ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ময়লার গাড়ির ধাক্কায় রাজধানীর গুলিস্তানে নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী নাঈম হাসানের নিহতের বিচার চেয়ে আন্দোলনে নামা শিক্ষার্থীরা ১০ দফা দাবি দিয়েছে। দাবিগুলো মানতে সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে তারা।
বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে তারা কলেজের সামনে জড়ো হন। এরপর সাড়ে ১১টা নাগাদ তারা শাপলা চত্বরের সড়কে অবস্থান নেন। এ সময় তারা ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান দেন এবং বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড নিংয়ে অবস্থান নেন।
নাঈমের নিহতের ঘটনার বিচারের পাশাপাশি দাবির মধ্যে রয়েছে শিক্ষার্থীদের জন্য বাস ভাড়া অর্ধেক করা, প্রতিটি জেলা শহরে তাদের জন্য বাসের ব্যবস্থা করা, ট্রাফিক আইনের যথাযথ প্রয়োগ। এর বাইরে নাঈম হাসানের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবিও জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
তারা বলছেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দাবি আদায় না হলে রোববার আরও কঠোর আন্দোলনে নামবেন তারা।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো:
১. যথাযথ তদন্ত করে নাঈমের হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান।
২. জেলাশহরের বিভিন্ন রুটে শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের জন্য বাস সার্ভিস চালু।
৩. স্কুল-কলেজের সামনে হর্ন ও ওভারস্পিডিং-এর জন্য স্টুডেন্ট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রশাসনের কাছে জরিমানা অধিকার হস্তান্তর করা।
৪. সকল ছাত্রদের জন্য হাফ পাশ নিশ্চিতকরণ।
৫. প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে একাধিক স্পিড ব্রেকার নির্মাণ।
৬. শহরের প্রত্যকটি অচল ট্রাফিক লাইটের সংস্কার এবং সঠিক ব্যবহার করা।
৭. ট্রাফিক আইনের সঠিক প্রয়োগ।
৮. জেব্রা ক্রসিংয়ের পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার নিশ্চিতকরণ।
৯. চলন্ত বাসে যাত্রী উঠানামা করালে প্রত্যেক বাসকে আইনের আওতায় আনা।
১০. সর্বোপরি নিরাপদ সড়ক আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন।
দাবিগুলোর বাস্তবায়নে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে বিক্ষোভে নটর ডেমের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মো. মোস্তাকিম রহমান বলেন, ‘এই দাবিগুলোর বাইরে নিহত নাঈমের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। প্রাপ্ত বয়স্ক লাইসেন্সপ্রাপ্ত ছাড়া কেউ সড়কে গাড়ি চালাতে পারবে না। আমরা গতকালও কয়েকজন চালক পেয়েছি, যারা বয়সে অনেক কম। আমরা আইনের সঠিক প্রয়োগ চাই। সর্বোপরি নিরাপদ সড়ক চাই।’
ফার্মগেটের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ফার্মগেটের পাঁচ রাস্তা মোড় অবরোধ করে বেলা ১১টার দিকে বিক্ষোভে নামে সরকারি বিজ্ঞান কলেজের শিক্ষার্থীরা। প্রথমে কয়েক শ শিক্ষার্থী রাস্তায় নামলেও পড়ে তা হাজার ছাড়ায়।
১০ দফা দাবির বিষয়টি উল্লেখ করে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আগামী পরশু আমাদের পরীক্ষা, আমরা তো পড়ব, আমরা পরীক্ষা দেব, কিন্তু আমরা যদি তার আগেই মারা যাই তাহলে কীভাবে পরীক্ষা দেব।
‘যে ছাত্রটি মারা গেল তার কি ভুল ছিল। আমরা তো এরকম দেশ চাই নাই। এর আগেও আমরা ছাত্ররা মিলে নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন করেছি তারপরেও ওই ধরনের ঘটনা ঘটছে আমরা এমন চাই না। বিচার চাই।’
এর আগে গতকাল বুধবার রাজধানীর গুলিস্তানে রাস্তা পারাপারের সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ময়লার গাড়ির ধাক্কায় শিক্ষার্থী নাঈম হাসান (১৮) হাসান নিহত হন।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। পরে দুপুর সোয়া ১২টার দিতে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় গাড়িচালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার নাম রাসেল খান (২৭)। শিক্ষার্থীকে ধাক্কা দেওয়া গাড়িটিও জব্দ করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলার বাদী হয়েছেন নিহতের বাবা শাহ আলম।
বৃহস্পতিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২১
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ময়লার গাড়ির ধাক্কায় রাজধানীর গুলিস্তানে নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী নাঈম হাসানের নিহতের বিচার চেয়ে আন্দোলনে নামা শিক্ষার্থীরা ১০ দফা দাবি দিয়েছে। দাবিগুলো মানতে সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে তারা।
বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে তারা কলেজের সামনে জড়ো হন। এরপর সাড়ে ১১টা নাগাদ তারা শাপলা চত্বরের সড়কে অবস্থান নেন। এ সময় তারা ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান দেন এবং বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড নিংয়ে অবস্থান নেন।
নাঈমের নিহতের ঘটনার বিচারের পাশাপাশি দাবির মধ্যে রয়েছে শিক্ষার্থীদের জন্য বাস ভাড়া অর্ধেক করা, প্রতিটি জেলা শহরে তাদের জন্য বাসের ব্যবস্থা করা, ট্রাফিক আইনের যথাযথ প্রয়োগ। এর বাইরে নাঈম হাসানের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবিও জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
তারা বলছেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দাবি আদায় না হলে রোববার আরও কঠোর আন্দোলনে নামবেন তারা।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো:
১. যথাযথ তদন্ত করে নাঈমের হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান।
২. জেলাশহরের বিভিন্ন রুটে শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের জন্য বাস সার্ভিস চালু।
৩. স্কুল-কলেজের সামনে হর্ন ও ওভারস্পিডিং-এর জন্য স্টুডেন্ট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রশাসনের কাছে জরিমানা অধিকার হস্তান্তর করা।
৪. সকল ছাত্রদের জন্য হাফ পাশ নিশ্চিতকরণ।
৫. প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে একাধিক স্পিড ব্রেকার নির্মাণ।
৬. শহরের প্রত্যকটি অচল ট্রাফিক লাইটের সংস্কার এবং সঠিক ব্যবহার করা।
৭. ট্রাফিক আইনের সঠিক প্রয়োগ।
৮. জেব্রা ক্রসিংয়ের পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার নিশ্চিতকরণ।
৯. চলন্ত বাসে যাত্রী উঠানামা করালে প্রত্যেক বাসকে আইনের আওতায় আনা।
১০. সর্বোপরি নিরাপদ সড়ক আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন।
দাবিগুলোর বাস্তবায়নে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে বিক্ষোভে নটর ডেমের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মো. মোস্তাকিম রহমান বলেন, ‘এই দাবিগুলোর বাইরে নিহত নাঈমের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। প্রাপ্ত বয়স্ক লাইসেন্সপ্রাপ্ত ছাড়া কেউ সড়কে গাড়ি চালাতে পারবে না। আমরা গতকালও কয়েকজন চালক পেয়েছি, যারা বয়সে অনেক কম। আমরা আইনের সঠিক প্রয়োগ চাই। সর্বোপরি নিরাপদ সড়ক চাই।’
ফার্মগেটের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ফার্মগেটের পাঁচ রাস্তা মোড় অবরোধ করে বেলা ১১টার দিকে বিক্ষোভে নামে সরকারি বিজ্ঞান কলেজের শিক্ষার্থীরা। প্রথমে কয়েক শ শিক্ষার্থী রাস্তায় নামলেও পড়ে তা হাজার ছাড়ায়।
১০ দফা দাবির বিষয়টি উল্লেখ করে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আগামী পরশু আমাদের পরীক্ষা, আমরা তো পড়ব, আমরা পরীক্ষা দেব, কিন্তু আমরা যদি তার আগেই মারা যাই তাহলে কীভাবে পরীক্ষা দেব।
‘যে ছাত্রটি মারা গেল তার কি ভুল ছিল। আমরা তো এরকম দেশ চাই নাই। এর আগেও আমরা ছাত্ররা মিলে নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন করেছি তারপরেও ওই ধরনের ঘটনা ঘটছে আমরা এমন চাই না। বিচার চাই।’
এর আগে গতকাল বুধবার রাজধানীর গুলিস্তানে রাস্তা পারাপারের সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ময়লার গাড়ির ধাক্কায় শিক্ষার্থী নাঈম হাসান (১৮) হাসান নিহত হন।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। পরে দুপুর সোয়া ১২টার দিতে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় গাড়িচালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার নাম রাসেল খান (২৭)। শিক্ষার্থীকে ধাক্কা দেওয়া গাড়িটিও জব্দ করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলার বাদী হয়েছেন নিহতের বাবা শাহ আলম।