২৪ বিশিষ্ট নাগরিকের বিবৃতি
কুমিল্লার একটি পূজামন্ডপে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কানি দেয়ার অপচেষ্টার অংশ হিসেবে দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে বলে ২৪ জন দেশের বিশিষ্ট নাগরিক বিবৃতি দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহম্মেদের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা ঐতিহাসিকভাবেই এই জনপদের সম্প্রীতি ও ঐতিহ্যকে ধারণ করে বাঙালি সংস্কৃতির একটি বৃহৎ অংশ দখল করে আছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের ইতিহাসে ঈদ, পূজা, বর্ষবরণ, পৌষ পার্বণসহ নানাবিধ উৎসবে ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে হাজার বছর ধরে সম্প্রীতির ইতিহাসকে ধারণ করে চলে আসছে। দুর্ভাগ্যজনক সত্য হলো মহান স্বাধীনতা ও বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে যারা মেনে নিতে পারেনি তারাই স্বাধীনতার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে নানাভাবে সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কে দিয়ে নিজেদের হীনস্বার্থ হাসিল করার অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে। এবারের শারদীয় দুর্গাপূজায়ও কুমিল্লায় একটি পূজামন্ডপে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কানি দেয়ার অপচেষ্টার অংশ হিসেবে দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে বলে আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। আমরা মনে করি সরকারের বিভিন্ন সংস্থা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করবেন। একই সঙ্গে কুমিল্লার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক মাধ্যমসহ সারাদেশে উস্কানি দিয়ে সংখ্যালঘু, আদিবাসী সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব, শারদীয় দুর্গাপূজা, জানমাল, সম্পদের উপর আক্রমণ, অত্যাচার-নিপীড়নের অপচেষ্টা করা হচ্ছে। এই বিষয়ে সরকারের সব সংস্থা, দেশের সব বিবেকবান নাগরিক রাজনৈতিক-সামাজিক, ছাত্র-যুব-নারী ও শ্রেণীপেশার মানুষদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানাই। দেশের ইতিহাসের ঐতিহ্য ও সম্প্রীতির বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়ান। চিহ্নিতকরণ দুবৃত্তদের এবং এদের আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি বিধান করুন।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন- সুলতানা কামাল, পঙ্কজ ভট্টাচার্য, রামেন্দু মজুমদার, ডা. সারওয়ার আলী, কবির, রোকেয়া কবির, রাশেদা কে চৌধুরী, এস.এম.এ সবুর, অধ্যাপক এম.এম আকাশ, অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, ডা. মুহম্মদ মিজানুর রহমান, জয়ন্তী রায়, নূরুর রহমান সেলিম, ডা. অসিত বরণ রায়, ড. সৈয়দ আবদুল্লা আল মামুন, ড. নূর মোহাম্মদ তালুকদার, একে আজাদ, সানোয়ার হোসেন সামছি, জহিরুল ইসলাম জহির, পারভেজ হাসেম, মো. আবদুর রাজ্জাক, অলক দাস গুপ্ত, ইয়াছরেমা বেগম সীমা, কাজী সালমা সুলতানা প্রমুখ।
২৪ বিশিষ্ট নাগরিকের বিবৃতি
বৃহস্পতিবার, ১৪ অক্টোবর ২০২১
কুমিল্লার একটি পূজামন্ডপে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কানি দেয়ার অপচেষ্টার অংশ হিসেবে দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে বলে ২৪ জন দেশের বিশিষ্ট নাগরিক বিবৃতি দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহম্মেদের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা ঐতিহাসিকভাবেই এই জনপদের সম্প্রীতি ও ঐতিহ্যকে ধারণ করে বাঙালি সংস্কৃতির একটি বৃহৎ অংশ দখল করে আছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের ইতিহাসে ঈদ, পূজা, বর্ষবরণ, পৌষ পার্বণসহ নানাবিধ উৎসবে ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে হাজার বছর ধরে সম্প্রীতির ইতিহাসকে ধারণ করে চলে আসছে। দুর্ভাগ্যজনক সত্য হলো মহান স্বাধীনতা ও বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে যারা মেনে নিতে পারেনি তারাই স্বাধীনতার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে নানাভাবে সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কে দিয়ে নিজেদের হীনস্বার্থ হাসিল করার অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে। এবারের শারদীয় দুর্গাপূজায়ও কুমিল্লায় একটি পূজামন্ডপে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কানি দেয়ার অপচেষ্টার অংশ হিসেবে দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে বলে আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। আমরা মনে করি সরকারের বিভিন্ন সংস্থা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করবেন। একই সঙ্গে কুমিল্লার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক মাধ্যমসহ সারাদেশে উস্কানি দিয়ে সংখ্যালঘু, আদিবাসী সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব, শারদীয় দুর্গাপূজা, জানমাল, সম্পদের উপর আক্রমণ, অত্যাচার-নিপীড়নের অপচেষ্টা করা হচ্ছে। এই বিষয়ে সরকারের সব সংস্থা, দেশের সব বিবেকবান নাগরিক রাজনৈতিক-সামাজিক, ছাত্র-যুব-নারী ও শ্রেণীপেশার মানুষদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানাই। দেশের ইতিহাসের ঐতিহ্য ও সম্প্রীতির বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়ান। চিহ্নিতকরণ দুবৃত্তদের এবং এদের আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি বিধান করুন।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন- সুলতানা কামাল, পঙ্কজ ভট্টাচার্য, রামেন্দু মজুমদার, ডা. সারওয়ার আলী, কবির, রোকেয়া কবির, রাশেদা কে চৌধুরী, এস.এম.এ সবুর, অধ্যাপক এম.এম আকাশ, অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, ডা. মুহম্মদ মিজানুর রহমান, জয়ন্তী রায়, নূরুর রহমান সেলিম, ডা. অসিত বরণ রায়, ড. সৈয়দ আবদুল্লা আল মামুন, ড. নূর মোহাম্মদ তালুকদার, একে আজাদ, সানোয়ার হোসেন সামছি, জহিরুল ইসলাম জহির, পারভেজ হাসেম, মো. আবদুর রাজ্জাক, অলক দাস গুপ্ত, ইয়াছরেমা বেগম সীমা, কাজী সালমা সুলতানা প্রমুখ।