সম্প্রীতির মিলনমেলা কক্সবাজার সৈকতে
প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষে বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে লাখো মানুষের ঢল নেমেছে। শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার শেষ দিন বিজয়া দশমীতে সৈকতের লাবনী পয়েন্টে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ। আয়োজকরা জানান, শুধুমাত্র সৈকতের লাবনী পয়েন্টে এ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা শতাধিক প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়েছে।
গেল বছর করোনার মহামারি থাবায় এ উৎসব উল্লেখযোগ্যভাবে পালন করতে পারেনি এ সম্প্রদায়ের মানুষ। যে কারণে এ বছর ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে পালন করেছে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। তবে হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশাপাশি দেবীদুর্গা বিসর্জনে দেখা গেছে দেশি-বিদেশি পর্যটকসহ সব সম্প্রদায়ের মানুষকে।
এছাড়া একই সময়ে কক্সবাজারের রামুর বাঁকখালী নদী, চকরিয়ার মাতামুহুরী, টেকনাফের সাগর ও নাফনদী, উখিয়ার ইনানী সৈকত ও রেজুনদীতে প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়েছে। রামু ও চকরিয়ায় পৃথক প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এডভোকেট রনজিত দাশ বলেন, এবার মা দুর্গা এসেছেন ঘোড়ার পিঠে চড়ে। যাচ্ছেনও ঘোড়ায় চড়ে। এ কারণে এবার আমরা ঝড় ঝাপটার আশঙ্কা করেছিলাম। তাই মা দুর্গার কাছে আমাদের বিশেষ প্রার্থনা ছিল প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে মানুষ যেনো রক্ষা পায়। মা দুর্গা আমাদের প্রার্থনা শুনেছেন। যে কারণে আবহাওয়া আমাদের অনুকূলেই ছিল।
এদিকে, প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠানকে ঘিরে সৈকতের লাবনী পয়েন্টে এদিন দুপুর ২টার পর থেকে জেলার উখিয়া, টেকনাফ, সদর, ঈদগাঁও, চৌফলদ-ী ছাড়াও নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে শোভাযাত্রা সহকারে প্রতিমা আসতে শুরু করে। ট্রাকে ট্রাকে আসতে আসতে প্রতিমায় ভরে যায় অনুষ্ঠানস্থল। বিকেল প্রায় সাড়ে ৫টা পর্যন্ত সৈকতের বালুচরে রাখা দুর্গা প্রতিমা ঘিরে চলে ভক্তদের শেষ আরাধনা। শুধু তাই নয়, নাচে-গানে এক অন্য রকম আনন্দ মুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয় বিশ্বের দীর্ঘতম এ সৈকতে। অনুষ্ঠানকে ঘিরে সমাগম ঘটে পর্যটকসহ জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা লাখো মানুষের।
এদিকে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সৈকতের লাবনী পয়েন্টের উন্মুক্ত মঞ্চে শুরু হয় বিসর্জন অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা। জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রনজিত দাশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যথাক্রমে, আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, রামু-কক্সবাজার সদর আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য মো. জাফর আলম চৌধুরী, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য কানিজ ফাতেমা মোস্তাক, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশিদ, পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমান, পুলিশ সুপার (ট্যুরিস্ট পুলিশ) মো. জিল্লুর রহমান, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বাবুল শর্মা প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাবুল শর্মা।
উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। সব ধর্মের মানুষের অংশ গ্রহণেই এদেশে একইসঙ্গে ঈদ, পূজা, প্রবারণা ও বড়দিন পালিত হয়। বিজয়া দশমীর এ মহামিলন মেলা এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তারা আরও বলেন, আজকের এ অনুষ্ঠানে সব ধর্মের মানুষের সহাবস্থান রয়েছে। এখানে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা যেমন আছেন। পাশাপাশি মুসলিম, বৌদ্ধ ও খৃস্টান সম্প্রদায়ের মানুষও আছেন। এটাই বাঙালির অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আমরা সবাই মিলে শারদীয় মাঙ্গলিক দেবী দুর্গা বিসর্জন মেলায় মিলিত হয়েছি।
জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাবুল শর্মা জানান, এ বছর জেলায় ৩২৪টি ম-পে পূজা উদযাপন হয়েছে। এর মধ্যে ৮০ শতাংশ প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়েছে কক্সবাজার সৈকতে। তিনি বলেন, প্রতিমা বিসর্জন নিরাপদ করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তা বেস্টনি গড়ে তোলা হয়েছে।
