ঢাকায় যাবার জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা করার দাবিতে রংপুর নগরীর মর্ডান মোড়ে হাজার হাজার গার্মেন্টস শ্রমিক রংপুর ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। মহাসড়ক অবরোধের কারনে সকল প্রকার মালামাল বহনকারী ট্রাক সহ সকল যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
গার্মেন্টস শ্রমিকরা ঘোষনা করেছে, তাদের জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত অবরোধ অব্যাহত থাকবে। ঘটনা স্থলে পুলিশ মেতায়েন করা হয়েছে।
এর আগে সকাল থেকে রংপুর ও আশে পার্শ্বের জেলা থেকে রোববার গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীতে কাজে যোগদানের জন্য ঢাকা যাবার উদ্দেশ্যে নগরীর প্রবেশ দ্বার মর্ডান মোড়ে সমবেত হতে থাকে। বেলা ১২ টার দিকে পুরো মর্ডান মোড় আশ্বে পার্শ্বের এলাকা লোকে লোকান্তরিত হয়ে যায়।
এর পর পরেই হাজার নারী ও পুরুষ গার্মেন্টস শ্রমিক ঢাকা যাবার জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা করার দাবিতে রংপুর ঢাকা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। ফলে মহাসড়কের দু পার্শ্বে শত শত ট্রাক সহ যানবাহন আটকা পড়ে।
শ্রমিকদের দাবি ‘সরকার ১৫ দিনের লক ডাউনের ঘোষনা দিয়ে সকল গার্মেন্টস ফ্যাক্টরী ও শিল্প কারখানা বন্ধ রাখার ঘোষনা দিয়ে হঠাৎ করে শুক্রবার ঘোষনা দেয় রোববার থেকে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরী সহ শিল্প কারখানা খোলা থাকবে। তাদের এ ঘোষনা দেবার আগে শ্রমিকদের ঢাকায় যাবার জন্য পরিবহনের কোন ব্যবস্থা না করে এ ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্ত কেন নেয়া হয়েছে’। তারা বলেন, তারা ১৫ দিনের বন্ধ ঘোষনা শুনে ঈদ উদযাপন করতে রংপুর অঞ্চলের বিভিন্ন জেলার নিজ নিজ বাড়িতে এসেছে। এখন পরিবহন বন্ধ থাকায় তারা ঢাকায় যাবে কিভাবে?
এ সময় অনেকে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। গার্মেন্টস শ্রমিক মমতাজ বেগম জানান, তার বাড়ি কুড়িগ্রামের শেষ সীমানা নাগেশ্বরী এলাকায়। ৫ আগস্ট বন্ধ গার্মেন্টস বন্ধ জেনে বাড়িতে ছিলেন। রোববার থেকে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরী খোলা খবর শুনে মাথার উপর যেন বাঁজ পড়েছে।
রাতেই অটোতে রিকশায় ভ্যানে ভেঙ্গে ভেঙ্গে মর্ডান মোড়ে এসেছে। এখানে এসে দেখেন কোন যান বাহন নেই। তা হলে ঢাকায় যাবেন কিভাবে? তিনি বলেন, ‘সরকারের গার্মেন্টস ফ্যাক্টরী খুলে দেবার আগে বাস ট্রেন খুলে দেয়া উচিত ছিলো। এখন কাজে যোগ না দিলে চাকুরী থাকবেনা। দুই সন্তান নিয়ে খাবো কি।’ একই কথা জানালেন গার্মেন্টস শ্রমিক সাহেরা বেগম , আকলিমা সহ অনেকে। তারা এসেছেন রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ থেকে।
নীলফামারী থেকে আসা গার্মেন্টস শ্রমিক আবেদুল হাফিজ জানালেন অনেক কষ্টে ভেঙ্গে একশ টাকার ভাড়া তিনশ টাকা খরচ করে ভেঙ্গে ভেঙ্গে রংপুরে এসেছেন এখন ঢাকায় যাবেন কিভাবে। তিনি জানান ঢাকায় গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীতে ফোন করেছিলেন ফ্যাক্টরী ম্যানেজার বলেছেন রোববার সকালের মধ্যে কাজে যোগ দিতে হবে না হলে চাকুরী নেই। তিনি বলেন কোন গাড়ি নেই ট্রেন বন্ধ তাহলে যাবেন কিভাবে?।
