বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য উদ্ভব হয় ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়। পরবর্তীতে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলের মাধ্যমে আরও ভাইরাসের অনুপ্রবেশ ঘটে। এ ছাড়াও সার্স-কোভ-২ জিনগত বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত বছর ২৩ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ ঢাকার বাইরে যাতায়াতই মূলত দেশব্যাপী করোনাভাইরাস বিস্তারের প্রাথমিক কারণ। প্রাথমিকভাবে গত বছরের মার্চ থেকে জুলাই মাসে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সংগৃহীত ৩৯১টি করোনাভাইরাসের জিনোম বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
আইসিডিডিআরবি, আইইডিসিআর, আইদেশি, বাংলাদেশ সরকারের এটুআই প্রোগাম, যুক্তরাজ্যভিত্তিক স্যাঙ্গার জিনোমিক ইনস্টিটিউট, হার্ভার্ড স্কুল অব পাবলিক হেলথ এবং ইউনিভার্সিটি অব বাথের বিজ্ঞানীদের যৌথ উদোগে ২০২০ সালের মার্চ মাসে এ গবেষণাটি শুরু করা হয়।
বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। এই ভাইরাসের বিস্তার রোধে বাংলাদেশ সরকার গত বছর মার্চ মাসের ২৩ তারিখে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত দেশব্যাপী সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেন। সরকারের এটুআই প্রোগাম (একসেস টু ইনফরমেশন) থেকে সংগৃহীত ফেইসবুক এবং মোবাইল ফোন অপারেটরদের তথ্য অনুযায়ী এই অন্তর্বর্তীকালীন ২৩ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ তারিখের মধ্যে জনসাধারণের ঢাকা ত্যাগ করার ডাটার সঙ্গে সার্স-কোভ-২ জিনগত বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছেন, যে মার্চ ২৩ থেকে ২৬ তারিখের মধ্যে ঢাকা থেকে যাতায়াতই মূলত দেশব্যাপী করোনাভাইরাস বিস্তারের প্রাথমিক কারণ।
পরবর্তীতে চলতি বছরের গত এপ্রিলে কনসোর্টিয়াম নভেম্বর-২০২০ থেকে এপ্রিল-২০২১-এর মধ্যে সংগৃহীত আরও ৮৫টি সার্স কোভ-২ নমুনা সংগ্রহ করে। এর মধ্যে ৩০টি ছিল লিনিয়েজ বি.১.১.২৫ (৩৫%), ১৩টি ছিল আলফা ভ্যারিয়েন্ট, ৪০টি ছিল বিটা ভ্যারিয়েন্ট, একটি ছিল লিনিয়েজ বি.১.১.৩১৫ এবং একটি ছিল লিনিয়েজ বি.১.৫২৫।
প্রথম ঢেউয়ে করোনাভাইরাসের বিস্তারের কারণ গুলোর ওপর ভিত্তি করে ভাইরাসের বিস্তার রোধে বাংলাদেশ সরকার সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। যেমন এক জেলা থেকে অন্য জেলায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ।
আইইডিসিআরবির পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন বলেন, গবেষণার এই কনসোর্টিয়াম বিভিন্ন সময়ে নীতি নির্ধারকদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছে। এর মধ্যে রয়েছে, সীমান্তবর্তী এলাকায় জনসাধারণের চলাচল নিষিদ্ধ করা, পরিবহন এবং যানবাহন চলাচলে সীমাবদ্ধতা আনা, বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন এবং যেসব দেশে উদ্বেগজনক ভেরিয়েন্ট ছিল সেখান থেকে আগত ভ্রমণকারীদের সাধারণ মানুষের থেকে আলাদা রাখা, ময়মতো লকডাউন সিদ্ধান্ত ও দরকার হলে (প্রয়োজনবোধে) আন্তর্জাতিক চলাচল সীমাবদ্ধ করা। এই কনসোটিয়াম গত বছর মার্চ মাস থেকে একত্রে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এই কাজ চলমান থাকবে। এর মাধ্যমে আমরা আমাদের নীতিনির্ধারকদের জন্য কোভি-১৯ এর বিস্তার ঠেকাতে প্রয়োজনীয় প্রমাণভিত্তিক তথ্য সরবরাহ করতে পারব।
