মাদারীপুর সদর হাসপাতালে এক সাথে ৪টি ইনজেকশন পুশ করায় মসজিদের ইমামের মৃত্যু হয়েছে। ভুল চিকিৎসার অভিযোগ এনে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন রোগীর স্বজন ও এলাকাবাসী। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত চিকিৎসককে বক্তব্য নেওয়ার জন্য তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
নিহত ইমাম দেলোয়ার হোসেন (৪৫) মাদারীপুর সদর উপজেলার বশারচর মুন্সিবাড়ির মসজিদের ইমাম হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
নিহতের ছেলে কাওসার হোসেন বলেন, শরীরে জ্বর ও ব্যাথা হলে আমার আব্বাকে স্থানীয় খোয়াজপুর ইউনিয়নের মঠের বাজারের একটি ফার্মেসীতে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার আল শাহরিয়ার শাকিল।
গত মঙ্গলবার তার শরীরে পুশ করেন তিনটি ইনজেকশন। রোববার সকালে বেশি অসুস্থ হলে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন চিকিৎসক শাকিল। পরে সোমবার সকালে ফ্লুক্স-৫০০ এমজি নামের ৪টি ইনজেকশন ডাক্তার শাকিল একসাথে আমার আব্বার শরীরে পুশ করার পরে দুপুরের দিকে মারা যান। আমি মনে করি, আমার আব্বাকে ডাক্তার ভুল চিকিৎসা দিয়ে মেরে ফেলেছে। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত শেষে বিচার দাবী করছি।
বিষয়টি এখনো জানেন না হাসপাতালের তত্ত্ববধায়ক ও সিভিল সার্জন। তবে, জেলা সিভিল সার্জন ডা. শফিকুল ইসলাম বলেন, স্বজনদের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা ওই ডাক্তারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নিরাপদ চিকিৎসা চাই সংগঠনের মাদারীপুর জেলা শাখার সভাপতি এডভোকেট মশিউর রহমান পারভেজ বলেন, মাদারীপুরে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ডাক্তারদের ভুল চিকিৎসায় রোগীর মারা যাওয়ার অভিযোগ প্রায়ই আমরা পেয়ে থাকি। মাদারীপুরের ডাক্তারদের আরো দায়িত্বশীল হয়ে চিকিৎসা করানোর দাবী করছি। পাশাপাশি যদি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত ভাবে যদি অবহেলা বা ভুল চিকিৎসার অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে ওই ডাক্তারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী করছি।
সোমবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
মাদারীপুর সদর হাসপাতালে এক সাথে ৪টি ইনজেকশন পুশ করায় মসজিদের ইমামের মৃত্যু হয়েছে। ভুল চিকিৎসার অভিযোগ এনে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন রোগীর স্বজন ও এলাকাবাসী। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত চিকিৎসককে বক্তব্য নেওয়ার জন্য তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
নিহত ইমাম দেলোয়ার হোসেন (৪৫) মাদারীপুর সদর উপজেলার বশারচর মুন্সিবাড়ির মসজিদের ইমাম হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
নিহতের ছেলে কাওসার হোসেন বলেন, শরীরে জ্বর ও ব্যাথা হলে আমার আব্বাকে স্থানীয় খোয়াজপুর ইউনিয়নের মঠের বাজারের একটি ফার্মেসীতে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার আল শাহরিয়ার শাকিল।
গত মঙ্গলবার তার শরীরে পুশ করেন তিনটি ইনজেকশন। রোববার সকালে বেশি অসুস্থ হলে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন চিকিৎসক শাকিল। পরে সোমবার সকালে ফ্লুক্স-৫০০ এমজি নামের ৪টি ইনজেকশন ডাক্তার শাকিল একসাথে আমার আব্বার শরীরে পুশ করার পরে দুপুরের দিকে মারা যান। আমি মনে করি, আমার আব্বাকে ডাক্তার ভুল চিকিৎসা দিয়ে মেরে ফেলেছে। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত শেষে বিচার দাবী করছি।
বিষয়টি এখনো জানেন না হাসপাতালের তত্ত্ববধায়ক ও সিভিল সার্জন। তবে, জেলা সিভিল সার্জন ডা. শফিকুল ইসলাম বলেন, স্বজনদের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা ওই ডাক্তারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নিরাপদ চিকিৎসা চাই সংগঠনের মাদারীপুর জেলা শাখার সভাপতি এডভোকেট মশিউর রহমান পারভেজ বলেন, মাদারীপুরে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ডাক্তারদের ভুল চিকিৎসায় রোগীর মারা যাওয়ার অভিযোগ প্রায়ই আমরা পেয়ে থাকি। মাদারীপুরের ডাক্তারদের আরো দায়িত্বশীল হয়ে চিকিৎসা করানোর দাবী করছি। পাশাপাশি যদি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত ভাবে যদি অবহেলা বা ভুল চিকিৎসার অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে ওই ডাক্তারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী করছি।