চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারায় কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক ২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার (১৮ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১ টার দিকে পুলিশ ও বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে পৃথক এ মামলা গুলো দায়ের করেন। পুলিশের পক্ষ থেকে দায়েরকৃত মামলার বাদী বাঁশখালী থানার উপ-পরিদর্শক মো. রাশেদুজ্জামান জানান, ‘বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকদের হামলায় বেশ কিছু পুলিশ সদস্য আহত হওয়ায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা দুই থেকে আড়াই হাজার জনকে আসামী করা হয়েছে।’
অপরদিকে গন্ডামারা কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চিফ কো-অর্ডিনেটর ফারুক আহমদ বাদী হয়ে দায়েরকৃত মামলায় ২২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১ হাজার ৫০ জনকে আসামী করা হয়েছে। মামলা সম্পর্কে জানতে চাইলে ফারুক আহমদ বলেন, ‘শনিবার সকালে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মরত শ্রমিকরা রমজান মাসে চাকুরীর সময় সীমা কমানোসহ বেতন ভাতা আদায় ও কয়েক দফা দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। তাদের কয়েকটি দাবি মেনে নেয়া হলেও চাকুরীর সময় সীমা কমানোর দাবিতে বিক্ষুদ্ধ হয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিভিন্ন স্থাপনা ও গাড়ীতে অগ্নিসংযোগ করে কিছু শ্রমিক।’
এদিকে ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকায় বর্তমানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সংঘর্ষের ঘটনার পর থেকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মরত অনেক শ্রমিক কর্মস্থল থেকে চলে গেছে বলে জানা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকায় বর্তমানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতদের লাশ চমেক হাসপাতালে ময়না তদন্তে শেষে নিজ নিজ বাড়ীতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। নিহতদের মধ্যে বাঁশখালীর গন্ডামারা এলাকার আহমদ রেজার লাশ রবিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে তার পরিবারকে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বাঁশখালী থানার এসআই নাজমুল হক। বিকেল ৫ টায় নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হবে বলে নিহতের পরিবারসূত্রে জানা যায়।
এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সফিউল কবীর বলেন, ‘গন্ডামারা কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সংঘটিত ঘটনায় পুলিশ এবং বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের দায়েরকৃত পৃথক ২টি মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্তপূর্বক জড়িত সকলকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।’
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘বিদ্যুৎ কেন্দ্রে এ প্রাণঘাতি সংঘর্ষের পিছনে কি কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ জন্য জেলা প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে ২টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর মূল রহস্য জানা যাবে।’
রোববার, ১৮ এপ্রিল ২০২১
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারায় কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক ২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার (১৮ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১ টার দিকে পুলিশ ও বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে পৃথক এ মামলা গুলো দায়ের করেন। পুলিশের পক্ষ থেকে দায়েরকৃত মামলার বাদী বাঁশখালী থানার উপ-পরিদর্শক মো. রাশেদুজ্জামান জানান, ‘বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকদের হামলায় বেশ কিছু পুলিশ সদস্য আহত হওয়ায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা দুই থেকে আড়াই হাজার জনকে আসামী করা হয়েছে।’
অপরদিকে গন্ডামারা কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চিফ কো-অর্ডিনেটর ফারুক আহমদ বাদী হয়ে দায়েরকৃত মামলায় ২২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১ হাজার ৫০ জনকে আসামী করা হয়েছে। মামলা সম্পর্কে জানতে চাইলে ফারুক আহমদ বলেন, ‘শনিবার সকালে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মরত শ্রমিকরা রমজান মাসে চাকুরীর সময় সীমা কমানোসহ বেতন ভাতা আদায় ও কয়েক দফা দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। তাদের কয়েকটি দাবি মেনে নেয়া হলেও চাকুরীর সময় সীমা কমানোর দাবিতে বিক্ষুদ্ধ হয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিভিন্ন স্থাপনা ও গাড়ীতে অগ্নিসংযোগ করে কিছু শ্রমিক।’
এদিকে ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকায় বর্তমানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সংঘর্ষের ঘটনার পর থেকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মরত অনেক শ্রমিক কর্মস্থল থেকে চলে গেছে বলে জানা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকায় বর্তমানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতদের লাশ চমেক হাসপাতালে ময়না তদন্তে শেষে নিজ নিজ বাড়ীতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। নিহতদের মধ্যে বাঁশখালীর গন্ডামারা এলাকার আহমদ রেজার লাশ রবিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে তার পরিবারকে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বাঁশখালী থানার এসআই নাজমুল হক। বিকেল ৫ টায় নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হবে বলে নিহতের পরিবারসূত্রে জানা যায়।
এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সফিউল কবীর বলেন, ‘গন্ডামারা কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সংঘটিত ঘটনায় পুলিশ এবং বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের দায়েরকৃত পৃথক ২টি মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্তপূর্বক জড়িত সকলকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।’
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘বিদ্যুৎ কেন্দ্রে এ প্রাণঘাতি সংঘর্ষের পিছনে কি কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ জন্য জেলা প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে ২টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর মূল রহস্য জানা যাবে।’