ছবি : অনলাই সার্চ থেকে সংগৃহীত
সাউথ ইস্ট ব্যাংকের নওগাঁ শাখা থেকে ব্যবসার জন্য ১১৫ কোটি টাকা ঋণ নেয়ার পর দেশ ছেড়ে পালিয়েছে এক ব্যবসায়ী দম্পতি। ব্যবসায়ী গোপাল আগারওয়াল জেএন ইন্ড্রাটিজ লিমিটেড এবং তার স্ত্রী দীপা আগারওয়াল মেসার্স শুভ ফিড প্রসেসিং নামে দুটি প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র দিয়ে ১১৫ কোটি টাকা ঋণ নেয়। ঋণের টাকা উত্তোলন করার পর অধিকাংশ টাকা ভারতে পাচার করে ওই ব্যবসায়ী দম্পতি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়। চালকল, মাছ এবং মুরগির খাদ্য তৈরির জন্য ঋণ নিলেও তা পরিশোধ না করে ঋণের টাকা বিভিন্ন মাধ্যমে পাচার করে দিয়েছে। এ ঘটনায় অভিযোগ পাওয়ার পর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। দুদকের উপসহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এর আগে সাউথ ইস্ট ব্যাংক থেকে এ ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, নওগাঁ শহরের পোস্ট অফিসপাড়া এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী দম্পতি গোপাল আগারওয়াল এবং তার স্ত্রী দীপা আগারওয়াল। বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলা জগন্নাথনগর এলাকায় অবস্থিত গোপাল আগারওয়াল জেএন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এবং দীপা আগারওয়াল মেসার্স শুভ ফিড প্রসেসিং নামের দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী। ওই দুই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে চালকল, মাছ এবং মুরগির খাদ্য তৈরি করা হবে জানিয়ে সাউথ ইস্ট ব্যাংক থেকে প্রায় ১১৫ কোটি টাকা ঋণ নেয় এ ব্যবসায়ী দম্পতি। ঋণের মধ্যে সাউথ ইস্ট ব্যাংকের নওগাঁ শাখা থেকে গোপাল আগরওয়ালাকে ৮৪ কোটি ১৩ লাখ ৮৮ হাজার টাকা এবং তার স্ত্রী দীপাকে ৩০ কোটি ৮০ লাখ ১৪ হাজারসহ মোট ১১৪ কোটি ৯৪ লাখ দুই হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু ঋণ নেয়ার পর তারা সেই টাকা ভারতে পাচার করে দেয়। তাদের প্রতিষ্ঠানে উৎপাদনও বন্ধ রয়েছে। ঋণ নেয়ার পর তারা ব্যাংকের সঙ্গেও যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। পরে এ ঘটনায় চলতি বছরের ৯ অক্টোবর সাউথ ইস্ট ব্যাংকের নওগাঁ শাখার প্রধান কামারুজ্জামান নওগাঁ সদর থানায় ওই দম্পতির বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
দুদক সূত্র জানায়, সাউথ ইস্ট ব্যাংকের নওগাঁ শাখা থেকে ঋণের নামে ভয়াবহ জালিয়াতির মাধ্যমে জেএন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও মেসার্স শুভ ফিড প্রসেসিংয়ের মাধ্যমে টাকা ভারতে পাচার করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। একই সঙ্গে নিজেরাও ভারতে পালিয়ে গেছেন বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। এ বিষয়ে দুদক অনুসন্ধান শুরু করেছে। গোপাল আগারওয়াল ও দীপা আগারওয়ালের মালিকানাধীন জেএন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও মেসার্স শুভ ফুড প্রসেসিং নামে দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার জগন্নাথপুর এলাকায় বগুড়া-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে অবস্থিত। জেএন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড মূলত স্বয়ংক্রিয় চালকল এবং মেসার্স শুভ ফিড প্রসেসিং প্রতিষ্ঠানে মাছ ও মুরগির খাদ্য তৈরি করা হয়। সম্প্রতি কারখানা দুটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। মূল ফটকে সাউথ ইস্ট ব্যাংক লিমিটেড নওগাঁ শাখার পক্ষ থেকে সম্পত্তির তফসিল উল্লেখ করে নোটিশ টানানো হয়েছে। প্রতিষ্ঠান দুটিতে কোন শ্রমিক কিংবা কর্মকর্তার দেখা পাওয়া যায়নি। তবে নিরাপত্তার জন্য ব্যাংকের পক্ষ থেকে নিরাপত্তারক্ষী রয়েছে।
