রোগী সেজে অ্যাম্বুলেন্সে করে কোটি টাকা মুল্যের আধা কেজি হেরোইন পাচার করার সময় গাইবান্ধার পলাশবাড়ি থেকে অ্যাম্বুলেন্সসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। উদ্ধার করা হয়েছে কোটি টাকা মুল্যের আধাকেজি হেরোইন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রংপুর নগরীর আলমনগর এলাকায় র্যাব ১৩ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন র্যাব ১৩ প্রধান কমান্ডার রেজা আহাম্মেদ ফেরদৌস। এ সময় র্যাবের উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
র্যাব জানায় সরকার ঘোষিত চলমান কঠোর লকডাউনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর অবস্থানের কারণে মাদক ব্যবসায়ীরা ছদ্মবেশ ধারণসহ নানারকম অভিনব কায়দায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে। যেমন-আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দেয়ার জন্য তারা মাদকদ্রব্য পরিবহনের বাহন হিসেবে অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করছে। এমনি একটি খবর র্যাবের গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায় যে, দুইজন মাদক ব্যবসায়ী একটি অ্যাম্বুলেন্সে রাজশাহী থেকে রংপুর আসছে। এমনি গোপন সংবাদের ওপর ভিত্তি করে র্যাবের একটি দল বৃহসপতিবার (২৯ জুলাই) ভোরে গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলা সদরের বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন মহাসড়কের ওপর জরুরি চেকপোস্ট স্থাপন করে। চেকপোস্ট থেকে বিভিন্ন গাড়ি তল্লাশি শুরু করা হয়।
এ সময় সন্দেহভাজন একটি অ্যাম্বুলেন্স মাইক্রোবাস গাড়ি তল্লাশি করে দেখা যায়, সেখানে দুই জনের মধ্যে একজন এক পা পঙ্গু এবং তার সারা শরীরে টিউমার রয়েছে। উক্ত ব্যক্তির এক পা হাঁটু থেকে বিচ্ছিন্ন বিধায় তাতে কৃত্রিম প্লাস্টিকের পা সংযুক্ত করা আছে। কৃত্রিম প্লাস্টিকের পায়ের ব্যাপারে সন্দেহ সৃষ্টি হলে আভিযানিক দল তাতে তল্লাশি শুরু করে। তল্লাশি করে তার কৃত্রিম প্লাস্টিকের পায়ের ভিতর অভিনব কায়দায় মাদকদ্রব্য হেরোইন ঢুকিয়ে পাচারের চেষ্টাকালে কোটি টাকা মুল্যের প্রায় আধা কেজি হেরোইনসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. বুলবুল আহম্মেদ ও মো. আজিজুর রহমান। তাদের দুজনেরই বাড়ি রাজশাহী শহরে।
র্যাব ১৩ প্রধান রেজা আহাম্মেদ ফেরদৌস জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, গ্রেপ্তার করা মাদক ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসার সাথে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। ইতোপূর্বেও তারা একই কৌশল অবলম্বন করে রাজশাহী থেকে রংপুরে হেরোইন পাচার করতে সক্ষম হয়েছিল বলে জানায়। তাদের সঙ্গে জড়িত অন্যান্য মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে বলে জানান তিনি। সেই সঙ্গে গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার, ২৯ জুলাই ২০২১
রোগী সেজে অ্যাম্বুলেন্সে করে কোটি টাকা মুল্যের আধা কেজি হেরোইন পাচার করার সময় গাইবান্ধার পলাশবাড়ি থেকে অ্যাম্বুলেন্সসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। উদ্ধার করা হয়েছে কোটি টাকা মুল্যের আধাকেজি হেরোইন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রংপুর নগরীর আলমনগর এলাকায় র্যাব ১৩ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন র্যাব ১৩ প্রধান কমান্ডার রেজা আহাম্মেদ ফেরদৌস। এ সময় র্যাবের উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
র্যাব জানায় সরকার ঘোষিত চলমান কঠোর লকডাউনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর অবস্থানের কারণে মাদক ব্যবসায়ীরা ছদ্মবেশ ধারণসহ নানারকম অভিনব কায়দায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে। যেমন-আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দেয়ার জন্য তারা মাদকদ্রব্য পরিবহনের বাহন হিসেবে অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করছে। এমনি একটি খবর র্যাবের গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায় যে, দুইজন মাদক ব্যবসায়ী একটি অ্যাম্বুলেন্সে রাজশাহী থেকে রংপুর আসছে। এমনি গোপন সংবাদের ওপর ভিত্তি করে র্যাবের একটি দল বৃহসপতিবার (২৯ জুলাই) ভোরে গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলা সদরের বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন মহাসড়কের ওপর জরুরি চেকপোস্ট স্থাপন করে। চেকপোস্ট থেকে বিভিন্ন গাড়ি তল্লাশি শুরু করা হয়।
এ সময় সন্দেহভাজন একটি অ্যাম্বুলেন্স মাইক্রোবাস গাড়ি তল্লাশি করে দেখা যায়, সেখানে দুই জনের মধ্যে একজন এক পা পঙ্গু এবং তার সারা শরীরে টিউমার রয়েছে। উক্ত ব্যক্তির এক পা হাঁটু থেকে বিচ্ছিন্ন বিধায় তাতে কৃত্রিম প্লাস্টিকের পা সংযুক্ত করা আছে। কৃত্রিম প্লাস্টিকের পায়ের ব্যাপারে সন্দেহ সৃষ্টি হলে আভিযানিক দল তাতে তল্লাশি শুরু করে। তল্লাশি করে তার কৃত্রিম প্লাস্টিকের পায়ের ভিতর অভিনব কায়দায় মাদকদ্রব্য হেরোইন ঢুকিয়ে পাচারের চেষ্টাকালে কোটি টাকা মুল্যের প্রায় আধা কেজি হেরোইনসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. বুলবুল আহম্মেদ ও মো. আজিজুর রহমান। তাদের দুজনেরই বাড়ি রাজশাহী শহরে।
র্যাব ১৩ প্রধান রেজা আহাম্মেদ ফেরদৌস জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, গ্রেপ্তার করা মাদক ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসার সাথে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। ইতোপূর্বেও তারা একই কৌশল অবলম্বন করে রাজশাহী থেকে রংপুরে হেরোইন পাচার করতে সক্ষম হয়েছিল বলে জানায়। তাদের সঙ্গে জড়িত অন্যান্য মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে বলে জানান তিনি। সেই সঙ্গে গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।