লাগাতার ছাপা বন্ধ থাকায় ঢাকা থেকে প্রকাশিত ৯টি বাংলা দৈনিক এবং একটি ইংরেজি দৈনিক পত্রিকার ঘোষণাপত্র (ডিক্লারেশন) বাতিল করা হয়েছে। রংপুর থেকে চারটি দৈনিকসহ আটটি প্রত্রিকার প্রকাশনা নিষিদ্ধ।
ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের স্বাক্ষরে গত ৮ সেপ্টেম্বরে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে বলে মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সরকারের এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়।
ডিক্লারেশন বাতিল হওয়া পত্রিকা গুলো হলো- গণ আওয়াজ, দৈনিক জনসেবা, ঢাকা প্রকাশ, জাতির কণ্ঠ, কিষাণ, এই দেশ এই দিন, পূর্ব আলো, সময়ের পাতা ও রিপোর্টার এবং দি ফাইনান্সিয়াল ডেইলি। এসব পত্রিকা প্রকাশ বা প্রচারের অনুমতি এখন আর থাকল না।
তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, ১৯৭৩ সনের ছাপাখানা ও প্রকাশনা (ঘোষণা ও নিবন্ধন) আইনের ৯ (১) এর (৩) (ক) ধারা ভঙ্গ এবং পত্রিকাগুলোর প্রকাশক ও সম্পাদক চুক্তিপত্রের শর্ত না মানায় পত্রিকাগুলোর ঘোষণাপত্র বাতিল করা হয়েছে।
যেসব পত্রিকা নিয়মিত প্রকাশিত হয় না, সেগুলো বন্ধের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে যে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, সে কথা গত মাসের শেষে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদও বলেছিলেন।
২৪ অগাস্ট এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘এগুলো ভুতুড়ে পত্রিকা। এখানে নিয়োগকৃতদের বেতন দেয়া হয় না, এরা চাঁদাবাজিসহ নানা কিছুতে লিপ্ত হয় এবং সেই বদনামটা সাংবাদিক সমাজের ওপর বর্তায়, যা কখনোই সমীচীন নয়। এ জন্য আমরা ভুতুড়ে পত্রিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছি।’
ছাপানো সংবাদপত্রগুলো তাদের নথিপত্রে প্রচার সংখ্যার যে খতিয়ান দেয়, তার সঙ্গে ‘বাস্তবতার মিল খুঁজে পাওয়া যায় না’ বলেও এর আগে মন্তব্য করেছিলেন তিনি।
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে গতবছর ছাপনো পত্রিকাগুলোর প্রচার সংখ্যা তলানিতে নেমে যায়, বেশ কয়েকটি পত্রিকা ছাপানো বন্ধও রাখা হয়। এরপরেও অনেক পত্রিকা বিজ্ঞাপন পাওয়ার জন্য তাদের প্রচার সংখ্যা বেশি দেখিয়েছে বলে সে সময় তথ্য দিয়েছিলেন তিনি।
রংপুর থেকে ৮টি পত্রিকার প্রকাশনা নিষিদ্ধ
রংপুর বার্তা পরিবেশক জানান, দীর্ঘ দুই বছরের অধিক সময় ধরে বিভাগীয় নগরী রংপুর থেকে চারটি দৈনিক পত্রিকা প্রকাশনা বন্ধ থাকায় আইন অনুযায়ী ওই চারটি দৈনিক পত্রিকার প্রকাশনা নিষিদ্ধ করেছে জেলা প্রশাসন। রংপুর জেলা প্রশাসক আসিব আহসান প্রকাশনা নিষিদ্ধ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দৈনিক পত্রিকা চারটি হলোÑদৈনিক গণ-আলো, দৈনিক নতুন স্বপ্ন, দৈনিক বাহের সংবাদ এবং দৈনিক রংপুর চিত্র।
এ ছাড়াও চারটি সাপ্তাহিত পত্রিকার প্রকাশনাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে সাপ্তাহিত তুফান, সাপ্তাহিক কাউনিয়া, উত্তরের হালচাল এবং সাপ্তাহিক সমর্থন। এ ব্যাপারে রংপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের জে এম শাখার কর্মকর্তা মোস্তফা আহাম্মেদ জানান, ছাপাখানা ও প্রকাশনা (ঘোষণা ও নিবন্ধীকরণ) আইন-১৯৭৩’ অনুসারে নিষিদ্ধ পত্রিকাগুলো দীর্ঘ দিন ধরে সময় ধরে প্রকাশিত হয়নি।
এসব পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক পত্রিকার প্রকাশনা অব্যাহত না রাখার কারণ জানাতে ব্যর্থ হয়েছে। তাদের কাছে লিখিত চিঠি দেওয়ার পরেও তারা সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারায় আইনের ৯ ধারার (৩-ক) উপধারার বিধান মোতাবেক চারটি দৈনিক ও চারটি সাপ্তাহিক পত্রিকার ঘোষণাপত্র বাতিল করে পরবর্তী মুদ্রণ, বিতরণ ও প্রকাশনা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক আসিব আহসান জানান, পত্রিকাগুলোর দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিত প্রকাশিত হতো না। এ জন্য তাদের এর কারণ দর্শাতে নোটিস দেয়া হয় তারপরেও কোন সন্তোষজনক জবাব না পাওয়ায় প্রকাশনা পুরোপুরি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
