করোনাভাইরাসের দূর্দিনে গণপরিবহনে ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে সরকারের জনস্বার্থবিরোধী বলে দাবি করেছেন যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। ২ জুন মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি জানায় সংগঠনটি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বজুড়ে মহামারী আকারে ছড়ানো করোনা প্রতিরোধের জন্য সরকার সারাদেশে প্রায় দুই মাসের অধিক সময় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে গণপরিবহন বন্ধ রেখেছিল। ৩১ মে থেকে বিমান, ট্রেন ও লঞ্চ স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে পূর্বেও নির্ধারিত ভাড়ায় চলাচল শুরু করলেও। দেশের ৮৫ শতাংশ যাত্রীর ব্যবহার করা গণপরিবহনে ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়িয়েছে সরকার। করোনার এই দূর্দিনে ভাড়া বাড়িয়ে গণপরিবহন পরিচালনার যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তা অযৌক্তিক এবং জনস্বার্থবিরোধী। এটি দেশের সাধারণ নাগরিকদের জন্য মরার ওপর খাঁড়ার ঘা ছাড়া আর কিছুই নয়।
গত তিন মাস ধরে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি চলাকালে দেশের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার অজুহাতে অনেক শ্রমিকের ঠিকমতো বেতন-ভাতা পরিশোধ করেনি এ অবস্থায় পকেট খালি হওয়া সাধারণ মানুষ জীবন বাজি রেখে কাজের জন্য ঘর থেকে বের হতে গিয়ে কী করে অতিরিক্ত বাসভাড়া দেবেন সেটা মোটেও ভাবেনি সরকার। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী যেখানে ব্যবসায়ীদের স্বার্থে একের পর এক প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেই যাচ্ছেন, সেখানে সুযোগ থাকা সত্ত্বেও জ্বালানি তেলের দাম না কমিয়ে ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধি গণমানুষের সঙ্গে সরকারের প্রতারণারই শামিল। সরকারের অন্য কর্মসূচিগুলোরও পুরো বিপরীত। এখানে যাত্রী সাধারণের স্বার্থ মোটেও বিবেচনায় নেয়া হয়নি। বাস মিনিবাসের ৮০ শতাংশ গড় বুঝায় হিসাব করে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছিল। এ হিসাব একটি ৫০ আসনের বাসে ১০টি সিট ফাঁকা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি এই ফাঁকা থাকা আসনের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে ২৫টিতে দাঁড়িয়েছে। ১৫টি আসনের ভাড়া আদায় করতে সরকার এখন ৬০ শতাংশ ভাড়া না বাড়িয়ে জ্বালানি তেলের দাম কমানো, পরিবহনের চাঁদাবাজী বন্ধ, যানজট নিয়ন্ত্রণ করে বাস মিনিবাসের ট্রিপ বাড়িয়ে পরিবহন ভাড়া নিয়ন্ত্রণ করতে পারত। প্রয়োজনে কিছুটা ভর্তুকিও ঘোষণা করা যেত।
এ বিষয়ে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সামসুদ্দীন চৌধুরী বলেন, বাড়তি ভাড়ার জন্য যে সুপারিশ বিআরটিএ’র কমিটি করেছে তাতে বাস মালিকদের দাবি বিবেচনা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার, ০২ জুন ২০২০
করোনাভাইরাসের দূর্দিনে গণপরিবহনে ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে সরকারের জনস্বার্থবিরোধী বলে দাবি করেছেন যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। ২ জুন মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি জানায় সংগঠনটি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বজুড়ে মহামারী আকারে ছড়ানো করোনা প্রতিরোধের জন্য সরকার সারাদেশে প্রায় দুই মাসের অধিক সময় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে গণপরিবহন বন্ধ রেখেছিল। ৩১ মে থেকে বিমান, ট্রেন ও লঞ্চ স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে পূর্বেও নির্ধারিত ভাড়ায় চলাচল শুরু করলেও। দেশের ৮৫ শতাংশ যাত্রীর ব্যবহার করা গণপরিবহনে ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়িয়েছে সরকার। করোনার এই দূর্দিনে ভাড়া বাড়িয়ে গণপরিবহন পরিচালনার যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তা অযৌক্তিক এবং জনস্বার্থবিরোধী। এটি দেশের সাধারণ নাগরিকদের জন্য মরার ওপর খাঁড়ার ঘা ছাড়া আর কিছুই নয়।
গত তিন মাস ধরে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি চলাকালে দেশের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার অজুহাতে অনেক শ্রমিকের ঠিকমতো বেতন-ভাতা পরিশোধ করেনি এ অবস্থায় পকেট খালি হওয়া সাধারণ মানুষ জীবন বাজি রেখে কাজের জন্য ঘর থেকে বের হতে গিয়ে কী করে অতিরিক্ত বাসভাড়া দেবেন সেটা মোটেও ভাবেনি সরকার। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী যেখানে ব্যবসায়ীদের স্বার্থে একের পর এক প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেই যাচ্ছেন, সেখানে সুযোগ থাকা সত্ত্বেও জ্বালানি তেলের দাম না কমিয়ে ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধি গণমানুষের সঙ্গে সরকারের প্রতারণারই শামিল। সরকারের অন্য কর্মসূচিগুলোরও পুরো বিপরীত। এখানে যাত্রী সাধারণের স্বার্থ মোটেও বিবেচনায় নেয়া হয়নি। বাস মিনিবাসের ৮০ শতাংশ গড় বুঝায় হিসাব করে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছিল। এ হিসাব একটি ৫০ আসনের বাসে ১০টি সিট ফাঁকা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি এই ফাঁকা থাকা আসনের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে ২৫টিতে দাঁড়িয়েছে। ১৫টি আসনের ভাড়া আদায় করতে সরকার এখন ৬০ শতাংশ ভাড়া না বাড়িয়ে জ্বালানি তেলের দাম কমানো, পরিবহনের চাঁদাবাজী বন্ধ, যানজট নিয়ন্ত্রণ করে বাস মিনিবাসের ট্রিপ বাড়িয়ে পরিবহন ভাড়া নিয়ন্ত্রণ করতে পারত। প্রয়োজনে কিছুটা ভর্তুকিও ঘোষণা করা যেত।
এ বিষয়ে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সামসুদ্দীন চৌধুরী বলেন, বাড়তি ভাড়ার জন্য যে সুপারিশ বিআরটিএ’র কমিটি করেছে তাতে বাস মালিকদের দাবি বিবেচনা করা হচ্ছে।