বরগুনায় বাল্যবিয়ের জরিপ নিয়ে তোলপাড়
বরগুনার একটি উপজেলায় ‘‘করোনায় তালতলীতে দেড় হাজার বাল্যবিয়ে সম্পন্ন’’ জরিপ প্রতিবেদন নিয়ে বরগুনায় তোলপাড় চলছে। বিভিন্ন সভা সমাবেশে ফলাফলকে তুলোধুনা করে পাল্টা জরিপের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ২৫ সেস্টেম্বর বরগুনা প্রেসক্লাবে এয়াজিত এক সভায় বাল্যবিযের জরিপ নিয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য রাখা হয়। বলাহয় প্রতিবেদনটি যথাযথ নয় এলাকার মানুষকে হেয় করার জন্য প্রণিত।স্থানীয় উন্নয়ন সংস্থা জাগোনারীর সহায়তায় সম্প্রতি জরিপটি প্রকাশ করেছে উন্নয়ন সংগঠন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন।
বরগুনা প্রেসক্লাবের সভাপতি জহিরুল হাসান বাদশার সভাপতিত্বে জেন্ডার বেইজ ভায়োলেন্স নেটওয়ার্ক আয়োজিত সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মেহেরুন্নাহার মুন্নি,পেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হাফিজ,সিবিডিপির নির্বাহি পরিচালক জাকির হোসেন মিরাজ,লোকবেতারের পরিচালক মনির হোসেন কামাল,এন্িও ফোরামের সহসভাপতি মো: শামসুদ্দিন খানসহ এলাকার উন্নয়ন সংগঠন ফারিয়া লারা ফাউন্ডেশন,এন এস এস,ডোক্যাপ,আরডিএফ,সংকল্প,সংগ্রাম,সিয়াম,অন্বেশা সি আই পি আর বি জাগোনারীসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সংগঠনের প্রতিনিধিগণ।
সভাটির সমন্বয় করে উন্নয়ন সংগঠন শুশিলন বরগুনা আঞ্চলিক অফিস। সভার শুরুতেই এলাকায় নারীর প্রতি সহিংসতা নিয়ে বক্তব্য উঠলে বক্তারা দৈনিক ইনকিলাবসহ বেশ কযেকটি জাতীয় পত্রিকায় মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন প্রণিত একটি জরিপ প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখলে বিতর্কের সুত্রপাত হয়। সভায় মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মেহেরুন্নাহার মুন বলেন,বরগুনার তালতলী উপজেলার উপর জরিপ করে মাত্র ৭ মাসে ১৫২০টি বাল্যবিয়ের প্রতিবেদন করা হলেও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন প্রয়োজনীয় তথ্য দেখাতে পানেননি। জেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের নির্দেশে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনে ব্যাখ্যা দাবি করে ২৬ আগষ্ট ২০২১ চিঠিদেয়া হলে ০৮,০৯,২১ তারিখ মানুষেরজন্য ফাউন্ডেশন ফেরৎ চিঠির মাধ্যমে দাবী মোতাবেক ব্যাখ্যা দিতে না পেরে দু:খ প্রকাশ করেছে বলে জানান। তিনি বলেন,করোনাকালে সারা দেশেই স্কুল কলেজ কলকারখানা বন্ধ থাকায় বাল্যবিয়ে এবং নারীর প্রতি সহিংসতা বেড়েছে কিন্তু মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন বরগুনাকে হাইলাইট করে দেয়া প্রতিবেদন যথাযথ ছিলনা। তালতলীতে যাদের বাল্যবিয়ে হয়েছে বলা হয়েছে তাদের কোন তথ্য নেই। তথ্য থাকলে বাল্যবিয়ের শিকারদের সহযোগিতা করা যেত।প্রেসক্লাবের সভাপতি জহিরুল হাসান বাদশা বলেন,নারীর প্রতি সহিংসতা নিয়ে এলায়ায় কাজ করে প্লান বাংলাদেশ,সুশিলন,ফারিয়ালারা ফাউন্ডেশন, এন এস এস,ব্র্যাক,সংগ্রাম।এমনকি মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন। এ সকল কাজের সমন্বয় করে সংশ্লিস্ট সরকারী প্রতিষ্ঠান সমূহ। যে উপজেলার জরিপ প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে সে উপজেলায় ১৫শ বাল্যবিয়ের যোগ্য মেয়ে আছে কিনা সন্দেহ। সেখানে ১৫শ বাল্যবিযের তথ্য সন্দেহ জনক মনে হয়। জরিপের সঠিক সূত্র তথ্য প্রকাশ করা উচিৎ ছিল।প্রতিবেদনের সমালোচনা করে আরো বক্তব্য রাখেন এন এস এস এর প্রতিনিধি মো: জাকির হোসেন,এনজিও ফোরামের সহ সভাপতি মো: শামসুদ্দিন খান ।