লালমনিরহাটের মোগল হাট থেকে আসা গার্মেন্টস শ্রমিক সাহাবুল , আমজাদ ও সাহেব আলী বলেন, ‘তাদের এলাকায় কয়েকশ নারী পুরুষ আছেন যারা ঢাকা নারায়নগজ্ঞে বিভিন্ন গার্মেন্টে কাজ করেন। তারা অনেক কষ্ট করে রংপুরে এসেছেন, কোন গাড়ি চলছেনা, এখন যাবেন কিভাবে?। যারা হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে গার্মেন্টস খোলার তাদের ভাবা উচিত ছিলো।’
গার্মেন্টস শ্রমিক নেতা আহাম্মেদ আলী জানান ‘রংপুর অঞ্চলের বিভিন্ন জেলার প্রায় ৩০/৪০ লাখ নারী ও পুরুষ শ্রমিক গার্মেন্টেস ফ্যাক্টরীতে কাজ করে জিবিকা নির্বাহ করে। সরকারের বাস-ট্রেন চালু করার পরে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরী খুলে দেয়া উচিত ছিলো। এটা সরকারের যারাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা শ্রমিকদের কথা ভাবেনি।’
এ ব্যাপারে রংপুরের জেলা প্রশাসক আসিব আহসানের সাথে বেশ কয়েকবার কথা বলার জন্য ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
অন্যদিকে ঘটনা স্থলে অবস্থানরত তাজহাট থানার ওসি আখতারুজ্জামান প্রধান জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করা হচ্ছে। শ্রমিকদের সাথে কথা বলা হচ্ছে। ওসি জানান রংপুর বিভাগের ৮ জেলার মানুষকে রংপুর নগরীর মর্ডান মোড় এলাকা দিয়েই গাড়িতে যাতায়াত করতে হয়, একটাই পথ এটা। সে কারনে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত গার্মেন্টস শ্রমিকরা এসেছে।
শনিবার, ৩১ জুলাই ২০২১
ঢাকায় যাবার জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা করার দাবিতে রংপুর নগরীর মর্ডান মোড়ে হাজার হাজার গার্মেন্টস শ্রমিক রংপুর ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। মহাসড়ক অবরোধের কারনে সকল প্রকার মালামাল বহনকারী ট্রাক সহ সকল যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
গার্মেন্টস শ্রমিকরা ঘোষনা করেছে, তাদের জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত অবরোধ অব্যাহত থাকবে। ঘটনা স্থলে পুলিশ মেতায়েন করা হয়েছে।
এর আগে সকাল থেকে রংপুর ও আশে পার্শ্বের জেলা থেকে রোববার গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীতে কাজে যোগদানের জন্য ঢাকা যাবার উদ্দেশ্যে নগরীর প্রবেশ দ্বার মর্ডান মোড়ে সমবেত হতে থাকে। বেলা ১২ টার দিকে পুরো মর্ডান মোড় আশ্বে পার্শ্বের এলাকা লোকে লোকান্তরিত হয়ে যায়।
এর পর পরেই হাজার নারী ও পুরুষ গার্মেন্টস শ্রমিক ঢাকা যাবার জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা করার দাবিতে রংপুর ঢাকা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। ফলে মহাসড়কের দু পার্শ্বে শত শত ট্রাক সহ যানবাহন আটকা পড়ে।
শ্রমিকদের দাবি ‘সরকার ১৫ দিনের লক ডাউনের ঘোষনা দিয়ে সকল গার্মেন্টস ফ্যাক্টরী ও শিল্প কারখানা বন্ধ রাখার ঘোষনা দিয়ে হঠাৎ করে শুক্রবার ঘোষনা দেয় রোববার থেকে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরী সহ শিল্প কারখানা খোলা থাকবে। তাদের এ ঘোষনা দেবার আগে শ্রমিকদের ঢাকায় যাবার জন্য পরিবহনের কোন ব্যবস্থা না করে এ ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্ত কেন নেয়া হয়েছে’। তারা বলেন, তারা ১৫ দিনের বন্ধ ঘোষনা শুনে ঈদ উদযাপন করতে রংপুর অঞ্চলের বিভিন্ন জেলার নিজ নিজ বাড়িতে এসেছে। এখন পরিবহন বন্ধ থাকায় তারা ঢাকায় যাবে কিভাবে?
