ফ্যাশন হাউজগুলোর ক্ষতি ২ কোটি টাকা
বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতিতে বৈশাখের আবহ নেই চট্টগ্রামে। এ অবস্থায় ফ্যাশন হাউজ ও বিপণিবিতানগুলো মুখ থুবড়ে বসে আছে। তবে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও বেশ ভিড় ছিল নগরীর শপিংমলগুলোতে। অনেকে কেনাকাটা করছেন। ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ সুযোগেই ঈদের কেনাকাটা সারছেন অনেকে, বৈশাখের নয়। মলে ভিড় হলেও দেশীয় পোশাকের দোকানগুলো ছিল প্রায় ক্রেতাশূন্য। বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। কিন্তু জনমনে নেই বৈশাখের ছোঁয়া। করোনা পরিস্থিতিতে শুধু বৈশাখকে কেন্দ্র করেই দেশীয় ফ্যাশন হাউজগুলো প্রায় দুই কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বলে জানান দেশীদশ চট্টগ্রাম শাখার এডমিন।
১১ এপ্রিল রোববার নগরীর বিভিন্ন শপিংমল ঘুরে দেখা যায়, নারী ক্রেতারা তাদের পছন্দের পোশাক কেনাকাটায় বেশ ব্যস্ত। দোকানিরাও যেন হাতছাড়া করতে চাইছে না ক্রেতাদের। ক্রেতা-বিক্রেতার কথোপকথনের মধ্যে বিক্রি হচ্ছে পোশাক। করোনা পরিস্থিতিতেও বেশ জমজমাট শপিংমলগুলো। কিন্তু বৈশাখী পোশাকের প্রতি তাদের আগ্রহ দেখা যায়নি। প্রায় প্রতিটি পোশাকই কেনা হচ্ছে ঈদকে কেন্দ্র করে।আফমি প্লাজায় চৌধুরী নিগার সুলতানা নামের এক গৃহিণী বলেন, আমার বাড়ি পাহাড়তলীতে। আজকে কেনাকাটা করতে এসেছি। আমার বড় মেয়েকে জানুয়ারিতে বিয়ে দিয়েছি। তাই এ বছর তার শ্বশুরবাড়িতে ঈদের পোশাক পাঠাতে হবে। সেজন্য শপিংমল খোলার সঙ্গে সঙ্গেই শপিং করছি। তিনি বলেন, এবার বৈশাখ নিয়ে আমাদের কোন আগ্রহ নেই যা অন্যান্য বছর ছিল। করোনা পরিস্থিতিতে কিসের বৈশাখ কিংবা ঈদ। একই কথা বলেন দেশীদশের আরও দুই ক্রেতা। তারাও জানান ঈদের শপিং করতে এসেছি, বৈশাখের নয়। এক কথায় নগরীর দেশীয় বুটিক হাউজগুলোতে যদিও বৈশাখী পোশাকের সমাহার তবে ক্রেতার মনে নেই কোন আগ্রহ।
আর এ বৈশাখকে কেন্দ্র করে বছরের প্রথম দিনটিকে বরণ করতে বাঙালিপনায় শাড়ি, পাঞ্জাবি, ফতুয়ার সাজে সেজে উঠে শহরবাসী। তাইতো দিনটিকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর বৈশাখের আগে শপিংমলগুলোতে ক্রেতাদের বেশ ভিড় হয়। জমে উঠে দেশীয় পোশাকের বিকিকিনি। প্রতিদিন বাঙালি যতই সাহেববেশে থাকুক না কেন, বিশেষ দিনগুলোতে তাদের ভেতরকার বাঙালিপনা ঠিকই জেগে উঠে। যার কারণে বছরের কিছু স্পেশাল দিনে বাঙালির কাছে দেশীয় পোশাকের চাহিদা বেড়ে যায়। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে এবারও দেশীয় পোশাক হাউজগুলোতে নেই ক্রেতা। চট্টগ্রাম শাখার দেশীদশের এডমিন তারিকুল ইসলাম বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পহেলা বৈশাখ, বসন্ত, স্বাধীনতা-বিজয়-২১শে ফেব্রুয়ারির দিবসগুলোতে দেশীয় পোশাক কেনার প্রতি মানুষের আগ্রহ বেড়েছিল। তবে করোনার কারণে আমরা গত বছরের ন্যায় এ বছরও মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছি। এ বছর শুধু বৈশাখ উপলক্ষেই আমরা চট্টগ্রাম শাখা প্রায় এক কোটি টাকা ক্ষতির শিকার হয়েছি। শুধু আমরাই নই, অন্যান্য হাউজগুলোও এমন ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এ মুহূর্তে দেশ করোনাভাইরাস নিয়ে কাটাচ্ছে এক উদ্বেগজনক সময়। কখনও বন্ধ ঘোষণা করা হচ্ছে সব শপিংমল আবার কখনও লকডাউন হচ্ছে সারাদেশ। এমন পরিস্থিতিতে ভালোভাবে ব্যবসা করতে পারছে না ব্যবসায়ীরা। এছাড়া এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে কঠোর লকডাউনে পড়ে বন্ধ হয়েছে বৈশাখী উৎসব। এসব কারণে দেশীয় পোশাকের বাজার বেশ মন্দা।
