দুদিনেই আক্রান্ত ৫ শতাধিক
ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলেছে। এভাবে বাড়তে থাকলে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজি বিশেষজ্ঞ সহকারী অধ্যাপক ডা. তাহমিনা আক্তার বলেছেন, ডেঙ্গুজ্বরের ইনফেকশনের ভয়াবহতা নিশ্চিত করতে চেরোটাইপ (ধরন) শনাক্ত করা দরকার। তাহলে সবাই সচেতন হবেন। ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৮৭ জন, যা যাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ। এরমধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ২৭৯ জন। ঢাকার বাইরে নতুন ভর্তি ৮ জন। এ নিয়ে গত দুইদিনে ৫২৪ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি আছে ৯৭৮ জন। এরমধ্যে ঢাকায় ভর্তি ৯৪০ জন। ঢাকার বাইরে অন্যান্য জেলা ও বিভাগে ভর্তি আছেন ৩৮ জন। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে সোমবার (২ আগস্ট) সকাল ৮টা পর্যন্ত পরিসংখ্যান দেখা গেছে, ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩ হাজার ১৮২ জন। চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র নিয়েছেন ২২শ জন। মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমাজেন্সি অপারেশন সেণ্টার ও কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. কামরুল কিবরিয়া এসব তথ্য জানিয়েছেন।
২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তিকৃতদের মধ্যে মিটফোর্ড হাসপাতালে ৫৯ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতালে ১২ জন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে সাতজন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ২২ জন ভর্তি হয়েছেন। এছাড়াও ঢাকা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিভাগ ও ময়মনসিংহ বিভাগের হাসপাতালে অনেকেই ভর্তি হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগই ডেঙ্গু ফিভারে আক্রান্ত।
এ দিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বলা হয়েছে, দেশে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় ঢাকার সাভার আমিন বাজারে ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল, গাজীপুর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল, মিরপুর মা ও শিশু হাসপাতাল ও মিটফোর্ড হাসপাতাল প্রস্তুত রাখার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।
ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালক প্রফেসর ডা. সফি আহমেদ মুঠোফোনে সংবাদ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত এখনও ৩৬ জন শিশু ঢাকা শিশু হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তার মধ্যে ৬ জন আইসিইউতে আছেন। সম্প্রতি ১শ তিনজন শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। লকডাউনসহ নানা কারণে শিশুরা বাসায় বেশি থাকেন। তাই শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
তার মতে, বাসাবাড়িতে যেন পানি জমে না থাকে, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। তা হলে মশার উপদ্রব কমবে। এ ছাড়াও আশপাশ এলাকায় যাতে পানি জমে না থাকে তার জন্য সবাইকে সচেতন থাকতে হবে বলে এ বিশেষজ্ঞ মতামত দেন।
এ সম্পর্কে ভাইরোলজি বিশেষজ্ঞ ডা. তাহমিনা আক্তার সংবাদকে জানান, এখন ডেঙ্গুজ্বরের ভয়াবহতা কতখানি তা নিশ্চিত করা দরকার। ডেঙ্গুজ্বরের ৪টি ধরন (চেরোটাইপ) আছে। টাইপ-১, টাইপ-২ ও টাপই-৩ ও টাইপ-৪ রয়েছে। এখন মানুষ কোন টাইপে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে? এবার পরিস্থিতি খারাপ হলে তা এখনই কন্ট্রোল করা দরকার। ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিস মশার বিস্তার এখনই কন্ট্রোল না করলে আরও মারাত্বক আকার ধারণ করতে পাারে। তবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে বলা হয়েছে, আগস্টের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এ লক্ষ্যে কাজ চলছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে এডিস মশা দমনে কাজ করছে। পরিস্থিতি উন্নতি হতে পারে।
