alt

সারাদেশ

জয়পুরহাটের কাজীপাড়া পাখির কলকাকলিতে মুখরিত

বাকী বিল্লাহ ঢাকা ও নন্দকিশোর আগরওয়ালা, জয়পুরজাট : শনিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২১

জয়পুরহাট শহর থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে ক্ষেতলাল উপজেলার কাজীপাড়া গ্রামে বিভিন্ন গাছে বাসা বেঁধে হাজার হাজার পাখি। গাছের ডালে ডালে ঝাঁকে ঝাঁকে বক, শামুকখৈলসহ নানা প্রজাতির পাখি। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন প্রজাতির পাখির কিচির মিচির শব্দে মুখরিত থাকে গোটা গ্রাম। পাখিগুলোকে গভীর মমতা দিয়ে আগলে রেখেছে গ্রামবাসী। মানুষের ভালোবাসা আর নিরাপদ আশ্রয় পেয়ে প্রজননের মাধ্যমে ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে পাখির সংখ্যা। দীর্ঘদিন থেকে বসবাস করা এই গ্রামে পাখির সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে বলে স্থানীয়রা জানান।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, পাখি রক্ষা ও পাখিদের নিরাপত্তায় কাজীপাড়া গ্রামকে পাখির অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হোক। প্রতিদিন পাখি দেখতে আশপাশের জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলা সদর থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে ক্ষেতলাল-বগুড়া সড়কের পাশেই অবস্থিত কাজীপাড়া গ্রাম। প্রকৃতির অপরূপ খেয়ালে কয়েক যুগ থেকে এ গ্রামের গাছ-গছালিতে বাসা বেঁধে আছে বক, পানকৌড়ি, শামুকখৈল, রাতচোরা ও ভেলাসহ নানা প্রজাতির হাজার হাজার পাখি। গ্রামবাসীও তাদের আগলে রেখেছে। পাখির কলকাকলিতে ঘুম ভাঙে এ গ্রামের মানুষদের। গ্রাম পার্শ্ববর্তী খাল-বিল আর ফসলের মাঠ থেকে পোকা-মাকড়, মাছ ও শামুক ঝিনুক খেয়ে জীবন বাঁচে পাখিগুলোর। নিরাপদ আশ্রয় আর ভালোবাসায় বাসা বেঁধে প্রজননও করছে তারা। ফলে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এর সংখ্যাও। বহিরাগত আক্রমণ রোধে সতর্ক থাকা ছাড়াও দর্শনার্থীদের সহযোগিতা এবং পাখির সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলা গ্রামবাসীই রয়েছে এদের নিরাপত্তার দায়িত্বে। যে কোন আগন্তক পাখি শিকার করতে এলে তাদের বাধা দেয়া হয়। পাখিদের গাছে বাস করতে যেন কোন অসুবিধা না হয় তার জন্য মাটির পাত্র বসিয়ে গাছে গাছে বাসাও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে এ গ্রামে পাখি দেখতে আসেন দর্শনার্থীরা। ভোর বেলায় পাখিগুলো খাবারের সন্ধানে বেরিয়ে যায় আর পড়ন্ত বিকেল থেকে সন্ধ্যার মধ্যেই বাসায় ফিরে। এ সময়ে পাখির কলকাকলিতে পুরো গ্রাম মুখরিত থাকে। উদ্দীপন নামের একটি বেসরকারি সংস্থা থেকে ‘কাজীপাড়া পাখি পল্লী’ লিখা একটি সাইনবোর্ড গ্রামের প্রবেশ মুখে টানানো হলেও পাখি সংরক্ষণে সরকারিভাবে কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি।

কাজীপাড়া গ্রামের কাজী চপল বলেন, ‘জন্মের পর থেকে দেখে আসছি গ্রামে বসবাসরত পাখিগুলোকে। আগে হাজার হাজার সাদা বক থাকতো। এখন বকের পাশাপাশি শামুকখৈল, পানকৌড়ি, রাতচোরা ও ভেলা পাখি গ্রামের বিভিন্ন গাছ-গছালিতে একসঙ্গে বাসা বেঁধে আছে। পাখির দুর্গন্ধে কোন সমস্যা হয় কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের কোন সমস্যা হয় না। গোটা গ্রামের মানুষই পাখিগুলোকে ভালোবাসে।