সাউথ ইস্ট ব্যাংক সূত্র বলছে, গোপাল আগারওয়াল ব্যবসায় বিনিয়োগের জন্য তার মালিকানাধীন জেএন ইন্ডাস্ট্রিজের নামে সাউথ ইস্ট ব্যাংক লিমিটেডের নওগাঁ শাখা থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মেয়াদে মোট ৮৪ কোটি ১৩ লাখ ৮৮ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন। এছাড়া তার স্ত্রী দীপা আগারওয়াল নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মেসার্স শুভ ফিড প্রসেসিংয়ে বিনিয়োগের জন্য বিভিন্ন সময় মোট ৩০ কোটি ৮০ লাখ ১৪ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন। ওই ব্যবসায়ী দম্পতি ব্যাংকটি থেকে মোট ১১৪ কোটি ৯৪ লাখ দুই হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন। গত ১৫ অক্টোবর গোপাল আগারওয়ালার জেএন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে সাউথ ইস্ট ব্যাংক নওগাঁ শাখার পক্ষ থেকে সম্পত্তির তফসিল উল্লেখ করে নোটিশও ঝোলানো হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, মোট ৪৩৪ শতক জমিতে অবস্থিত (১৩ দশমিক ১৫১ বিঘা) ইন্ডাস্ট্রির সব কার্যক্রম বন্ধ, ভেতরের সরঞ্জামগুলোতে মরিচা ধরা শুরু করেছে। গুদাম ঘরগুলো ফাঁকা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তিন জন কর্মচারীকে দেখভালের জন্য রাখা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানে যে ৪৫ জন কর্মচারী ছিল তাদের বেশ কয়েক মাস থেকে বেতনও দেয়া হয়নি।
ছবি : অনলাই সার্চ থেকে সংগৃহীত
রোববার, ০৮ ডিসেম্বর ২০১৯
সাউথ ইস্ট ব্যাংকের নওগাঁ শাখা থেকে ব্যবসার জন্য ১১৫ কোটি টাকা ঋণ নেয়ার পর দেশ ছেড়ে পালিয়েছে এক ব্যবসায়ী দম্পতি। ব্যবসায়ী গোপাল আগারওয়াল জেএন ইন্ড্রাটিজ লিমিটেড এবং তার স্ত্রী দীপা আগারওয়াল মেসার্স শুভ ফিড প্রসেসিং নামে দুটি প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র দিয়ে ১১৫ কোটি টাকা ঋণ নেয়। ঋণের টাকা উত্তোলন করার পর অধিকাংশ টাকা ভারতে পাচার করে ওই ব্যবসায়ী দম্পতি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়। চালকল, মাছ এবং মুরগির খাদ্য তৈরির জন্য ঋণ নিলেও তা পরিশোধ না করে ঋণের টাকা বিভিন্ন মাধ্যমে পাচার করে দিয়েছে। এ ঘটনায় অভিযোগ পাওয়ার পর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। দুদকের উপসহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এর আগে সাউথ ইস্ট ব্যাংক থেকে এ ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, নওগাঁ শহরের পোস্ট অফিসপাড়া এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী দম্পতি গোপাল আগারওয়াল এবং তার স্ত্রী দীপা আগারওয়াল। বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলা জগন্নাথনগর এলাকায় অবস্থিত গোপাল আগারওয়াল জেএন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এবং দীপা আগারওয়াল মেসার্স শুভ ফিড প্রসেসিং নামের দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী। ওই দুই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে চালকল, মাছ এবং মুরগির খাদ্য তৈরি করা হবে জানিয়ে সাউথ ইস্ট ব্যাংক থেকে প্রায় ১১৫ কোটি টাকা ঋণ নেয় এ ব্যবসায়ী দম্পতি। ঋণের মধ্যে সাউথ ইস্ট ব্যাংকের