alt

সারাদেশ

আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল মাতারবাড়ি সমুদ্রবন্দর পরিদর্শন করবেন

জসিম সিদ্দিকী, কক্সবাজার : রোববার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার তালিকাভুক্ত প্রকল্প কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়িতে দেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর হতেই চলেছে। গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ প্রকল্পের কার্যক্রমে ইতোমধ্যে নতুন করে গতিও ফিরে পাচ্ছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করার আগেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর প্রকল্পটি পরিদর্শনে আসছে। দেশের গভীর সমুদ্র বন্দরের অভাব ঘুচাতে নেওয়া এই প্রকল্পের কার্যক্রমে যাতে কোনো ধরনের বাধা বা সংকট তৈরি না হয় সেজন্য উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল প্রকল্পটি পরিদর্শনে আসছে।

একাধিক সূত্র জানিয়েছে, দেশের চাহিদার যোগান দিতে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতার প্রায় পুরোটাই ইতোমধ্যে ব্যবহৃত হয়েছে। ২০৪৩ সালে দেশের চাহিদা ১ কোটি ৪০ লাখ টিইইউএস কন্টেনারে উন্নীত হবে। সেই বিশাল চাহিদা মেটানো চট্টগ্রাম বন্দরের পক্ষে অসম্ভব। দেশের ভবিষ্যত চাহিদা মেটানোর জন্যই মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর দ্রুত গড়ে তোলা জরুরি। এই জরুরি প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার তালিকাভুক্ত একটি প্রকল্প। প্রকল্পটি পরিদর্শনের জন্য কাল ২৮ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ১৩ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল নিয়ে মাতারবাড়ি আসছেন। প্রতিনিধিদলটি ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে মাতারবাড়ি যাওয়ার কথা রয়েছে। প্রতিনিধিদলে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মন্ত্রী পরিষদ সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল চীফ অফিসার, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব, পুলিশের আইজি, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সহকারী নৌবাহিনী প্রধান, ডিজিএফআইর মহাপরিচালক, এনএসআইর মহাপরিচালক, বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক এবং পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক থাকবেন।

সূত্র আরও জানিয়েছে, কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ি এলাকায় বাস্তবায়িত হচ্ছে দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিপিজিসিবিএল) ৬শ’ মেগাওয়াট করে মোট ১২শ’ মেগাওয়াটের দুইটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণকালে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের বিষয়টি সামনে উঠে আসে।

পরবর্তীতে সরকারের বিভিন্ন বিভাগ থেকে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের প্রকল্পটিতে সায় দেয়া হয়। ২০১৪ সালে নেওয়া ওই উদ্যোগের ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালের ১০ মার্চ মাতারবাড়ি বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প একনেকের অনুমোদন লাভ করে। এই বন্দরে অনায়াসে ১৬ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভিড়ানো যাবে। আর এটিই দেশের গভীর সমুদ্রবন্দরের অভাব ঘুচাবে বলেও উল্লেখ করা হয়।

এদিকে মাতারবাড়ি এবং ধলঘাট মৌজার ১০৮০ একর ভূমিতে বন্দর নির্মাণ করা হচ্ছে। এই বন্দর নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ১৮ হাজার ৫৮১ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১৩ হাজার ২৫৩ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে জাইকা। বাকি ২ হাজার ৭৪০ কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ও ২ হাজার ৫৮৮ কোটি টাকা অন্যান্য সংস্থা থেকে সংস্থান করা হচ্ছে।

২০২০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর জাপানের নিপ্পন কোয়ে এবং দেশীয় ডিডিসি নামের একটি যৌথ কোম্পানিকে মাতারবাড়ি বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের পরামর্শক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নিয়োগ পাওয়ার পর গত বছরের নভেম্বর থেকে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে প্রকল্পের যাবতীয় ডিজাইন, ব্যয় নির্ধারণ, টেন্ডার ডকুমেন্টস তৈরির কাজ শুরু করে।

ইতোমধ্যে টেন্ডার ডকুমেন্টস তৈরির কাজ প্রায় শেষ করে আনা হয়েছে। আগামী নভেম্বরে এই প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু করার জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হচ্ছে। প্রকল্পটি দুইটি পেজে সম্পন্ন করা হবে। প্রথম পর্বে ড্রেজিং, ব্রেকওয়াটার নির্মাণ, জেটি নির্মাণসহ বিভিন্ন অবকাঠামোগত নির্মাণ সম্পন্ন করা হবে। দ্বিতীয় পেজে গভীর সমুদ্র বন্দরের প্রয়োজনীয় ইক্যুপমেন্ট সংগ্রহ করা হবে।

আগামী নভেম্বরে টেন্ডার আহ্বান করে ২০২২ সালের মার্চ এপ্রিলের মধ্যেই পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ঠিকাদার নিয়োগ করা হবে। ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে নির্মাণ কাজ শেষ হলে মাতারবাড়ি বন্দরের টার্মিনালে ৮ থেকে ১০ হাজার কন্টেনারবাহী জাহাজ ভিড়তে পারবে। এতে ঘুরে যাবে দেশের অর্থনীতির নতুন চাকা।

