২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে ৩৫০ কোটি মার্কিন ডলার বিদেশি ঋণ পরিশোধ করেছে সরকার। এর মধ্যে সুদ ১২৯ কোটি এবং আসল ২২১ কোটি ডলার। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ উন্নয়ন সহযোগীদের মোট পরিশোধ করেছিল ৩৩৭ কোটি ডলার। ফলে একই সময়ে ১৩ কোটি মার্কিন ডলার বেশি ঋণ পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ। ঋণ পরিশোধ বেশি হলেও বৈদেশিক প্রতিশ্রুতি ও অর্থছাড় হতাশাজনকভাবে কমে গেছে।
গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ উন্নয়ন সহযোগীদের মোট পরিশোধ করেছিল ৩৩৭ কোটি ডলার। ফলে একই সময়ে ১৩ কোটি মার্কিন ডলার বেশি ঋণ পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ
গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) তৈরি জুলাই-এপ্রিল মাসের বিদেশি ঋণ পরিস্থিতির হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
মূলত বিগত সময়ে নেওয়া অনেক মেগা প্রকল্পের বড় অংকের ঋণ ও বাজেট সহায়তার গ্রেস পিরিয়ড শেষ হয়ে যাওয়ায় ঋণ পরিশোধের চাপ ক্রমাগত বাড়ছে। এর সঙ্গে বাজারভিত্তিক উচ্চ সুদের হারও এতে প্রভাব ফেলেছে।
তবে কমেছে বৈদেশিক ঋণের প্রতিশ্রুতি ছাড়। ১০ মাসে বৈদেশিক ঋণের প্রতিশ্রুতি এসেছে ৪২৬ কোটি ডলার।
গত বছর একই সময়ে যা ছিল ৭৬০ কোটি ডলার । ফলে এক বছরের ব্যবধানে বৈদেশিক প্রতিশ্রুতি কমেছে ৩৩৪ কোটি মার্কিন ডলারে। ১০ মাসে বৈদেশিক ঋণের ছাড় হয়েছে ৫১৬ কোটি মার্কিন ডলার। গত বছর একই সময়ে যা ছাড় হয়েছিল ৬২৮ কোটি ডলারের। ফলে এক বছরের ব্যবধানে বৈদেশিক ছাড় কমেছে ১১২ কোটি ডলারের।
ইআরডির তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরের একই সময়ে (জুলাই-এপ্রিল) বাংলাদেশে বৈদেশিক ঋণের আসল ও সুদ বাবদ মোট পরিশোধ করেছিল প্রায় ২৮১ কোটি ডলার। যার তুলনায়, চলতি অর্থবছরে বৈদেশিক ঋণের পরিশোধ বেড়েছে ২৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
এ সময়ে আসল পরিশোধ বেড়েছে ৩২ দশমিক ৮৬ শতাংশ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীকে আসল বাবদ ২০০ কোটি ডলারের বেশি (২.০২১ বিলিয়ন) পরিশোধ করেছে সরকার। এর আগের অর্থবছরে একই সময়ে আসল পরিশোধের পরিমাণ ছিল ১৬৬ কোটি ডলার।
অন্যদিকে, জুলাই-এপ্রিল সময়ে সুদ পরিশোধ বেড়েছে ১২ দশমিক ৯৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত উন্নয়ন সহযোগীদের সুদ বাবদ পরিশোধ করা হয়েছে প্রায় ১২৯ কোটি ডলার; যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১১৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার।
গতকাল অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ভূঁইয়ার ফেসবুক ভেরিফায়েড আইডিতে এসব বিষয়ে একটি পোস্ট করেন। পোস্টে তিনি বলেন, ‘চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) বাংলাদেশ বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করেছে ৩৫০ কোটি মার্কিন ডলার, যা আগের পুরো অর্থবছরের মোট পরিশোধের পরিমাণকেও ছাড়িয়ে গেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে ঋণ পরিশোধের পরিমাণ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ বেড়েছে। এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ আসল বাবদ পরিশোধ করেছে প্রায় ২০২ কোটি ডলার, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১৬৬ কোটি ডলার- অর্থাৎ ৩২ দশমিক ৮৬ শতাংশ বেশি।’
শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে ৩৫০ কোটি মার্কিন ডলার বিদেশি ঋণ পরিশোধ করেছে সরকার। এর মধ্যে সুদ ১২৯ কোটি এবং আসল ২২১ কোটি ডলার। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ উন্নয়ন সহযোগীদের মোট পরিশোধ করেছিল ৩৩৭ কোটি ডলার। ফলে একই সময়ে ১৩ কোটি মার্কিন ডলার বেশি ঋণ পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ। ঋণ পরিশোধ বেশি হলেও বৈদেশিক প্রতিশ্রুতি ও অর্থছাড় হতাশাজনকভাবে কমে গেছে।
গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ উন্নয়ন সহযোগীদের মোট পরিশোধ করেছিল ৩৩৭ কোটি ডলার। ফলে একই সময়ে ১৩ কোটি মার্কিন ডলার বেশি ঋণ পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ
গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) তৈরি জুলাই-এপ্রিল মাসের বিদেশি ঋণ পরিস্থিতির হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
মূলত বিগত সময়ে নেওয়া অনেক মেগা প্রকল্পের বড় অংকের ঋণ ও বাজেট সহায়তার গ্রেস পিরিয়ড শেষ হয়ে যাওয়ায় ঋণ পরিশোধের চাপ ক্রমাগত বাড়ছে। এর সঙ্গে বাজারভিত্তিক উচ্চ সুদের হারও এতে প্রভাব ফেলেছে।
তবে কমেছে বৈদেশিক ঋণের প্রতিশ্রুতি ছাড়। ১০ মাসে বৈদেশিক ঋণের প্রতিশ্রুতি এসেছে ৪২৬ কোটি ডলার।
গত বছর একই সময়ে যা ছিল ৭৬০ কোটি ডলার । ফলে এক বছরের ব্যবধানে বৈদেশিক প্রতিশ্রুতি কমেছে ৩৩৪ কোটি মার্কিন ডলারে। ১০ মাসে বৈদেশিক ঋণের ছাড় হয়েছে ৫১৬ কোটি মার্কিন ডলার। গত বছর একই সময়ে যা ছাড় হয়েছিল ৬২৮ কোটি ডলারের। ফলে এক বছরের ব্যবধানে বৈদেশিক ছাড় কমেছে ১১২ কোটি ডলারের।
ইআরডির তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরের একই সময়ে (জুলাই-এপ্রিল) বাংলাদেশে বৈদেশিক ঋণের আসল ও সুদ বাবদ মোট পরিশোধ করেছিল প্রায় ২৮১ কোটি ডলার। যার তুলনায়, চলতি অর্থবছরে বৈদেশিক ঋণের পরিশোধ বেড়েছে ২৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
এ সময়ে আসল পরিশোধ বেড়েছে ৩২ দশমিক ৮৬ শতাংশ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীকে আসল বাবদ ২০০ কোটি ডলারের বেশি (২.০২১ বিলিয়ন) পরিশোধ করেছে সরকার। এর আগের অর্থবছরে একই সময়ে আসল পরিশোধের পরিমাণ ছিল ১৬৬ কোটি ডলার।
অন্যদিকে, জুলাই-এপ্রিল সময়ে সুদ পরিশোধ বেড়েছে ১২ দশমিক ৯৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত উন্নয়ন সহযোগীদের সুদ বাবদ পরিশোধ করা হয়েছে প্রায় ১২৯ কোটি ডলার; যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১১৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার।
গতকাল অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ভূঁইয়ার ফেসবুক ভেরিফায়েড আইডিতে এসব বিষয়ে একটি পোস্ট করেন। পোস্টে তিনি বলেন, ‘চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) বাংলাদেশ বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করেছে ৩৫০ কোটি মার্কিন ডলার, যা আগের পুরো অর্থবছরের মোট পরিশোধের পরিমাণকেও ছাড়িয়ে গেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে ঋণ পরিশোধের পরিমাণ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ বেড়েছে। এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ আসল বাবদ পরিশোধ করেছে প্রায় ২০২ কোটি ডলার, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১৬৬ কোটি ডলার- অর্থাৎ ৩২ দশমিক ৮৬ শতাংশ বেশি।’