জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) আলোচিত ব্যবসায়ী মো. সাইফুল আলম (এস আলম) ও তার পরিবারের কর ফাঁকি সংক্রান্ত অনুসন্ধানে ২ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকার লেনদেনের তথ্য পেয়েছে। সিআইসির মহাপরিচালক আহসান হাবিব জানান, এস আলমের ব্যাংক খাতে লুটপাটের প্রমাণ মিলেছে। তিনি বলেন, “২ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকার লেনদেনের তথ্য ১০টি কম্পিউটারে সাতজন অফিসার এক মাস ধরে এন্ট্রি দিয়ে শেষ করতে পারেননি। এর মধ্যে ৩৬ হাজার কোটি টাকা পাঁচ বছর ধরে ব্যাংকে স্থিতি ছিল এবং ৬ হাজার ৭৮১ কোটি টাকা ব্যাংক সুদ পেয়েছে।”
আগারগাঁওয়ের রাজস্ব ভবনে আয়োজিত ‘কর ফাঁকি ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে পারস্পারিক সহযোগিতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক কর্মশালায় আহসান হাবিব এসব তথ্য তুলে ধরেন। তিনি জানান, এস আলমের দুই ছেলে ব্যাংকের সহায়তায় জালিয়াতি করে ৫০০ কোটি টাকা ‘সাদা’ করেছে। তিনি বলেন, “এসআইবিএলের পটিয়া শাখায় ২১ ডিসেম্বরে পে অর্ডার কেটে পরে ক্লিয়ারিং করা হয়েছে, অথচ আইন শেষ হয়ে গেছে ৩০ জুন। ব্যাংক হেড অফিস থেকে আগের ডেটে পে অর্ডার দেওয়া হয়েছে।”
ব্যাংক কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান আহসান হাবিব। তিনি বলেন, “একজন ব্যাংক চেয়ারম্যানের ১২১ কোটি টাকা ব্লক করা হয়েছে।” এছাড়াও তিনি ব্যাংক খাতে অনিয়মের বিভিন্ন ঘটনা উল্লেখ করে কর্মকর্তাদের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানান।
এনবিআর চেয়ারম্যান ম. আবদুর রহমান খান ব্যাংক কর্মকর্তাদের উদ্দেশে কঠোর বার্তা দিয়ে বলেন, “ট্যাক্স অথরিটিকে সহায়তা না করলে ডিফল্ট অ্যাসেসি হিসেবে গণ্য করা হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তিনি আরও বলেন, “ব্যাংকওয়ালারা দুষ্টু আচরণ করেন এবং কথায় কথায় চার্জ কাটেন। আমাদের সহযোগিতা না করলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে।”
বৃহৎ করদাতা ইউনিটের কর কমিশনার মো. খাইরুল ইসলামও একই ধরনের তথ্য সামনে আনেন। তিনি বলেন, “অনেক স্টেটমেন্টে দেখা যাচ্ছে, বিশাল অঙ্কের টাকা শুধু ডেবিট হচ্ছে, কিন্তু কোথায় যাচ্ছে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।”
বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) আলোচিত ব্যবসায়ী মো. সাইফুল আলম (এস আলম) ও তার পরিবারের কর ফাঁকি সংক্রান্ত অনুসন্ধানে ২ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকার লেনদেনের তথ্য পেয়েছে। সিআইসির মহাপরিচালক আহসান হাবিব জানান, এস আলমের ব্যাংক খাতে লুটপাটের প্রমাণ মিলেছে। তিনি বলেন, “২ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকার লেনদেনের তথ্য ১০টি কম্পিউটারে সাতজন অফিসার এক মাস ধরে এন্ট্রি দিয়ে শেষ করতে পারেননি। এর মধ্যে ৩৬ হাজার কোটি টাকা পাঁচ বছর ধরে ব্যাংকে স্থিতি ছিল এবং ৬ হাজার ৭৮১ কোটি টাকা ব্যাংক সুদ পেয়েছে।”
আগারগাঁওয়ের রাজস্ব ভবনে আয়োজিত ‘কর ফাঁকি ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে পারস্পারিক সহযোগিতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক কর্মশালায় আহসান হাবিব এসব তথ্য তুলে ধরেন। তিনি জানান, এস আলমের দুই ছেলে ব্যাংকের সহায়তায় জালিয়াতি করে ৫০০ কোটি টাকা ‘সাদা’ করেছে। তিনি বলেন, “এসআইবিএলের পটিয়া শাখায় ২১ ডিসেম্বরে পে অর্ডার কেটে পরে ক্লিয়ারিং করা হয়েছে, অথচ আইন শেষ হয়ে গেছে ৩০ জুন। ব্যাংক হেড অফিস থেকে আগের ডেটে পে অর্ডার দেওয়া হয়েছে।”
ব্যাংক কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান আহসান হাবিব। তিনি বলেন, “একজন ব্যাংক চেয়ারম্যানের ১২১ কোটি টাকা ব্লক করা হয়েছে।” এছাড়াও তিনি ব্যাংক খাতে অনিয়মের বিভিন্ন ঘটনা উল্লেখ করে কর্মকর্তাদের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানান।
এনবিআর চেয়ারম্যান ম. আবদুর রহমান খান ব্যাংক কর্মকর্তাদের উদ্দেশে কঠোর বার্তা দিয়ে বলেন, “ট্যাক্স অথরিটিকে সহায়তা না করলে ডিফল্ট অ্যাসেসি হিসেবে গণ্য করা হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তিনি আরও বলেন, “ব্যাংকওয়ালারা দুষ্টু আচরণ করেন এবং কথায় কথায় চার্জ কাটেন। আমাদের সহযোগিতা না করলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে।”
বৃহৎ করদাতা ইউনিটের কর কমিশনার মো. খাইরুল ইসলামও একই ধরনের তথ্য সামনে আনেন। তিনি বলেন, “অনেক স্টেটমেন্টে দেখা যাচ্ছে, বিশাল অঙ্কের টাকা শুধু ডেবিট হচ্ছে, কিন্তু কোথায় যাচ্ছে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।”