সাবেক মন্ত্রী, আওয়ামী লীগ নেতা শাজাহান খান ওয়ান ইলেভেন সময় সেনা সমর্থিত সরকারের সাথে আঁতাত করেছিলেন। আতাত করেই তিনি দুর্নীতির মামলা থেকে রেহাই পেয়েছেন। এসব মন্তব্য করেছেন মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা।
শুক্রবার বিকেলে রাজৈর উপজেলার বাজিতপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই কথা বলেন।
সম্প্রতি মাদারীপুর শিল্পকলা একাডেমীতে এক অনুষ্ঠানে শাজাহান খান তার বিরুদ্ধে সেনা সরকারের সময়ও কোন মামলা হয়নি বলে মন্তব্য করেন। তার এই কথার প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করতে গিয়ে উত্তরে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা এসব কথা বলেন।
তিনি শাজাহান খানকে উদ্দেশ্য কওে বলেন, সেদিন অনেক নেতার বিরুদ্ধেই মামলা হয়েছিল। কিন্তু আপনি দাবী করেছেন আপনার বিরুদ্ধে কোন মামলা হয়নি তখন। আপনার বিরুদ্ধে কোন মামলা কেন হয়নি? কারণ আপনি ওয়ান ইলেভেনের সরকারের সাথে হোটেল রেডিসনে বসে আঁতাত করেছিলেন। তাই আপনার বিরুদ্ধে তারা মামলা করেনি।
শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি হিসেবে মারা যাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের গার্ড অব অনার অনুষ্ঠানে মহিলা (নারী) কর্মকর্তাদের উপস্থিত না থাকার সুপারিশ করে তিনি মহিলাদের (নারীদের) অবজ্ঞা করেছেন।
শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা অভিযোগ করেন, তিনি (শাজাহান খান) অসাম্প্রদায়িক আদর্শের আওয়ামী লীগ করেন না, তিনি মাওলানা আহমেদ শফীর হেফাজতের আদর্শে চলেন।
এসময় তিনি বলেন, যেখানে আমাদের দলের সভাপতি আমাদের প্রাণের নেত্রী নারী, সংসদের স্পীকার নারী, বিরোধী দলের প্রধান নারী, বিভিন্ন জেলার ডিসি, এসপি নারী। যেখানে তিনি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে মারা যাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের গার্ড অব অনার অনুষ্ঠানে মহিলা (নারী) কর্মকর্তাদের উপস্থিত না থাকার সুপারিশ করেছেন।
এটা আওয়ামীলীগের আদর্শ হতে পারেন না। এটা হেফাজতের আদর্শ। শাজাহান খান এখন হেফাজতের সাথে সুর মিলিয়েছেনÑ অভিযোগ শাহাবুদ্দিন মোল্লার।
তিনি বলেন, আপনাকে রাজৈর মাদারীপুরের মানুষ ভোট দিয়েছে, আপনি এলাকার এমপি হয়েছেন, মন্ত্রী হয়েছেন। বয়স এখন আপনার ৭৩ হয়ে গেছে। এখন রিটায়ার করার সময় হয়েছে। আপনি এখন আবোল তাবোল না বলে রিটায়ার করেন।
রাজৈর উপজেলার বাজিতপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নিত্যানন্দ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম হাওলাদারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে, রাজৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জমির খান, রাজৈর উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সেকান্দার শেখ, মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ আলী, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জমির খান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আল আমীন মোল্লা প্রমুখ।
শনিবার, ১৯ জুন ২০২১
সাবেক মন্ত্রী, আওয়ামী লীগ নেতা শাজাহান খান ওয়ান ইলেভেন সময় সেনা সমর্থিত সরকারের সাথে আঁতাত করেছিলেন। আতাত করেই তিনি দুর্নীতির মামলা থেকে রেহাই পেয়েছেন। এসব মন্তব্য করেছেন মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা।
শুক্রবার বিকেলে রাজৈর উপজেলার বাজিতপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই কথা বলেন।
সম্প্রতি মাদারীপুর শিল্পকলা একাডেমীতে এক অনুষ্ঠানে শাজাহান খান তার বিরুদ্ধে সেনা সরকারের সময়ও কোন মামলা হয়নি বলে মন্তব্য করেন। তার এই কথার প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করতে গিয়ে উত্তরে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা এসব কথা বলেন।
তিনি শাজাহান খানকে উদ্দেশ্য কওে বলেন, সেদিন অনেক নেতার বিরুদ্ধেই মামলা হয়েছিল। কিন্তু আপনি দাবী করেছেন আপনার বিরুদ্ধে কোন মামলা হয়নি তখন। আপনার বিরুদ্ধে কোন মামলা কেন হয়নি? কারণ আপনি ওয়ান ইলেভেনের সরকারের সাথে হোটেল রেডিসনে বসে আঁতাত করেছিলেন। তাই আপনার বিরুদ্ধে তারা মামলা করেনি।
শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি হিসেবে মারা যাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের গার্ড অব অনার অনুষ্ঠানে মহিলা (নারী) কর্মকর্তাদের উপস্থিত না থাকার সুপারিশ করে তিনি মহিলাদের (নারীদের) অবজ্ঞা করেছেন।
শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা অভিযোগ করেন, তিনি (শাজাহান খান) অসাম্প্রদায়িক আদর্শের আওয়ামী লীগ করেন না, তিনি মাওলানা আহমেদ শফীর হেফাজতের আদর্শে চলেন।
এসময় তিনি বলেন, যেখানে আমাদের দলের সভাপতি আমাদের প্রাণের নেত্রী নারী, সংসদের স্পীকার নারী, বিরোধী দলের প্রধান নারী, বিভিন্ন জেলার ডিসি, এসপি নারী। যেখানে তিনি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে মারা যাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের গার্ড অব অনার অনুষ্ঠানে মহিলা (নারী) কর্মকর্তাদের উপস্থিত না থাকার সুপারিশ করেছেন।
এটা আওয়ামীলীগের আদর্শ হতে পারেন না। এটা হেফাজতের আদর্শ। শাজাহান খান এখন হেফাজতের সাথে সুর মিলিয়েছেনÑ অভিযোগ শাহাবুদ্দিন মোল্লার।
তিনি বলেন, আপনাকে রাজৈর মাদারীপুরের মানুষ ভোট দিয়েছে, আপনি এলাকার এমপি হয়েছেন, মন্ত্রী হয়েছেন। বয়স এখন আপনার ৭৩ হয়ে গেছে। এখন রিটায়ার করার সময় হয়েছে। আপনি এখন আবোল তাবোল না বলে রিটায়ার করেন।
রাজৈর উপজেলার বাজিতপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নিত্যানন্দ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম হাওলাদারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে, রাজৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জমির খান, রাজৈর উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সেকান্দার শেখ, মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ আলী, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জমির খান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আল আমীন মোল্লা প্রমুখ।