পক্ষান্তরে ফারিয়া লারা ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি বলেন,দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে জরিপ প্রতিবেদন তৈরী করেছে স্থানীয় উন্নয়ন সংগঠন জাগোনারী।তারা দ্রুত একটা প্রতিবেদন তৈরী করে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনকে পাঠায়। ইচ্ছা ছিল বাল্রবিয়ের শিকার মেয়েদের সহযোগিতা। এ বিষয় পাল্টা পাল্টি বক্তব্যব্যের পর সঠিক জরিপের জন্য দুটি কমিটি গঠিত হয়।একটি কমিটি উন্নয়ন সংগঠন ডোক্যাপ,এনএসএস,আরডিএফ ও সি আই পি আরবির প্রতিনিধি নিয়ে তালতলী উপজেলায় অন্যটি উন্নয়ন সংগঠন সংকল্প,সংগ্রাম ও সুশিলনের প্রতিনিধি নিয়ে পাথরঘাটায়। ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জনা দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
এদিকে বিভিন্ন পত্রিকায় বরগুনায় বাল্যবিযে নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল সংগঠিত মাল্টিপার্টি এডভোকেসি ফোরাম। আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর এ বিষয় একটি গুরুত্বপূর্ন সভা আয়োজন করা হয়েছে বরগুনা আরডিএফ মিলনায়তনে। সেখানে জেলা প্রশাসক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। তাছাড়া সম্প্রতি জেলা শিক্ষা নেটওয়ার্ক এর সভায় বরগুনায় নারীর প্রতি সহিংসতা ও বাল্যবিয়ে পরিস্থিতি নিযে এক সভা করেছে বরগুনা প্রেস ক্লাবে। তারা বরগুনা সদর উপজেলার নলটোনা ইউনিয়নে বাল্যবিযে পরিস্থিতি নিয়ে জরিপ করবে।অন্যদিকে বরগুনার ন্যাশনাল চিলড্রেন টাস্ক ফোর্স( এনসিটিএফ) বাল্যবিয়ে বন্ধের দাবিতে নলটোনা ইউনিয়ন পরিষদের এক সশাবেশ করে চেয়ারম্যান মহোদকে স্মারকলিপি প্রদান করেছে।
সম্প্রতি বাল্যবিয়ে সংক্রান্ত জরিপ প্রতিবেদনের সংবাদ
বরগুনার তালতলীতে ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সাত মাসে বাল্যবিয়ের ঘটনা ঘটেছে ১ হাজার ৫শ ১২ টি। টানা দেড় বছর ধরে করোনার মহামারীজনিত কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অপরিণত বয়সে বিয়ের ঘটনা ঘটছে অহরহ। দারিদ্র পীড়িত এ জনপদে কন্যা সন্তানকে বোঝা হিসেবেই এখনো দেখেন অভিভাবকরা।
উপজেলায় নারী ও শিশু নিয়ে কর্মরত বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা জাগোনারীর তথ্যানুযায়ী সাত মাসে এ উপজেলার ৪ টি ইউনিয়নের ১ হাজার ৫শ ১২টি বাল্যবিয়ে সংগঠিত হয়েছে। বাল্যবিবাহের হার অনুযায়ী যথাক্রমে এক নম্বরে আছে নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন বাল্যবিয়ে ৪৭০টি, দ্বিতীয় অবস্থানে আছে বড়বগী ইউনিয়ন সেখানে বাল্যবিবাহ সংঘটিত হয়েছে ৪৬৪ টি, তৃতীয় অবস্থান সোনাকাটা ইউনিয়ন ,বাল্যবিয়ে ৩৪৪ টি এবং চতুর্থ স্থানে ছোটবগী ইউনিয়নে ২৩৪টি বাল্য বিয়ে সংগঠিত হয়েছে।
উন্নয়ন সংগঠন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সহায়তায় জাগোনারীর ডোর টু ডোর জরিপে ৪ টি ইউনিয়নে ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সাত মাসের জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। ফলে এ উপজেলার বাল্যবিয়ের হার বাস্তবতার আলোকে আরও অনেক বেশি বলে আশংকা করছেন অনেকেই।
তবে প্রতিবেদনে উল্লেখ তালতলীর নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দুলাল ফরাজি সহ বেশ কয়েকজন মোবাইলে জানান,তাদের ইউনিয়নে বাল্যবিয়ে সংক্রান্ত জাগোনারীর প্রতিবেন ভূয়া। বিযের মত এত মেয়ে তার ইউনিয়নে নেই।
বরগুনায় বাল্যবিয়ের জরিপ নিয়ে তোলপাড়
রোববার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
বরগুনার একটি উপজেলায় ‘‘করোনায় তালতলীতে দেড় হাজার বাল্যবিয়ে সম্পন্ন’’ জরিপ প্রতিবেদন নিয়ে বরগুনায় তোলপাড় চলছে। বিভিন্ন সভা সমাবেশে ফলাফলকে তুলোধুনা করে পাল্টা জরিপের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ২৫ সেস্টেম্বর বরগুনা প্রেসক্লাবে এয়াজিত এক সভায় বাল্যবিযের জরিপ নিয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য রাখা হয়। বলাহয় প্রতিবেদনটি যথাযথ নয় এলাকার মানুষকে হেয় করার জন্য প্রণিত।স্থানীয় উন্নয়ন সংস্থা জাগোনারীর সহায়তায় সম্প্রতি জরিপটি প্রকাশ করেছে উন্নয়ন সংগঠন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন।
বরগুনা প্রেসক্লাবের সভাপতি জহিরুল হাসান বাদশার সভাপতিত্বে জেন্ডার বেইজ ভায়োলেন্স নেটওয়ার্ক আয়োজিত সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মেহেরুন্নাহার মুন্নি,পেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হাফিজ,সিবিডিপির নির্বাহি পরিচালক জাকির হোসেন মিরাজ,লোকবেতারের পরিচালক মনির হোসেন কামাল,এন্িও ফোরামের সহসভাপতি মো: শামসুদ্দিন খানসহ এলাকার উন্নয়ন সংগঠন ফারিয়া লারা ফাউন্ডেশন,এন এস এস,ডোক্যাপ,আরডিএফ,সংকল্প,সংগ্রাম,সিয়াম,অন্বেশা সি আই পি আর বি জাগোনারীসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সংগঠনের প্রতিনিধিগণ।
সভাটির সমন্বয় করে উন্নয়ন সংগঠন শুশিলন বরগুনা আঞ্চলিক অফিস। সভার শুরুতেই এলাকায় নারীর প্রতি সহিংসতা নিয়ে বক্তব্য উঠলে বক্তারা দৈনিক ইনকিলাবসহ বেশ কযেকটি জাতীয় পত্রিকায় মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন প্রণিত একটি জরিপ প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখলে বিতর্কের সুত্রপাত হয়। সভায় মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মেহেরুন্নাহার মুন বলেন,বরগুনার তালতলী উপজেলার উপর জরিপ করে মাত্র ৭ মাসে ১৫২০টি বাল্যবিয়ের প্রতিবেদন করা হলেও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন প্রয়োজনীয় তথ্য দেখাতে পানেননি। জেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের নির্দেশে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনে ব্যাখ্যা দাবি করে ২৬ আগষ্ট ২০২১ চিঠিদেয়া হলে ০৮,০৯,২১ তারিখ মানুষেরজন্য ফাউন্ডেশন ফেরৎ চিঠির মাধ্যমে দাবী মোতাবেক ব্যাখ্যা দিতে না পেরে দু:খ প্রকাশ করেছে বলে জানান। তিনি বলেন,করোনাকালে সারা দেশেই স্কুল কলেজ কলকারখানা বন্ধ থাকায় বাল্যবিয়ে এবং নারীর প্রতি সহিংসতা বেড়েছে কিন্তু মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন বরগুনাকে হাইলাইট করে দেয়া প্রতিবেদন যথাযথ ছিলনা। তালতলীতে যাদের বাল্যবিয়ে হয়েছে বলা হয়েছে তাদের কোন তথ্য নেই। তথ্য থাকলে বাল্যবিয়ের শিকারদের সহযোগিতা করা যেত।প্রেসক্লাবের সভাপতি জহিরুল হাসান বাদশা বলেন,নারীর প্রতি সহিংসতা নিয়ে এলায়ায় কাজ করে প্লান বাংলাদেশ,সুশিলন,ফারিয়ালারা ফাউন্ডেশন, এন এস এস,ব্র্যাক,সংগ্রাম।এমনকি মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন। এ সকল কাজের সমন্বয় করে সংশ্লিস্ট সরকারী প্রতিষ্ঠান সমূহ। যে উপজেলার জরিপ প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে সে উপজেলায় ১৫শ বাল্যবিয়ের যোগ্য মেয়ে আছে কিনা সন্দেহ। সেখানে ১৫শ বাল্যবিযের তথ্য সন্দেহ জনক মনে হয়। জরিপের সঠিক সূত্র তথ্য প্রকাশ করা উচিৎ ছিল।