কৃষি খাতে অসামান্য অবদানের জন্য
কৃষিখাতে ‘প্ল্যান্ট মিউটেশন ব্রিডিং’ এ অসমান্য অবদান রাখায় বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) কে ‘জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আই.এ.ই.এ) এবং খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফ.এ.ও) যৌথভাবে ‘আউটস্ট্যান্ডিং অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করেছে। একই সাথে এই দুটি সংস্থা বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) র মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শামসুন নাহার বেগমকে ‘উইমেন ইন প্ল্যান্ট মিউটেশন ব্রিডিং অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হয়েছে ।
মঙ্গলবার দুপুরে বিনা’র সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে বিনার মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘প্ল্যান্ট মিউটেশন ব্রিডিং’এ অবদান রাখার জন্যে প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিনা এবং ‘রিলেটেড বায়োটেকনোলজি’তে অসামান্য অবদানের জন্যে বিজ্ঞানী হিসেবে বিনার নারী বিজ্ঞানী ড. শামসুন নাহার বেগম এ পুরস্কার লাভ করেন।
আগামী সেপ্টেম্বরে আই.এ.ই.এ’র ৬৫তম সাধারণ অধিবেশনে আনুষ্ঠানিকভাবে এ পুরস্কার হস্তান্তর করা হবে বলে তিনি জানান। এরআগে ২০১৪ সালে কৃষিখাতে অসাধারণ অবদানের জন্যে বিনা’র বিজ্ঞানী ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম প্রথম এ ধরনের আন্তার্জাতিক পুরস্কার লাভ করেছিলেন। তিনি বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন। এবারও এই প্রতিষ্ঠানটি আন্তর্জাতিক অসাধারণ অবদান অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক পুরষ্কার প্রাপ্ত কৃষি বিজ্ঞানী ও বিনা’র মহাপরিচালক তার বক্তব্যে বলেন, বিনা বিজ্ঞানীদের নিরলস পরিশ্রম, তাদের দক্ষতা ও বর্তমান সরকারের সহযোগিতায় বিনা আজ এই সাফল্য অর্জন করে বিশ্বে সুনাম অর্জন করেছে।
তিনি বিনায় কর্মরত সকল বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও দেশের কৃষকদের যারা বিভিন্ন সময় বিনার কর্মকান্ডে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বিনা এ পর্যন্ত উচ্চ ফলনশীল ও বন্যা, ক্ষরা, লবণ সহিনশীল জাতের ও স্বল্পজীবনকালের ধান, গম, পাট, বাদামসহ ৮৩ টি জাতের উচ্চ পুষ্টি সমৃদ্ধ ফসল উদ্ভাবন করে কৃষক পর্যায়ে পৌছেঁ দিতে সক্ষম হয়েছে। যার ফলে কৃষকরা একই জমিতে তিন ফসল উৎপাদন করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছে। এর স্বীকৃতি স্বরুপ আমরা এই আন্তর্জাতিক পুরষ্কার লাভ করেছি।
তিনি বলেন, এ স্বীকৃতি আমাদের দেশের জন্যে একটি বড় অর্জন। আগামীতে এই স্বীকৃতি দেশের কৃষিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। দেশের মানুষের পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এই অর্জন আমাদের সহায়ক হবে। এছাড়াও এ স্বীকৃতি আমাদের দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে এই সুনাম ধরে রাখার জন্যে আমাদের আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। বিনা পরিচালক এ অর্জনের জন্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীসহ মন্ত্রণালয়ের এবং এর সহযোগী প্রতিষ্ঠানে দায়িত্বরত সকলের সহযোগিতার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
বিনা’র মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শামসুন নাহার বেগম ‘উইমেন ইন প্ল্যান্ট মিউটেশন ব্রিডিং অ্যাওয়ার্ড’ পাওয়ায় খুবই আনন্দিত। তিনি বলেন, “এ সন্মাননা আমাকে আরও দায়িত্বশীল করবে। আমি দেশের কৃষকদের জন্য আরও ভাল কিছু করতে এই অর্জন আমাকে সহযোগিতা করবে।”
তিনি তার কাজে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিনার ব্যবস্থাপনা পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, বিনা ’র পরিচালক (প্রশাসন) ড. আবুল কালাম আজাদ, পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও পরিকল্পনা) ড. জাহাঙ্গীর আলম, পরিচালক (গবেষনা) ড. আব্দুল মালেক, ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেন বক্তব্য রাখেন।
