দেশে প্রথমবারের মতো কয়েকজন শিশুর দেহে করোনা এবং ডেঙ্গু দুই ধরনের ভাইরাসেরই সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এই দুই ভাইরাসেই আক্রান্ত অন্তত ৬ জন শিশুর সন্ধান পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
বুধবার (২৮ জুলাই) দুপুরে ঢাকা শিশু হাসপাতালে ৫ বছরের একটি শিশুকে ভর্তি করা হয়েছে। শিশুটি আগে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। চিকিৎসাধীন ছিল কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে। পরে তার ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দিলে স্থানান্তর করা হয় ঢাকা শিশু হাসপাতালে। ওই হাসপাতালের পরিচালক প্রফেসর ডা. সৈয়দ সফি আহমেদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, শিশুটির রক্তের প্লেটেলেট কমে যাচ্ছে। শিশুটির বাবা কোভিডে আক্রান্ত।
আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যানেসথিসিয়া, এ্যানালজেসিয়া অ্যান্ড ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিন বিশেষজ্ঞ (আইসিইউ) প্রফেসর ডা. দেবব্রত বনিক জানান, এই ধরনের আরও ৫ জন শিশু পাওয়া গেছে। তারা বিভিন্ন হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি আছেন। তাদের একই সঙ্গে দুই ধরনের চিকিৎসা করতে হচ্ছে। তারা বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
এই দুই ভাইরাসেই আক্রান্ত একজন রোগী চট্টগ্রামে মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. তাহমিনা আক্তার।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুজ্বরে আরও ১৫৩ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ্ ইমাজেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. কামরুল কিবরিয়া। এ নিয়ে চলতি বছরে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ৯৮ জন।
গতকাল ২৭ জুলাই সকাল ৮টা থেকে বুধবার ২৮ জুলাই সকাল ৮টা পর্যন্ত হিসেবে এ তথ্য জানা গেছে।
বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু সন্দেহে অন্তত ৪ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে। ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত শারীরিক প্রতিবন্ধী এক শিশু বুধবার দুপুরে শিশু হাসপাতালে মারা গেছে বলে জানান হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ সৈয়দ সফি আহমেদ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তালিকায় ওই শিশুর তথ্য নেই। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, হাসপাতালে ভর্তিকৃতদের মধ্যে ১৫০ জন ঢাকায় ও ৩ জন ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম ও খুলনায় ভর্তি হয়েছেন। ঢাকা শিশু হাসপাতালে এখন ডেঙ্গু আক্রান্ত ২১ জন শিশু ভর্তি আছে। তার মধ্যে ৫ জন শিশু আইসিইউতে আছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ সফি আহমেদ।
বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাঃ তাহমিনা আক্তার সংবাদকে জানান, দুই ধরনের ভাইরাসে শিশুসহ নানা বয়সের মানুষ আক্রান্ত হতে পারেন। একই বাসায় একজন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত, আরেকজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। মাস্ক পরা না থাকলে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী করোনা ভাইরাসেও আক্রান্ত হতে পারেন।
দুইটি ভাইরাসেরই প্রাথমিক লক্ষণ জ্বর, সর্দি, কাশি ও শরীর বা গলাব্যথা। বর্তমান পরিস্থিতিতে হয়তো নিশ্চিত হবার জন্য করোনা ও ডেঙ্গু দুই পরীক্ষাই করতে হবে।
বুধবার, ২৮ জুলাই ২০২১
দেশে প্রথমবারের মতো কয়েকজন শিশুর দেহে করোনা এবং ডেঙ্গু দুই ধরনের ভাইরাসেরই সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এই দুই ভাইরাসেই আক্রান্ত অন্তত ৬ জন শিশুর সন্ধান পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
বুধবার (২৮ জুলাই) দুপুরে ঢাকা শিশু হাসপাতালে ৫ বছরের একটি শিশুকে ভর্তি করা হয়েছে। শিশুটি আগে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। চিকিৎসাধীন ছিল কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে। পরে তার ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দিলে স্থানান্তর করা হয় ঢাকা শিশু হাসপাতালে। ওই হাসপাতালের পরিচালক প্রফেসর ডা. সৈয়দ সফি আহমেদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, শিশুটির রক্তের প্লেটেলেট কমে যাচ্ছে। শিশুটির বাবা কোভিডে আক্রান্ত।
আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যানেসথিসিয়া, এ্যানালজেসিয়া অ্যান্ড ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিন বিশেষজ্ঞ (আইসিইউ) প্রফেসর ডা. দেবব্রত বনিক জানান, এই ধরনের আরও ৫ জন শিশু পাওয়া গেছে। তারা বিভিন্ন হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি আছেন। তাদের একই সঙ্গে দুই ধরনের চিকিৎসা করতে হচ্ছে। তারা বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
এই দুই ভাইরাসেই আক্রান্ত একজন রোগী চট্টগ্রামে মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. তাহমিনা আক্তার।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুজ্বরে আরও ১৫৩ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ্ ইমাজেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. কামরুল কিবরিয়া। এ নিয়ে চলতি বছরে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ৯৮ জন।
গতকাল ২৭ জুলাই সকাল ৮টা থেকে বুধবার ২৮ জুলাই সকাল ৮টা পর্যন্ত হিসেবে এ তথ্য জানা গেছে।
বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু সন্দেহে অন্তত ৪ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে। ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত শারীরিক প্রতিবন্ধী এক শিশু বুধবার দুপুরে শিশু হাসপাতালে মারা গেছে বলে জানান হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ সৈয়দ সফি আহমেদ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তালিকায় ওই শিশুর তথ্য নেই। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, হাসপাতালে ভর্তিকৃতদের মধ্যে ১৫০ জন ঢাকায় ও ৩ জন ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম ও খুলনায় ভর্তি হয়েছেন। ঢাকা শিশু হাসপাতালে এখন ডেঙ্গু আক্রান্ত ২১ জন শিশু ভর্তি আছে। তার মধ্যে ৫ জন শিশু আইসিইউতে আছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ সফি আহমেদ।
বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাঃ তাহমিনা আক্তার সংবাদকে জানান, দুই ধরনের ভাইরাসে শিশুসহ নানা বয়সের মানুষ আক্রান্ত হতে পারেন। একই বাসায় একজন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত, আরেকজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। মাস্ক পরা না থাকলে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী করোনা ভাইরাসেও আক্রান্ত হতে পারেন।
দুইটি ভাইরাসেরই প্রাথমিক লক্ষণ জ্বর, সর্দি, কাশি ও শরীর বা গলাব্যথা। বর্তমান পরিস্থিতিতে হয়তো নিশ্চিত হবার জন্য করোনা ও ডেঙ্গু দুই পরীক্ষাই করতে হবে।