করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। হাসপাতালগুলোতে রোগীদের ঠাঁই হচ্ছে না। ভর্তি হতে না পেরে অনেক রোগী বাসাবাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অবস্থার অবনতি দেখে রাজধানীতে দুই থেকে তিনটি ফিল্ড হাসপাতাল করার চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংক্রমণ বিস্তার রোধ করতে না পারলে শুধু হাসপাতালে বেড ও আইসিইউ বাড়ালে হবে না। স্বাস্থ্যবিধিসহ কঠোরভাবে পালন না করলে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন। মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক হাসপাতাল ডা. মো. ফরিদ হোসেন মিয়া মুঠোফোনে সংবাদকে বলেন, নতুন করে ফিল্ড হাসপাতাল করার প্রস্তাবনা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। তবে মহাখালীতে দেড় হাজার বেডের হাসপাতাল করা হচ্ছে।
আইসিইউ সিটের জন্য সরকারি হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে ঘুরে না পেয়ে বদরুল আমিন খান নামে একজন চাকরিজীবী মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে যাত্রাবাড়ীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালে মারা গেছেন। তার গ্রামের বাড়ি মাগুরায়। তার স্বজনরা বঙ্গবন্ধু মেডিকেল ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে আইসিইউর জন্য চেষ্টা-তদবির করেও পায়নি বলে অভিযোগ করেন। একটি প্রাইভেট হাসপাতালে কিছুদিন চিকিৎসা করে ওই রোগীর জন্য পাঁচ লাখ টাকা খরচ হয়েছে।
অপরদিকে রাজধানীর পূর্ব বাসাবো এলাকার একই পরিবারের ৪ জন গত এক সপ্তাহ ধরে আক্রান্ত। তারা বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। স্বজনদের বাসা থেকে তাদের খাবার দরজায় রেখে যায়। তারা ওই খাবার খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন আর ওষুধের মারাত্মক সমস্যা হলে পরিবারের সদস্যরা নিচে নেমে ওষুধ কিনে আনেন বলে জানান।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে বেড ও আইসিইউ খালি নেই। করোনা রোগীর সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। এ অবস্থায় তিনি দেশে ফিল্ড হাসপাতাল চালু করার প্রস্তাব করেন। আর যে সব রোগী বেড ও আইসিইউর অভাবে হাসপাতালে ভর্তি হতে পারছে না। তাদের বাসাবাড়িতে চিকিৎসা সেবা দেয়া। আর যারা আইসোলেশনে বাসাবাড়িতে আছেন। তাদের মধ্যে যারা আর্থিক সংকটে আছেন তাদের বাসাবাড়ির ঠিকানায় ওষুধ ও খাবার পৌঁছে দেয়ার জন্য নির্বাচিত প্রতিনিধি বা দলমত নির্বিশেষে বিত্তবানদের এগিয়ে আশার আহ্বান জানান।
মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা রোগীদের জন্য জেনারেল বেড সংখ্যা ১৮০টি। রোগী ভর্তি আছে ১৮৫ জন। আইসিইউ বেড ২০টি। রোগী বুধবার (৭ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত ভর্তি ছিল ১৯ জন।
