ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্যাংক খাতে সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
তিনি জানান, দেশের মাত্র ১৭ থেকে ২০টি ব্যাংকের ‘সাইবার স্পেস রেটিং’ সন্তোষজনক। কিন্তু অনেক ব্যাংকের ডেটা অনিরাপদভাবে উন্মুক্ত থাকে এবং কিছু কর্মকর্তা সাইবার অপরাধের সঙ্গেও জড়িত।
মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে আর্থিক খাতে সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি। এ সেমিনারের আয়োজন করে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি এবং এনহ্যান্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি (ইডিজিই) প্রকল্প।
তৈয়্যব বলেন, “আর্থিক অপরাধ, অনলাইন জুয়া, সফটওয়্যার আপডেটের ঘাটতি, ফাইল ট্রান্সফার প্রটোকলের দুর্বলতা, ডিডস আক্রমণ এবং ডেটা সেন্টারের ঝুঁকি এখন ব্যাংকিং খাতের বড় হুমকি।”
তিনি ব্যাংকের আইটি বিভাগ ও সফটওয়্যার-হার্ডওয়্যার সরবরাহকারীদের বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাইয়ের ওপর জোর দেন। তার ভাষায়, “ব্যাংকের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের অন্তত ৭ থেকে ১০ শতাংশ সরাসরি সাইবার হ্যাকিংয়ের সঙ্গে জড়িত।”
সেমিনারে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, বিদ্যমান সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করতে হবে এবং সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে প্রশিক্ষণ বাড়ানো এবং তথ্যপ্রযুক্তি ও ব্যবসায়িক ইউনিটের মধ্যে সমন্বয় জোরদারের তাগিদ দেন। এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান ব্যাংকের সঙ্গে ডেটা বিনিময়ের মাধ্যমে কর আদায় সহজ করার প্রস্তাব দেন।
সিআইডির প্রধান মো. ছিবগাত উল্লাহ জানান, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ৮৮৪টি সাইবার অপরাধের অভিযোগ এসেছে। তবে ব্যাংকগুলোর মামলা করতে অনীহা তদন্তে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আলোচনায় ব্র্যাক ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, সিটি ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংকের প্রতিনিধিরা প্রযুক্তিগত জটিলতা সমাধানে করণীয় বিষয়ে মতামত তুলে ধরেন। বক্তারা বলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা শুধু ডিজিটাল ভবিষ্যৎ সুরক্ষাই নয়, বরং জনগণের আস্থা ও আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতার জন্য অপরিহার্য।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে আয়োজিত এই সেমিনারে আইসিটি বিভাগের বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার প্রধানসহ অংশীজনরা উপস্থিত ছিলেন।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বুধবার, ২০ আগস্ট ২০২৫
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্যাংক খাতে সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
তিনি জানান, দেশের মাত্র ১৭ থেকে ২০টি ব্যাংকের ‘সাইবার স্পেস রেটিং’ সন্তোষজনক। কিন্তু অনেক ব্যাংকের ডেটা অনিরাপদভাবে উন্মুক্ত থাকে এবং কিছু কর্মকর্তা সাইবার অপরাধের সঙ্গেও জড়িত।
মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে আর্থিক খাতে সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি। এ সেমিনারের আয়োজন করে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি এবং এনহ্যান্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি (ইডিজিই) প্রকল্প।
তৈয়্যব বলেন, “আর্থিক অপরাধ, অনলাইন জুয়া, সফটওয়্যার আপডেটের ঘাটতি, ফাইল ট্রান্সফার প্রটোকলের দুর্বলতা, ডিডস আক্রমণ এবং ডেটা সেন্টারের ঝুঁকি এখন ব্যাংকিং খাতের বড় হুমকি।”
তিনি ব্যাংকের আইটি বিভাগ ও সফটওয়্যার-হার্ডওয়্যার সরবরাহকারীদের বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাইয়ের ওপর জোর দেন। তার ভাষায়, “ব্যাংকের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের অন্তত ৭ থেকে ১০ শতাংশ সরাসরি সাইবার হ্যাকিংয়ের সঙ্গে জড়িত।”
সেমিনারে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, বিদ্যমান সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করতে হবে এবং সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে প্রশিক্ষণ বাড়ানো এবং তথ্যপ্রযুক্তি ও ব্যবসায়িক ইউনিটের মধ্যে সমন্বয় জোরদারের তাগিদ দেন। এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান ব্যাংকের সঙ্গে ডেটা বিনিময়ের মাধ্যমে কর আদায় সহজ করার প্রস্তাব দেন।
সিআইডির প্রধান মো. ছিবগাত উল্লাহ জানান, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ৮৮৪টি সাইবার অপরাধের অভিযোগ এসেছে। তবে ব্যাংকগুলোর মামলা করতে অনীহা তদন্তে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আলোচনায় ব্র্যাক ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, সিটি ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংকের প্রতিনিধিরা প্রযুক্তিগত জটিলতা সমাধানে করণীয় বিষয়ে মতামত তুলে ধরেন। বক্তারা বলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা শুধু ডিজিটাল ভবিষ্যৎ সুরক্ষাই নয়, বরং জনগণের আস্থা ও আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতার জন্য অপরিহার্য।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে আয়োজিত এই সেমিনারে আইসিটি বিভাগের বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার প্রধানসহ অংশীজনরা উপস্থিত ছিলেন।