প্রতিবেদনের সমালোচনা করে আরো বক্তব্য রাখেন এন এস এস এর প্রতিনিধি মো: জাকির হোসেন,এনজিও ফোরামের সহ সভাপতি মো: শামসুদ্দিন খান ।পক্ষান্তরে ফারিয়া লারা ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি বলেন,দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে জরিপ প্রতিবেদন তৈরী করেছে স্থানীয় উন্নয়ন সংগঠন জাগোনারী।তারা দ্রুত একটা প্রতিবেদন তৈরী করে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনকে পাঠায়। ইচ্ছা ছিল বাল্রবিয়ের শিকার মেয়েদের সহযোগিতা। এ বিষয় পাল্টা পাল্টি বক্তব্যব্যের পর সঠিক জরিপের জন্য দুটি কমিটি গঠিত হয়।একটি কমিটি উন্নয়ন সংগঠন ডোক্যাপ,এনএসএস,আরডিএফ ও সি আই পি আরবির প্রতিনিধি নিয়ে তালতলী উপজেলায় অন্যটি উন্নয়ন সংগঠন সংকল্প,সংগ্রাম ও সুশিলনের প্রতিনিধি নিয়ে পাথরঘাটায়। ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জনা দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
এদিকে বিভিন্ন পত্রিকায় বরগুনায় বাল্যবিযে নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল সংগঠিত মাল্টিপার্টি এডভোকেসি ফোরাম। আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর এ বিষয় একটি গুরুত্বপূর্ন সভা আয়োজন করা হয়েছে বরগুনা আরডিএফ মিলনায়তনে। সেখানে জেলা প্রশাসক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। তাছাড়া সম্প্রতি জেলা শিক্ষা নেটওয়ার্ক এর সভায় বরগুনায় নারীর প্রতি সহিংসতা ও বাল্যবিয়ে পরিস্থিতি নিযে এক সভা করেছে বরগুনা প্রেস ক্লাবে। তারা বরগুনা সদর উপজেলার নলটোনা ইউনিয়নে বাল্যবিযে পরিস্থিতি নিয়ে জরিপ করবে।অন্যদিকে বরগুনার ন্যাশনাল চিলড্রেন টাস্ক ফোর্স( এনসিটিএফ) বাল্যবিয়ে বন্ধের দাবিতে নলটোনা ইউনিয়ন পরিষদের এক সশাবেশ করে চেয়ারম্যান মহোদকে স্মারকলিপি প্রদান করেছে।
সম্প্রতি বাল্যবিয়ে সংক্রান্ত জরিপ প্রতিবেদনের সংবাদ
বরগুনার তালতলীতে ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সাত মাসে বাল্যবিয়ের ঘটনা ঘটেছে ১ হাজার ৫শ ১২ টি। টানা দেড় বছর ধরে করোনার মহামারীজনিত কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অপরিণত বয়সে বিয়ের ঘটনা ঘটছে অহরহ। দারিদ্র পীড়িত এ জনপদে কন্যা সন্তানকে বোঝা হিসেবেই এখনো দেখেন অভিভাবকরা।
উপজেলায় নারী ও শিশু নিয়ে কর্মরত বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা জাগোনারীর তথ্যানুযায়ী সাত মাসে এ উপজেলার ৪ টি ইউনিয়নের ১ হাজার ৫শ ১২টি বাল্যবিয়ে সংগঠিত হয়েছে। বাল্যবিবাহের হার অনুযায়ী যথাক্রমে এক নম্বরে আছে নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন বাল্যবিয়ে ৪৭০টি, দ্বিতীয় অবস্থানে আছে বড়বগী ইউনিয়ন সেখানে বাল্যবিবাহ সংঘটিত হয়েছে ৪৬৪ টি, তৃতীয় অবস্থান সোনাকাটা ইউনিয়ন ,বাল্যবিয়ে ৩৪৪ টি এবং চতুর্থ স্থানে ছোটবগী ইউনিয়নে ২৩৪টি বাল্য বিয়ে সংগঠিত হয়েছে।
উন্নয়ন সংগঠন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সহায়তায় জাগোনারীর ডোর টু ডোর জরিপে ৪ টি ইউনিয়নে ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সাত মাসের জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। ফলে এ উপজেলার বাল্যবিয়ের হার বাস্তবতার আলোকে আরও অনেক বেশি বলে আশংকা করছেন অনেকেই।
তবে প্রতিবেদনে উল্লেখ তালতলীর নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দুলাল ফরাজি সহ বেশ কয়েকজন মোবাইলে জানান,তাদের ইউনিয়নে বাল্যবিয়ে সংক্রান্ত জাগোনারীর প্রতিবেন ভূয়া। বিযের মত এত মেয়ে তার ইউনিয়নে নেই।