নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার দেওয়া ৯০টি স্বপ্নের সেমি পাঁকা ঘরে বসবাস করছেন ভূমিহীনরা। কালীগ্রাম ইউনিয়নের সিলমাদার এলাকায় ১১টি ও একডালা ইউনিয়নের মালিপুকুরে ২৪টি ও চৌধুরী পুকুর পাড়ে নির্মাণ করা ৫৫টি ঘরে গৃহহীনরা বসবাস করছেন। এই সব ঘরে সুবিধাভোগীরা বসবাস শুরু করলেও এখনো অনেক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে আছেন। তবে খুব দ্রুত এই সব বসতিগুলোতে অবশিষ্ট সকল সুবিধার ব্যবস্থা করা হবে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
উপজেলার একডালা ইউনিয়নের মালিপুকুর এলাকার ভূমিহীন রহিমা বেগম বলেন, জীবনে কখনো কল্পনা করতে পারিনি যে একদিন ইটের পাঁকা ঘরে থাকতে পারবো। এই রকম সুন্দর ঘরে বিধবা মা ও মেয়েকে নিয়ে একটু শান্তিতে বসবাস করতে পারবো। মমতাময়ী মা শেখ হাসিনার উদ্যোগে ও স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় উপজেলার একডালা ইউনিয়নের মালিপুকুর এলাকায় আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর অধীনে দুই শতক জমির উপর দুটি সেমি পাকা ঘর, একটি রান্না ঘর, একটি টয়লেটসহ যাবতীয় সব কিছুর ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। শুধু আমি নই, আমার মতো এই ইউনিয়নের ৭৯টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে একই ধরণের বাড়ি নির্মাণ করে দিয়েছেন। জমি ও বাড়ি না থাকায় বিধবা মা ও নিজ মেয়েকে নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত মানুষের পরিত্যক্ত বাড়িতে ছিলাম। তবে বিদ্যুৎ না থাকায় এই প্রচন্ড গরমের মধ্যে আমরা অনেক কষ্টের মধ্যে আছি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, প্রতিটি বাড়ি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১লাখ ৭১হাজার টাকা। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী দেশের সকল গৃহহীন মানুষের জন্য জমিসহ সেমি পাঁকা এই বাড়িগুলো উপহার দিয়েছেন। গত জানুয়ারী মাসের ২৩ তারিখে প্রধানমন্ত্রী সারা দেশে একযোগে এই ঘরগুলো আনুষ্ঠানিক ভাবে গৃহীনদের কাছে হস্তান্তর করেন। এছাড়াও নতুন করে আরো কিছু ঘর নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। তিনি আরো বলেন, এলজিইডির ব্যবস্থাপনায় রাস্তা ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিপ্তরের তত্ত্ববধানে প্রতিটি ১০ পরিবার মিলে একটি টিউবওয়েল ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে মালিপুকুর ও চৌধুরী পুকুর পাড়ে নির্মিত বাড়িগুলোতে বিদ্যুৎসহ সামান্য কিছু কাজ বাকি রয়েছে। এক মাসের মধ্যে কাজগুলো শেষ করা হবে।
রাণীনগর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম সাইদী সবুজ খাঁন বলেন মালিপুকুর ও চৌধুরী পুকুর এলাকার আশ্রয়নের বাড়িগুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য লাইন তৈরির কাজ চলমান রয়েছে। আমরা আশা করছি আগামী ১মাসের মধ্যে এইসব বাড়িগুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা সম্ভব হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, “আশ্রয়ণের অধিকার শেখ হাসিনার উপহার’’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে একডালা ও কালীগ্রাম ইউনিয়নের মালিপুকুর, চৌধুরী পুকুর ও সিলমাদার এলাকায় ভূমিদস্যুদের হাত থেকে ১৮০শতক খাস জমি পুনরুদ্ধার করে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর অধীনে ৯০টি ভূমিহীন অসহায় পরিবারের জন্য ৯০টি সেমি পাকা ঘর নির্মাণ করা হয়। ইতোমধ্যে ঘরগুলোতে ভূমিহীন পরিবারগুলো বসবাস করতে শুরু করেছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই সব পরিবারগুলোর সকল সুবিধা নিশ্চিত করা হচ্ছে।