এ সময় অনেকে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। গার্মেন্টস শ্রমিক মমতাজ বেগম জানান, তার বাড়ি কুড়িগ্রামের শেষ সীমানা নাগেশ্বরী এলাকায়। ৫ আগস্ট বন্ধ গার্মেন্টস বন্ধ জেনে বাড়িতে ছিলেন। রোববার থেকে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরী খোলা খবর শুনে মাথার উপর যেন বাঁজ পড়েছে।
রাতেই অটোতে রিকশায় ভ্যানে ভেঙ্গে ভেঙ্গে মর্ডান মোড়ে এসেছে। এখানে এসে দেখেন কোন যান বাহন নেই। তা হলে ঢাকায় যাবেন কিভাবে? তিনি বলেন, ‘সরকারের গার্মেন্টস ফ্যাক্টরী খুলে দেবার আগে বাস ট্রেন খুলে দেয়া উচিত ছিলো। এখন কাজে যোগ না দিলে চাকুরী থাকবেনা। দুই সন্তান নিয়ে খাবো কি।’ একই কথা জানালেন গার্মেন্টস শ্রমিক সাহেরা বেগম , আকলিমা সহ অনেকে। তারা এসেছেন রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ থেকে।
নীলফামারী থেকে আসা গার্মেন্টস শ্রমিক আবেদুল হাফিজ জানালেন অনেক কষ্টে ভেঙ্গে একশ টাকার ভাড়া তিনশ টাকা খরচ করে ভেঙ্গে ভেঙ্গে রংপুরে এসেছেন এখন ঢাকায় যাবেন কিভাবে। তিনি জানান ঢাকায় গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীতে ফোন করেছিলেন ফ্যাক্টরী ম্যানেজার বলেছেন রোববার সকালের মধ্যে কাজে যোগ দিতে হবে না হলে চাকুরী নেই। তিনি বলেন কোন গাড়ি নেই ট্রেন বন্ধ তাহলে যাবেন কিভাবে?।
লালমনিরহাটের মোগল হাট থেকে আসা গার্মেন্টস শ্রমিক সাহাবুল , আমজাদ ও সাহেব আলী বলেন, ‘তাদের এলাকায় কয়েকশ নারী পুরুষ আছেন যারা ঢাকা নারায়নগজ্ঞে বিভিন্ন গার্মেন্টে কাজ করেন। তারা অনেক কষ্ট করে রংপুরে এসেছেন, কোন গাড়ি চলছেনা, এখন যাবেন কিভাবে?। যারা হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে গার্মেন্টস খোলার তাদের ভাবা উচিত ছিলো।’
গার্মেন্টস শ্রমিক নেতা আহাম্মেদ আলী জানান ‘রংপুর অঞ্চলের বিভিন্ন জেলার প্রায় ৩০/৪০ লাখ নারী ও পুরুষ শ্রমিক গার্মেন্টেস ফ্যাক্টরীতে কাজ করে জিবিকা নির্বাহ করে। সরকারের বাস-ট্রেন চালু করার পরে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরী খুলে দেয়া উচিত ছিলো। এটা সরকারের যারাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা শ্রমিকদের কথা ভাবেনি।’
এ ব্যাপারে রংপুরের জেলা প্রশাসক আসিব আহসানের সাথে বেশ কয়েকবার কথা বলার জন্য ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
অন্যদিকে ঘটনা স্থলে অবস্থানরত তাজহাট থানার ওসি আখতারুজ্জামান প্রধান জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করা হচ্ছে। শ্রমিকদের সাথে কথা বলা হচ্ছে। ওসি জানান রংপুর বিভাগের ৮ জেলার মানুষকে রংপুর নগরীর মর্ডান মোড় এলাকা দিয়েই গাড়িতে যাতায়াত করতে হয়, একটাই পথ এটা। সে কারনে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত গার্মেন্টস শ্রমিকরা এসেছে।