উল্লেখ্য, গেল বছরের ২৯ ডিসেম্বর সকালে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরের জেটিতে ট্রায়াল হিসেবে প্রথম বিদেশেী পণ্যবাহী জাহাজ ভেনাস ট্রাইয়াম্প ভিড়েছে। মাতারবাড়িতে প্রথম ওই জাহাজ নোঙ্গর করার মাধ্যমে এ বন্দরের যাত্রা শুরু হয়েছিলো।

ছবি

সাবমেরিন কেবল বিচ্ছিন্ন, ধীরগতি হতে পারে ইন্টারনেটে

ছবি

বনের আগুন নেভালেন জেলা প্রশাসক, জানে না বনের কর্তারা

ছবি

বিশেষজ্ঞ প্যানেল ও বারি’র জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানীদের মধ্যে মতবিনিময় কর্মশালা

ছবি

৪২ ডিগ্রি ছাড়াল চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা, গলে যাচ্ছে রাস্তার পিচ

ছবি

টাঙ্গাইলে সংঘ‌র্ষ থামাতে গিয়ে হামলার শিকার এসআই, ১৬ জন আটক

ছবি

কক্সবাজারে জলকেলি উৎসবের সমাপনীতে আলোকিত জীবনের প্রত্যাশা

ছবি

মায়ানমারের বিজিপির আরও ২৪ সদস্য বাংলাদেশে

ছবি

রাজশাহীতে মোটরসাইকেলে ট্রাকের ধাক্কায় নিহত ৩

ছবি

ইউএসএআইডি এবং সিমিট প্রতিনিধি দলের বারি পরিদর্শন

ছবি

পঞ্চগড় এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনে নারীর ঝুলন্ত মরদেহ

ছবি

‘আনন্দে’ শুরুর পর সড়কের ঈদযাত্রা কেন ‘বিষাদে’

ছবি

ঘটনা চাপা দিতে ১৫০ বস্তা সিমেন্ট সরিয়ে ফেলার অভিযোগ

মীরসরাইয়ে শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি, ঘরের চাল ছিদ্র হয়ে গেছে

ছবি

মাধবপুরে বিরল প্রজাতির লজ্জাবতী বানর উদ্ধার

ছবি

টঙ্গীতে আগুনে পুড়ল ১২টি খাদ্য গুদাম

ছবি

জলকেলি উৎসবে মুখরিত কক্সবাজরের রাখাইন পল্লী

শেরপুরে বিনামূল্যে সার বীজ বিতরণ উদ্বোধন

কেশবপুরে সকাল-সন্ধ্যা বাজারের দখল নিয়ে দু’পক্ষ মুখোমুখি উচ্ছেদ আতঙ্কে অর্ধশতাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী

ছবি

ভালুকায় বোরো ধানে চিটা কৃষকের মাথায় হাত

ছবি

ভালুকায় বোরো ধানে চিটা কৃষকের মাথায় হাত

ছবি

গোবিন্দগঞ্জে সরকারি রাস্তার ১২০টি গাছ কর্তনের অভিযোগ প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে

পুঠিয়ায় শাশুড়িকে হত্যা করেন পুত্রবধূ

ছবি

মির্জাগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু

ছবি

নড়াইলের শ্রীনগর গ্রামে ভ্যানচালককে পুলিশি হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন

ছবি

প্রচণ্ড তাপদাহে পুড়ছে বাগান, ঝরছে আম, শঙ্কায় চাষীরা

ছবি

প্রেমিকার ওপর অভিমান প্রেমিকের আত্মহত্যা

ছবি

শ্যামনগর পদ্মপুকুরের প্রধান সড়কের একাংশ যেন বালুর স্তুপে পরিণত

আমার চেয়ে খারাপ লোক এ জেলায় নাই : তাহেরপুত্র বিপ্লব

ছবি

কক্সবাজারে রিসোর্টে পযটক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

ছবি

ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতের পরিবার পাবে ৫ লাখ টাকা

ছবি

সুনামগঞ্জে বাস-অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত ২

ছবি

টোলপ্লাজায় ট্রাকের ধাক্কা, নিহত ১৪

ছবি

গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন, বেশিরভাগ অঞ্চলে বইছে তাপপ্রবাহ

কোম্পানীগঞ্জে পর্যটকের সঙ্গে এএসপির মারামারি

ছবি

গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ গোপালগঞ্জে গ্রামীণ ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

ছবি

শার্শায় সাংবাদিকের উপর হামলা

tab

সারাদেশ

আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল মাতারবাড়ি সমুদ্রবন্দর পরিদর্শন করবেন

জসিম সিদ্দিকী, কক্সবাজার

রোববার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার তালিকাভুক্ত প্রকল্প কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়িতে দেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর হতেই চলেছে। গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ প্রকল্পের কার্যক্রমে ইতোমধ্যে নতুন করে গতিও ফিরে পাচ্ছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করার আগেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর প্রকল্পটি পরিদর্শনে আসছে। দেশের গভীর সমুদ্র বন্দরের অভাব ঘুচাতে নেওয়া এই প্রকল্পের কার্যক্রমে যাতে কোনো ধরনের বাধা বা সংকট তৈরি না হয় সেজন্য উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল প্রকল্পটি পরিদর্শনে আসছে।

