alt

সারাদেশ

সর্বত্রই শুধু নাই আর নাই

মানবেন্দ্র বটব্যাল, বরিশাল : সোমবার, ১৯ এপ্রিল ২০২১

বরিশাল বিভাগের ছয় জেলা ও পার্শ্ববর্তী মাদারীপুর ও শরীয়তপুরের প্রায় দেড় কোটি মানুষ গুরুতর অসুস্থ হলে চিকিৎসার জন্য ছুটে আসেন বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। গত বছর সেই হাসপাতালে নির্মাণাধীন একটি পাঁচতলা ভবন করোনা চিকিৎসার ওয়ার্ড হিসেবে কার্যক্রম শুরু হয়। সরকারিভাবে এটিকে ‘ডেডিকেটেড’ করোনা চিকৎসার হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

প্রথমে শয্যা সংখ্যা কম থাকলেও এখন একশ’ পঞ্চাশ জন করোনা রোগীর চিকিৎসাসেবা দেয়ার জন্য শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রথমে এখানে কোন আইসিইউ শয্যা ছিল না। প্রয়োজনে অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়ে অক্সিজেন দেয়া হতো। এমনকি ছিল না হাই-ফ্লো নেজাল ক্যানোলা সেট। পরবর্তীতে গত বছর স্থানীয় ধনাঢ্য ব্যক্তি ও নবীন চিকিৎসকদের দয়ায় পাওয়া যায় ১০টি হাই-ফ্লো নেজাল ক্যানোলা সেট। এরপর এখন পর্যন্ত আর সংখ্যা বাড়েনি। অবশ্য জানা যায়, স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে কয়েকটি সেট পাঠানো হয়েছে।

কিন্তু এখন পর্যন্ত তা ব্যবহৃত হয়নি। পরবর্তীতে এখানে মাত্র ১২টি আইসিইউ বেড তৈরি করা হয়। সরকার এখন এই হাসপাতালে আইসিইউ বেডের সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। তবে তা কবে স্থাপিত হবে তা কেউ জানেন না। আবার আইসিইউ শয্যার জন্য বিশেষজ্ঞ কোন চিকিৎসক আগেও ছিল না এখনও নেই।

উল্লিখিত প্রতিটি জেলাতে রয়েছে একটি করে জেনারেল হাসপাতাল। প্রতিটি উপজেলায় রয়েছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। কিন্তু কোনটিতেই করোনা রোগীর চিকিৎসার কোন ব্যবস্থা নেই। তবে সাম্প্রতিককালে সরকার জেনারেল হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসক না দিয়েই আইসিইউ বেড স্থাপন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কবে নাগাদ ওই বেডগুলো কার্যকর হবে তাও কেউ জানেন না। অবশ্য মেডিকেল কলেজের সেন্ট্রাল অক্সিজেন সাপ্লাই সিস্টেম দিয়ে ৮১টি লাইন থাকলেও ব্যবহার করা হচ্ছে ৫০টি লাইন। অন্যদিকে বড় সংকট হচ্ছে করোনা রোগীদের জন্য শয্যা। দেড়শ’ বেডের বিপরীতে সব সময়েই থাকছে বেশি সংখ্যক রোগী। কিন্তু করোনার চলমান দ্বিতীয় ঢেউয়ে যেভাবে সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা বাড়ছে তাতে এখানে ভবিষ্যতে আর রোগী ভর্তি করা হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।

অন্যদিকে এমনিতেই করোনা রোগীদের সমন্বিত চিকিৎসা এখন পর্যন্ত নেই। রোগীর বিভিন্ন লক্ষণ (সিমটম) দেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

তারপরও রয়েছে অনুমোদিত দেড়শ’ বেডের রোগীদের জন্য প্রতি শিফটে মাত্র তিনজন চিকিৎসক। অর্থাৎ একজন চিকিৎসককে দেখতে হচ্ছে ৫০ জন রোগী। ঠিক একইভাবে নার্স ও পরিচ্ছন্নতা কর্মী নেই।