মহাখালী রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মোস্তাক হোসেন বলেন, করোনা রোগী ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ায় ঢাকার মহাখালী ও ধানমন্ডির দুইটি সরকারি কলেজ মাঠে ফিল্ড হাসপাতাল করার চিন্তা-ভাবনা চলছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে ফিল্ড হাসপাতাল চালু না করে কোন গতি নেই। হাসপাতালে ঠাঁই নেই। আইসোলেশন সেন্টার না থাকায় অনেকেই বাসায় থাকেন। অনেকেই আর্থিক সংকটসহ নানা কারণে আক্রান্ত অবস্থায় বাসা থেকে বের হচ্ছেন। তাদের খোঁজখবর নেয়া দরকার বলে এ বিশেষজ্ঞ মনে করেন। আইসিইউ বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. দেবব্রত বণিক বলেন, মানুষ লকডাউন মানছে না। রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। হাসপাতালে সিট ও আইসিইউ নেই। এ অবস্থা চলতে থাকলে মৃত্যুঝুঁকি আরও বাড়বে। মানুষ চিকিৎসা না পেয়ে রাস্তায়ই মারা যাবে। যেভাবে হোক বেশিরভাগ রোগীকে চিকিৎসার আওতায় আনা দরকার। স্বাস্থ্যবিধি মানার উপর জোর দেন।
এ বিশেষজ্ঞ বলেন, জীবন না বাঁচলে ব্যবসা ও সম্পদ দিয়ে লাভ কি? দিনে তিন বেলার জায়গায় এক বেলা খেয়ে দিন কাটানো যায়। তাই আগে জীবন বাঁচানো দরকার।
স্বাস্থ্য বিভাগের এক তথ্যে জানা গেছে, সারাদেশে সরকারি হাসপাতাল (গেল বছরের হিসেবে) আছে ৬৫৪টি। এরমধ্যে মেডিকেল কলেজ ও স্পেশালাইজড হাসপাতাল ১৪০টি আর উপজেলা পর্যায়ে আছে ৫১৪টি। এসব হাসপাতালে বেড সংখ্যা ৫১ হাজার ৩১৬টি। হাসপাতালে বেড ও আইসিইউর সংখ্যা আরও বাড়ানো হচ্ছে।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বলা হয়েছে, রাজধানীর উত্তরার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে সাধারণ বেড ১৬৯টি। বুধবার দুপুর পর্যন্ত রোগী ভর্তি ১৫৮ জন। আইসিইউ বেড ১৬টি। রোগী ভর্তি ১৬ জন। কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে সাধারণ বেড ২৭৫টি। রোগী আছে ৪১১ জন। আইসিইউ ১০টি। ভর্তি আছে ১০ জন। মহাখালী শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রো লিভার হাসপাতালে বেড ১৪০টি। রোগী দুপুর পর্যন্ত ১৩৫ জন। আইসিইউ ১৬টি। রোগী ভর্তি ১৪ জন। রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য সাধারণ বেড সংখ্যা ৩১০টি। দুপুর পর্যন্ত রোগী ৩০৪টি। দুপুরের পরে রোগীর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। আইসিইউ আছে ১৯টি। রোগী ভর্তি আছে ১৮ জন। বিকেলে সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে বেড সংখ্যা ৪৮৫টি। রোগী ভর্তি ৩০৯ জন। আইসিইউ বেড ১৫টি। রোগী ভর্তি ৯ জন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও বার্ন ইউনিটে ৮৮৩টি বেডের মধ্যে ৬৯৪টিতে করোনা রোগী ভর্তি আছে। আইসিইউ বেড ২০টি। রোগী ভর্তি আছে ২০ জন। এভাবে রাজধানীর ১০টি সরকারি হাসপাতালে প্রায় আড়াই হাজার রোগী ভর্তি আছে আর প্রাইভেট হাসপাতালে রোগী আছে ৩ হাজারেরও বেশি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মিডিয়া শাখা থেকে সারাদেশের আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা জানা যায়নি। অপর এক তথ্যে জানা গেছে, সারাদেশে বুধবার পর্যন্ত করোনা রোগীর সংখ্যা ৮৮ হাজার ১৯২ জন।
স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব ও করোনা প্রতিরোধ জাতীয় কমিটির সদস্য প্রফেসর ডা. এম এ আজিজ বলেন, করোনা সংক্রমণ বন্ধ করতে হবে। দিনে ৭ হাজারেরও বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এতে হাসপাতালে বেড ও আইসিইউ বাড়ালে সমাধান হবে না। এক মাত্র উপায় স্বাস্থ্যবিধিসহ ১৮ দফা নির্দেশনা মেনে চলা। তাহলে সংক্রমণ কমবে বলে তিনি আশাবাদী। আর লকডাউন আরও কঠোরভাবে পালনের উপর তিনি গুরুত্ব দেন।