স্থানীয় কাজী রিয়াজুল কবির বলেন, ‘এই পাখিগুলো আমাদের গ্রামের ঐতিহ্য। এলাকায় সবাই জানে কাজীপাড়া গ্রামে হাজার হাজার পাখি বসবাস করছে। এটাই আমাদের গর্ব। বলতে গেলে এখন পাখির সঙ্গেই আমাদের বসবাস। যদিও গ্রামবাসী কাউকেই পাখি শিকার করতে দেয় না, তারপরও প্রশাসনের উদ্যোগে সরকারিভাবে গ্রামটিকে পাখিদের অভয়ারণ্য ঘোষণা দিয়ে এর নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিলে অত্রাঞ্চলে কাজীপাড়া গ্রামটি পাখির গ্রাম হিসেবে পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষিত হবে।

ক্ষেতলাল পৌর সদরের থানাপাড়া মহল্লার আজিজুল হক বলেন, ‘কাজীপাড়া গ্রামে ঢুকলেই গাছে গাছে দেখা মিলবে বিভিন্ন প্রজাতির পাখির। কোথাও বসে থেকে পাখা ঝাপটাচ্ছে সাদা বক, আবার কোথাও বসে চেচামেচি করছে শামুকখৈল, রাতচোরা অথবা পানকৌড়ি। শব্দ পেলেই উড়াল দেয় চতুর পাখি পানকৌড়ি। কিছুক্ষণ পর পর ঝাঁকে ঝাঁকে বক, শামুকখৈল অথবা পানকৌড়ির দল এসে বসছে গাছের ডালে ডালে। এ এক অপরূপ দৃশ্য। যা চোখে না দেখলে অনুভব করা কঠিন।

স্থানীয় বেলগাড়ি গ্রামের পাখিপ্রেমিক আবদুল আলিম বলেন, ‘বিকেলে ওই গ্রামের পাখিগুলোকে দেখতে খুব ভালো লাগে। পাখিরা ওই সময় ডানা মেলে ঝাঁক ধরে নীড়ে ফিরে। হাজার হাজার পাখি সন্ধ্যার মধ্যেই ফিরে আসে। আবার ভোরে বেরিয়ে পড়ে খাবারের সন্ধানে। মোট কথা পাখিদের জন্যই কাজীপাড়া গ্রামটি এ এলাকায় বিশেষ পরিচিতি লাভ করেছে।

ক্ষেতলাল উপজেলা সদরের শিক্ষক আজিজার রহমান জানান, প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করতে হলে সবাইকে পাখিসহ জীববৈচিত্র্যকে রক্ষা করা প্রয়োজন। পাখিদের অভয়ারণ্য করতে এলাকাবাসী ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের দাবি এ গ্রামকে পাখির অভায়ারণ্য ঘোষণা করে পাখিগুলো রক্ষা করা হোক।

মহেশপুর সীমান্তে দুই মাসে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার সময় শিশুসহ আটক ৭২০

মোরেলগঞ্জে জুলাই বিপ্লব স্মরণে বিএনপির দোয়া

সিরাজগঞ্জে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে যমুনায় ভাঙছে পাড়ের জমি, ঘরবাড়ি

বিয়ানীবাজারে ভাতিজির আত্মহত্যার খবর শুনে চাচির মৃত্যু

‘হালদা দূষণকারীদের চিহ্নিত করতে হবে নির্যাতনকারী হিসেবে’

ছবি

‘অদক্ষ-ব্যর্থ’ অভিযোগে সিলেট ডিসিকে প্রত্যাহারের দাবি, শনিবার থেকে পরিবহন বন্ধের হুমকি

ছবি

ডিআইজির কার্যালয়ের সামনে এনসিপি ও ছাত্রদের বিক্ষোভ

ছবি

চট্টগ্রামে ডিআইজি কার্যালয়ের সামনে বৈষম্যবিরোধী ও এনসিপির অবস্থান, সড়ক অবরোধ

ছবি

ভোলায় গৃহবধূকে ‘দলবদ্ধ ধর্ষণ’: শ্রমিক দল নেতা ফরিদ বহিষ্কার

করোনায় সিলেটে এক বৃদ্ধের মৃত্যু

ছবি

সাক্ষাৎকারের চাপে অতিষ্ঠ, বাড়ি ছাড়লেন মুরাদনগরের সেই নির্যাতিত নারী

ছবি

কেএমপি কমিশনারের অপসারণ দাবিতে রূপসা সেতু অবরোধ

ছবি

কমিশনার অপসারণের দাবিতে খুলনায় টানা কর্মসূচি, রোববার থেকে সর্বাত্মক অবরোধের হুঁশিয়ারি

ছবি

চট্টগ্রামে আইনজীবী আলিফ হত্যা: চিন্ময়ের ‘উসকানিমূলক বক্তব্য’ দায়ী, বলছে পুলিশ

ছবি

রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী রথ মেলায় চাঁদাবাজি বন্ধ করায় সস্তিতে ব্যবসায়ীরা

২৩ বছর পর পটুয়াখালীতে বিএনপির সম্মেলন আজ

ছাতকে ইউএনওর সাথে সাংবাদিকদের মত বিনিময়

করিমগঞ্জে প্রতিবন্ধীদের হুইল চেয়ার বিতরণ

ছবি

মাতামুহুরীর চরের জমিতে পেঁপে চাষে সৌখিন চাষি বাদশা লাভবান

১৩ বছর ধরে অবৈধভাবে শিক্ষকতা বেরোবির তাবিউর রহমান প্রধানের বিরুদ্ধে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি

পূর্বাচলে ঘোড়ার মাংসসহ গ্রেপ্তার ১

ছবি

পলাশে হারিয়ে যাচ্ছে বাংলার সৌন্দর্যের প্রতীক তালগাছ

ইতিহাস, ঐতিহ্য ও গৌরবের সিলেট মুরারি চাঁদ কলেজ

মাদক কারবারিদের হামলায় ডিবি পুলিশ আহত

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হওয়া প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে

ডিমলায় জমি নিয়ে বিরোধ, নিহত ১

ভৈরবে পাইকারি চাল বাজারে অভিযান জরিমানা

ছবি

প্রধান শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা

১০১ পরিবারকে ঘর দিচ্ছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন

দুর্গাপুরে জনবসতি এলাকায় ময়লার ভাগাড় হুমকিতে জনস্বাস্থ্য

নরসিংদীতে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে-গুলি করে হত্যা

ছবি

সিরাজগঞ্জে বর্ষার আগমনে জেলে পরিবারগুলোতে ফিরেছে স্বস্তি

ঝালকাঠি পৌরসভায় ট্রাক স্ট্যান্ড না থাকায় আবাসিক এলাকায় পার্কিং

বেতাগীতে ডেঙ্গুতে শিক্ষকের মৃত্যু

গাইবান্ধায় বাড়ছে অপরাধ, জনমনে উদ্বেগ

ছবি

গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবসের সমাবেশ

tab

সারাদেশ

জয়পুরহাটের কাজীপাড়া পাখির কলকাকলিতে মুখরিত

বাকী বিল্লাহ ঢাকা ও নন্দকিশোর আগরওয়ালা, জয়পুরজাট

শনিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২১

জয়পুরহাট শহর থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে ক্ষেতলাল উপজেলার কাজীপাড়া গ্রামে বিভিন্ন গাছে বাসা বেঁধে হাজার হাজার পাখি। গাছের ডালে ডালে ঝাঁকে ঝাঁকে বক, শামুকখৈলসহ নানা প্রজাতির পাখি। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন প্রজাতির পাখির কিচির মিচির শব্দে মুখরিত থাকে গোটা গ্রাম। পাখিগুলোকে গভীর মমতা দিয়ে আগলে রেখেছে গ্রামবাসী। মানুষের ভালোবাসা আর নিরাপদ আশ্রয় পেয়ে প্রজননের মাধ্যমে ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে পাখির সংখ্যা। দীর্ঘদিন থেকে বসবাস করা এই গ্রামে পাখির সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে বলে স্থানীয়রা জানান।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, পাখি রক্ষা ও পাখিদের নিরাপত্তায় কাজীপাড়া গ্রামকে পাখির অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হোক। প্রতিদিন পাখি দেখতে আশপাশের জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলা সদর থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে ক্ষেতলাল-বগুড়া সড়কের পাশেই অবস্থিত কাজীপাড়া গ্রাম। প্রকৃতির অপরূপ খেয়ালে কয়েক যুগ থেকে এ গ্রামের গাছ-গছালিতে বাসা বেঁধে আছে বক, পানকৌড়ি, শামুকখৈল, রাতচোরা ও ভেলাসহ নানা প্রজাতির হাজার হাজার পাখি। গ্রামবাসীও তাদের আগলে রেখেছে। পাখির কলকাকলিতে ঘুম ভাঙে এ গ্রামের মানুষদের। গ্রাম পার্শ্ববর্তী খাল-বিল আর ফসলের মাঠ থেকে পোকা-মাকড়, মাছ ও শামুক ঝিনুক খেয়ে জীবন বাঁচে পাখিগুলোর। নিরাপদ আশ্রয় আর ভালোবাসায় বাসা বেঁধে প্রজননও করছে তারা। ফলে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এর সংখ্যাও। বহিরাগত আক্রমণ রোধে সতর্ক থাকা ছাড়াও দর্শনার্থীদের সহযোগিতা এবং পাখির সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলা গ্রামবাসীই রয়েছে এদের নিরাপত্তার দায়িত্বে। যে কোন আগন্তক পাখি শিকার করতে এলে তাদের বাধা দেয়া হয়। পাখিদের গাছে বাস করতে যেন কোন অসুবিধা না হয় তার জন্য মাটির পাত্র বসিয়ে গাছে গাছে বাসাও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে এ গ্রামে পাখি দেখতে আসেন দর্শনার্থীরা। ভোর বেলায় পাখিগুলো খাবারের সন্ধানে বেরিয়ে যায় আর পড়ন্ত বিকেল থেকে সন্ধ্যার মধ্যেই বাসায় ফিরে। এ সময়ে পাখির কলকাকলিতে পুরো গ্রাম মুখরিত থাকে। উদ্দীপন নামের একটি বেসরকারি সংস্থা থেকে ‘কাজীপাড়া পাখি পল্লী’ লিখা একটি সাইনবোর্ড গ্রামের প্রবেশ মুখে টানানো হলেও পাখি সংরক্ষণে সরকারিভাবে কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি।