হার্ভার্ড স্কুল অব হেলথ এ অধ্যাপক ক্যারোলিন বাকি বলেছেন, মবিলিটি ডাটা, প্রথাগত সার্ভেলেন্স সিস্টেমের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ। এ গবেষণায় দেখানো হয়েছে, এ ধরনের একটি মিলিত বিশ্লেষণধর্মী গবেষণা থেকে প্রাপ্ত তথ্যাদি একটি দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে কতটা মূল্যবান ভূমিকা রাখতে পারে। যা অন্য কোন উপায়ে অর্জন করা কঠিন। এই ধরনের গবেষণা শুধুমাত্র চলমান করোনাভাইরাস মহামারীর ক্ষেত্রেই নয়, ভবিষ্যতে যেকোন মহামারী প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।
আইসিডিডিআর,বির জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী এবং গবেষণার নেতৃত্বদানকারী ডক্টর ফেরদৌসী কাদরী বলেন, অনেক প্রতিকূলতা ও লকডাউনে সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও সহকর্মীদের নিরলস প্রচেষ্টা ও আন্তর্জাতিক কলোবোরেটরদের সহযোগিতায় সব প্রতিকূল অবস্থা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে। তাদের দায়িত্ব এই গবেষণায়ই সীমাবদ্ধ নয়, পুরো পৃথবী জুড়েই বিভিন্ন দেশে কয়েক মাস পর মিউটেশনের মাধ্যমে নতুন ভ্যারিয়েন্ট তৈরি হচ্ছে। এরই মধ্যে কিছু ভ্যারিয়েন্টের ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সরকার চেষ্টা করছেন দেশের সব মানুষকে টিকার আওতায় নিয়ে আসার। টিকার কার্যকারিতা বোঝার জন্য এই ধরনের কাজ অব্যাহত রেখে সরকারকে সময়মতো সঠিক তথ্য দিয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করতে হবে।
এ গবেষণাটির লেখক ডক্টর লরেন কাউলি বলেন, জেনোমিক এবং মবিলিটি ঢাকা থেকে বিভিন্ন ডাটা স্ট্রিম একত্রিত করে কীভাবে করোনাভাইরাস বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়েছিল তা বিশ্লেষণ করতে সক্ষম হয়েছিল। এই গবেষণাটিতে মহামারী প্রতিরোধে জিনোম সিকোয়েসিংয়ের কার্যকারিতা দেখানো হয়েছি, যা ভবিষ্যতে অন্যান্য মহামারীর ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করা সম্ভব হবে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক ওয়েলকাম স্যাঙ্গার ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক নিকলোস থমসন বলেন, আমরা বহু বছর ধরেই বিভিন্ন সংক্রমণ রোগের ওপর একসঙ্গে কাজ করছি। বিজ্ঞানীরা যথন জনস্বাস্থ্য পেশাজীবীদের সঙ্গে যৌথভাবে একটি লক্ষ্য সামনে রেখে কাজ করেন, তখন কতটাই সাফল্য অর্জন করা যায় এ গবেষণাপত্রটি তার একটি বাস্তব উদারহরণ।
উল্লেখ্য কোভিড-১৯ সংক্রমণ ঠেকাতে প্রমাণভিত্তিক সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ। সার্স-কোভ-২ বা নতুন করোনাভাইরাসের জিনগত বৈশিষ্ট্য এবং মানুষের গতিবিধির বিশ্লেষণ কোভিড-১৯ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় জ্ঞান দেয়।
সম্প্রতি রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর), আইসিডিডিআরবি, আইদেশিসহ দেশি-বিদেশি একাধিক প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞরা মিলে একটি জিনোমিক কনসোর্টিয়ামের আওতায় বাংলাদেশে করোনভাইরাসের প্রবেশ, দেশব্যাপী বিস্তৃতি এবং করোনাভাইরাস বিস্তার প্রতিরোধে বিভিন্ন সময়ে লকডাউন এবং জনসাধারণের গতিবিধির ভূমিকার ওপর ভিত্তি করে বিশ্লেষণধর্মী একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন। গবেষণাপত্রটি সম্প্রতি স্বনামধন্য নেচার সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়। গবেষণাটি বাংলাদেশের প্রথম করোনা ভাইরাসের উদ্ভব। দেশব্যাপী করোনাভাইরাসের বিস্তার লকউডাউনের পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী সময়ে জনসাধারণের চলাচলের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য