বুধবার, ০৭ এপ্রিল ২০২১
করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। হাসপাতালগুলোতে রোগীদের ঠাঁই হচ্ছে না। ভর্তি হতে না পেরে অনেক রোগী বাসাবাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অবস্থার অবনতি দেখে রাজধানীতে দুই থেকে তিনটি ফিল্ড হাসপাতাল করার চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংক্রমণ বিস্তার রোধ করতে না পারলে শুধু হাসপাতালে বেড ও আইসিইউ বাড়ালে হবে না। স্বাস্থ্যবিধিসহ কঠোরভাবে পালন না করলে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন। মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক হাসপাতাল ডা. মো. ফরিদ হোসেন মিয়া মুঠোফোনে সংবাদকে বলেন, নতুন করে ফিল্ড হাসপাতাল করার প্রস্তাবনা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। তবে মহাখালীতে দেড় হাজার বেডের হাসপাতাল করা হচ্ছে।
আইসিইউ সিটের জন্য সরকারি হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে ঘুরে না পেয়ে বদরুল আমিন খান নামে একজন চাকরিজীবী মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে যাত্রাবাড়ীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালে মারা গেছেন। তার গ্রামের বাড়ি মাগুরায়। তার স্বজনরা বঙ্গবন্ধু মেডিকেল ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে আইসিইউর জন্য চেষ্টা-তদবির করেও পায়নি বলে অভিযোগ করেন। একটি প্রাইভেট হাসপাতালে কিছুদিন চিকিৎসা করে ওই রোগীর জন্য পাঁচ লাখ টাকা খরচ হয়েছে।
অপরদিকে রাজধানীর পূর্ব বাসাবো এলাকার একই পরিবারের ৪ জন গত এক সপ্তাহ ধরে আক্রান্ত। তারা বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। স্বজনদের বাসা থেকে তাদের খাবার দরজায় রেখে যায়। তারা ওই খাবার খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন আর ওষুধের মারাত্মক সমস্যা হলে পরিবারের সদস্যরা নিচে নেমে ওষুধ কিনে আনেন বলে জানান।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে বেড ও আইসিইউ খালি নেই। করোনা রোগীর সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। এ অবস্থায় তিনি দেশে ফিল্ড হাসপাতাল চালু করার প্রস্তাব করেন। আর যে সব রোগী বেড ও আইসিইউর অভাবে হাসপাতালে ভর্তি হতে পারছে না। তাদের বাসাবাড়িতে চিকিৎসা সেবা দেয়া। আর যারা আইসোলেশনে বাসাবাড়িতে আছেন। তাদের মধ্যে যারা আর্থিক সংকটে আছেন তাদের বাসাবাড়ির ঠিকানায় ওষুধ ও খাবার পৌঁছে দেয়ার জন্য নির্বাচিত প্রতিনিধি বা দলমত নির্বিশেষে বিত্তবানদের এগিয়ে আশার আহ্বান জানান।
মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা রোগীদের জন্য জেনারেল বেড সংখ্যা ১৮০টি। রোগী ভর্তি আছে ১৮৫ জন। আইসিইউ বেড ২০টি। রোগী বুধবার (৭ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত ভর্তি ছিল ১৯ জন।