কাজীপাড়া গ্রামের কাজী চপল বলেন, ‘জন্মের পর থেকে দেখে আসছি গ্রামে বসবাসরত পাখিগুলোকে। আগে হাজার হাজার সাদা বক থাকতো। এখন বকের পাশাপাশি শামুকখৈল, পানকৌড়ি, রাতচোরা ও ভেলা পাখি গ্রামের বিভিন্ন গাছ-গছালিতে একসঙ্গে বাসা বেঁধে আছে। পাখির দুর্গন্ধে কোন সমস্যা হয় কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের কোন সমস্যা হয় না। গোটা গ্রামের মানুষই পাখিগুলোকে ভালোবাসে।

স্থানীয় কাজী রিয়াজুল কবির বলেন, ‘এই পাখিগুলো আমাদের গ্রামের ঐতিহ্য। এলাকায় সবাই জানে কাজীপাড়া গ্রামে হাজার হাজার পাখি বসবাস করছে। এটাই আমাদের গর্ব। বলতে গেলে এখন পাখির সঙ্গেই আমাদের বসবাস। যদিও গ্রামবাসী কাউকেই পাখি শিকার করতে দেয় না, তারপরও প্রশাসনের উদ্যোগে সরকারিভাবে গ্রামটিকে পাখিদের অভয়ারণ্য ঘোষণা দিয়ে এর নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিলে অত্রাঞ্চলে কাজীপাড়া গ্রামটি পাখির গ্রাম হিসেবে পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষিত হবে।

ক্ষেতলাল পৌর সদরের থানাপাড়া মহল্লার আজিজুল হক বলেন, ‘কাজীপাড়া গ্রামে ঢুকলেই গাছে গাছে দেখা মিলবে বিভিন্ন প্রজাতির পাখির। কোথাও বসে থেকে পাখা ঝাপটাচ্ছে সাদা বক, আবার কোথাও বসে চেচামেচি করছে শামুকখৈল, রাতচোরা অথবা পানকৌড়ি। শব্দ পেলেই উড়াল দেয় চতুর পাখি পানকৌড়ি। কিছুক্ষণ পর পর ঝাঁকে ঝাঁকে বক, শামুকখৈল অথবা পানকৌড়ির দল এসে বসছে গাছের ডালে ডালে। এ এক অপরূপ দৃশ্য। যা চোখে না দেখলে অনুভব করা কঠিন।

স্থানীয় বেলগাড়ি গ্রামের পাখিপ্রেমিক আবদুল আলিম বলেন, ‘বিকেলে ওই গ্রামের পাখিগুলোকে দেখতে খুব ভালো লাগে। পাখিরা ওই সময় ডানা মেলে ঝাঁক ধরে নীড়ে ফিরে। হাজার হাজার পাখি সন্ধ্যার মধ্যেই ফিরে আসে। আবার ভোরে বেরিয়ে পড়ে খাবারের সন্ধানে। মোট কথা পাখিদের জন্যই কাজীপাড়া গ্রামটি এ এলাকায় বিশেষ পরিচিতি লাভ করেছে।

ক্ষেতলাল উপজেলা সদরের শিক্ষক আজিজার রহমান জানান, প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করতে হলে সবাইকে পাখিসহ জীববৈচিত্র্যকে রক্ষা করা প্রয়োজন। পাখিদের অভয়ারণ্য করতে এলাকাবাসী ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের দাবি এ গ্রামকে পাখির অভায়ারণ্য ঘোষণা করে পাখিগুলো রক্ষা করা হোক।

back to top