সোমবার, ০৩ মে ২০২১
নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার দেওয়া ৯০টি স্বপ্নের সেমি পাঁকা ঘরে বসবাস করছেন ভূমিহীনরা। কালীগ্রাম ইউনিয়নের সিলমাদার এলাকায় ১১টি ও একডালা ইউনিয়নের মালিপুকুরে ২৪টি ও চৌধুরী পুকুর পাড়ে নির্মাণ করা ৫৫টি ঘরে গৃহহীনরা বসবাস করছেন। এই সব ঘরে সুবিধাভোগীরা বসবাস শুরু করলেও এখনো অনেক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে আছেন। তবে খুব দ্রুত এই সব বসতিগুলোতে অবশিষ্ট সকল সুবিধার ব্যবস্থা করা হবে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
উপজেলার একডালা ইউনিয়নের মালিপুকুর এলাকার ভূমিহীন রহিমা বেগম বলেন, জীবনে কখনো কল্পনা করতে পারিনি যে একদিন ইটের পাঁকা ঘরে থাকতে পারবো। এই রকম সুন্দর ঘরে বিধবা মা ও মেয়েকে নিয়ে একটু শান্তিতে বসবাস করতে পারবো। মমতাময়ী মা শেখ হাসিনার উদ্যোগে ও স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় উপজেলার একডালা ইউনিয়নের মালিপুকুর এলাকায় আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর অধীনে দুই শতক জমির উপর দুটি সেমি পাকা ঘর, একটি রান্না ঘর, একটি টয়লেটসহ যাবতীয় সব কিছুর ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। শুধু আমি নই, আমার মতো এই ইউনিয়নের ৭৯টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে একই ধরণের বাড়ি নির্মাণ করে দিয়েছেন। জমি ও বাড়ি না থাকায় বিধবা মা ও নিজ মেয়েকে নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত মানুষের পরিত্যক্ত বাড়িতে ছিলাম। তবে বিদ্যুৎ না থাকায় এই প্রচন্ড গরমের মধ্যে আমরা অনেক কষ্টের মধ্যে আছি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, প্রতিটি বাড়ি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১লাখ ৭১হাজার টাকা। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী দেশের সকল গৃহহীন মানুষের জন্য জমিসহ সেমি পাঁকা এই বাড়িগুলো উপহার দিয়েছেন। গত জানুয়ারী মাসের ২৩ তারিখে প্রধানমন্ত্রী সারা দেশে একযোগে এই ঘরগুলো আনুষ্ঠানিক ভাবে গৃহীনদের কাছে হস্তান্তর করেন। এছাড়াও নতুন করে আরো কিছু ঘর নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। তিনি আরো বলেন, এলজিইডির ব্যবস্থাপনায় রাস্তা ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিপ্তরের তত্ত্ববধানে প্রতিটি ১০ পরিবার মিলে একটি টিউবওয়েল ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে মালিপুকুর ও চৌধুরী পুকুর পাড়ে নির্মিত বাড়িগুলোতে বিদ্যুৎসহ সামান্য কিছু কাজ বাকি রয়েছে। এক মাসের মধ্যে কাজগুলো শেষ করা হবে।
রাণীনগর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম সাইদী সবুজ খাঁন বলেন মালিপুকুর ও চৌধুরী পুকুর এলাকার আশ্রয়নের বাড়িগুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য লাইন তৈরির কাজ চলমান রয়েছে। আমরা আশা করছি আগামী ১মাসের মধ্যে এইসব বাড়িগুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা সম্ভব হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, “আশ্রয়ণের অধিকার শেখ হাসিনার উপহার’’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে একডালা ও কালীগ্রাম ইউনিয়নের মালিপুকুর, চৌধুরী পুকুর ও সিলমাদার এলাকায় ভূমিদস্যুদের হাত থেকে ১৮০শতক খাস জমি পুনরুদ্ধার করে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর অধীনে ৯০টি ভূমিহীন অসহায় পরিবারের জন্য ৯০টি সেমি পাকা ঘর নির্মাণ করা হয়। ইতোমধ্যে ঘরগুলোতে ভূমিহীন পরিবারগুলো বসবাস করতে শুরু করেছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই সব পরিবারগুলোর সকল সুবিধা নিশ্চিত করা হচ্ছে।