নারায়ণগঞ্জে হেফাজতের ডাকা হরতাল ও মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করে রাখায় হামলা, ভাঙচুর, আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধের ঘটনায় ১৭ মামলায় এখন পর্যন্ত ৫১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ফেসবুকের পোস্ট, ভিডিও ফুটেজ ছাড়াও তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামিদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে জেলা পুলিশ।
দুই ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ ও সোনারগাঁ থানায় পুলিশ, র্যাব, সাংবাদিক, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, পরিবহন মালিকরা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এসব মামলায় ৫১ জনকে গ্রেফতারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান। এসব মামলায় অন্য আসামিদেরও গ্রেফতারে পুলিশের বিশেষ অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি। গ্রেফতার আসামিদের মধ্যে বিএনপি, জামায়াত, হেফাজতের নেতা-কর্মীরা রয়েছেন।
গত ২৮ মার্চ হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালের দিন নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ, যানবাহনে ভাঙচুর, সাংবাদিকদের মারধরের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় র্যাব ও পুলিশ বাদী হয়ে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে সরকারি কাজে বাধা দেওয়াসহ নানা অভিযোগে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ছয়টি মামলা করে। হরতালের দিন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবহন মালিকদের আরও তিনটি মামলা ওই থানায় রুজু করা হয়। এইসব মামলায় এজাহারনামীয় ছাড়াও কয়েক হাজার অজ্ঞাত আসামি করা হয়। এদিকে ৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করে রাখার প্রতিবাদে উপজেলার মোগরাপাড়া এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ, ওই রিসোর্ট ও আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাঙচুর, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয় এক সাংবাদিককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ফেসবুক লাইভে এসে নির্যাতনের মুখে মামুনুল হকের কাছে ক্ষমা চাওয়াতে বাধ্য করার ঘটনাও ঘটে। এইসব ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় পুলিশ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, সাংবাদিক পৃথক আটটি মামলা দায়ের করে। সিদ্ধিরগঞ্জ ও সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা এই ১৭ মামলার কয়েকটিতে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা মামুনুল হককে প্রধান আসামি করে বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াত, হেফাজতের আরও কয়েকশ’ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখসহ কয়েক হাজার জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
এদিকে রোববার (১১ এপ্রিল) সকালে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান এক বার্তায় জানান, দুই থানার ১৭ মামলায় এখন পর্যন্ত ৫১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে অন্য আসামিদেরও চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, সোনারগাঁয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতাদের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় পরিদর্শনে আসে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল। তারা ক্ষতিগ্রস্ত স্থানগুলো পরিদর্শন শেষে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কড়া হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের মামলা করার পরামর্শ দেন সরকারি দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। এরপর গত কয়েকদিনে সোনারগাঁ থানায় পৃথক আটটি মামলা দায়ের করা হয়। এদিকে গত ১০ এপ্রিল সোনারগাঁয়ে আসেন ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার মো. খলিলুর রহমান। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করে মামুনুল হক ইস্যুতে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করেন।
একদিকে হেফাজতের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার এবং অন্যদিকে জেলার বিশটি থানা, ফাঁড়ি ও তদন্ত কেন্দ্রে এলএমজি চৌকি স্থাপন করেছে পুলিশ। এলএমজি চৌকিতে চব্বিশ ঘন্টা দায়িত্ব পালন করবে পুলিশ। পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) নির্দেশে পুলিশের নিরাপত্তার খাতিরে থানা-ফাঁড়ি-তদন্ত কেন্দ্রগুলোতে এসব চৌকি স্থাপন করা হয়েছে বলে সংবাদকে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম।
রোববার, ১১ এপ্রিল ২০২১
নারায়ণগঞ্জে হেফাজতের ডাকা হরতাল ও মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করে রাখায় হামলা, ভাঙচুর, আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধের ঘটনায় ১৭ মামলায় এখন পর্যন্ত ৫১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ফেসবুকের পোস্ট, ভিডিও ফুটেজ ছাড়াও তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামিদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে জেলা পুলিশ।
দুই ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ ও সোনারগাঁ থানায় পুলিশ, র্যাব, সাংবাদিক, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, পরিবহন মালিকরা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এসব মামলায় ৫১ জনকে গ্রেফতারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান। এসব মামলায় অন্য আসামিদেরও গ্রেফতারে পুলিশের বিশেষ অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি। গ্রেফতার আসামিদের মধ্যে বিএনপি, জামায়াত, হেফাজতের নেতা-কর্মীরা রয়েছেন।
গত ২৮ মার্চ হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালের দিন নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ, যানবাহনে ভাঙচুর, সাংবাদিকদের মারধরের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় র্যাব ও পুলিশ বাদী হয়ে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে সরকারি কাজে বাধা দেওয়াসহ নানা অভিযোগে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ছয়টি মামলা করে। হরতালের দিন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবহন মালিকদের আরও তিনটি মামলা ওই থানায় রুজু করা হয়। এইসব মামলায় এজাহারনামীয় ছাড়াও কয়েক হাজার অজ্ঞাত আসামি করা হয়। এদিকে ৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করে রাখার প্রতিবাদে উপজেলার মোগরাপাড়া এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ, ওই রিসোর্ট ও আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাঙচুর, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয় এক সাংবাদিককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ফেসবুক লাইভে এসে নির্যাতনের মুখে মামুনুল হকের কাছে ক্ষমা চাওয়াতে বাধ্য করার ঘটনাও ঘটে। এইসব ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় পুলিশ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, সাংবাদিক পৃথক আটটি মামলা দায়ের করে। সিদ্ধিরগঞ্জ ও সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা এই ১৭ মামলার কয়েকটিতে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা মামুনুল হককে প্রধান আসামি করে বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াত, হেফাজতের আরও কয়েকশ’ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখসহ কয়েক হাজার জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
এদিকে রোববার (১১ এপ্রিল) সকালে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান এক বার্তায় জানান, দুই থানার ১৭ মামলায় এখন পর্যন্ত ৫১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে অন্য আসামিদেরও চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, সোনারগাঁয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতাদের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় পরিদর্শনে আসে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল। তারা ক্ষতিগ্রস্ত স্থানগুলো পরিদর্শন শেষে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কড়া হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের মামলা করার পরামর্শ দেন সরকারি দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। এরপর গত কয়েকদিনে সোনারগাঁ থানায় পৃথক আটটি মামলা দায়ের করা হয়। এদিকে গত ১০ এপ্রিল সোনারগাঁয়ে আসেন ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার মো. খলিলুর রহমান। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করে মামুনুল হক ইস্যুতে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করেন।
একদিকে হেফাজতের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার এবং অন্যদিকে জেলার বিশটি থানা, ফাঁড়ি ও তদন্ত কেন্দ্রে এলএমজি চৌকি স্থাপন করেছে পুলিশ। এলএমজি চৌকিতে চব্বিশ ঘন্টা দায়িত্ব পালন করবে পুলিশ। পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) নির্দেশে পুলিশের নিরাপত্তার খাতিরে থানা-ফাঁড়ি-তদন্ত কেন্দ্রগুলোতে এসব চৌকি স্থাপন করা হয়েছে বলে সংবাদকে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম।