যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশের ওপর নতুন করে উচ্চ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। তবে একযোগে দর-কষাকষির ইঙ্গিত দিয়ে জানিয়েছেন, আগস্টের মধ্যে চুক্তি না হলেও আলোচনা চলবে, কারণ সময়সীমা ‘একেবারে চূড়ান্ত নয়’।
সোমবার বিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধানদের কাছে পাঠানো চিঠিতে ট্রাম্প জানান, চলতি বছরের শুরুতে স্থগিত করা অতিরিক্ত শুল্ক আবার কার্যকর হচ্ছে, এবং তা এবার ২৫ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে।
চিঠি অনুযায়ী, বাংলাদেশের পণ্যে ৩৫ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ার ৩২ শতাংশ ও থাইল্যান্ডের পণ্যে ৩৬ শতাংশ হারে শুল্ক বসতে যাচ্ছে।
জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশে দেওয়া চিঠিতে ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের বাণিজ্য ‘পারস্পরিক স্বার্থে নয়’, তাই তাদের পণ্যে ২৫ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করা হবে। একইসঙ্গে অন্যান্য দেশকে সতর্ক করে তিনি বলেন, পাল্টা ব্যবস্থা নিলে আরও কঠোর শুল্ক জারি করা হবে।
তবে ট্রাম্প শুল্ক আরোপকে চূড়ান্ত বললেও দর-কষাকষির পথ খোলা রেখেছেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “কেউ যদি ভালো কোনো প্রস্তাব দেয়, তাহলে আমরা তা বিবেচনা করব।”
আগে থেকে নির্ধারিত ১ জুলাইয়ের সময়সীমা পিছিয়ে ১ আগস্ট নির্ধারণ করা হলেও ট্রাম্পের বক্তব্যে নতুন করে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। তাঁর ভাষায়, সময়সীমা ‘ঠিক আছে, তবে শতভাগ নয়’।
এদিকে তাঁর ঘোষণার প্রভাব পড়েছে মার্কিন অর্থনীতিতে। সোমবার শেয়ারবাজারে ব্যাপক ধস নামে। নাসডাক সূচক কমে ০.৯ শতাংশ এবং এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক কমেছে ০.৮ শতাংশ।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক অংশীদারদের সঙ্গে কড়াকড়ি অবস্থান নিয়ে ট্রাম্প বাকি দেশগুলোকেও বার্তা দিচ্ছেন। অনেক দেশ এরইমধ্যে শেষ মুহূর্তের আলোচনার মাধ্যমে শুল্ক এড়াতে কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করেছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের ‘৯০ দিনে ৯০টি চুক্তি’ পরিকল্পনার আওতায় এখন পর্যন্ত কেবল যুক্তরাজ্য ও ভিয়েতনামের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আশা প্রকাশ করেছেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আরও কিছু চুক্তির ঘোষণা আসবে।
মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশের ওপর নতুন করে উচ্চ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। তবে একযোগে দর-কষাকষির ইঙ্গিত দিয়ে জানিয়েছেন, আগস্টের মধ্যে চুক্তি না হলেও আলোচনা চলবে, কারণ সময়সীমা ‘একেবারে চূড়ান্ত নয়’।
সোমবার বিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধানদের কাছে পাঠানো চিঠিতে ট্রাম্প জানান, চলতি বছরের শুরুতে স্থগিত করা অতিরিক্ত শুল্ক আবার কার্যকর হচ্ছে, এবং তা এবার ২৫ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে।
চিঠি অনুযায়ী, বাংলাদেশের পণ্যে ৩৫ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ার ৩২ শতাংশ ও থাইল্যান্ডের পণ্যে ৩৬ শতাংশ হারে শুল্ক বসতে যাচ্ছে।
জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশে দেওয়া চিঠিতে ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের বাণিজ্য ‘পারস্পরিক স্বার্থে নয়’, তাই তাদের পণ্যে ২৫ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করা হবে। একইসঙ্গে অন্যান্য দেশকে সতর্ক করে তিনি বলেন, পাল্টা ব্যবস্থা নিলে আরও কঠোর শুল্ক জারি করা হবে।
তবে ট্রাম্প শুল্ক আরোপকে চূড়ান্ত বললেও দর-কষাকষির পথ খোলা রেখেছেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “কেউ যদি ভালো কোনো প্রস্তাব দেয়, তাহলে আমরা তা বিবেচনা করব।”
আগে থেকে নির্ধারিত ১ জুলাইয়ের সময়সীমা পিছিয়ে ১ আগস্ট নির্ধারণ করা হলেও ট্রাম্পের বক্তব্যে নতুন করে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। তাঁর ভাষায়, সময়সীমা ‘ঠিক আছে, তবে শতভাগ নয়’।
এদিকে তাঁর ঘোষণার প্রভাব পড়েছে মার্কিন অর্থনীতিতে। সোমবার শেয়ারবাজারে ব্যাপক ধস নামে। নাসডাক সূচক কমে ০.৯ শতাংশ এবং এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক কমেছে ০.৮ শতাংশ।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক অংশীদারদের সঙ্গে কড়াকড়ি অবস্থান নিয়ে ট্রাম্প বাকি দেশগুলোকেও বার্তা দিচ্ছেন। অনেক দেশ এরইমধ্যে শেষ মুহূর্তের আলোচনার মাধ্যমে শুল্ক এড়াতে কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করেছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের ‘৯০ দিনে ৯০টি চুক্তি’ পরিকল্পনার আওতায় এখন পর্যন্ত কেবল যুক্তরাজ্য ও ভিয়েতনামের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আশা প্রকাশ করেছেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আরও কিছু চুক্তির ঘোষণা আসবে।