নতুন অর্থবছরের (২০২৫-২৬) প্রথম মাসেই বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন গতি আশানুরূপ হয়নি। জুলাই মাসে বরাদ্দের মাত্র শূন্য দশমিক ৬৯ শতাংশ অর্থ ব্যয় হয়েছে, যা আগের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১ দশমিক ০৫ শতাংশ।
সোমবার (১৮ আগস্ট) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) এ তথ্য প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, জুলাইয়ে এডিপির অর্থ ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৬৪৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা; আগের বছরের একই মাসে এ ব্যয় ছিল ২ হাজার ৯২২ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এ ধীরগতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “প্রকল্প বাস্তবায়ন জুলাইয়ে এক শতাংশেরও কম, যা ভালো লক্ষণ নয়। গতবছর রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে ধীরগতি ছিল, এবছর তো আরও গতিশীল হওয়ার কথা। আগের বছরের অজুহাত এবছর চলবে না।”
তিনি মনে করেন, আগের সরকারের সময়ের প্রকল্প পরিচালকদের বদলি, আওয়ামী লীগ ঘরানার ঠিকাদারদের দেশত্যাগ এবং নতুন ঠিকাদার নিয়োগ না হওয়া বাস্তবায়ন কম হওয়ার একটি বড় কারণ।
উপদেষ্টা বলেন, এবারের বাজেট কাটছাঁট করে ‘বাস্তবসম্মত’ রাখা হয়েছে, তাই পূর্ণ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সব মন্ত্রণালয়কে এখনই তাগিদ দেওয়া হবে। ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে সংশোধিত এডিপি ঘোষণা করার পরিকল্পনার কথাও তিনি জানিয়েছেন।
আইএমইডির তথ্যমতে, ২০২৪-২৫ অর্থবছর শেষে সংশোধিত এডিপির ৬৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ অর্থ ব্যয় হয়, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ১৩ শতাংশ কম। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এ হার ছিল ৮০ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
২০০৪-০৫ অর্থবছর থেকে আইএমইডির ওয়েবসাইটে এডিপি বাস্তবায়নের তথ্য সংরক্ষিত আছে। সেখানকার হিসাবে, বিদায়ী অর্থবছরের মতো এত কম বাস্তবায়ন হার আর কোনো বছরে হয়নি।
মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫
নতুন অর্থবছরের (২০২৫-২৬) প্রথম মাসেই বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন গতি আশানুরূপ হয়নি। জুলাই মাসে বরাদ্দের মাত্র শূন্য দশমিক ৬৯ শতাংশ অর্থ ব্যয় হয়েছে, যা আগের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১ দশমিক ০৫ শতাংশ।
সোমবার (১৮ আগস্ট) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) এ তথ্য প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, জুলাইয়ে এডিপির অর্থ ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৬৪৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা; আগের বছরের একই মাসে এ ব্যয় ছিল ২ হাজার ৯২২ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এ ধীরগতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “প্রকল্প বাস্তবায়ন জুলাইয়ে এক শতাংশেরও কম, যা ভালো লক্ষণ নয়। গতবছর রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে ধীরগতি ছিল, এবছর তো আরও গতিশীল হওয়ার কথা। আগের বছরের অজুহাত এবছর চলবে না।”
তিনি মনে করেন, আগের সরকারের সময়ের প্রকল্প পরিচালকদের বদলি, আওয়ামী লীগ ঘরানার ঠিকাদারদের দেশত্যাগ এবং নতুন ঠিকাদার নিয়োগ না হওয়া বাস্তবায়ন কম হওয়ার একটি বড় কারণ।
উপদেষ্টা বলেন, এবারের বাজেট কাটছাঁট করে ‘বাস্তবসম্মত’ রাখা হয়েছে, তাই পূর্ণ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সব মন্ত্রণালয়কে এখনই তাগিদ দেওয়া হবে। ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে সংশোধিত এডিপি ঘোষণা করার পরিকল্পনার কথাও তিনি জানিয়েছেন।
আইএমইডির তথ্যমতে, ২০২৪-২৫ অর্থবছর শেষে সংশোধিত এডিপির ৬৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ অর্থ ব্যয় হয়, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ১৩ শতাংশ কম। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এ হার ছিল ৮০ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
২০০৪-০৫ অর্থবছর থেকে আইএমইডির ওয়েবসাইটে এডিপি বাস্তবায়নের তথ্য সংরক্ষিত আছে। সেখানকার হিসাবে, বিদায়ী অর্থবছরের মতো এত কম বাস্তবায়ন হার আর কোনো বছরে হয়নি।