লাগাতার ছাপা বন্ধ থাকায় ঢাকা থেকে প্রকাশিত ৯টি বাংলা দৈনিক এবং একটি ইংরেজি দৈনিক পত্রিকার ঘোষণাপত্র (ডিক্লারেশন) বাতিল করা হয়েছে। রংপুর থেকে চারটি দৈনিকসহ আটটি প্রত্রিকার প্রকাশনা নিষিদ্ধ।
ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের স্বাক্ষরে গত ৮ সেপ্টেম্বরে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে বলে মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সরকারের এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়।
ডিক্লারেশন বাতিল হওয়া পত্রিকা গুলো হলো- গণ আওয়াজ, দৈনিক জনসেবা, ঢাকা প্রকাশ, জাতির কণ্ঠ, কিষাণ, এই দেশ এই দিন, পূর্ব আলো, সময়ের পাতা ও রিপোর্টার এবং দি ফাইনান্সিয়াল ডেইলি। এসব পত্রিকা প্রকাশ বা প্রচারের অনুমতি এখন আর থাকল না।
তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, ১৯৭৩ সনের ছাপাখানা ও প্রকাশনা (ঘোষণা ও নিবন্ধন) আইনের ৯ (১) এর (৩) (ক) ধারা ভঙ্গ এবং পত্রিকাগুলোর প্রকাশক ও সম্পাদক চুক্তিপত্রের শর্ত না মানায় পত্রিকাগুলোর ঘোষণাপত্র বাতিল করা হয়েছে।
যেসব পত্রিকা নিয়মিত প্রকাশিত হয় না, সেগুলো বন্ধের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে যে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, সে কথা গত মাসের শেষে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদও বলেছিলেন।
২৪ অগাস্ট এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘এগুলো ভুতুড়ে পত্রিকা। এখানে নিয়োগকৃতদের বেতন দেয়া হয় না, এরা চাঁদাবাজিসহ নানা কিছুতে লিপ্ত হয় এবং সেই বদনামটা সাংবাদিক সমাজের ওপর বর্তায়, যা কখনোই সমীচীন নয়। এ জন্য আমরা ভুতুড়ে পত্রিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছি।’
ছাপানো সংবাদপত্রগুলো তাদের নথিপত্রে প্রচার সংখ্যার যে খতিয়ান দেয়, তার সঙ্গে ‘বাস্তবতার মিল খুঁজে পাওয়া যায় না’ বলেও এর আগে মন্তব্য করেছিলেন তিনি।
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে গতবছর ছাপনো পত্রিকাগুলোর প্রচার সংখ্যা তলানিতে নেমে যায়, বেশ কয়েকটি পত্রিকা ছাপানো বন্ধও রাখা হয়। এরপরেও অনেক পত্রিকা বিজ্ঞাপন পাওয়ার জন্য তাদের প্রচার সংখ্যা বেশি দেখিয়েছে বলে সে সময় তথ্য দিয়েছিলেন তিনি।
রংপুর থেকে ৮টি পত্রিকার প্রকাশনা নিষিদ্ধ
রংপুর বার্তা পরিবেশক জানান, দীর্ঘ দুই বছরের অধিক সময় ধরে বিভাগীয় নগরী রংপুর থেকে চারটি দৈনিক পত্রিকা প্রকাশনা বন্ধ থাকায় আইন অনুযায়ী ওই চারটি দৈনিক পত্রিকার প্রকাশনা নিষিদ্ধ করেছে জেলা প্রশাসন। রংপুর জেলা প্রশাসক আসিব আহসান প্রকাশনা নিষিদ্ধ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দৈনিক পত্রিকা চারটি হলোÑদৈনিক গণ-আলো, দৈনিক নতুন স্বপ্ন, দৈনিক বাহের সংবাদ এবং দৈনিক রংপুর চিত্র।
এ ছাড়াও চারটি সাপ্তাহিত পত্রিকার প্রকাশনাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে সাপ্তাহিত তুফান, সাপ্তাহিক কাউনিয়া, উত্তরের হালচাল এবং সাপ্তাহিক সমর্থন। এ ব্যাপারে রংপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের জে এম শাখার কর্মকর্তা মোস্তফা আহাম্মেদ জানান, ছাপাখানা ও প্রকাশনা (ঘোষণা ও নিবন্ধীকরণ) আইন-১৯৭৩’ অনুসারে নিষিদ্ধ পত্রিকাগুলো দীর্ঘ দিন ধরে সময় ধরে প্রকাশিত হয়নি।
এসব পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক পত্রিকার প্রকাশনা অব্যাহত না রাখার কারণ জানাতে ব্যর্থ হয়েছে। তাদের কাছে লিখিত চিঠি দেওয়ার পরেও তারা সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারায় আইনের ৯ ধারার (৩-ক) উপধারার বিধান মোতাবেক চারটি দৈনিক ও চারটি সাপ্তাহিক পত্রিকার ঘোষণাপত্র বাতিল করে পরবর্তী মুদ্রণ, বিতরণ ও প্রকাশনা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক আসিব আহসান জানান, পত্রিকাগুলোর দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিত প্রকাশিত হতো না। এ জন্য তাদের এর কারণ দর্শাতে নোটিস দেয়া হয় তারপরেও কোন সন্তোষজনক জবাব না পাওয়ায় প্রকাশনা পুরোপুরি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।