উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মাধ্যমে উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন দপ্তরের কাগজপত্র ও নথি অনুমোদনের জন্য উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে উপস্থাপন করতে হবে—এটিসহ এ–সংক্রান্ত বিধি ও প্রজ্ঞাপন বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। এ জন্য আদালতের আদেশের বিষয়টি উল্লেখ করে ইউএনওদের প্রতি প্রজ্ঞাপন জারি করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
গত বছরের (৭ ডিসেম্বর) এর আগে উপজেলা পরিষদ আইনের ৩৩ ধারা চ্যালেঞ্জ করে উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও দুমকি উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশিদ এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মনোহরদী উপজেলা চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম খানসহ পাঁচজন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি রিটটি করেন।
চলতি বছরের (৬ জানুয়ারি ) রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল দেন। ইউএনওদের সাচিবিক দায়িত্ব পালনের বিধান–সংক্রান্ত উপজেলা পরিষদ আইনের ৩৩ ধারা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়।
আইনজীবী সূত্রে জানা যায়, উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তর/কর্ম উপজেলা পরিষদে হস্তান্তর বিষয়ে ২০১০ সালের ১৭ জুন একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে ইউএনও বিষয়ে বলা হয়, ইউএনও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে তাঁর নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগে সহায়তা ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবেন। তিনি পরিষদের অর্থ ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের সব প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য চেয়ারম্যানের কাছে উপস্থাপন করবেন। উপজেলা পরিষদকে সাচিবিক সহায়তা প্রদান করবেন।
একই বছরের সেপ্টেম্বরে উপজেলা পরিষদের (কার্যক্রম বাস্তবায়ন) বিধিমালায় সংশোধনী আনা হয়। সংশোধিত ১৪(১) উপবিধির ভাষ্য, দপ্তরগুলোর কর্মকর্তা, উপজেলা পরিষদের কাছে হস্তান্তরিত বিষয়ে সব কাগজপত্র ও নথি, ইউএনওর মাধ্যমে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে অনুমোদনের জন্য পেশ করবেন। তবে ওই প্রজ্ঞাপন ও সংশোধিত উপবিধির বাস্তবায়ন হচ্ছে না উল্লেখ করে রিট আবেদনকারীরা সম্পূরক আবেদন করেন, যার ওপর আজ মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) এই শুনানি হয়।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ ও হাসান এম এস আজিম আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন । রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
পরে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, উপজেলা পরিষদ আইনের মূল চেতনা হচ্ছে জনপ্রতিনিধিদের নেতৃত্বে পরিচালিত হবে উপজেলা পরিষদ। প্রশাসন এ কাজে সাচিবিক দায়িত্ব পালন করতে সহায়তা দেবে। উপজেলা পরিষদ আইন, উপজেলা পরিষদ (কার্যক্রম বাস্তবায়ন) বিধিমামলার (১৪৯১) উপবিধি ও ২০১০ সালের ১৭ জুনের প্রজ্ঞাপনে তা–ই বলা আছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে অধিকাংশ উপজেলা জনপ্রতিনিধিদের পাশ কাটিয়ে ইউএনও পরিষদের বেশির ভাগ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন, যা আইনপরিপন্থী, যে কারণে ওই উপবিধি ও প্রজ্ঞাপনের বাস্তবায়ন চেয়ে সম্পূরক আবেদন করা হলে হাইকোর্ট ওই আদেশ দেন।
মঙ্গলবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মাধ্যমে উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন দপ্তরের কাগজপত্র ও নথি অনুমোদনের জন্য উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে উপস্থাপন করতে হবে—এটিসহ এ–সংক্রান্ত বিধি ও প্রজ্ঞাপন বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। এ জন্য আদালতের আদেশের বিষয়টি উল্লেখ করে ইউএনওদের প্রতি প্রজ্ঞাপন জারি করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
গত বছরের (৭ ডিসেম্বর) এর আগে উপজেলা পরিষদ আইনের ৩৩ ধারা চ্যালেঞ্জ করে উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও দুমকি উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশিদ এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মনোহরদী উপজেলা চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম খানসহ পাঁচজন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি রিটটি করেন।
চলতি বছরের (৬ জানুয়ারি ) রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল দেন। ইউএনওদের সাচিবিক দায়িত্ব পালনের বিধান–সংক্রান্ত উপজেলা পরিষদ আইনের ৩৩ ধারা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়।
আইনজীবী সূত্রে জানা যায়, উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তর/কর্ম উপজেলা পরিষদে হস্তান্তর বিষয়ে ২০১০ সালের ১৭ জুন একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে ইউএনও বিষয়ে বলা হয়, ইউএনও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে তাঁর নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগে সহায়তা ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবেন। তিনি পরিষদের অর্থ ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের সব প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য চেয়ারম্যানের কাছে উপস্থাপন করবেন। উপজেলা পরিষদকে সাচিবিক সহায়তা প্রদান করবেন।
একই বছরের সেপ্টেম্বরে উপজেলা পরিষদের (কার্যক্রম বাস্তবায়ন) বিধিমালায় সংশোধনী আনা হয়। সংশোধিত ১৪(১) উপবিধির ভাষ্য, দপ্তরগুলোর কর্মকর্তা, উপজেলা পরিষদের কাছে হস্তান্তরিত বিষয়ে সব কাগজপত্র ও নথি, ইউএনওর মাধ্যমে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে অনুমোদনের জন্য পেশ করবেন। তবে ওই প্রজ্ঞাপন ও সংশোধিত উপবিধির বাস্তবায়ন হচ্ছে না উল্লেখ করে রিট আবেদনকারীরা সম্পূরক আবেদন করেন, যার ওপর আজ মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) এই শুনানি হয়।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ ও হাসান এম এস আজিম আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন । রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
পরে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, উপজেলা পরিষদ আইনের মূল চেতনা হচ্ছে জনপ্রতিনিধিদের নেতৃত্বে পরিচালিত হবে উপজেলা পরিষদ। প্রশাসন এ কাজে সাচিবিক দায়িত্ব পালন করতে সহায়তা দেবে। উপজেলা পরিষদ আইন, উপজেলা পরিষদ (কার্যক্রম বাস্তবায়ন) বিধিমামলার (১৪৯১) উপবিধি ও ২০১০ সালের ১৭ জুনের প্রজ্ঞাপনে তা–ই বলা আছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে অধিকাংশ উপজেলা জনপ্রতিনিধিদের পাশ কাটিয়ে ইউএনও পরিষদের বেশির ভাগ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন, যা আইনপরিপন্থী, যে কারণে ওই উপবিধি ও প্রজ্ঞাপনের বাস্তবায়ন চেয়ে সম্পূরক আবেদন করা হলে হাইকোর্ট ওই আদেশ দেন।