করোনা মহামারীর মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জনগণের স্বাস্থ্যসেবা দিতে গিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা পরিচয়পত্র দেখানোর পর ঘাটে ঘাটে পুলিশি হয়রানির শিকার হচ্ছেন। ডাক্তার, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) এ হয়রানির শিকার হন। এমনকি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক কর্মকর্তা ভোগান্তির শিকার হয়েছেন বলে জানা গেছে। মাঠপর্যায়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে কর্মরত পুলিশ সদস্যরা কথাই শোনেন না। এমনকি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কী নির্দেশ দিয়েছে তাও দেখার সময় নেই বলে অভিযোগ রয়েছে। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বলা হয়েছে, পরিচয়পত্র প্রদর্শনের পর অনেকেই নানাভাবে হয়রানি হচ্ছেন যা কোনভাবেই কাম্য নয়। জনগণের স্বাস্থ্যসেবা সুনিশ্চিত করার জন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা কর্মস্থলে যাতায়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সবাইকে সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।
মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডাঃ শেখ মোহাম্মদ হাসান ইমামের স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি মোকাবিলায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সব স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালগুলো (সব পর্যায়ে) জনসাধারণের মাঝে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার জন্য ডাক্তার, নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের লকডাউনের মধ্যে জনসাধারণের মধ্যে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসাসেবাসহ অন্যান্য কার্যক্রমে জড়িত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দাপ্তরিক পরিচয়পত্র (আইডি কার্র্ড) আবশ্যিকভাবে ব্যবহার করার জন্য বলা হয়েছে। দাপ্তরিক কার্যক্রম এবং চিকিৎসাসেবা দেয়ার লক্ষ্যে যাতায়াতের সময় প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়পত্র প্রদর্শনের পরেও অনেকেই নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। যা কোনভাবে কাম্য নয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই আদেশের কপি পুলিশের আইজি ও মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ সরকারের ২২টি দপ্তরে দেয়া হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্য কর্মকতা ও কর্মী অফিস করেন। তারা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করেন। তারা যাতে কর্মস্থলে যেতে হয়রানির শিকার না হন তার জন্য ভিসি সবার সহায়তা চেয়েছেন। এ নিয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। কোন কারণে কারও আইডি কার্ড না থাকলেও পরিচয় দেয়ার পর তার সঙ্গে কেউ যাতে হয়রানিমূলক আচরণ না করে বরং সহায়তা করেন।
মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক কর্মকর্তা ও স্টাফ জানান, বৃহস্পতিবার তারা রাজধানীর আগারগাঁও, মিরপুর, যাত্রাবাড়ীসহ বিভিন্ন স্থান থেকে শাহবাগে কর্মস্থলে যাওয়ার সময় পথে পথে পরিচয় দেয়ার পরও হয়রানির শিকার হয়েছেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। তারা লকডাউনের মধ্যেও পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে কর্মস্থলে যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি, প্রো-ভিসি, রেজিস্ট্রারসহ সব পর্যায়ের ডাক্তার, কর্মকর্তা ও নার্সদের এখনও আধুনিক কোন আবাসিক ব্যবস্থা নেই।
বৃহস্পতিবার, ১৫ এপ্রিল ২০২১
করোনা মহামারীর মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জনগণের স্বাস্থ্যসেবা দিতে গিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা পরিচয়পত্র দেখানোর পর ঘাটে ঘাটে পুলিশি হয়রানির শিকার হচ্ছেন। ডাক্তার, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) এ হয়রানির শিকার হন। এমনকি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক কর্মকর্তা ভোগান্তির শিকার হয়েছেন বলে জানা গেছে। মাঠপর্যায়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে কর্মরত পুলিশ সদস্যরা কথাই শোনেন না। এমনকি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কী নির্দেশ দিয়েছে তাও দেখার সময় নেই বলে অভিযোগ রয়েছে। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বলা হয়েছে, পরিচয়পত্র প্রদর্শনের পর অনেকেই নানাভাবে হয়রানি হচ্ছেন যা কোনভাবেই কাম্য নয়। জনগণের স্বাস্থ্যসেবা সুনিশ্চিত করার জন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা কর্মস্থলে যাতায়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সবাইকে সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।
মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডাঃ শেখ মোহাম্মদ হাসান ইমামের স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি মোকাবিলায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সব স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালগুলো (সব পর্যায়ে) জনসাধারণের মাঝে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার জন্য ডাক্তার, নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের লকডাউনের মধ্যে জনসাধারণের মধ্যে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসাসেবাসহ অন্যান্য কার্যক্রমে জড়িত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দাপ্তরিক পরিচয়পত্র (আইডি কার্র্ড) আবশ্যিকভাবে ব্যবহার করার জন্য বলা হয়েছে। দাপ্তরিক কার্যক্রম এবং চিকিৎসাসেবা দেয়ার লক্ষ্যে যাতায়াতের সময় প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়পত্র প্রদর্শনের পরেও অনেকেই নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। যা কোনভাবে কাম্য নয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই আদেশের কপি পুলিশের আইজি ও মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ সরকারের ২২টি দপ্তরে দেয়া হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্য কর্মকতা ও কর্মী অফিস করেন। তারা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করেন। তারা যাতে কর্মস্থলে যেতে হয়রানির শিকার না হন তার জন্য ভিসি সবার সহায়তা চেয়েছেন। এ নিয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। কোন কারণে কারও আইডি কার্ড না থাকলেও পরিচয় দেয়ার পর তার সঙ্গে কেউ যাতে হয়রানিমূলক আচরণ না করে বরং সহায়তা করেন।
মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক কর্মকর্তা ও স্টাফ জানান, বৃহস্পতিবার তারা রাজধানীর আগারগাঁও, মিরপুর, যাত্রাবাড়ীসহ বিভিন্ন স্থান থেকে শাহবাগে কর্মস্থলে যাওয়ার সময় পথে পথে পরিচয় দেয়ার পরও হয়রানির শিকার হয়েছেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। তারা লকডাউনের মধ্যেও পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে কর্মস্থলে যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি, প্রো-ভিসি, রেজিস্ট্রারসহ সব পর্যায়ের ডাক্তার, কর্মকর্তা ও নার্সদের এখনও আধুনিক কোন আবাসিক ব্যবস্থা নেই।