পোশাক কারখানা খুলছে- এমন ঘোষণার পর ঢাকা ছুটছে লোকজন। আর এর রেশ ধরে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটের ফেরিতে যাত্রী ও ব্যক্তিগত পারাপারের ফেরিগুলো মানুষে বোঝাই, তিল ধরনের ঠাঁই নেই। শনিবার সকাল হতে নৌরুটের সচল ৯টি ফেরিতে কঠোর বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে পারাপার হচ্ছে হাজার হাজার যাত্রী, ব্যাক্তিগত গাড়ি।
যাত্রীদের মধ্যে বেশির ভাগই পোশাক কারখানার শ্রমিক। শুধুমাত্র জরুরি ও লকডাউনের আওতামুক্ত গাড়ি পারাপারে ফেরি চালু থাকলেও একেবারে মানা হচ্ছে না তার কোনো নিয়ম। বাংলাবাজার থেকে শিমুলিয়াঘাটে আসা প্রতিটি ফেরিতে ঢাকামুখী যাত্রী বোঝাই করে আসছে। ফেরিতে যাত্রীর চাপ ও গাদাগাদিতে আজও উপেক্ষিত থাকছে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব।
এদিকে শিমুলিয়াঘাটে, পৌঁছে ঢাকামুখী যাত্রী ও পোশাক কারখানা শ্রমিকরা পরিবহন সঙ্কটে বিপাকে পড়ছে। সড়কে পুলিশের চেকপোস্ট এড়িয়ে ছোটযানবাহনে ভেঙে ভেঙে রওনা হচ্ছে ঢাকার গন্তব্যে। এতে গুণতে হচ্ছে দুই থেকে তিনগুণ বেশি ভাড়া। অপরদিকে শত শত যাত্রী ও পোশাক শ্রমিক টঈিবাড়ি উপজেলার দিঘির পাড় দিয়ে ট্রলারযোগে ঢাকামুখী হচ্ছে। তারা দিঘির পাড় দিয়ে মুক্তারপুর হয়ে ঢাকার গন্তব্যে ছুটছে। কোনোভাবেই তাদেরকে রোধ করা যাচ্ছে না। প্রশাসনও অতিরিক্ত যাত্রীদের চাপ সামলাতে পারছেন না। অটো মিশুকে করে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে মোক্তারপুরের উদ্দেশ্যে ছুটছে।
জামিলা বেগম নামের এক নারী শ্রমিক বলেন, আমাদের গার্মেন্টস খুলছে। আমাদের বাধ্য হয়ে যেতে হচ্ছে না গেলে চাকরি থাকবে না।
ঢাকা মিরপুরের একটি গার্মেন্টসের শ্রমিক মনির হোসেন জানান, গরিব করোনায় মরবে না, গরিব মরবে না খাইয়া। গাড়ি চালু না করেই গার্মেন্টস খুলে দিলো। এখন আমাদের ভোগান্তি হচ্ছে। ভাড়াও বেশি লাগছে।
গাজীপুরগামী শাজালালনামের আরেক শ্রমিক বলেন, সরকার লকডাউন দিছে, এ কেমন লকডাউন, সব তো খোলা। গার্মেন্টসও খুলে দিছে। এখন তো যাইতেই হবে, অফিস থেকে বারবার কল দিচ্ছে। ২ শ’ টাকার ভাড়া ৮ শ’ টাকা টাকা লাগছে।
বিআইডাব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের উপ-মহা ব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম জানান, বাংলাবাজার থেকে শিমুলিয়াঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের খুব চাপ আছে। বাংলাবাজার ঘাট থেকে আগত প্রতিটি ফেরিতেই চাপ রয়েছে। পোশাক কারখানা খুলছে, তাই যাত্রীদের উপস্থিতি বেশি।
করোনার বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে শত শত নারী পুরষ দল বেধে রাজধানীতে যে ভাবে ছুটছে মানুষ এতে করে মহামারি আরো বেড়ে যেতে পারে বলে আশন্কা প্রকাশ করেছেন বিশিষ্ট জনরা।