মহাখালী রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মোস্তাক হোসেন বলেন, করোনা রোগী ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ায় ঢাকার মহাখালী ও ধানমন্ডির দুইটি সরকারি কলেজ মাঠে ফিল্ড হাসপাতাল করার চিন্তা-ভাবনা চলছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে ফিল্ড হাসপাতাল চালু না করে কোন গতি নেই। হাসপাতালে ঠাঁই নেই। আইসোলেশন সেন্টার না থাকায় অনেকেই বাসায় থাকেন। অনেকেই আর্থিক সংকটসহ নানা কারণে আক্রান্ত অবস্থায় বাসা থেকে বের হচ্ছেন। তাদের খোঁজখবর নেয়া দরকার বলে এ বিশেষজ্ঞ মনে করেন। আইসিইউ বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. দেবব্রত বণিক বলেন, মানুষ লকডাউন মানছে না। রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। হাসপাতালে সিট ও আইসিইউ নেই। এ অবস্থা চলতে থাকলে মৃত্যুঝুঁকি আরও বাড়বে। মানুষ চিকিৎসা না পেয়ে রাস্তায়ই মারা যাবে। যেভাবে হোক বেশিরভাগ রোগীকে চিকিৎসার আওতায় আনা দরকার। স্বাস্থ্যবিধি মানার উপর জোর দেন।
এ বিশেষজ্ঞ বলেন, জীবন না বাঁচলে ব্যবসা ও সম্পদ দিয়ে লাভ কি? দিনে তিন বেলার জায়গায় এক বেলা খেয়ে দিন কাটানো যায়। তাই আগে জীবন বাঁচানো দরকার।
স্বাস্থ্য বিভাগের এক তথ্যে জানা গেছে, সারাদেশে সরকারি হাসপাতাল (গেল বছরের হিসেবে) আছে ৬৫৪টি। এরমধ্যে মেডিকেল কলেজ ও স্পেশালাইজড হাসপাতাল ১৪০টি আর উপজেলা পর্যায়ে আছে ৫১৪টি। এসব হাসপাতালে বেড সংখ্যা ৫১ হাজার ৩১৬টি। হাসপাতালে বেড ও আইসিইউর সংখ্যা আরও বাড়ানো হচ্ছে।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বলা হয়েছে, রাজধানীর উত্তরার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে সাধারণ বেড ১৬৯টি। বুধবার দুপুর পর্যন্ত রোগী ভর্তি ১৫৮ জন। আইসিইউ বেড ১৬টি। রোগী ভর্তি ১৬ জন। কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে সাধারণ বেড ২৭৫টি। রোগী আছে ৪১১ জন। আইসিইউ ১০টি। ভর্তি আছে ১০ জন। মহাখালী শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রো লিভার হাসপাতালে বেড ১৪০টি। রোগী দুপুর পর্যন্ত ১৩৫ জন। আইসিইউ ১৬টি। রোগী ভর্তি ১৪ জন। রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য সাধারণ বেড সংখ্যা ৩১০টি। দুপুর পর্যন্ত রোগী ৩০৪টি। দুপুরের পরে রোগীর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। আইসিইউ আছে ১৯টি। রোগী ভর্তি আছে ১৮ জন। বিকেলে সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে বেড সংখ্যা ৪৮৫টি। রোগী ভর্তি ৩০৯ জন। আইসিইউ বেড ১৫টি। রোগী ভর্তি ৯ জন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও বার্ন ইউনিটে ৮৮৩টি বেডের মধ্যে ৬৯৪টিতে করোনা রোগী ভর্তি আছে। আইসিইউ বেড ২০টি। রোগী ভর্তি আছে ২০ জন। এভাবে রাজধানীর ১০টি সরকারি হাসপাতালে প্রায় আড়াই হাজার রোগী ভর্তি আছে আর প্রাইভেট হাসপাতালে রোগী আছে ৩ হাজারেরও বেশি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মিডিয়া শাখা থেকে সারাদেশের আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা জানা যায়নি। অপর এক তথ্যে জানা গেছে, সারাদেশে বুধবার পর্যন্ত করোনা রোগীর সংখ্যা ৮৮ হাজার ১৯২ জন।
স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব ও করোনা প্রতিরোধ জাতীয় কমিটির সদস্য প্রফেসর ডা. এম এ আজিজ বলেন, করোনা সংক্রমণ বন্ধ করতে হবে। দিনে ৭ হাজারেরও বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এতে হাসপাতালে বেড ও আইসিইউ বাড়ালে সমাধান হবে না। এক মাত্র উপায় স্বাস্থ্যবিধিসহ ১৮ দফা নির্দেশনা মেনে চলা। তাহলে সংক্রমণ কমবে বলে তিনি আশাবাদী। আর লকডাউন আরও কঠোরভাবে পালনের উপর তিনি গুরুত্ব দেন।