীপের বেওয়ারিশ কুকুর নিধন করা যাচ্ছে না। তবে তিনি পর্যটক এবং স্থানীয়দের স্বার্থে বিকল্প ব্যবস্থাপনার কথা জানান।
এই বিষয়ে জানতে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নুরুল আমিনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কুকুর নিধনের বিষয়ে পরিবেশের কোন বাধা নেই বলে জানান।
শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০১৯
কক্সবাজারের টেকনাফ সেন্টমার্টিনে কুকুরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে পর্যটক এবং দ্বীপের বাসিন্দারা। প্রায় ১০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ছোট্ট এই দ্বীপে ৫ হাজারের মতো কুকুর রয়েছে বলে স্থানীয়দের দাবি। যে দ্বীপে প্রায় ১০ হাজার মানুষের বসবাস সেখানে এতো কুকুর পর্যটক এবং স্থানীয়দের রীতিমত ভাবিয়ে তুলছেন। এসব কুকুর বেশিরভাগই বেওয়ারিশ বলে জানা গেছে। এদিকে কুকুরের কারণে দ্বীপের অনেক অভিভাবক, ছেলে-মেয়েদের স্কুল মাদরাসায় পাঠাতেও ভয় পাচ্ছেন। জানা যায়, দ্বীপের বাজার, সী-বীচ এবং জেটির পার্শ্ববর্তী এলাকায় বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব বেশি রয়েছে। বিষয়টিকে পর্যটকসহ স্থানীয় বাসিন্দারা পর্যটনের জন্য ক্ষতির কারণ হিসেবে দেখছেন। পর্যটকরা ভোর এবং বৈকালিন সময়ে সমুদ্রে অবাধে বিচরণ করতে পারে। সেই জন্য দ্রুত সময়ে কুকুর নিধন প্রক্রিয়া শুরুর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দ্বীপের জনপ্রতিনিধিরা জানান, গত কয়েকবছর ধরে কুকুর নিধন প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে। এই কারণে কুকুরের সংখ্যা বহুগুণ বেড়ে গেছে।
চট্টগ্রাম থেকে বেড়াতে আসা এনজিও কর্মী শাহাদত হোছাইন জানান, সেন্টমার্টিনের মতো এত ছোট জায়গায় এতো কুকুর! যা একেবারেই অকল্পনীয়। কুকুরের জ্বালায় বীচে ঘুরাঘুরি করাটা আতঙ্কের ব্যাপার। দ্বীপে বেড়াতে আসা আরেক পর্যটক জানান, কুকুরে শঙ্কিত পর্যটকরা। জীবনেও দেখিনি এত কুকুর! জনধিক বিবেচনায় তিনি কুকুর নিধনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুর আহমদ জানান, দ্বীপে প্রায় ৫ হাজারেরও বেশি বেওয়ারিশ কুকুর রয়েছে। এসব কুকুরের কারণে পযর্টকসহ স্থানীয়রা রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছে। তিনি বিষয়টি জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত সভায় একাধিকবার উত্থাপন করেছেন জানিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের বাঁধার কারণে কুকুর নিধন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, আইনী জটিলতার কারণে দ্বীপের বেওয়ারিশ কুকুর নিধন করা যাচ্ছে না। তবে তিনি পর্যটক এবং স্থানীয়দের স্বার্থে বিকল্প ব্যবস্থাপনার কথা জানান।
এই বিষয়ে জানতে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নুরুল আমিনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কুকুর নিধনের বিষয়ে পরিবেশের কোন বাধা নেই বলে জানান।