ছবি

মাদারীপুরে নিখোঁজের ১১ দিন পর নদী থেকে যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

ছবি

যশোরে শ্রমিককে কুপিয়ে হত্যা, অভিযোগ স্ত্রীর সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে

বিএনপিকে দলীয় চাঁদাবাজি ও খুনাখুনির রাজনীতি বন্ধ করতে হবে: হেফাজতে ইসলাম

সোহাগ হত্যার প্রতিবাদ চার সংগঠনের

ছবি

স্ত্রীকে কুপিয়ে ১১ টুকরো হত্যা, পালিয়ে গিয়ে ধরা খেলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়

ভিডিও ছড়ানোর ভয় দেখিয়ে তরুণীকে একাধিক ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল ইজিবাইক চালকের

এক বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে দুই বিষয়ে ফেল, শিক্ষার্থীর মাথায় হাত ভোলার তিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সবাই ফেল

নৌকাডুবির ঘটনায় দুই বোনের মরদেহ উদ্ধার

ছবি

মধুপুরে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি চারা নিয়ে বিপাকে নার্সারি ব্যবসায়ীরা

স্মৃতিস্তম্ভ না হওয়ায় মানববন্ধন

কালীগঞ্জে জাতীয় পার্টির গোলটেবিল বৈঠক

মাদারগঞ্জে মিষ্টির দোকানে ভিড়

ছবি

লক্ষ্মীপুরে ১ বছরে পানিতে ডুবে ১২৫ শিশুর মৃত্যু

কুষ্টিয়ায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার বাড়িতে আগুন, ককটেল বিস্ফোরণ

মাদারগঞ্জ হাসপাতালে সেবার পরিবর্তে ময়লার স্তূপ

নবাবগঞ্জে পানিতে পড়ে নিখোঁজ হওয়া যুবকের মরদেহ উদ্ধার

ছবি

বোরহানউদ্দিনে রাস্তায় ধান রোপণ করে প্রতিবাদ

দোয়ারাবাজার সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

শেরপুরে নাশকতার মামলায় মাদ্রাসা সুপার গ্রেপ্তার

ছবি

খাগড়াছড়ির শহরের বাইরের স্কুলেই বাজিমাত, পাসের হার ৬০.৪৯%

বামনায় নৌবাহিনীর অভিযানে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ২

মাদ্রাসার মসজিদ থেকে শিশুশিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

ঠাকুরগাঁওয়ে সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত

ছবি

বৃষ্টিতে উপকৃত পাট চাষিরা সবজিতে বিপর্যয়

হবিগঞ্জে সংঘর্ষে নিহতের ঘটনায় সাংবাদিকসহ আসামি ১৩৫

চাঁদপুরে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার

হত্যাকাণ্ড এবং চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বেরোবিতে বিক্ষোভ

ছবি

শেরপুর পৌর শহরে সড়কের বেহাল দশায় জনদুর্ভোগ

ছবি

দশমিনায় ১টি স্কুলে কেউ পাস করেনি

ছবি

নির্বিচারে নিধন হচ্ছে দেশীয় প্রজাতির ডিমওয়ালা মা মাছ

ছবি

ভাঙ্গুড়ায় ইউএনওর স্বেচ্ছাচারিতায় ও অনিয়মে প্রকল্প বাস্তবায়নের অভিযোগ

ঋণের টাকা না পেয়ে ঋণগ্রহিতাকে অন্ধকারে তালাবদ্ধ করে রাখলেন বিআরডিবির মাঠকর্মী

রাউজানে ডায়াবেটিস সচেতনতায় বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা

পঞ্চগড়ে বিসিক নগর টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ দেলদার রহমান কারাগারে