কৃষি খাতে অসামান্য অবদানের জন্য
মঙ্গলবার, ০৩ আগস্ট ২০২১
কৃষিখাতে ‘প্ল্যান্ট মিউটেশন ব্রিডিং’ এ অসমান্য অবদান রাখায় বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) কে ‘জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আই.এ.ই.এ) এবং খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফ.এ.ও) যৌথভাবে ‘আউটস্ট্যান্ডিং অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করেছে। একই সাথে এই দুটি সংস্থা বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) র মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শামসুন নাহার বেগমকে ‘উইমেন ইন প্ল্যান্ট মিউটেশন ব্রিডিং অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হয়েছে ।
মঙ্গলবার দুপুরে বিনা’র সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে বিনার মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘প্ল্যান্ট মিউটেশন ব্রিডিং’এ অবদান রাখার জন্যে প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিনা এবং ‘রিলেটেড বায়োটেকনোলজি’তে অসামান্য অবদানের জন্যে বিজ্ঞানী হিসেবে বিনার নারী বিজ্ঞানী ড. শামসুন নাহার বেগম এ পুরস্কার লাভ করেন।
আগামী সেপ্টেম্বরে আই.এ.ই.এ’র ৬৫তম সাধারণ অধিবেশনে আনুষ্ঠানিকভাবে এ পুরস্কার হস্তান্তর করা হবে বলে তিনি জানান। এরআগে ২০১৪ সালে কৃষিখাতে অসাধারণ অবদানের জন্যে বিনা’র বিজ্ঞানী ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম প্রথম এ ধরনের আন্তার্জাতিক পুরস্কার লাভ করেছিলেন। তিনি বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন। এবারও এই প্রতিষ্ঠানটি আন্তর্জাতিক অসাধারণ অবদান অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক পুরষ্কার প্রাপ্ত কৃষি বিজ্ঞানী ও বিনা’র মহাপরিচালক তার বক্তব্যে বলেন, বিনা বিজ্ঞানীদের নিরলস পরিশ্রম, তাদের দক্ষতা ও বর্তমান সরকারের সহযোগিতায় বিনা আজ এই সাফল্য অর্জন করে বিশ্বে সুনাম অর্জন করেছে।
তিনি বিনায় কর্মরত সকল বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও দেশের কৃষকদের যারা বিভিন্ন সময় বিনার কর্মকান্ডে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বিনা এ পর্যন্ত উচ্চ ফলনশীল ও বন্যা, ক্ষরা, লবণ সহিনশীল জাতের ও স্বল্পজীবনকালের ধান, গম, পাট, বাদামসহ ৮৩ টি জাতের উচ্চ পুষ্টি সমৃদ্ধ ফসল উদ্ভাবন করে কৃষক পর্যায়ে পৌছেঁ দিতে সক্ষম হয়েছে। যার ফলে কৃষকরা একই জমিতে তিন ফসল উৎপাদন করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছে। এর স্বীকৃতি স্বরুপ আমরা এই আন্তর্জাতিক পুরষ্কার লাভ করেছি।
তিনি বলেন, এ স্বীকৃতি আমাদের দেশের জন্যে একটি বড় অর্জন। আগামীতে এই স্বীকৃতি দেশের কৃষিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। দেশের মানুষের পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এই অর্জন আমাদের সহায়ক হবে। এছাড়াও এ স্বীকৃতি আমাদের দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে এই সুনাম ধরে রাখার জন্যে আমাদের আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। বিনা পরিচালক এ অর্জনের জন্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীসহ মন্ত্রণালয়ের এবং এর সহযোগী প্রতিষ্ঠানে দায়িত্বরত সকলের সহযোগিতার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
বিনা’র মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শামসুন নাহার বেগম ‘উইমেন ইন প্ল্যান্ট মিউটেশন ব্রিডিং অ্যাওয়ার্ড’ পাওয়ায় খুবই আনন্দিত। তিনি বলেন, “এ সন্মাননা আমাকে আরও দায়িত্বশীল করবে। আমি দেশের কৃষকদের জন্য আরও ভাল কিছু করতে এই অর্জন আমাকে সহযোগিতা করবে।”
তিনি তার কাজে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিনার ব্যবস্থাপনা পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, বিনা ’র পরিচালক (প্রশাসন) ড. আবুল কালাম আজাদ, পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও পরিকল্পনা) ড. জাহাঙ্গীর আলম, পরিচালক (গবেষনা) ড. আব্দুল মালেক, ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেন বক্তব্য রাখেন।