উদ্ভব হয় ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়। পরবর্তীতে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলের মাধ্যমে আরও ভাইরাসের অনুপ্রবেশ ঘটে। এ ছাড়াও সার্স-কোভ-২ জিনগত বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত বছর ২৩ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ ঢাকার বাইরে যাতায়াতই মূলত দেশব্যাপী করোনাভাইরাস বিস্তারের প্রাথমিক কারণ। প্রাথমিকভাবে গত বছরের মার্চ থেকে জুলাই মাসে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সংগৃহীত ৩৯১টি করোনাভাইরাসের জিনোম বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
আইসিডিডিআরবি, আইইডিসিআর, আইদেশি, বাংলাদেশ সরকারের এটুআই প্রোগাম, যুক্তরাজ্যভিত্তিক স্যাঙ্গার জিনোমিক ইনস্টিটিউট, হার্ভার্ড স্কুল অব পাবলিক হেলথ এবং ইউনিভার্সিটি অব বাথের বিজ্ঞানীদের যৌথ উদোগে ২০২০ সালের মার্চ মাসে এ গবেষণাটি শুরু করা হয়।
বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। এই ভাইরাসের বিস্তার রোধে বাংলাদেশ সরকার গত বছর মার্চ মাসের ২৩ তারিখে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত দেশব্যাপী সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেন। সরকারের এটুআই প্রোগাম (একসেস টু ইনফরমেশন) থেকে সংগৃহীত ফেইসবুক এবং মোবাইল ফোন অপারেটরদের তথ্য অনুযায়ী এই অন্তর্বর্তীকালীন ২৩ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ তারিখের মধ্যে জনসাধারণের ঢাকা ত্যাগ করার ডাটার সঙ্গে সার্স-কোভ-২ জিনগত বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছেন, যে মার্চ ২৩ থেকে ২৬ তারিখের মধ্যে ঢাকা থেকে যাতায়াতই মূলত দেশব্যাপী করোনাভাইরাস বিস্তারের প্রাথমিক কারণ।
পরবর্তীতে চলতি বছরের গত এপ্রিলে কনসোর্টিয়াম নভেম্বর-২০২০ থেকে এপ্রিল-২০২১-এর মধ্যে সংগৃহীত আরও ৮৫টি সার্স কোভ-২ নমুনা সংগ্রহ করে। এর মধ্যে ৩০টি ছিল লিনিয়েজ বি.১.১.২৫ (৩৫%), ১৩টি ছিল আলফা ভ্যারিয়েন্ট, ৪০টি ছিল বিটা ভ্যারিয়েন্ট, একটি ছিল লিনিয়েজ বি.১.১.৩১৫ এবং একটি ছিল লিনিয়েজ বি.১.৫২৫।
প্রথম ঢেউয়ে করোনাভাইরাসের বিস্তারের কারণ গুলোর ওপর ভিত্তি করে ভাইরাসের বিস্তার রোধে বাংলাদেশ সরকার সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। যেমন এক জেলা থেকে অন্য জেলায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ।
আইইডিসিআরবির পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন বলেন, গবেষণার এই কনসোর্টিয়াম বিভিন্ন সময়ে নীতি নির্ধারকদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছে। এর মধ্যে রয়েছে, সীমান্তবর্তী এলাকায় জনসাধারণের চলাচল নিষিদ্ধ করা, পরিবহন এবং যানবাহন চলাচলে সীমাবদ্ধতা আনা, বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন এবং যেসব দেশে উদ্বেগজনক ভেরিয়েন্ট ছিল সেখান থেকে আগত ভ্রমণকারীদের সাধারণ মানুষের থেকে আলাদা রাখা, ময়মতো লকডাউন সিদ্ধান্ত ও দরকার হলে (প্রয়োজনবোধে) আন্তর্জাতিক চলাচল সীমাবদ্ধ করা। এই কনসোটিয়াম গত বছর মার্চ মাস থেকে একত্রে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এই কাজ চলমান থাকবে। এর মাধ্যমে আমরা আমাদের নীতিনির্ধারকদের জন্য কোভি-১৯ এর বিস্তার ঠেকাতে প্রয়োজনীয় প্রমাণভিত্তিক তথ্য সরবরাহ করতে পারব।
হার্ভার্ড স্কুল অব হেলথ এ অধ্যাপক ক্যারোলিন বাকি বলেছেন, মবিলিটি ডাটা, প্রথাগত সার্ভেলেন্স সিস্টেমের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ। এ গবেষণায় দেখানো হয়েছে, এ ধরনের একটি মিলিত বিশ্লেষণধর্মী গবেষণা থেকে প্রাপ্ত তথ্যাদি একটি দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে কতটা মূল্যবান ভূমিকা রাখতে পারে। যা অন্য কোন উপায়ে অর্জন করা কঠিন। এই ধরনের গবেষণা শুধুমাত্র চলমান করোনাভাইরাস মহামারীর ক্ষেত্রেই নয়, ভবিষ্যতে যেকোন মহামারী প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।
আইসিডিডিআর,বির জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী এবং গবেষণার নেতৃত্বদানকারী ডক্টর ফেরদৌসী কাদরী বলেন, অনেক প্রতিকূলতা ও লকডাউনে সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও সহকর্মীদের নিরলস প্রচেষ্টা ও আন্তর্জাতিক কলোবোরেটরদের সহযোগিতায় সব প্রতিকূল অবস্থা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে। তাদের দায়িত্ব এই গবেষণায়ই সীমাবদ্ধ নয়, পুরো পৃথবী জুড়েই বিভিন্ন দেশে কয়েক মাস পর মিউটেশনের মাধ্যমে নতুন ভ্যারিয়েন্ট তৈরি হচ্ছে। এরই মধ্যে কিছু ভ্যারিয়েন্টের ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সরকার চেষ্টা করছেন দেশের সব মানুষকে টিকার আওতায় নিয়ে আসার। টিকার কার্যকারিতা বোঝার জন্য এই ধরনের কাজ অব্যাহত রেখে সরকারকে সময়মতো সঠিক তথ্য দিয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করতে হবে।
এ গবেষণাটির লেখক ডক্টর লরেন কাউলি বলেন, জেনোমিক এবং মবিলিটি ঢাকা থেকে বিভিন্ন ডাটা স্ট্রিম একত্রিত করে কীভাবে করোনাভাইরাস বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়েছিল তা বিশ্লেষণ করতে সক্ষম হয়েছিল। এই গবেষণাটিতে মহামারী প্রতিরোধে জিনোম সিকোয়েসিংয়ের কার্যকারিতা দেখানো হয়েছি, যা ভবিষ্যতে অন্যান্য মহামারীর ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করা সম্ভব হবে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক ওয়েলকাম স্যাঙ্গার ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক নিকলোস থমসন বলেন, আমরা বহু বছর ধরেই বিভিন্ন সংক্রমণ রোগের ওপর একসঙ্গে কাজ করছি। বিজ্ঞানীরা যথন জনস্বাস্থ্য পেশাজীবীদের সঙ্গে যৌথভাবে একটি লক্ষ্য সামনে রেখে কাজ করেন, তখন কতটাই সাফল্য অর্জন করা যায় এ গবেষণাপত্রটি তার একটি বাস্তব উদারহরণ।
উল্লেখ্য কোভিড-১৯ সংক্রমণ ঠেকাতে প্রমাণভিত্তিক সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ। সার্স-কোভ-২ বা নতুন করোনাভাইরাসের জিনগত বৈশিষ্ট্য এবং মানুষের গতিবিধির বিশ্লেষণ কোভিড-১৯ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় জ্ঞান দেয়।
সম্প্রতি রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর), আইসিডিডিআরবি, আইদেশিসহ দেশি-বিদেশি একাধিক প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞরা মিলে একটি জিনোমিক কনসোর্টিয়ামের আওতায় বাংলাদেশে করোনভাইরাসের প্রবেশ, দেশব্যাপী বিস্তৃতি এবং করোনাভাইরাস বিস্তার প্রতিরোধে বিভিন্ন সময়ে লকডাউন এবং জনসাধারণের গতিবিধির ভূমিকার ওপর ভিত্তি করে বিশ্লেষণধর্মী একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন। গবেষণাপত্রটি সম্প্রতি স্বনামধন্য নেচার সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়। গবেষণাটি বাংলাদেশের প্রথম করোনা ভাইরাসের উদ্ভব। দেশব্যাপী করোনাভাইরাসের বিস্তার লকউডাউনের পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী সময়ে জনসাধারণের চলাচলের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।