alt

সারাদেশ

ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ : কয়েকটি ভাঙা জানালা ও একটি পোড়া চেয়ারের মূল্য ৬০ লাখ টাকা

মো. সাদেকুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : বুধবার, ১৪ এপ্রিল ২০২১

ভাঙচুর হয়েছে কয়েকটি জানালা। আগুনে পুড়েছে একটি চেয়ার। চোখে পড়ার মতো এই ক্ষয়ক্ষতির মূল্য ৬০ লাখ টাকা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাণ্ডবে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব নিরূপণে এমন পুকুরচুরির অভিযোগ উঠেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের বিরুদ্ধে। গত ২৬ মার্চ হেফাজতের বিক্ষোভের সময় শহরের কাউতলী এলাকায় অন্যান্য অফিসের সঙ্গে এই অফিসে হামলা হয়। এ সময় দ্বিতল অফিসের নিচতলা ও ওপর তলার কয়েকটি কক্ষের জানালার গ্লাস ভাঙচুর করা হয়। একটি কক্ষে আগুনে একটি চেয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া সামনের বাগানের কয়েকটি লাইটপোস্ট উঠিয়ে নেয়া হয়।

এতে সর্বসাকুল্যে লাখ দুয়েক টাকার ক্ষতি হলেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৬০ লাখ টাকা দেখানো হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পঙ্কজ ভৌমিক এ ব্যাপারে সড়ক সার্কেলের কুমিল্লা তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর কাছে গত ৬ এপ্রিল একটি চিঠি দেন। এতে ক্ষয়ক্ষতির একটি বিবরণ দিয়ে অফিস মেরামত ও নবায়নে ৬০ লাখ টাকা প্রয়োজন বলে দাবি করেন। তার দেয়া ক্ষয়ক্ষতির বিবরণে অফিসের প্রধান গেইট, গেইটের ওপর স্থাপিত সড়ক বিভাগের লগো সম্বলিত বোর্ড, গেইটের সিকিউরিটি বক্সের দরজা ও জানালার থাইয়ের কাচ, অফিস সংলগ্ন বাগানের ফুলগাছ, ২০/২৫টি লাইটপোস্টসহ বাল্ব বক্স, ৪টি সিসি ক্যামেরা ভেঙে ফেলা হয় বলে উল্লেখ করা হয়।

এছাড়া অফিসের নিচতলা থেকে দ্বিতীয় তলা পর্যন্ত জানালার সব কাচ ভাঙচুর এবং হাত ধোয়ার একটি বেসিন ভাঙচুর করা হয়। নিচতলার দুটি রুমে বাইরে থেকে আগুন দেয়া হলে ওইসব কক্ষে থাকা চেয়ার-টেবিল,আসবাবপত্র আগুনে পুড়ে যায় বলেও তার চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু সরজমিনে দেখা গেছে, আগুনে শুধু নিচতলার একটি কক্ষে কর্মকতার একটি চেয়ার আংশিক পুড়েছে। সিকিউরিটি বক্সের প্লাস্টিক দরজা ভাঙলেও কি ধরনের দরজা ভেঙেছে তা উল্লেখ করা হয়নি।

২০/২৫টি লাইটপোস্টসহ বাল্ব বক্স লুট করে নেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হলেও অফিসের সিঁড়ির নিচে লাইটপোস্ট পড়ে থাকতে দেখা যায়। এভাবে ইচ্ছেমতো হিসাব দিয়ে সরকারি অর্থ লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়কের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে নির্বাহী প্রকৌশলী পঙ্কজ ভৌমিক বলেন, এই ক্ষয়ক্ষতির হিসাব আনুমানিক। তবে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে তিনি কমই করেছেন। জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।

ছবি

গোপালগঞ্জে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ৩ জন ঢাকায় ভর্তি

ছবি

গোপালগঞ্জে কারফিউ, অভিযানে আটক ১৪

ছবি

গোপালগঞ্জে কারফিউ: থমথমে শহর, সড়কে কম মানুষের চলাচল

ছবি

অভয়নগরে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত মতুয়া সম্প্রদায়ের বসতবাড়ি হস্তান্তর

ছবি

গোপালগঞ্জে এনসিপি কর্মসূচি ঘিরে সহিংসতা, সেনা-পুলিশ টহল

ছবি

রহিম উদ্দিন সিকদার হত্যা: বিএনপির অভিযোগে ‘জামায়াত নেতা’র নাম, জামায়াতের অস্বীকার

দুর্যোগের সময় ভুল তথ্য ঠেকাতে টিকটকের নতুন টুল

চান্দিনা পৌরসভার সাবেক মেয়র গ্রেপ্তার

জয়পুরহাট নার্সিং ইনস্টিটিউটে অগ্নিকা-, দুই দিনের ছুটি

ট্রাকের ধাক্কায় বাইকচালক নিহত

ছবি

পানের দামে ধস, বিপাকে চাষিরা

মহেশপুরের দত্তনগর হাই স্কুলের মালামাল চুরি

পাদুকা শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগে কারখানা মালিক গ্রেপ্তার

ছবি

সিরাজগঞ্জ সালেহা ইসহাক সরকারি বিদ্যালয়ে পরীক্ষায় প্রতিনিয়ত প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ

ভালুকায় চাঞ্চল্যকর ৩ খুনের আসামি গ্রেপ্তার

মহেশপুরে ৭ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ

ছবি

৩৪ ভারতীয় জেলেকে কারাগারে প্রেরণ

চুয়াডাঙ্গায় দুটি হত্যা মামলায় তিনজনের ফাঁসি

ফকিরহাট ফলতিতা বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান

ছবি

বরুড়ায় মিনি শিশু পার্ক, উচ্ছ্বসিত শিশুরা

শ্রীমঙ্গল পৌরসভায় ৫৫ কোটি ৫৭ লাখ ৫ হাজার টাকার বাজেট ঘোষণা

কলমাকান্দায় ক্ষতিপূরণ পেল নার্সারি মালিকরা

ছবি

ভারী বর্ষণে বিপর্যস্ত কুষ্টিয়া শহর, দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি

ঈশ্বরগঞ্জে চিকিৎসকের গাফিলতিতে প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ

গোপালগঞ্জে পুলিশের গাড়ি ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ

ছবি

দুমকিতে বিদ্যালয়ের অবকাঠামো থাকলেও নেই শিক্ষক-শিক্ষার্থী

রায়গঞ্জে ৪৩টি গরু চুরি, আতঙ্কে কৃষক-খামারিরা

ছবি

হামলা, অগ্নিসংযোগ ও গুলি: গোপালগঞ্জে উত্তপ্ত এনসিপির সমাবেশ

ছবি

মোহনগঞ্জের পাটের দাম ভালো পেয়ে খুশি কৃষক

ভারতে আটক ৪ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর

২১ বছর পালিয়ে থেকেও শেষ রক্ষা হলো না শাহিনের

চাঁদপুরে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ

ছবি

কালীগঞ্জে নির্মাণাধীন সেতুর বিকল্প সড়কে পানি, ভোগান্তিতে ৫০ গ্রামের মানুষ

জুলাই শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা

পাথরঘাটায় শিক্ষকের পিটুনিতে দ্বিতীয় শ্রেণীর ৫ শিক্ষার্থী হাসপাতালে

ছবি

বাঁশের সাঁকোই একমাত্র ভরসা

tab

সারাদেশ

ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ : কয়েকটি ভাঙা জানালা ও একটি পোড়া চেয়ারের মূল্য ৬০ লাখ টাকা

মো. সাদেকুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

বুধবার, ১৪ এপ্রিল ২০২১

ভাঙচুর হয়েছে কয়েকটি জানালা। আগুনে পুড়েছে একটি চেয়ার। চোখে পড়ার মতো এই ক্ষয়ক্ষতির মূল্য ৬০ লাখ টাকা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাণ্ডবে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব নিরূপণে এমন পুকুরচুরির অভিযোগ উঠেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের বিরুদ্ধে। গত ২৬ মার্চ হেফাজতের বিক্ষোভের সময় শহরের কাউতলী এলাকায় অন্যান্য অফিসের সঙ্গে এই অফিসে হামলা হয়। এ সময় দ্বিতল অফিসের নিচতলা ও ওপর তলার কয়েকটি কক্ষের জানালার গ্লাস ভাঙচুর করা হয়। একটি কক্ষে আগুনে একটি চেয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া সামনের বাগানের কয়েকটি লাইটপোস্ট উঠিয়ে নেয়া হয়।

এতে সর্বসাকুল্যে লাখ দুয়েক টাকার ক্ষতি হলেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৬০ লাখ টাকা দেখানো হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পঙ্কজ ভৌমিক এ ব্যাপারে সড়ক সার্কেলের কুমিল্লা তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর কাছে গত ৬ এপ্রিল একটি চিঠি দেন। এতে ক্ষয়ক্ষতির একটি বিবরণ দিয়ে অফিস মেরামত ও নবায়নে ৬০ লাখ টাকা প্রয়োজন বলে দাবি করেন। তার দেয়া ক্ষয়ক্ষতির বিবরণে অফিসের প্রধান গেইট, গেইটের ওপর স্থাপিত সড়ক বিভাগের লগো সম্বলিত বোর্ড, গেইটের সিকিউরিটি বক্সের দরজা ও জানালার থাইয়ের কাচ, অফিস সংলগ্ন বাগানের ফুলগাছ, ২০/২৫টি লাইটপোস্টসহ বাল্ব বক্স, ৪টি সিসি ক্যামেরা ভেঙে ফেলা হয় বলে উল্লেখ করা হয়।

এছাড়া অফিসের নিচতলা থেকে দ্বিতীয় তলা পর্যন্ত জানালার সব কাচ ভাঙচুর এবং হাত ধোয়ার একটি বেসিন ভাঙচুর করা হয়। নিচতলার দুটি রুমে বাইরে থেকে আগুন দেয়া হলে ওইসব কক্ষে থাকা চেয়ার-টেবিল,আসবাবপত্র আগুনে পুড়ে যায় বলেও তার চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু সরজমিনে দেখা গেছে, আগুনে শুধু নিচতলার একটি কক্ষে কর্মকতার একটি চেয়ার আংশিক পুড়েছে। সিকিউরিটি বক্সের প্লাস্টিক দরজা ভাঙলেও কি ধরনের দরজা ভেঙেছে তা উল্লেখ করা হয়নি।

২০/২৫টি লাইটপোস্টসহ বাল্ব বক্স লুট করে নেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হলেও অফিসের সিঁড়ির নিচে লাইটপোস্ট পড়ে থাকতে দেখা যায়। এভাবে ইচ্ছেমতো হিসাব দিয়ে সরকারি অর্থ লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়কের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে নির্বাহী প্রকৌশলী পঙ্কজ ভৌমিক বলেন, এই ক্ষয়ক্ষতির হিসাব আনুমানিক। তবে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে তিনি কমই করেছেন। জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।

back to top