শনিবার, ৩১ জুলাই ২০২১
পোশাক কারখানা খুলছে- এমন ঘোষণার পর ঢাকা ছুটছে লোকজন। আর এর রেশ ধরে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটের ফেরিতে যাত্রী ও ব্যক্তিগত পারাপারের ফেরিগুলো মানুষে বোঝাই, তিল ধরনের ঠাঁই নেই। শনিবার সকাল হতে নৌরুটের সচল ৯টি ফেরিতে কঠোর বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে পারাপার হচ্ছে হাজার হাজার যাত্রী, ব্যাক্তিগত গাড়ি।
যাত্রীদের মধ্যে বেশির ভাগই পোশাক কারখানার শ্রমিক। শুধুমাত্র জরুরি ও লকডাউনের আওতামুক্ত গাড়ি পারাপারে ফেরি চালু থাকলেও একেবারে মানা হচ্ছে না তার কোনো নিয়ম। বাংলাবাজার থেকে শিমুলিয়াঘাটে আসা প্রতিটি ফেরিতে ঢাকামুখী যাত্রী বোঝাই করে আসছে। ফেরিতে যাত্রীর চাপ ও গাদাগাদিতে আজও উপেক্ষিত থাকছে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব।
এদিকে শিমুলিয়াঘাটে, পৌঁছে ঢাকামুখী যাত্রী ও পোশাক কারখানা শ্রমিকরা পরিবহন সঙ্কটে বিপাকে পড়ছে। সড়কে পুলিশের চেকপোস্ট এড়িয়ে ছোটযানবাহনে ভেঙে ভেঙে রওনা হচ্ছে ঢাকার গন্তব্যে। এতে গুণতে হচ্ছে দুই থেকে তিনগুণ বেশি ভাড়া। অপরদিকে শত শত যাত্রী ও পোশাক শ্রমিক টঈিবাড়ি উপজেলার দিঘির পাড় দিয়ে ট্রলারযোগে ঢাকামুখী হচ্ছে। তারা দিঘির পাড় দিয়ে মুক্তারপুর হয়ে ঢাকার গন্তব্যে ছুটছে। কোনোভাবেই তাদেরকে রোধ করা যাচ্ছে না। প্রশাসনও অতিরিক্ত যাত্রীদের চাপ সামলাতে পারছেন না। অটো মিশুকে করে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে মোক্তারপুরের উদ্দেশ্যে ছুটছে।
জামিলা বেগম নামের এক নারী শ্রমিক বলেন, আমাদের গার্মেন্টস খুলছে। আমাদের বাধ্য হয়ে যেতে হচ্ছে না গেলে চাকরি থাকবে না।
ঢাকা মিরপুরের একটি গার্মেন্টসের শ্রমিক মনির হোসেন জানান, গরিব করোনায় মরবে না, গরিব মরবে না খাইয়া। গাড়ি চালু না করেই গার্মেন্টস খুলে দিলো। এখন আমাদের ভোগান্তি হচ্ছে। ভাড়াও বেশি লাগছে।
গাজীপুরগামী শাজালালনামের আরেক শ্রমিক বলেন, সরকার লকডাউন দিছে, এ কেমন লকডাউন, সব তো খোলা। গার্মেন্টসও খুলে দিছে। এখন তো যাইতেই হবে, অফিস থেকে বারবার কল দিচ্ছে। ২ শ’ টাকার ভাড়া ৮ শ’ টাকা টাকা লাগছে।
বিআইডাব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের উপ-মহা ব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম জানান, বাংলাবাজার থেকে শিমুলিয়াঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের খুব চাপ আছে। বাংলাবাজার ঘাট থেকে আগত প্রতিটি ফেরিতেই চাপ রয়েছে। পোশাক কারখানা খুলছে, তাই যাত্রীদের উপস্থিতি বেশি।
করোনার বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে শত শত নারী পুরষ দল বেধে রাজধানীতে যে ভাবে ছুটছে মানুষ এতে করে মহামারি আরো বেড়ে যেতে পারে বলে আশন্কা প্রকাশ করেছেন বিশিষ্ট জনরা।