করোনা সংক্রমণ বাড়ায় চাপ বাড়ছে হাসপাতালে
ময়মনসিংহ অঞ্চলে করোন সংক্রমনের হার প্রতিদিন বেড়েই চলেছে। মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে। বুধবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কভিড পজেটিভ হয়ে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ পিসিআর ল্যাবে ৩০০টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে জেলায় ৯১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে ৪৬ জনই সিটি কর্পোরেশন ও সদর উপজেলার বাসিন্দা। ৯ জন ময়মনসিংহের শিল্প এলাকা ভালুকা উপজেলার বাসিন্দা। বাকিরা অন্যান্য উপজেলার। জেলায় এ পর্যন্ত ৫৬ হাজার ৮৬৩ টি নমুনা পরীক্ষা শেষে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ২৫১ জনে দাঁড়িয়েছে। ময়মনসিংহ হাসপাতালে এখন করোনা ইউনিটে রোগী ভর্তি ১৩৯ জন।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়েই চলেছে। আশ পাশের জেলাগুলোতে কভিড চিকিৎসা কেন্দ্র থাকা সত্বেও ঐসব জেলা থেকে এসে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কভিড রোগী ভর্তি হচ্ছে।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কভিড মুখপাত্র ডা. মহিউদ্দিন খান জানিয়েছেন, গতকাল আইসিইউতে করোনা পজেটিভ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২ জন ও ওয়ার্ডে করোনা পজেটিভ চিকিৎসাধীন এক জনসহ মোট তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি বলেন, এ হাসপাতালে করোনা রোগীর চাপ বেড়েই চলেছে। ময়মনসিংহ জেলা ছাড়াও আশপাশের জেলার হাসপাতালগুলোতে কভিড চিকিৎসা কেন্দ্র থাকা সত্বওে এসব জেলা থেকেও প্রতিদিন কভিড আক্রান্ত রোগী এ হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। যেমন জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোনা এমনকি গাইবান্ধা জেলা থেকেও কভিড রোগী এ হাসপাতালে এসে ভর্তি হচ্ছে। এতে ময়মনসিংহ হাসপাতালে করোনা রোগীর চিকিৎসা সরঞ্জামের প্রয়োজনীয় সরবরাহ অনুযায়ী রোগী চাপ বেড়ে গেছে অনেক বেশী। অন্যান্য জেলা থেকে রোগী এসে এ হাসপাতালে ভর্তি হলে এখানে চিকিৎসা সঙ্কট দেখা দিতে পারে বলেও তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
ময়মনসিংহ বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শাহ আলম এ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে জানান, বিষয়টি নিয়ে আমি কাজ করছি। তিনি জানান, আশপাশের জেলাগুলোর সবক’টি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসার প্রয়েজনীয় সরঞ্জামসহ পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে। এবং নির্দেশ দেয়া আছে জেলার তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ ছাড়া কোন করোনা রোগী উন্নত চিকিৎসার জন্যে ময়মনসিংহ বা ঢাকা পাঠানো যাবে না। জেলার প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা রোগীর জন্যে পাঁচটি করে বেড ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম বরাদ্দ দেয়া আছে। তারপরও অনেক রোগী গোপনে ময়মনসিংহ হাসপাতালে চলে আসলে কর্তৃপক্ষ মানবিক কারনে ভর্তি করতে বাধ্য হচ্ছে। তবে এরকম চলতে থাকলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কবলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা সঙ্কট দেখা দিতে পারে।
করোনা সংক্রমণ বাড়ায় চাপ বাড়ছে হাসপাতালে
বৃহস্পতিবার, ১৫ এপ্রিল ২০২১
ময়মনসিংহ অঞ্চলে করোন সংক্রমনের হার প্রতিদিন বেড়েই চলেছে। মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে। বুধবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কভিড পজেটিভ হয়ে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ পিসিআর ল্যাবে ৩০০টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে জেলায় ৯১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে ৪৬ জনই সিটি কর্পোরেশন ও সদর উপজেলার বাসিন্দা। ৯ জন ময়মনসিংহের শিল্প এলাকা ভালুকা উপজেলার বাসিন্দা। বাকিরা অন্যান্য উপজেলার। জেলায় এ পর্যন্ত ৫৬ হাজার ৮৬৩ টি নমুনা পরীক্ষা শেষে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ২৫১ জনে দাঁড়িয়েছে। ময়মনসিংহ হাসপাতালে এখন করোনা ইউনিটে রোগী ভর্তি ১৩৯ জন।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়েই চলেছে। আশ পাশের জেলাগুলোতে কভিড চিকিৎসা কেন্দ্র থাকা সত্বেও ঐসব জেলা থেকে এসে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কভিড রোগী ভর্তি হচ্ছে।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কভিড মুখপাত্র ডা. মহিউদ্দিন খান জানিয়েছেন, গতকাল আইসিইউতে করোনা পজেটিভ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২ জন ও ওয়ার্ডে করোনা পজেটিভ চিকিৎসাধীন এক জনসহ মোট তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি বলেন, এ হাসপাতালে করোনা রোগীর চাপ বেড়েই চলেছে। ময়মনসিংহ জেলা ছাড়াও আশপাশের জেলার হাসপাতালগুলোতে কভিড চিকিৎসা কেন্দ্র থাকা সত্বওে এসব জেলা থেকেও প্রতিদিন কভিড আক্রান্ত রোগী এ হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। যেমন জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোনা এমনকি গাইবান্ধা জেলা থেকেও কভিড রোগী এ হাসপাতালে এসে ভর্তি হচ্ছে। এতে ময়মনসিংহ হাসপাতালে করোনা রোগীর চিকিৎসা সরঞ্জামের প্রয়োজনীয় সরবরাহ অনুযায়ী রোগী চাপ বেড়ে গেছে অনেক বেশী। অন্যান্য জেলা থেকে রোগী এসে এ হাসপাতালে ভর্তি হলে এখানে চিকিৎসা সঙ্কট দেখা দিতে পারে বলেও তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
ময়মনসিংহ বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শাহ আলম এ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে জানান, বিষয়টি নিয়ে আমি কাজ করছি। তিনি জানান, আশপাশের জেলাগুলোর সবক’টি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসার প্রয়েজনীয় সরঞ্জামসহ পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে। এবং নির্দেশ দেয়া আছে জেলার তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ ছাড়া কোন করোনা রোগী উন্নত চিকিৎসার জন্যে ময়মনসিংহ বা ঢাকা পাঠানো যাবে না। জেলার প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা রোগীর জন্যে পাঁচটি করে বেড ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম বরাদ্দ দেয়া আছে। তারপরও অনেক রোগী গোপনে ময়মনসিংহ হাসপাতালে চলে আসলে কর্তৃপক্ষ মানবিক কারনে ভর্তি করতে বাধ্য হচ্ছে। তবে এরকম চলতে থাকলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কবলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা সঙ্কট দেখা দিতে পারে।