ঝিকরগাছায় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন নিশ্চিতকরণে সচেতনতামূলক সভা

tab

সারাদেশ

সর্বত্রই শুধু নাই আর নাই

মানবেন্দ্র বটব্যাল, বরিশাল

সোমবার, ১৯ এপ্রিল ২০২১

বরিশাল বিভাগের ছয় জেলা ও পার্শ্ববর্তী মাদারীপুর ও শরীয়তপুরের প্রায় দেড় কোটি মানুষ গুরুতর অসুস্থ হলে চিকিৎসার জন্য ছুটে আসেন বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। গত বছর সেই হাসপাতালে নির্মাণাধীন একটি পাঁচতলা ভবন করোনা চিকিৎসার ওয়ার্ড হিসেবে কার্যক্রম শুরু হয়। সরকারিভাবে এটিকে ‘ডেডিকেটেড’ করোনা চিকৎসার হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

প্রথমে শয্যা সংখ্যা কম থাকলেও এখন একশ’ পঞ্চাশ জন করোনা রোগীর চিকিৎসাসেবা দেয়ার জন্য শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রথমে এখানে কোন আইসিইউ শয্যা ছিল না। প্রয়োজনে অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়ে অক্সিজেন দেয়া হতো। এমনকি ছিল না হাই-ফ্লো নেজাল ক্যানোলা সেট। পরবর্তীতে গত বছর স্থানীয় ধনাঢ্য ব্যক্তি ও নবীন চিকিৎসকদের দয়ায় পাওয়া যায় ১০টি হাই-ফ্লো নেজাল ক্যানোলা সেট। এরপর এখন পর্যন্ত আর সংখ্যা বাড়েনি। অবশ্য জানা যায়, স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে কয়েকটি সেট পাঠানো হয়েছে।

কিন্তু এখন পর্যন্ত তা ব্যবহৃত হয়নি। পরবর্তীতে এখানে মাত্র ১২টি আইসিইউ বেড তৈরি করা হয়। সরকার এখন এই হাসপাতালে আইসিইউ বেডের সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। তবে তা কবে স্থাপিত হবে তা কেউ জানেন না। আবার আইসিইউ শয্যার জন্য বিশেষজ্ঞ কোন চিকিৎসক আগেও ছিল না এখনও নেই।

উল্লিখিত প্রতিটি জেলাতে রয়েছে একটি করে জেনারেল হাসপাতাল। প্রতিটি উপজেলায় রয়েছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। কিন্তু কোনটিতেই করোনা রোগীর চিকিৎসার কোন ব্যবস্থা নেই। তবে সাম্প্রতিককালে সরকার জেনারেল হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসক না দিয়েই আইসিইউ বেড স্থাপন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কবে নাগাদ ওই বেডগুলো কার্যকর হবে তাও কেউ জানেন না। অবশ্য মেডিকেল কলেজের সেন্ট্রাল অক্সিজেন সাপ্লাই সিস্টেম দিয়ে ৮১টি লাইন থাকলেও ব্যবহার করা হচ্ছে ৫০টি লাইন। অন্যদিকে বড় সংকট হচ্ছে করোনা রোগীদের জন্য শয্যা। দেড়শ’ বেডের বিপরীতে সব সময়েই থাকছে বেশি সংখ্যক রোগী। কিন্তু করোনার চলমান দ্বিতীয় ঢেউয়ে যেভাবে সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা বাড়ছে তাতে এখানে ভবিষ্যতে আর রোগী ভর্তি করা হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।

অন্যদিকে এমনিতেই করোনা রোগীদের সমন্বিত চিকিৎসা এখন পর্যন্ত নেই। রোগীর বিভিন্ন লক্ষণ (সিমটম) দেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

তারপরও রয়েছে অনুমোদিত দেড়শ’ বেডের রোগীদের জন্য প্রতি শিফটে মাত্র তিনজন চিকিৎসক। অর্থাৎ একজন চিকিৎসককে দেখতে হচ্ছে ৫০ জন রোগী। ঠিক একইভাবে নার্স ও পরিচ্ছন্নতা কর্মী নেই।

back to top