ফ্যাশন হাউজগুলোর ক্ষতি ২ কোটি টাকা
রোববার, ১১ এপ্রিল ২০২১
বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতিতে বৈশাখের আবহ নেই চট্টগ্রামে। এ অবস্থায় ফ্যাশন হাউজ ও বিপণিবিতানগুলো মুখ থুবড়ে বসে আছে। তবে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও বেশ ভিড় ছিল নগরীর শপিংমলগুলোতে। অনেকে কেনাকাটা করছেন। ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ সুযোগেই ঈদের কেনাকাটা সারছেন অনেকে, বৈশাখের নয়। মলে ভিড় হলেও দেশীয় পোশাকের দোকানগুলো ছিল প্রায় ক্রেতাশূন্য। বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। কিন্তু জনমনে নেই বৈশাখের ছোঁয়া। করোনা পরিস্থিতিতে শুধু বৈশাখকে কেন্দ্র করেই দেশীয় ফ্যাশন হাউজগুলো প্রায় দুই কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বলে জানান দেশীদশ চট্টগ্রাম শাখার এডমিন।
১১ এপ্রিল রোববার নগরীর বিভিন্ন শপিংমল ঘুরে দেখা যায়, নারী ক্রেতারা তাদের পছন্দের পোশাক কেনাকাটায় বেশ ব্যস্ত। দোকানিরাও যেন হাতছাড়া করতে চাইছে না ক্রেতাদের। ক্রেতা-বিক্রেতার কথোপকথনের মধ্যে বিক্রি হচ্ছে পোশাক। করোনা পরিস্থিতিতেও বেশ জমজমাট শপিংমলগুলো। কিন্তু বৈশাখী পোশাকের প্রতি তাদের আগ্রহ দেখা যায়নি। প্রায় প্রতিটি পোশাকই কেনা হচ্ছে ঈদকে কেন্দ্র করে।আফমি প্লাজায় চৌধুরী নিগার সুলতানা নামের এক গৃহিণী বলেন, আমার বাড়ি পাহাড়তলীতে। আজকে কেনাকাটা করতে এসেছি। আমার বড় মেয়েকে জানুয়ারিতে বিয়ে দিয়েছি। তাই এ বছর তার শ্বশুরবাড়িতে ঈদের পোশাক পাঠাতে হবে। সেজন্য শপিংমল খোলার সঙ্গে সঙ্গেই শপিং করছি। তিনি বলেন, এবার বৈশাখ নিয়ে আমাদের কোন আগ্রহ নেই যা অন্যান্য বছর ছিল। করোনা পরিস্থিতিতে কিসের বৈশাখ কিংবা ঈদ। একই কথা বলেন দেশীদশের আরও দুই ক্রেতা। তারাও জানান ঈদের শপিং করতে এসেছি, বৈশাখের নয়। এক কথায় নগরীর দেশীয় বুটিক হাউজগুলোতে যদিও বৈশাখী পোশাকের সমাহার তবে ক্রেতার মনে নেই কোন আগ্রহ।
আর এ বৈশাখকে কেন্দ্র করে বছরের প্রথম দিনটিকে বরণ করতে বাঙালিপনায় শাড়ি, পাঞ্জাবি, ফতুয়ার সাজে সেজে উঠে শহরবাসী। তাইতো দিনটিকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর বৈশাখের আগে শপিংমলগুলোতে ক্রেতাদের বেশ ভিড় হয়। জমে উঠে দেশীয় পোশাকের বিকিকিনি। প্রতিদিন বাঙালি যতই সাহেববেশে থাকুক না কেন, বিশেষ দিনগুলোতে তাদের ভেতরকার বাঙালিপনা ঠিকই জেগে উঠে। যার কারণে বছরের কিছু স্পেশাল দিনে বাঙালির কাছে দেশীয় পোশাকের চাহিদা বেড়ে যায়। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে এবারও দেশীয় পোশাক হাউজগুলোতে নেই ক্রেতা। চট্টগ্রাম শাখার দেশীদশের এডমিন তারিকুল ইসলাম বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পহেলা বৈশাখ, বসন্ত, স্বাধীনতা-বিজয়-২১শে ফেব্রুয়ারির দিবসগুলোতে দেশীয় পোশাক কেনার প্রতি মানুষের আগ্রহ বেড়েছিল। তবে করোনার কারণে আমরা গত বছরের ন্যায় এ বছরও মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছি। এ বছর শুধু বৈশাখ উপলক্ষেই আমরা চট্টগ্রাম শাখা প্রায় এক কোটি টাকা ক্ষতির শিকার হয়েছি। শুধু আমরাই নই, অন্যান্য হাউজগুলোও এমন ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এ মুহূর্তে দেশ করোনাভাইরাস নিয়ে কাটাচ্ছে এক উদ্বেগজনক সময়। কখনও বন্ধ ঘোষণা করা হচ্ছে সব শপিংমল আবার কখনও লকডাউন হচ্ছে সারাদেশ। এমন পরিস্থিতিতে ভালোভাবে ব্যবসা করতে পারছে না ব্যবসায়ীরা। এছাড়া এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে কঠোর লকডাউনে পড়ে বন্ধ হয়েছে বৈশাখী উৎসব। এসব কারণে দেশীয় পোশাকের বাজার বেশ মন্দা।