বরিশাল নিজস্ব বার্তা পরিবেশক জানান, দক্ষিণাঞ্চলেও ডেঙ্গুজ¦রে আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে শুরু করেছে। প্রথমে পিরোজপুরে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়। এখন ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ছয়জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসাধীন রোগীরা হলেন, একই হাসপাতালে সিনিয়র স্টাফ নার্স নাসিমা বেগমের কন্যা তন্বী আক্তার (২৫), নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া গ্রামের মোকসেদ আলীর পুত্র সাব্বির হোসেন (২১), স্বরূপকাঠি উপজেলার নেছারাবাদ গ্রামের মো. আলী (১৯), মুলাদী উপজেলার বালিয়াতলি গ্রামের রহিম হাওলাদারের পুত্র আসাদুজ্জামান (২৪), বানারীপাড়া উপজেলার ধারালিয়া গ্রামের আলী সরদারের ছেলে আবদুল হাই (৩৭) ও রাজাপুর উপজেলার সন্দীপ মিস্ত্রীর পুত্র সুব্রত মিস্ত্রী।
গত ২০ জুলাই সর্বপ্রথম সাদিয়া আফরিন তন্বী জ্বর নিয়ে শেবাচিম হাসপাতালের মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি হন। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তন্বী ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া যায়। তন্বী ঢাকার মিরপুরে থাকতেন। গত ১৭ জুলাই তন্বী মিরপুর থেকে বরিশালে আসার পর রাতেই জ্বরে আক্রান্ত হন। পরবর্তীতে গত ২২ জুলাই দপদপিয়া গ্রামের সাব্বির হোসেন, ২৪ জুলাই নেছারাবাদ গ্রামের মো. আলী ও ২৫ জুলাই বালিয়াতলি গ্রামের আসাদুজ্জামান, ২৮ জুলাই আবদুল হাই ও সুব্রত মিস্ত্রী ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় পরিচালক ডা. বাসুদেব দাস জানান, করোনা ও ডেঙ্গু রোগীর জ¦র সাধারণভাবে আলাদাভাবে বোঝা যায় না। তাই বরিশাল বিভাগের ৪৭টি জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জ¦র নিয়ে কোন রোগী চিকিৎসা নিতে আসলে তাদের প্রত্যেকের একইসঙ্গে করোনা ও রক্তের পরীক্ষা করে যে ধরনের রোগ চিহ্নিত হবে সেই ধরনের চিকিৎসা সেবা দিতে। এদিকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রত্যেকটি মেডিসেন ওয়ার্ডে ডেঙ্গু রোগীর জন্য আলাদা শয্যা চিহ্নিত করে রাখা হয়েছে।
দুদিনেই আক্রান্ত ৫ শতাধিক
সোমবার, ০২ আগস্ট ২০২১
ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলেছে। এভাবে বাড়তে থাকলে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজি বিশেষজ্ঞ সহকারী অধ্যাপক ডা. তাহমিনা আক্তার বলেছেন, ডেঙ্গুজ্বরের ইনফেকশনের ভয়াবহতা নিশ্চিত করতে চেরোটাইপ (ধরন) শনাক্ত করা দরকার। তাহলে সবাই সচেতন হবেন। ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৮৭ জন, যা যাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ। এরমধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ২৭৯ জন। ঢাকার বাইরে নতুন ভর্তি ৮ জন। এ নিয়ে গত দুইদিনে ৫২৪ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি আছে ৯৭৮ জন। এরমধ্যে ঢাকায় ভর্তি ৯৪০ জন। ঢাকার বাইরে অন্যান্য জেলা ও বিভাগে ভর্তি আছেন ৩৮ জন। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে সোমবার (২ আগস্ট) সকাল ৮টা পর্যন্ত পরিসংখ্যান দেখা গেছে, ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩ হাজার ১৮২ জন। চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র নিয়েছেন ২২শ জন। মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমাজেন্সি অপারেশন সেণ্টার ও কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. কামরুল কিবরিয়া এসব তথ্য জানিয়েছেন।
২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তিকৃতদের মধ্যে মিটফোর্ড হাসপাতালে ৫৯ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতালে ১২ জন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে সাতজন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ২২ জন ভর্তি হয়েছেন। এছাড়াও ঢাকা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিভাগ ও ময়মনসিংহ বিভাগের হাসপাতালে অনেকেই ভর্তি হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগই ডেঙ্গু ফিভারে আক্রান্ত।