সভাপতির বক্তব্য এ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রনজিত দাশ জানান, বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠান দেশের সবচেয়ে বড় প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠান। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছরও এখানে দেশি-বিদেশি পর্যটকসহ লাখো মানুষের সমাগম হয়েছে।
এদিকে কুমিল্লা পূজামন্ডপে পবিত্র কুরআন অবমাননাকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারের পেকুয়ায় সংগঠিত সহিংস ঘটনায় অজ্ঞাত সহস্রাধিক জনকে আসামি করে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। পেকুয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে থানায় পৃথক তিনটি ঘটনায় এ মামলাগুলো নথিভূক্ত হয়েছে। এর মধ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের ক্ষতিগ্রস্ত দুইজন ব্যক্তি বাদী হয়ে দুইটি এবং পুলিশ বাদী হয়ে অপর একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা তিনটিতে আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাতনামা অন্তত সহ্রসাধিক জনকে।
তিনি আরও জানান, গেল বুধবার সন্ধ্যায় একদল উগ্রবাদী দূর্বৃত্ত মিছিল সহকারে উস্কানিমূলক শ্লোগান দিয়ে পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিশ্বাস পাড়া, শিলখালীর কাছারী মুরা শীল পাড়া ও মগনামার শীল পাড়াসহ বিভিন্ন এলাকার পূজামন্ডপে এবং হিন্দুদের বাড়ীতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের দেয়া তথ্য মতে, পেকুয়ায় সহিংসতার ঘটনায় উগ্রবাদীরা বিভিন্ন স্থানে ৭ টি পূজামন্ডপ, ৩০ টি বাড়ী ভাংচুর ও ১ টি বাড়ীতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
১৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় পেকুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ আলী সংবাদকে জানান, পেকুয়ার পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তারপরও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ ও র্যাবসহ আইন-শৃংখলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন রয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
সম্প্রীতির মিলনমেলা কক্সবাজার সৈকতে
শুক্রবার, ১৫ অক্টোবর ২০২১
প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষে বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে লাখো মানুষের ঢল নেমেছে। শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার শেষ দিন বিজয়া দশমীতে সৈকতের লাবনী পয়েন্টে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ। আয়োজকরা জানান, শুধুমাত্র সৈকতের লাবনী পয়েন্টে এ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা শতাধিক প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়েছে।
গেল বছর করোনার মহামারি থাবায় এ উৎসব উল্লেখযোগ্যভাবে পালন করতে পারেনি এ সম্প্রদায়ের মানুষ। যে কারণে এ বছর ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে পালন করেছে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। তবে হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশাপাশি দেবীদুর্গা বিসর্জনে দেখা গেছে দেশি-বিদেশি পর্যটকসহ সব সম্প্রদায়ের মানুষকে।
এছাড়া একই সময়ে কক্সবাজারের রামুর বাঁকখালী নদী, চকরিয়ার মাতামুহুরী, টেকনাফের সাগর ও নাফনদী, উখিয়ার ইনানী সৈকত ও রেজুনদীতে প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়েছে। রামু ও চকরিয়ায় পৃথক প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এডভোকেট রনজিত দাশ বলেন, এবার মা দুর্গা এসেছেন ঘোড়ার পিঠে চড়ে। যাচ্ছেনও ঘোড়ায় চড়ে। এ কারণে এবার আমরা ঝড় ঝাপটার আশঙ্কা করেছিলাম। তাই মা দুর্গার কাছে আমাদের বিশেষ প্রার্থনা ছিল প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে মানুষ যেনো রক্ষা পায়। মা দুর্গা আমাদের প্রার্থনা শুনেছেন। যে কারণে আবহাওয়া আমাদের অনুকূলেই ছিল।
এদিকে, প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠানকে ঘিরে সৈকতের লাবনী পয়েন্টে এদিন দুপুর ২টার পর থেকে জেলার উখিয়া, টেকনাফ, সদর, ঈদগাঁও, চৌফলদ-ী ছাড়াও নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে শোভাযাত্রা সহকারে প্রতিমা আসতে শুরু করে। ট্রাকে ট্রাকে আসতে আসতে প্রতিমায় ভরে যায় অনুষ্ঠানস্থল। বিকেল প্রায় সাড়ে ৫টা পর্যন্ত সৈকতের বালুচরে রাখা দুর্গা প্রতিমা ঘিরে চলে ভক্তদের শেষ আরাধনা। শুধু তাই নয়, নাচে-গানে এক অন্য রকম আনন্দ মুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয় বিশ্বের দীর্ঘতম এ সৈকতে। অনুষ্ঠানকে ঘিরে সমাগম ঘটে পর্যটকসহ জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা লাখো মানুষের।
