সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছের খাদ্য হিসেবে বরিশালের অধিকাংশ মাছের ঘেরে মৎস্য চাষিরা ব্যবহার করছেন ক্ষতিকর মুরগির মল। যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। মুরগির মলের কারণে ক্ষতিকর দিক বিবেচনায় বর্তমানে অনেকেই চাষের মাছ খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন।
সূত্রমতে, জেলার ছোট-বড় কয়েক হাজার খামারে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের চাষ করা হয়ে থাকে। ওইসব খামারের মাছ স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে প্রতিদিনই দেশের বিভিন্নস্থানে রফতানি হয়ে থাকে। মৎস্যচাষে সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে জেলার অনেক চাষি ইতোমধ্যে পুরস্কারও পেয়েছেন। তবে মাছের খাদ্যের দাম অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় এখন মাছের খাদ্য হিসেবে মুরগির মল ব্যবহার করছেন স্থানীয় মৎস্যচাষিরা। কম দামে পাওয়া মুরগির মল জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর জেনেও খাদ্য হিসেবে তা মাছের খামারে ব্যবহার করছেন চাষিরা।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক চিকিৎসক জানান, মুরগির মলের সঙ্গে যেসব সামগ্রী থাকে আবার মাছের মধ্য দিয়ে মানুষের শরীরে প্রবেশ করলে তা মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকিকে বাড়িয়ে দেয়। তাছাড়া মুরগির মলে থাকা অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম, ফসফরাস পুকুরের পরিবেশ ও পানি নষ্ট করে। ওই উপাদানগুলো পানিতে অক্সিজেনের স্বল্পতা ঘটানোর মাধ্যমে মাছের স্বাস্থ্যের ক্ষতি ও রোগ জীবাণু বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
শেবাচিম হাসপাতালের এক চিকিৎসক বলেন, মুরগির খাবারে নানারকম এন্টিবায়োটিক ও কেমিকেল থাকায় সেগুলো মলের মাধ্যমে মাছের শরীরে প্রবেশ করে। এগুলো সহজে ধ্বংস হয় না। তাই এগুলো মাছের মাধ্যমে পরে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগের জন্ম নেবার সম্ভাবনা থাকে। এজন্যই মাছের খাবার হিসেবে মুরগির মল ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে সরকার। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নূর আলম জানান, নিরাপদ খাদ্যের জন্য মুরগির মল মাছের খাবার হিসেবে ব্যবহার করাটা জনস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
রোববার, ০৮ ডিসেম্বর ২০১৯
সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছের খাদ্য হিসেবে বরিশালের অধিকাংশ মাছের ঘেরে মৎস্য চাষিরা ব্যবহার করছেন ক্ষতিকর মুরগির মল। যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। মুরগির মলের কারণে ক্ষতিকর দিক বিবেচনায় বর্তমানে অনেকেই চাষের মাছ খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন।
সূত্রমতে, জেলার ছোট-বড় কয়েক হাজার খামারে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের চাষ করা হয়ে থাকে। ওইসব খামারের মাছ স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে প্রতিদিনই দেশের বিভিন্নস্থানে রফতানি হয়ে থাকে। মৎস্যচাষে সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে জেলার অনেক চাষি ইতোমধ্যে পুরস্কারও পেয়েছেন। তবে মাছের খাদ্যের দাম অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় এখন মাছের খাদ্য হিসেবে মুরগির মল ব্যবহার করছেন স্থানীয় মৎস্যচাষিরা। কম দামে পাওয়া মুরগির মল জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর জেনেও খাদ্য হিসেবে তা মাছের খামারে ব্যবহার করছেন চাষিরা।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক চিকিৎসক জানান, মুরগির মলের সঙ্গে যেসব সামগ্রী থাকে আবার মাছের মধ্য দিয়ে মানুষের শরীরে প্রবেশ করলে তা মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকিকে বাড়িয়ে দেয়। তাছাড়া মুরগির মলে থাকা অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম, ফসফরাস পুকুরের পরিবেশ ও পানি নষ্ট করে। ওই উপাদানগুলো পানিতে অক্সিজেনের স্বল্পতা ঘটানোর মাধ্যমে মাছের স্বাস্থ্যের ক্ষতি ও রোগ জীবাণু বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
শেবাচিম হাসপাতালের এক চিকিৎসক বলেন, মুরগির খাবারে নানারকম এন্টিবায়োটিক ও কেমিকেল থাকায় সেগুলো মলের মাধ্যমে মাছের শরীরে প্রবেশ করে। এগুলো সহজে ধ্বংস হয় না। তাই এগুলো মাছের মাধ্যমে পরে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগের জন্ম নেবার সম্ভাবনা থাকে। এজন্যই মাছের খাবার হিসেবে মুরগির মল ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে সরকার। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নূর আলম জানান, নিরাপদ খাদ্যের জন্য মুরগির মল মাছের খাবার হিসেবে ব্যবহার করাটা জনস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।