এ দিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বলা হয়েছে, দেশে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় ঢাকার সাভার আমিন বাজারে ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল, গাজীপুর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল, মিরপুর মা ও শিশু হাসপাতাল ও মিটফোর্ড হাসপাতাল প্রস্তুত রাখার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।
ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালক প্রফেসর ডা. সফি আহমেদ মুঠোফোনে সংবাদ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত এখনও ৩৬ জন শিশু ঢাকা শিশু হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তার মধ্যে ৬ জন আইসিইউতে আছেন। সম্প্রতি ১শ তিনজন শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। লকডাউনসহ নানা কারণে শিশুরা বাসায় বেশি থাকেন। তাই শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
তার মতে, বাসাবাড়িতে যেন পানি জমে না থাকে, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। তা হলে মশার উপদ্রব কমবে। এ ছাড়াও আশপাশ এলাকায় যাতে পানি জমে না থাকে তার জন্য সবাইকে সচেতন থাকতে হবে বলে এ বিশেষজ্ঞ মতামত দেন।
এ সম্পর্কে ভাইরোলজি বিশেষজ্ঞ ডা. তাহমিনা আক্তার সংবাদকে জানান, এখন ডেঙ্গুজ্বরের ভয়াবহতা কতখানি তা নিশ্চিত করা দরকার। ডেঙ্গুজ্বরের ৪টি ধরন (চেরোটাইপ) আছে। টাইপ-১, টাইপ-২ ও টাপই-৩ ও টাইপ-৪ রয়েছে। এখন মানুষ কোন টাইপে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে? এবার পরিস্থিতি খারাপ হলে তা এখনই কন্ট্রোল করা দরকার। ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিস মশার বিস্তার এখনই কন্ট্রোল না করলে আরও মারাত্বক আকার ধারণ করতে পাারে। তবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে বলা হয়েছে, আগস্টের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এ লক্ষ্যে কাজ চলছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে এডিস মশা দমনে কাজ করছে। পরিস্থিতি উন্নতি হতে পারে।
বরিশাল নিজস্ব বার্তা পরিবেশক জানান, দক্ষিণাঞ্চলেও ডেঙ্গুজ¦রে আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে শুরু করেছে। প্রথমে পিরোজপুরে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়। এখন ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ছয়জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসাধীন রোগীরা হলেন, একই হাসপাতালে সিনিয়র স্টাফ নার্স নাসিমা বেগমের কন্যা তন্বী আক্তার (২৫), নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া গ্রামের মোকসেদ আলীর পুত্র সাব্বির হোসেন (২১), স্বরূপকাঠি উপজেলার নেছারাবাদ গ্রামের মো. আলী (১৯), মুলাদী উপজেলার বালিয়াতলি গ্রামের রহিম হাওলাদারের পুত্র আসাদুজ্জামান (২৪), বানারীপাড়া উপজেলার ধারালিয়া গ্রামের আলী সরদারের ছেলে আবদুল হাই (৩৭) ও রাজাপুর উপজেলার সন্দীপ মিস্ত্রীর পুত্র সুব্রত মিস্ত্রী।
গত ২০ জুলাই সর্বপ্রথম সাদিয়া আফরিন তন্বী জ্বর নিয়ে শেবাচিম হাসপাতালের মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি হন। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তন্বী ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া যায়। তন্বী ঢাকার মিরপুরে থাকতেন। গত ১৭ জুলাই তন্বী মিরপুর থেকে বরিশালে আসার পর রাতেই জ্বরে আক্রান্ত হন। পরবর্তীতে গত ২২ জুলাই দপদপিয়া গ্রামের সাব্বির হোসেন, ২৪ জুলাই নেছারাবাদ গ্রামের মো. আলী ও ২৫ জুলাই বালিয়াতলি গ্রামের আসাদুজ্জামান, ২৮ জুলাই আবদুল হাই ও সুব্রত মিস্ত্রী ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় পরিচালক ডা. বাসুদেব দাস জানান, করোনা ও ডেঙ্গু রোগীর জ¦র সাধারণভাবে আলাদাভাবে বোঝা যায় না। তাই বরিশাল বিভাগের ৪৭টি জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জ¦র নিয়ে কোন রোগী চিকিৎসা নিতে আসলে তাদের প্রত্যেকের একইসঙ্গে করোনা ও রক্তের পরীক্ষা করে যে ধরনের রোগ চিহ্নিত হবে সেই ধরনের চিকিৎসা সেবা দিতে। এদিকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রত্যেকটি মেডিসেন ওয়ার্ডে ডেঙ্গু রোগীর জন্য আলাদা শয্যা চিহ্নিত করে রাখা হয়েছে।