ভাঙচুর হয়েছে কয়েকটি জানালা। আগুনে পুড়েছে একটি চেয়ার। চোখে পড়ার মতো এই ক্ষয়ক্ষতির মূল্য ৬০ লাখ টাকা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাণ্ডবে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব নিরূপণে এমন পুকুরচুরির অভিযোগ উঠেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের বিরুদ্ধে। গত ২৬ মার্চ হেফাজতের বিক্ষোভের সময় শহরের কাউতলী এলাকায় অন্যান্য অফিসের সঙ্গে এই অফিসে হামলা হয়। এ সময় দ্বিতল অফিসের নিচতলা ও ওপর তলার কয়েকটি কক্ষের জানালার গ্লাস ভাঙচুর করা হয়। একটি কক্ষে আগুনে একটি চেয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া সামনের বাগানের কয়েকটি লাইটপোস্ট উঠিয়ে নেয়া হয়।
এতে সর্বসাকুল্যে লাখ দুয়েক টাকার ক্ষতি হলেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৬০ লাখ টাকা দেখানো হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পঙ্কজ ভৌমিক এ ব্যাপারে সড়ক সার্কেলের কুমিল্লা তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর কাছে গত ৬ এপ্রিল একটি চিঠি দেন। এতে ক্ষয়ক্ষতির একটি বিবরণ দিয়ে অফিস মেরামত ও নবায়নে ৬০ লাখ টাকা প্রয়োজন বলে দাবি করেন। তার দেয়া ক্ষয়ক্ষতির বিবরণে অফিসের প্রধান গেইট, গেইটের ওপর স্থাপিত সড়ক বিভাগের লগো সম্বলিত বোর্ড, গেইটের সিকিউরিটি বক্সের দরজা ও জানালার থাইয়ের কাচ, অফিস সংলগ্ন বাগানের ফুলগাছ, ২০/২৫টি লাইটপোস্টসহ বাল্ব বক্স, ৪টি সিসি ক্যামেরা ভেঙে ফেলা হয় বলে উল্লেখ করা হয়।
এছাড়া অফিসের নিচতলা থেকে দ্বিতীয় তলা পর্যন্ত জানালার সব কাচ ভাঙচুর এবং হাত ধোয়ার একটি বেসিন ভাঙচুর করা হয়। নিচতলার দুটি রুমে বাইরে থেকে আগুন দেয়া হলে ওইসব কক্ষে থাকা চেয়ার-টেবিল,আসবাবপত্র আগুনে পুড়ে যায় বলেও তার চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু সরজমিনে দেখা গেছে, আগুনে শুধু নিচতলার একটি কক্ষে কর্মকতার একটি চেয়ার আংশিক পুড়েছে। সিকিউরিটি বক্সের প্লাস্টিক দরজা ভাঙলেও কি ধরনের দরজা ভেঙেছে তা উল্লেখ করা হয়নি।
২০/২৫টি লাইটপোস্টসহ বাল্ব বক্স লুট করে নেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হলেও অফিসের সিঁড়ির নিচে লাইটপোস্ট পড়ে থাকতে দেখা যায়। এভাবে ইচ্ছেমতো হিসাব দিয়ে সরকারি অর্থ লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়কের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে নির্বাহী প্রকৌশলী পঙ্কজ ভৌমিক বলেন, এই ক্ষয়ক্ষতির হিসাব আনুমানিক। তবে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে তিনি কমই করেছেন। জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
বুধবার, ১৪ এপ্রিল ২০২১
ভাঙচুর হয়েছে কয়েকটি জানালা। আগুনে পুড়েছে একটি চেয়ার। চোখে পড়ার মতো এই ক্ষয়ক্ষতির মূল্য ৬০ লাখ টাকা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাণ্ডবে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব নিরূপণে এমন পুকুরচুরির অভিযোগ উঠেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের বিরুদ্ধে। গত ২৬ মার্চ হেফাজতের বিক্ষোভের সময় শহরের কাউতলী এলাকায় অন্যান্য অফিসের সঙ্গে এই অফিসে হামলা হয়। এ সময় দ্বিতল অফিসের নিচতলা ও ওপর তলার কয়েকটি কক্ষের জানালার গ্লাস ভাঙচুর করা হয়। একটি কক্ষে আগুনে একটি চেয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া সামনের বাগানের কয়েকটি লাইটপোস্ট উঠিয়ে নেয়া হয়।
এতে সর্বসাকুল্যে লাখ দুয়েক টাকার ক্ষতি হলেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৬০ লাখ টাকা দেখানো হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পঙ্কজ ভৌমিক এ ব্যাপারে সড়ক সার্কেলের কুমিল্লা তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর কাছে গত ৬ এপ্রিল একটি চিঠি দেন। এতে ক্ষয়ক্ষতির একটি বিবরণ দিয়ে অফিস মেরামত ও নবায়নে ৬০ লাখ টাকা প্রয়োজন বলে দাবি করেন। তার দেয়া ক্ষয়ক্ষতির বিবরণে অফিসের প্রধান গেইট, গেইটের ওপর স্থাপিত সড়ক বিভাগের লগো সম্বলিত বোর্ড, গেইটের সিকিউরিটি বক্সের দরজা ও জানালার থাইয়ের কাচ, অফিস সংলগ্ন বাগানের ফুলগাছ, ২০/২৫টি লাইটপোস্টসহ বাল্ব বক্স, ৪টি সিসি ক্যামেরা ভেঙে ফেলা হয় বলে উল্লেখ করা হয়।
এছাড়া অফিসের নিচতলা থেকে দ্বিতীয় তলা পর্যন্ত জানালার সব কাচ ভাঙচুর এবং হাত ধোয়ার একটি বেসিন ভাঙচুর করা হয়। নিচতলার দুটি রুমে বাইরে থেকে আগুন দেয়া হলে ওইসব কক্ষে থাকা চেয়ার-টেবিল,আসবাবপত্র আগুনে পুড়ে যায় বলেও তার চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু সরজমিনে দেখা গেছে, আগুনে শুধু নিচতলার একটি কক্ষে কর্মকতার একটি চেয়ার আংশিক পুড়েছে। সিকিউরিটি বক্সের প্লাস্টিক দরজা ভাঙলেও কি ধরনের দরজা ভেঙেছে তা উল্লেখ করা হয়নি।
২০/২৫টি লাইটপোস্টসহ বাল্ব বক্স লুট করে নেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হলেও অফিসের সিঁড়ির নিচে লাইটপোস্ট পড়ে থাকতে দেখা যায়। এভাবে ইচ্ছেমতো হিসাব দিয়ে সরকারি অর্থ লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়কের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে নির্বাহী প্রকৌশলী পঙ্কজ ভৌমিক বলেন, এই ক্ষয়ক্ষতির হিসাব আনুমানিক। তবে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে তিনি কমই করেছেন। জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।