আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান তানাজ এন্টার প্রাইজের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা ভ্যাট ফাঁকি দেয়ার প্রমাণ পেয়েছে ভ্যাট গোয়েন্দা। ভ্যাট ফাঁকির প্রমাণ পাওয়ায় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভ্যাট আইনে মামলা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২ মার্চ) এনবিআর সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, একজন গ্রাহক সুনির্দিষ্ট ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগ করায় ভ্যাট গোয়েন্দা দল প্রতিষ্ঠানের নাখালপাড়া কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করে। সংস্থার উপপরিচালক নাজমুন নাহার কায়সার এ অভিযান পরিচালনা করেন। এই আমদানিকারকের বিরুদ্ধে আইসিডি কাস্টম হাউস দিয়ে ব্যাটারির একটি চালানে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে পণ্য খালাস করার অভিযোগে গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভ্যাট গোয়েন্দা এ বিষয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধান শুরু করে।
ভ্যাট গোয়েন্দার অভিযানে দেখা যায়, নাখালপাড়ার ৯ তলা ভবনের ৯ম তলায় একটি কক্ষে প্রতিষ্ঠানটির অফিস, যা তালাবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। ভবনের নিরাপত্তাকর্মী জানান, প্রতিষ্ঠানটির মালিক এই ভবনের ৭ম তলায় থাকেন। গোয়েন্দা দল ৭ম তলায় গিয়ে সরকারি কাজে সহযোগিতা চাইলে প্রতিষ্ঠানের মালিকপক্ষ এতে সাড়া দেননি। স্থানীয় ভ্যাট সার্কেল অফিস ও অন্য সূত্রে প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট সংক্রান্ত দলিলাদি সংগ্রহ করা হয়। এসব দলিলাদি পর্যালোচনা শেষে ভ্যাট গোয়েন্দার দল এই আমদানিকারকের বিরুদ্ধে ভ্যাট ফাঁকির প্রমাণ পায়। ভ্যাট গোয়েন্দার তদন্ত অনুসারে, প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ উপকরণ-উৎপাদন সহগ দাখিল না করে ২০১৯ সালের নভেম্বর থেকে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১ কোটি ৩৫ লাখ ৩৯ হাজার ৯৪৮ টাকা রেয়াত গ্রহণ করে, যা মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ এর ধারা ৪৬ মোতাবেক অবৈধ। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটি ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে ২ কোটি ৬৫ লাখ ৪২ হাজার ৬৬১ টাকার পণ্য সরবরাহ করে। এতে ৩৯ লাখ ৮১ হাজার ৬৬১ টাকা ভ্যাট ফাঁকি উদ্ঘাটন করা হয়। এই ভ্যাট যথাসময়ে পরিশোধ না করায় ভ্যাট আইন অনুসারে মাসভিত্তিক ২ শতাংশ হারে সুদ ৪ লাখ ৯০ হাজার ২৪৩ টাকা আদায়যোগ্য হয়েছে।
মঙ্গলবার, ০২ মার্চ ২০২১
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান তানাজ এন্টার প্রাইজের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা ভ্যাট ফাঁকি দেয়ার প্রমাণ পেয়েছে ভ্যাট গোয়েন্দা। ভ্যাট ফাঁকির প্রমাণ পাওয়ায় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভ্যাট আইনে মামলা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২ মার্চ) এনবিআর সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, একজন গ্রাহক সুনির্দিষ্ট ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগ করায় ভ্যাট গোয়েন্দা দল প্রতিষ্ঠানের নাখালপাড়া কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করে। সংস্থার উপপরিচালক নাজমুন নাহার কায়সার এ অভিযান পরিচালনা করেন। এই আমদানিকারকের বিরুদ্ধে আইসিডি কাস্টম হাউস দিয়ে ব্যাটারির একটি চালানে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে পণ্য খালাস করার অভিযোগে গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভ্যাট গোয়েন্দা এ বিষয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধান শুরু করে।
ভ্যাট গোয়েন্দার অভিযানে দেখা যায়, নাখালপাড়ার ৯ তলা ভবনের ৯ম তলায় একটি কক্ষে প্রতিষ্ঠানটির অফিস, যা তালাবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। ভবনের নিরাপত্তাকর্মী জানান, প্রতিষ্ঠানটির মালিক এই ভবনের ৭ম তলায় থাকেন। গোয়েন্দা দল ৭ম তলায় গিয়ে সরকারি কাজে সহযোগিতা চাইলে প্রতিষ্ঠানের মালিকপক্ষ এতে সাড়া দেননি। স্থানীয় ভ্যাট সার্কেল অফিস ও অন্য সূত্রে প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট সংক্রান্ত দলিলাদি সংগ্রহ করা হয়। এসব দলিলাদি পর্যালোচনা শেষে ভ্যাট গোয়েন্দার দল এই আমদানিকারকের বিরুদ্ধে ভ্যাট ফাঁকির প্রমাণ পায়। ভ্যাট গোয়েন্দার তদন্ত অনুসারে, প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ উপকরণ-উৎপাদন সহগ দাখিল না করে ২০১৯ সালের নভেম্বর থেকে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১ কোটি ৩৫ লাখ ৩৯ হাজার ৯৪৮ টাকা রেয়াত গ্রহণ করে, যা মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ এর ধারা ৪৬ মোতাবেক অবৈধ। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটি ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে ২ কোটি ৬৫ লাখ ৪২ হাজার ৬৬১ টাকার পণ্য সরবরাহ করে। এতে ৩৯ লাখ ৮১ হাজার ৬৬১ টাকা ভ্যাট ফাঁকি উদ্ঘাটন করা হয়। এই ভ্যাট যথাসময়ে পরিশোধ না করায় ভ্যাট আইন অনুসারে মাসভিত্তিক ২ শতাংশ হারে সুদ ৪ লাখ ৯০ হাজার ২৪৩ টাকা আদায়যোগ্য হয়েছে।