জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুতের ঘাটতি মেটাতে ‘নির্ঝঞ্ঝাট’ রেন্টাল (ভাড়াভিত্তিক), কুইক রেন্টাল (দ্রুত ভাড়াভিত্তিক) বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে প্রায় ১১ বছর আগে করা বিদ্যুৎ-জ্বালানির বিশেষ আইনের মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বাড়াতে সংসদে বিল উত্থাপন করা হয়েছে। বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ-সংক্রান্ত ‘বিদ্যুৎ ও জ্বলানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) বিল-২০২১’ সংসদে উত্থাপন করেন।
বিদ্যমান আইনে ক্রয় প্রক্রিয়ার প্রচলিত পদ্ধতির বাইরে বিশেষ বিধানে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিশেষ কমিটির মাধ্যমে আলোচনা করে চুক্তি সম্পাদনের সুযোগ রয়েছে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ি, এ আইনের আওতায় সরকার ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতের ৬৫টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে।
বিদ্যমান আইনে দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতের বিশেষ বিধান, বিশেষ করে দায়মুক্তির বিধানের মেয়াদ চলতি বছরের অক্টোবরে শেষ হয়ে যাবে। উত্থাপিত বিলে এ মেয়াদ আরও ৫ বছর বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সংসদে রিপোর্ট প্রদানের জন্য বিলটি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে প্রেরণ করা হয়েছে।
২০০৯ সালের আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিদ্যুৎ সংকট দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি ভাড়া ও দ্রুত ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমোদন দেয়া হয়। এসব ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রকে বৈধতা দিতে ২০১০ সালে প্রণয়ন করা হয় ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন’।
শুরুতে দুই বছরের জন্য এ আইন করা হলেও পরে কয়েক দফায় সময় বাড়ানো হয়। ২০১০ সালে প্রণীত আইনটির মেয়াদ সর্বশেষ তিন বছর বাড়িয়ে ২০২১ সাল পর্যন্ত করা হয়েছিল। সেই মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বাড়ানোর প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর সংসদের সম্মতি নেয়ার জন্য বুধবার বিলটি তোলা হলো।
সরকারের দাবি, তাৎক্ষণিক পরিকল্পনায় তিন বছর, পাঁচ বছর ও ১৬ বছর মেয়াদি এসব রেন্টাল ও কুইকরেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র চালুর ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন দ্রুত বেড়ে অর্থনৈতিক কর্মকা- গতিশীল হয়েছে। তবে এসব কেন্দ্র থেকে উচ্চমূল্যে বিদ্যুৎ কিনতে সরকারকে অনেক টাকা ভর্তুকি দিতে হয়, যা আসে করদাতাদের পকেট থেকে। ফলে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনাও রয়েছে।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আইনের মেয়াদ বাড়ানোর পর ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে ‘স্ট্যান্ডবাই’ হিসেবে রাখা হবে। তবে মেয়াদ বাড়ার পর এই বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো থেকে কীভাবে বিদ্যুৎ কেনা হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ অবশ্য বলেছেন, ‘এই কেন্দ্রগুলো থেকে বিদ্যুৎ কিনলে টাকা দেয়া হবে, না কিনলে দেয়া হবে না, এভাবেই চলবে।’
বিলটি সংশোধনের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সংসদে বলেন, ‘নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালা-২০০৮ অনুযায়ী নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎস হতে দেশের মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের ১০ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করার লক্ষ্যে এ খাতে দ্রুত অধিক সংখ্যক প্রকল্প গ্রহণ করা প্রয়োজন।’ তিনি আরও বলেন, ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, ২০৩০ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের চলমান অবকাঠামোগত উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখা অপরিহার্য।’
বুধবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুতের ঘাটতি মেটাতে ‘নির্ঝঞ্ঝাট’ রেন্টাল (ভাড়াভিত্তিক), কুইক রেন্টাল (দ্রুত ভাড়াভিত্তিক) বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে প্রায় ১১ বছর আগে করা বিদ্যুৎ-জ্বালানির বিশেষ আইনের মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বাড়াতে সংসদে বিল উত্থাপন করা হয়েছে। বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ-সংক্রান্ত ‘বিদ্যুৎ ও জ্বলানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) বিল-২০২১’ সংসদে উত্থাপন করেন।
বিদ্যমান আইনে ক্রয় প্রক্রিয়ার প্রচলিত পদ্ধতির বাইরে বিশেষ বিধানে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিশেষ কমিটির মাধ্যমে আলোচনা করে চুক্তি সম্পাদনের সুযোগ রয়েছে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ি, এ আইনের আওতায় সরকার ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতের ৬৫টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে।
বিদ্যমান আইনে দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতের বিশেষ বিধান, বিশেষ করে দায়মুক্তির বিধানের মেয়াদ চলতি বছরের অক্টোবরে শেষ হয়ে যাবে। উত্থাপিত বিলে এ মেয়াদ আরও ৫ বছর বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সংসদে রিপোর্ট প্রদানের জন্য বিলটি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে প্রেরণ করা হয়েছে।
২০০৯ সালের আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিদ্যুৎ সংকট দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি ভাড়া ও দ্রুত ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমোদন দেয়া হয়। এসব ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রকে বৈধতা দিতে ২০১০ সালে প্রণয়ন করা হয় ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন’।
শুরুতে দুই বছরের জন্য এ আইন করা হলেও পরে কয়েক দফায় সময় বাড়ানো হয়। ২০১০ সালে প্রণীত আইনটির মেয়াদ সর্বশেষ তিন বছর বাড়িয়ে ২০২১ সাল পর্যন্ত করা হয়েছিল। সেই মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বাড়ানোর প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর সংসদের সম্মতি নেয়ার জন্য বুধবার বিলটি তোলা হলো।
সরকারের দাবি, তাৎক্ষণিক পরিকল্পনায় তিন বছর, পাঁচ বছর ও ১৬ বছর মেয়াদি এসব রেন্টাল ও কুইকরেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র চালুর ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন দ্রুত বেড়ে অর্থনৈতিক কর্মকা- গতিশীল হয়েছে। তবে এসব কেন্দ্র থেকে উচ্চমূল্যে বিদ্যুৎ কিনতে সরকারকে অনেক টাকা ভর্তুকি দিতে হয়, যা আসে করদাতাদের পকেট থেকে। ফলে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনাও রয়েছে।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আইনের মেয়াদ বাড়ানোর পর ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে ‘স্ট্যান্ডবাই’ হিসেবে রাখা হবে। তবে মেয়াদ বাড়ার পর এই বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো থেকে কীভাবে বিদ্যুৎ কেনা হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ অবশ্য বলেছেন, ‘এই কেন্দ্রগুলো থেকে বিদ্যুৎ কিনলে টাকা দেয়া হবে, না কিনলে দেয়া হবে না, এভাবেই চলবে।’
বিলটি সংশোধনের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সংসদে বলেন, ‘নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালা-২০০৮ অনুযায়ী নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎস হতে দেশের মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের ১০ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করার লক্ষ্যে এ খাতে দ্রুত অধিক সংখ্যক প্রকল্প গ্রহণ করা প্রয়োজন।’ তিনি আরও বলেন, ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, ২০৩০ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের চলমান অবকাঠামোগত উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখা অপরিহার্য।’