জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এখন থেকে ‘রাজস্ব নীতি’ ও ‘রাজস্ব ব্যবস্থাপনা’—এই দুই বিভাগে বিভক্ত হচ্ছে। মঙ্গলবার এ বিষয়ে একটি অধ্যাদেশ জারি করেছে সরকার। উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদনের ২৫ দিন পর এ অধ্যাদেশ জারি হলো।
অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, এটি কার্যকর হওয়ার নির্দিষ্ট তারিখ পরবর্তী সময়ে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জানানো হবে।
গত ১৭ এপ্রিল এনবিআর বিভক্তির খসড়া অধ্যাদেশ অনুমোদন দিয়েছিল উপদেষ্টা পরিষদ। তবে অধ্যাদেশের খসড়া প্রকাশের পর থেকেই আয়কর ও শুল্ক ক্যাডারের কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং তাদের সংগঠনগুলো এ সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি তোলে।
অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, ‘রাজস্ব নীতি’ বিভাগে নিয়োগ পাবে আয়কর, কাস্টমস, ভ্যাট, অর্থনীতি, আইন, গবেষণা ও প্রশাসন সংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞ কর্মকর্তারা। এ বিভাগের কার্যপরিধিতে কর আইন প্রয়োগ ও আহরণ পরিস্থিতি মূল্যায়নও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
‘রাজস্ব ব্যবস্থাপনা’ বিভাগের প্রশাসনিক পদগুলোতে আয়কর ও শুল্ক ক্যাডারের পাশাপাশি প্রশাসন ক্যাডার থেকেও পদায়নের সুযোগ রাখা হয়েছে। এনবিআরের বর্তমান জনবল সংযুক্ত হবে রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগে।
এনবিআরকে আলাদা করার ধারণা নতুন নয়। ১৯৯৩ সালে আইএমএফ এবং ২০০৭ সালে বিশ্ব ব্যাংকের পক্ষ থেকে এমন সুপারিশ করা হয়েছিল। সাম্প্রতিক সময়ে ব্যবসায়ী সংগঠন, অর্থনীতিবিদ ও উন্নয়ন সহযোগীরাও এনবিআর পুনর্গঠনের আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন।
ক্ষমতার পালাবদলের পর নতুন সরকার এনবিআর সংস্কারে উদ্যোগ নেয় এবং পাঁচ সদস্যের একটি পরামর্শক কমিটি গঠন করে, যার প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই এনবিআরকে দুই ভাগে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এখন থেকে ‘রাজস্ব নীতি’ ও ‘রাজস্ব ব্যবস্থাপনা’—এই দুই বিভাগে বিভক্ত হচ্ছে। মঙ্গলবার এ বিষয়ে একটি অধ্যাদেশ জারি করেছে সরকার। উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদনের ২৫ দিন পর এ অধ্যাদেশ জারি হলো।
অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, এটি কার্যকর হওয়ার নির্দিষ্ট তারিখ পরবর্তী সময়ে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জানানো হবে।
গত ১৭ এপ্রিল এনবিআর বিভক্তির খসড়া অধ্যাদেশ অনুমোদন দিয়েছিল উপদেষ্টা পরিষদ। তবে অধ্যাদেশের খসড়া প্রকাশের পর থেকেই আয়কর ও শুল্ক ক্যাডারের কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং তাদের সংগঠনগুলো এ সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি তোলে।
অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, ‘রাজস্ব নীতি’ বিভাগে নিয়োগ পাবে আয়কর, কাস্টমস, ভ্যাট, অর্থনীতি, আইন, গবেষণা ও প্রশাসন সংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞ কর্মকর্তারা। এ বিভাগের কার্যপরিধিতে কর আইন প্রয়োগ ও আহরণ পরিস্থিতি মূল্যায়নও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
‘রাজস্ব ব্যবস্থাপনা’ বিভাগের প্রশাসনিক পদগুলোতে আয়কর ও শুল্ক ক্যাডারের পাশাপাশি প্রশাসন ক্যাডার থেকেও পদায়নের সুযোগ রাখা হয়েছে। এনবিআরের বর্তমান জনবল সংযুক্ত হবে রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগে।
এনবিআরকে আলাদা করার ধারণা নতুন নয়। ১৯৯৩ সালে আইএমএফ এবং ২০০৭ সালে বিশ্ব ব্যাংকের পক্ষ থেকে এমন সুপারিশ করা হয়েছিল। সাম্প্রতিক সময়ে ব্যবসায়ী সংগঠন, অর্থনীতিবিদ ও উন্নয়ন সহযোগীরাও এনবিআর পুনর্গঠনের আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন।
ক্ষমতার পালাবদলের পর নতুন সরকার এনবিআর সংস্কারে উদ্যোগ নেয় এবং পাঁচ সদস্যের একটি পরামর্শক কমিটি গঠন করে, যার প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই এনবিআরকে দুই ভাগে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।