এদিকে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সৈকতের লাবনী পয়েন্টের উন্মুক্ত মঞ্চে শুরু হয় বিসর্জন অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা। জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রনজিত দাশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যথাক্রমে, আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, রামু-কক্সবাজার সদর আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য মো. জাফর আলম চৌধুরী, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য কানিজ ফাতেমা মোস্তাক, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশিদ, পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমান, পুলিশ সুপার (ট্যুরিস্ট পুলিশ) মো. জিল্লুর রহমান, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বাবুল শর্মা প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাবুল শর্মা।
উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। সব ধর্মের মানুষের অংশ গ্রহণেই এদেশে একইসঙ্গে ঈদ, পূজা, প্রবারণা ও বড়দিন পালিত হয়। বিজয়া দশমীর এ মহামিলন মেলা এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তারা আরও বলেন, আজকের এ অনুষ্ঠানে সব ধর্মের মানুষের সহাবস্থান রয়েছে। এখানে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা যেমন আছেন। পাশাপাশি মুসলিম, বৌদ্ধ ও খৃস্টান সম্প্রদায়ের মানুষও আছেন। এটাই বাঙালির অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আমরা সবাই মিলে শারদীয় মাঙ্গলিক দেবী দুর্গা বিসর্জন মেলায় মিলিত হয়েছি।
জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাবুল শর্মা জানান, এ বছর জেলায় ৩২৪টি ম-পে পূজা উদযাপন হয়েছে। এর মধ্যে ৮০ শতাংশ প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়েছে কক্সবাজার সৈকতে। তিনি বলেন, প্রতিমা বিসর্জন নিরাপদ করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তা বেস্টনি গড়ে তোলা হয়েছে।
সভাপতির বক্তব্য এ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রনজিত দাশ জানান, বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠান দেশের সবচেয়ে বড় প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠান। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছরও এখানে দেশি-বিদেশি পর্যটকসহ লাখো মানুষের সমাগম হয়েছে।
এদিকে কুমিল্লা পূজামন্ডপে পবিত্র কুরআন অবমাননাকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারের পেকুয়ায় সংগঠিত সহিংস ঘটনায় অজ্ঞাত সহস্রাধিক জনকে আসামি করে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। পেকুয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে থানায় পৃথক তিনটি ঘটনায় এ মামলাগুলো নথিভূক্ত হয়েছে। এর মধ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের ক্ষতিগ্রস্ত দুইজন ব্যক্তি বাদী হয়ে দুইটি এবং পুলিশ বাদী হয়ে অপর একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা তিনটিতে আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাতনামা অন্তত সহ্রসাধিক জনকে।
তিনি আরও জানান, গেল বুধবার সন্ধ্যায় একদল উগ্রবাদী দূর্বৃত্ত মিছিল সহকারে উস্কানিমূলক শ্লোগান দিয়ে পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিশ্বাস পাড়া, শিলখালীর কাছারী মুরা শীল পাড়া ও মগনামার শীল পাড়াসহ বিভিন্ন এলাকার পূজামন্ডপে এবং হিন্দুদের বাড়ীতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের দেয়া তথ্য মতে, পেকুয়ায় সহিংসতার ঘটনায় উগ্রবাদীরা বিভিন্ন স্থানে ৭ টি পূজামন্ডপ, ৩০ টি বাড়ী ভাংচুর ও ১ টি বাড়ীতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
১৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় পেকুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ আলী সংবাদকে জানান, পেকুয়ার পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তারপরও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ ও র্যাবসহ আইন-শৃংখলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন রয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।