নওগাঁ শাখা থেকে গোপাল আগরওয়ালাকে ৮৪ কোটি ১৩ লাখ ৮৮ হাজার টাকা এবং তার স্ত্রী দীপাকে ৩০ কোটি ৮০ লাখ ১৪ হাজারসহ মোট ১১৪ কোটি ৯৪ লাখ দুই হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু ঋণ নেয়ার পর তারা সেই টাকা ভারতে পাচার করে দেয়। তাদের প্রতিষ্ঠানে উৎপাদনও বন্ধ রয়েছে। ঋণ নেয়ার পর তারা ব্যাংকের সঙ্গেও যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। পরে এ ঘটনায় চলতি বছরের ৯ অক্টোবর সাউথ ইস্ট ব্যাংকের নওগাঁ শাখার প্রধান কামারুজ্জামান নওগাঁ সদর থানায় ওই দম্পতির বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
দুদক সূত্র জানায়, সাউথ ইস্ট ব্যাংকের নওগাঁ শাখা থেকে ঋণের নামে ভয়াবহ জালিয়াতির মাধ্যমে জেএন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও মেসার্স শুভ ফিড প্রসেসিংয়ের মাধ্যমে টাকা ভারতে পাচার করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। একই সঙ্গে নিজেরাও ভারতে পালিয়ে গেছেন বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। এ বিষয়ে দুদক অনুসন্ধান শুরু করেছে। গোপাল আগারওয়াল ও দীপা আগারওয়ালের মালিকানাধীন জেএন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও মেসার্স শুভ ফুড প্রসেসিং নামে দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার জগন্নাথপুর এলাকায় বগুড়া-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে অবস্থিত। জেএন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড মূলত স্বয়ংক্রিয় চালকল এবং মেসার্স শুভ ফিড প্রসেসিং প্রতিষ্ঠানে মাছ ও মুরগির খাদ্য তৈরি করা হয়। সম্প্রতি কারখানা দুটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। মূল ফটকে সাউথ ইস্ট ব্যাংক লিমিটেড নওগাঁ শাখার পক্ষ থেকে সম্পত্তির তফসিল উল্লেখ করে নোটিশ টানানো হয়েছে। প্রতিষ্ঠান দুটিতে কোন শ্রমিক কিংবা কর্মকর্তার দেখা পাওয়া যায়নি। তবে নিরাপত্তার জন্য ব্যাংকের পক্ষ থেকে নিরাপত্তারক্ষী রয়েছে।
সাউথ ইস্ট ব্যাংক সূত্র বলছে, গোপাল আগারওয়াল ব্যবসায় বিনিয়োগের জন্য তার মালিকানাধীন জেএন ইন্ডাস্ট্রিজের নামে সাউথ ইস্ট ব্যাংক লিমিটেডের নওগাঁ শাখা থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মেয়াদে মোট ৮৪ কোটি ১৩ লাখ ৮৮ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন। এছাড়া তার স্ত্রী দীপা আগারওয়াল নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মেসার্স শুভ ফিড প্রসেসিংয়ে বিনিয়োগের জন্য বিভিন্ন সময় মোট ৩০ কোটি ৮০ লাখ ১৪ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন। ওই ব্যবসায়ী দম্পতি ব্যাংকটি থেকে মোট ১১৪ কোটি ৯৪ লাখ দুই হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন। গত ১৫ অক্টোবর গোপাল আগারওয়ালার জেএন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে সাউথ ইস্ট ব্যাংক নওগাঁ শাখার পক্ষ থেকে সম্পত্তির তফসিল উল্লেখ করে নোটিশও ঝোলানো হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, মোট ৪৩৪ শতক জমিতে অবস্থিত (১৩ দশমিক ১৫১ বিঘা) ইন্ডাস্ট্রির সব কার্যক্রম বন্ধ, ভেতরের সরঞ্জামগুলোতে মরিচা ধরা শুরু করেছে। গুদাম ঘরগুলো ফাঁকা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তিন জন কর্মচারীকে দেখভালের জন্য রাখা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানে যে ৪৫ জন কর্মচারী ছিল তাদের বেশ কয়েক মাস থেকে বেতনও দেয়া হয়নি।