৪১৩ গ্রাম প্লাবিত পানিবন্দী আড়াই লক্ষাধিক মানুষ
কক্সবাজারে পাহাড় ধস ও ঢলের পানিতে ভেসে বুধবার (২৮ জুলাই) ১২ জন ও আগের দিন মঙ্গলবার ৬ রোহিঙ্গাসহ ৮ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এ নিয়ে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত কক্সবাজারে ২ দিনে ২০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
এদিকে বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ী ঢলে কক্সবাজারের ৪১৩ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ৫৫ হাজার ১৫০ পরিবারের আড়াই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট শাখা এমন তথ্য নিশ্চিত করলে এটা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে।
কক্সবাজারে দুই দিন ধরে থেমে থেমে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১১৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। একই সঙ্গে ৩ নম্বর সর্তক সংকেতও রয়েছে। জেলা প্রশাসনের দেয়া তথ্য মতে, কক্সবাজার জেলা ৭১ ইউনিয়ন ও ৪ পৌরসভার মধ্যে ৪১ ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। যেখানে গ্রামের সংখ্যা ৪১৩টি। যেখানে ৫৫ হাজার ১৫০ পরিবারের আড়াই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। প্রাথমিকভাবে ক্ষতির পরিমাণ ৩ কোটি টাকা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এসব প্লাবিত এলাকায় ৩০টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৬ হাজারের বেশি মানুষ আশ্রয়গ্রহণ করেছে।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, কক্সবাজার সদর উপজেলার ৬ ইউনিয়নের ৫৮ গ্রাম, রামু উপজেলার ৬ ইউনিয়নের ৩৫ গ্রাম, চকরিয়া উপজেলার ১৫ ইউনিয়নের ১০০ গ্রাম, পেকুয়া উপজেলার ২ ইউনিয়নের ৬ গ্রাম, মহেশখালী উপজেলার ৬ ইউনিয়নের ৩৮ গ্রাম, উখিয়া উপজেলার ২ ইউনিয়নের ১২০ গ্রাম, টেকনাফ উপজেলার ৪ ইউনিয়নের ৫৬ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। জেলা প্রশাসনের এই তথ্যে কুতুবদিয়া উপজেলার প্লাবিত এলাকার সংখ্যা পাওয়া যায়নি। তবে কুতুবদিয়া উপজেলায় অন্তত ২০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আমিন আল পারভেজ জানান, প্লাবিত এলাকার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের বিশেষ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ১৩৫ মেট্টিক টন চাল ও ৫ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে। প্রয়োজনের আরও জরুরি বরাদ্দ প্রদান করা হবে।
৪১৩ গ্রাম প্লাবিত পানিবন্দী আড়াই লক্ষাধিক মানুষ
বুধবার, ২৮ জুলাই ২০২১
কক্সবাজারে পাহাড় ধস ও ঢলের পানিতে ভেসে বুধবার (২৮ জুলাই) ১২ জন ও আগের দিন মঙ্গলবার ৬ রোহিঙ্গাসহ ৮ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এ নিয়ে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত কক্সবাজারে ২ দিনে ২০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
এদিকে বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ী ঢলে কক্সবাজারের ৪১৩ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ৫৫ হাজার ১৫০ পরিবারের আড়াই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট শাখা এমন তথ্য নিশ্চিত করলে এটা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে।
কক্সবাজারে দুই দিন ধরে থেমে থেমে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১১৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। একই সঙ্গে ৩ নম্বর সর্তক সংকেতও রয়েছে। জেলা প্রশাসনের দেয়া তথ্য মতে, কক্সবাজার জেলা ৭১ ইউনিয়ন ও ৪ পৌরসভার মধ্যে ৪১ ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। যেখানে গ্রামের সংখ্যা ৪১৩টি। যেখানে ৫৫ হাজার ১৫০ পরিবারের আড়াই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। প্রাথমিকভাবে ক্ষতির পরিমাণ ৩ কোটি টাকা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এসব প্লাবিত এলাকায় ৩০টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৬ হাজারের বেশি মানুষ আশ্রয়গ্রহণ করেছে।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, কক্সবাজার সদর উপজেলার ৬ ইউনিয়নের ৫৮ গ্রাম, রামু উপজেলার ৬ ইউনিয়নের ৩৫ গ্রাম, চকরিয়া উপজেলার ১৫ ইউনিয়নের ১০০ গ্রাম, পেকুয়া উপজেলার ২ ইউনিয়নের ৬ গ্রাম, মহেশখালী উপজেলার ৬ ইউনিয়নের ৩৮ গ্রাম, উখিয়া উপজেলার ২ ইউনিয়নের ১২০ গ্রাম, টেকনাফ উপজেলার ৪ ইউনিয়নের ৫৬ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। জেলা প্রশাসনের এই তথ্যে কুতুবদিয়া উপজেলার প্লাবিত এলাকার সংখ্যা পাওয়া যায়নি। তবে কুতুবদিয়া উপজেলায় অন্তত ২০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আমিন আল পারভেজ জানান, প্লাবিত এলাকার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের বিশেষ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ১৩৫ মেট্টিক টন চাল ও ৫ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে। প্রয়োজনের আরও জরুরি বরাদ্দ প্রদান করা হবে।