কর্মস্থলে অনুপস্থিতি, প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে নগদ অর্থ সহায়তা ও ত্রাণ বিতরণে অনিয়মসহ নানা অভিযোগে আরও ১১ জনপ্রতিনিধিকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। এদের মধ্যে ৪ জন ইউপি চেয়ারম্যান ও ৬ জন ইউপি সদস্য এবং ১ জন পৌর কাউন্সিলর। ২ জুন মঙ্গলবার স্থানীয় সরকার বিভাগ হতে এ সংক্রান্ত পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। গত দুই মাসে বিভিন্ন অভিযোগে মোট ৮৫ জন জনপ্রতিনিধিকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে ২৮ জন ইউপি চেয়ারম্যান, ৫১ জন ইউপি সদস্য, ১ জন জেলা পরিষদ সদস্য, ৪ জন পৌর কাউন্সিলর এবং ১ জন উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান।
পৃথক প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলী উপজেলার সিংপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: আনোয়ারুল হক করোনো ভাইরাস প্রাদুর্ভার সময় ত্রাণ কাজে সহায়তা না করে সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে কর্মস্থলে অনুপস্থিত আছেন। একই জেলার বাজিতপুর উপজেলার হালিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মো: কাজল ভূইয়া স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্দেশনা অমান্য করে দীর্ঘদিন যাবত কর্মস্থলে অনুপস্থিত, করোনো ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদেক্ষেপ বাস্তবায়নে বিঘœ সৃষ্টি, এপ্রিল মাসের ভিজিডি খাদ্যশস্য বিতরণ না করা, প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে নগদ অর্থ সহায়তা কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের তালিকা প্রনয়ণে ব্যর্থ এবং কারণ দর্শানোর প্রেক্ষিতে নিজে জবাব প্রদান না করে অন্যের মাধ্যমে জবাব প্রদান করেছেন। এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলাধীন মজলিশপুর ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের সদস্য হারিছ মিয়া এবং ৭নং ওয়ার্ডের জনাব হাছান মিয়া এর বিরুদ্ধে সরকারী নিয়মনীতির ব্যতয় ঘটিয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে নগদ অর্থ সহায়তা কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের তালিকা প্রনয়ণে ব্যাপক অনিয়মের মাধ্যমে নিজেদের নাম অন্তর্ভূক্ত করার অভিযোগ স্থানীয় তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। বরগুনা জেলার সদর উপজেলাধীন এম বালিয়াতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহনেওয়াজ এর বিরুদ্ধে নিয়ম বহির্ভূতভাবে মৎস্য ভিজিএফ এর চাল ৮০ কেজির স্থলে ৬০ কেজি প্রদান, তালিকার বাইরেও অন্যান্যদের চাল প্রদানসহ দুই জন গ্রামপুলিশকে চাল প্রদানের অভিযোগ স্থানীয় তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। একই উপজেলার নলটোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর ও একই ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য মো: হারুন মিয়া, ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য মো: হানিফ, ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য মোসা রানী এবং ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য মোসা: ছাবিনা ইয়াসমিন (পলি) এর বিরুদ্ধে জেলেদের তালিকা প্রনয়ণে অনিয়ম, ভূয়া টিপসইয়ের মাধ্যমে চাল উত্তোলনপূর্বক আত্মসাত এবং চাল ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ স্থানীয় তদন্তে প্রমানিত হয়েছে। স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ৩৪(১) ধারা অনুযায়ী তাদের স্বীয় পদ হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এছাড়া চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ সোলাইমান বাবুল এর বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে অনিয়মের অভিযোগ জেলা প্রশাসক কর্তৃক তদন্তে প্রমানিত হওয়ায় মঙ্গলবার তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
মঙ্গলবার, ০২ জুন ২০২০
কর্মস্থলে অনুপস্থিতি, প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে নগদ অর্থ সহায়তা ও ত্রাণ বিতরণে অনিয়মসহ নানা অভিযোগে আরও ১১ জনপ্রতিনিধিকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। এদের মধ্যে ৪ জন ইউপি চেয়ারম্যান ও ৬ জন ইউপি সদস্য এবং ১ জন পৌর কাউন্সিলর। ২ জুন মঙ্গলবার স্থানীয় সরকার বিভাগ হতে এ সংক্রান্ত পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। গত দুই মাসে বিভিন্ন অভিযোগে মোট ৮৫ জন জনপ্রতিনিধিকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে ২৮ জন ইউপি চেয়ারম্যান, ৫১ জন ইউপি সদস্য, ১ জন জেলা পরিষদ সদস্য, ৪ জন পৌর কাউন্সিলর এবং ১ জন উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান।
পৃথক প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলী উপজেলার সিংপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: আনোয়ারুল হক করোনো ভাইরাস প্রাদুর্ভার সময় ত্রাণ কাজে সহায়তা না করে সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে কর্মস্থলে অনুপস্থিত আছেন। একই জেলার বাজিতপুর উপজেলার হালিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মো: কাজল ভূইয়া স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্দেশনা অমান্য করে দীর্ঘদিন যাবত কর্মস্থলে অনুপস্থিত, করোনো ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদেক্ষেপ বাস্তবায়নে বিঘœ সৃষ্টি, এপ্রিল মাসের ভিজিডি খাদ্যশস্য বিতরণ না করা, প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে নগদ অর্থ সহায়তা কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের তালিকা প্রনয়ণে ব্যর্থ এবং কারণ দর্শানোর প্রেক্ষিতে নিজে জবাব প্রদান না করে অন্যের মাধ্যমে জবাব প্রদান করেছেন। এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলাধীন মজলিশপুর ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের সদস্য হারিছ মিয়া এবং ৭নং ওয়ার্ডের জনাব হাছান মিয়া এর বিরুদ্ধে সরকারী নিয়মনীতির ব্যতয় ঘটিয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে নগদ অর্থ সহায়তা কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের তালিকা প্রনয়ণে ব্যাপক অনিয়মের মাধ্যমে নিজেদের নাম অন্তর্ভূক্ত করার অভিযোগ স্থানীয় তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। বরগুনা জেলার সদর উপজেলাধীন এম বালিয়াতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহনেওয়াজ এর বিরুদ্ধে নিয়ম বহির্ভূতভাবে মৎস্য ভিজিএফ এর চাল ৮০ কেজির স্থলে ৬০ কেজি প্রদান, তালিকার বাইরেও অন্যান্যদের চাল প্রদানসহ দুই জন গ্রামপুলিশকে চাল প্রদানের অভিযোগ স্থানীয় তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। একই উপজেলার নলটোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর ও একই ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য মো: হারুন মিয়া, ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য মো: হানিফ, ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য মোসা রানী এবং ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য মোসা: ছাবিনা ইয়াসমিন (পলি) এর বিরুদ্ধে জেলেদের তালিকা প্রনয়ণে অনিয়ম, ভূয়া টিপসইয়ের মাধ্যমে চাল উত্তোলনপূর্বক আত্মসাত এবং চাল ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ স্থানীয় তদন্তে প্রমানিত হয়েছে। স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ৩৪(১) ধারা অনুযায়ী তাদের স্বীয় পদ হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এছাড়া চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ সোলাইমান বাবুল এর বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে অনিয়মের অভিযোগ জেলা প্রশাসক কর্তৃক তদন্তে প্রমানিত হওয়ায় মঙ্গলবার তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।