একাধিক সূত্র জানিয়েছে, দেশের চাহিদার যোগান দিতে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতার প্রায় পুরোটাই ইতোমধ্যে ব্যবহৃত হয়েছে। ২০৪৩ সালে দেশের চাহিদা ১ কোটি ৪০ লাখ টিইইউএস কন্টেনারে উন্নীত হবে। সেই বিশাল চাহিদা মেটানো চট্টগ্রাম বন্দরের পক্ষে অসম্ভব। দেশের ভবিষ্যত চাহিদা মেটানোর জন্যই মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর দ্রুত গড়ে তোলা জরুরি। এই জরুরি প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার তালিকাভুক্ত একটি প্রকল্প। প্রকল্পটি পরিদর্শনের জন্য কাল ২৮ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ১৩ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল নিয়ে মাতারবাড়ি আসছেন। প্রতিনিধিদলটি ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে মাতারবাড়ি যাওয়ার কথা রয়েছে। প্রতিনিধিদলে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মন্ত্রী পরিষদ সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল চীফ অফিসার, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব, পুলিশের আইজি, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সহকারী নৌবাহিনী প্রধান, ডিজিএফআইর মহাপরিচালক, এনএসআইর মহাপরিচালক, বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক এবং পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক থাকবেন।

সূত্র আরও জানিয়েছে, কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ি এলাকায় বাস্তবায়িত হচ্ছে দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিপিজিসিবিএল) ৬শ’ মেগাওয়াট করে মোট ১২শ’ মেগাওয়াটের দুইটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণকালে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের বিষয়টি সামনে উঠে আসে।

পরবর্তীতে সরকারের বিভিন্ন বিভাগ থেকে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের প্রকল্পটিতে সায় দেয়া হয়। ২০১৪ সালে নেওয়া ওই উদ্যোগের ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালের ১০ মার্চ মাতারবাড়ি বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প একনেকের অনুমোদন লাভ করে। এই বন্দরে অনায়াসে ১৬ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভিড়ানো যাবে। আর এটিই দেশের গভীর সমুদ্রবন্দরের অভাব ঘুচাবে বলেও উল্লেখ করা হয়।

এদিকে মাতারবাড়ি এবং ধলঘাট মৌজার ১০৮০ একর ভূমিতে বন্দর নির্মাণ করা হচ্ছে। এই বন্দর নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ১৮ হাজার ৫৮১ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১৩ হাজার ২৫৩ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে জাইকা। বাকি ২ হাজার ৭৪০ কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ও ২ হাজার ৫৮৮ কোটি টাকা অন্যান্য সংস্থা থেকে সংস্থান করা হচ্ছে।

২০২০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর জাপানের নিপ্পন কোয়ে এবং দেশীয় ডিডিসি নামের একটি যৌথ কোম্পানিকে মাতারবাড়ি বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের পরামর্শক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নিয়োগ পাওয়ার পর গত বছরের নভেম্বর থেকে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে প্রকল্পের যাবতীয় ডিজাইন, ব্যয় নির্ধারণ, টেন্ডার ডকুমেন্টস তৈরির কাজ শুরু করে।

ইতোমধ্যে টেন্ডার ডকুমেন্টস তৈরির কাজ প্রায় শেষ করে আনা হয়েছে। আগামী নভেম্বরে এই প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু করার জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হচ্ছে। প্রকল্পটি দুইটি পেজে সম্পন্ন করা হবে। প্রথম পর্বে ড্রেজিং, ব্রেকওয়াটার নির্মাণ, জেটি নির্মাণসহ বিভিন্ন অবকাঠামোগত নির্মাণ সম্পন্ন করা হবে। দ্বিতীয় পেজে গভীর সমুদ্র বন্দরের প্রয়োজনীয় ইক্যুপমেন্ট সংগ্রহ করা হবে।

আগামী নভেম্বরে টেন্ডার আহ্বান করে ২০২২ সালের মার্চ এপ্রিলের মধ্যেই পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ঠিকাদার নিয়োগ করা হবে। ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে নির্মাণ কাজ শেষ হলে মাতারবাড়ি বন্দরের টার্মিনালে ৮ থেকে ১০ হাজার কন্টেনারবাহী জাহাজ ভিড়তে পারবে। এতে ঘুরে যাবে দেশের অর্থনীতির নতুন চাকা।

উল্লেখ্য, গেল বছরের ২৯ ডিসেম্বর সকালে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরের জেটিতে ট্রায়াল হিসেবে প্রথম বিদেশেী পণ্যবাহী জাহাজ ভেনাস ট্রাইয়াম্প ভিড়েছে। মাতারবাড়িতে প্রথম ওই জাহাজ নোঙ্গর করার মাধ্যমে এ বন্দরের যাত্রা শুরু হয়েছিলো।

back to top