‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির আওতায় চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ বন্ধ রাখার অভিযোগে এর কমিশনার মো. জাকির হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
মঙ্গলবার রাতে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করে বরখাস্ত করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে ২১ ও ২৮ জুন কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন জাকির হোসেন। এনবিআরের পূর্ব নির্দেশ অনুযায়ী, ২৮ জুনের সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করে সকল কর্মকর্তাকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তা সত্ত্বেও চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ বন্ধ রেখে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটানো এবং রাজস্ব আদায়ে বিপর্যয় ঘটানোর অভিযোগে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সরকারি চাকরি (শৃঙ্খলা) বিধিমালা, ২০১৮-এর ধারা ৩৯(১) অনুযায়ী তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় কার্যধারা শুরু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
এনবিআর সংস্কার ও চেয়ারম্যান অপসারণের দাবিতে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে ২৮ জুন (শনিবার) থেকে রাজস্ব বিভাগের কাস্টমস ও ভ্যাট অফিসগুলোতে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ শুরু হয়। দ্বিতীয় দিনেই সরকার এনবিআরের সেবা ‘অত্যাবশ্যকীয়’ ঘোষণা করে কঠোর হুঁশিয়ারি দেয়।
এরপর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আন্দোলনরত ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তথ্য অনুসন্ধান শুরু করে এবং আরও পাঁচজনের বিষয়ে তদন্তে নামে।
একই দিনে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ আন্দোলনরতদের সঙ্গে নির্ধারিত আলোচনা থেকে সরে দাঁড়ান। এর বদলে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে বসে তিনি সংকট সমাধানের চেষ্টা করেন। সেখানে ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যস্থতায় আন্দোলন প্রত্যাহারে সম্মত হয় এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।
পরে রবিবার রাত থেকেই খুলে দেওয়া হয় কাস্টম হাউজ, সোমবার থেকে কর্মকর্তারা কাজে যোগ দেন। তবে আন্দোলনের জেরে মামলা, বদলি ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থার আতঙ্ক রয়ে গেছে কর্মকর্তাদের মধ্যে।
বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫
‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির আওতায় চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ বন্ধ রাখার অভিযোগে এর কমিশনার মো. জাকির হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
মঙ্গলবার রাতে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করে বরখাস্ত করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে ২১ ও ২৮ জুন কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন জাকির হোসেন। এনবিআরের পূর্ব নির্দেশ অনুযায়ী, ২৮ জুনের সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করে সকল কর্মকর্তাকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তা সত্ত্বেও চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ বন্ধ রেখে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটানো এবং রাজস্ব আদায়ে বিপর্যয় ঘটানোর অভিযোগে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সরকারি চাকরি (শৃঙ্খলা) বিধিমালা, ২০১৮-এর ধারা ৩৯(১) অনুযায়ী তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় কার্যধারা শুরু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
এনবিআর সংস্কার ও চেয়ারম্যান অপসারণের দাবিতে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে ২৮ জুন (শনিবার) থেকে রাজস্ব বিভাগের কাস্টমস ও ভ্যাট অফিসগুলোতে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ শুরু হয়। দ্বিতীয় দিনেই সরকার এনবিআরের সেবা ‘অত্যাবশ্যকীয়’ ঘোষণা করে কঠোর হুঁশিয়ারি দেয়।
এরপর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আন্দোলনরত ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তথ্য অনুসন্ধান শুরু করে এবং আরও পাঁচজনের বিষয়ে তদন্তে নামে।
একই দিনে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ আন্দোলনরতদের সঙ্গে নির্ধারিত আলোচনা থেকে সরে দাঁড়ান। এর বদলে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে বসে তিনি সংকট সমাধানের চেষ্টা করেন। সেখানে ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যস্থতায় আন্দোলন প্রত্যাহারে সম্মত হয় এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।
পরে রবিবার রাত থেকেই খুলে দেওয়া হয় কাস্টম হাউজ, সোমবার থেকে কর্মকর্তারা কাজে যোগ দেন। তবে আন্দোলনের জেরে মামলা, বদলি ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থার আতঙ্ক রয়ে গেছে কর্মকর্তাদের মধ্যে।