প্রয়োজনের অতিরিক্ত চাল ও গম কেনা হবে না বলে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘আমরা বেশি চাল কিনব না, বেশি কিনলে আমাদের কৃষক সম্প্রদায় ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আবার গমও বাড়তি কিনব না যাতে আমাদের কনজিউমারদের সাফার করতে না হয়। বুধবার (৭ এপ্রিল) অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান মন্ত্রী। অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আজ অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ১২তম এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ১৪তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য ২টি এবং ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য ৮টি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। ক্রয় সংক্রান্ত কমিটিতে উপস্থাপিত প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ৪টি, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের ১টি, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ১টি, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ১টি এবং সেতু বিভাগের ১টি প্রস্তাব ছিল। এরমধ্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের একটি ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়নি। এছাড়া গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন গণপূর্ত অধিদপ্তরের অন্য একটি প্রস্তাবে পুনঃদরপত্রের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। অনুমোদিত ৬টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ এক হাজার ৫৬৬ কোটি ৭১ লাখ ৭৯ হাজার ১৬০ টাকা।’
তিনি আরও বলেন, ‘বৈঠকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক মেসার্স পিকে অ্যাগ্রো লিংক প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানির একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রতি মেট্রিক টন চালের দাম পড়বে ৪১১ দশমিক ৯৩ মার্কিন ডলার। এতে মোট ব্যয় হবে ১৭৪ কোটি ৬৫ লাখ ৮৩ হাজার ২০০ টাকা। চাল আমাদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে আমাদের যতটুকু প্রয়োজন সেই পরিমাণ। কিন্তু সেখান থেকে যখন কোন সাপ্লাইয়ার তা সময়মতো দিতে পারে না তখন আমরা এটাকে পরিবর্তন করে আরেক জায়গায় চলে যাই।’
মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আমাদের খাদ্য মন্ত্রণালয় কৃষি মন্ত্রণালয়কে সঙ্গে নিয়ে একদম ইন্টিগ্রিটেড ওয়েতে দেখে কী পরিমাণ চাল দরকার এগুলো নির্ধারণ হয়। আমাদের প্রয়োজন এবং আগামীর প্রয়োজন, পরবর্তী ফসল কখন আসবে, সেটিকে মাথায় রেখে আমাদের কাজটি করতে হয়।’
অর্থনৈতিকবিষয়ক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে জি টু জি পদ্ধতিতে ভারতের ন্যাশনাল ফেডারেশনের অব ফার্মাস প্রকিউরমেন্ট প্রসেসিং অ্যান্ড রিটেলিং কো-অপারেটিভ লিমিটেড (এনএসিওএফ) থেকে এক লাখ মেট্রিক টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) আমদানির নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
লকডাউনে দোকানপাট বন্ধ থাকায় নিম্ন আয়ের মানুষ সমস্যায় আছে, অর্থমন্ত্রী হিসেবে তাদের জন্য কিছু করার পরিকল্পনা আছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের যে সব কারণে লকডাউন দেওয়া হয়েছে সেটা আপনারা জানেন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা দেখে ব্যবস্থা নেবেন। করোনার প্রণোদনা প্যাকেজগুলো আমাদের মন্ত্রণালয় থেকেই ঘোষণা করা হয়েছে, কিন্তু সবগুলো প্যাকেজই প্রধানমন্ত্রীর ধারণা ও পরিকল্পনায় হয়েছে। তিনিই সেসব করে দিয়েছে। আমরা শুধু তার হয়ে এগুলো বাস্তবায়ন করেছি।
বিশ্বব্যাংকের প্রজেকশন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক অথবা আইএমএফ বিভিন্ন দেশের জন্য প্রজেকশন করে থাকে, টাইম টু টাইম। বিশ্বব্যাংক আমাদের সম্পর্কে বেশ উচ্ছ্বসিত ধারণা দিলো, এর সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল আছে আমাদের? মূলত আমাদের কাজ আমাদেরই করতে হবে। উন্নয়ন যাতে আরো বেশি বেশি করতে পারি এবং আমাদের পলিসি পারসপেকটিভে আইডিয়া ছিলে সেগুলো বাস্তবায়ন যেন যথাযথভাবে করতে পারি সেটাই আমাদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য পূরণ হলে আমরা টাইম টু টাইম প্রজেকশন করি বাস্তবায়ন কতটুকু হলো। কিন্তু তারা কিছু পসিবিলিটি ও অ্যাজামশনের উপর ভিত্তি কর প্রজেকশনটা করে।’
বুধবার, ০৭ এপ্রিল ২০২১
প্রয়োজনের অতিরিক্ত চাল ও গম কেনা হবে না বলে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘আমরা বেশি চাল কিনব না, বেশি কিনলে আমাদের কৃষক সম্প্রদায় ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আবার গমও বাড়তি কিনব না যাতে আমাদের কনজিউমারদের সাফার করতে না হয়। বুধবার (৭ এপ্রিল) অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান মন্ত্রী। অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আজ অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ১২তম এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ১৪তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য ২টি এবং ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য ৮টি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। ক্রয় সংক্রান্ত কমিটিতে উপস্থাপিত প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ৪টি, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের ১টি, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ১টি, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ১টি এবং সেতু বিভাগের ১টি প্রস্তাব ছিল। এরমধ্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের একটি ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়নি। এছাড়া গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন গণপূর্ত অধিদপ্তরের অন্য একটি প্রস্তাবে পুনঃদরপত্রের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। অনুমোদিত ৬টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ এক হাজার ৫৬৬ কোটি ৭১ লাখ ৭৯ হাজার ১৬০ টাকা।’
তিনি আরও বলেন, ‘বৈঠকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক মেসার্স পিকে অ্যাগ্রো লিংক প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানির একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রতি মেট্রিক টন চালের দাম পড়বে ৪১১ দশমিক ৯৩ মার্কিন ডলার। এতে মোট ব্যয় হবে ১৭৪ কোটি ৬৫ লাখ ৮৩ হাজার ২০০ টাকা। চাল আমাদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে আমাদের যতটুকু প্রয়োজন সেই পরিমাণ। কিন্তু সেখান থেকে যখন কোন সাপ্লাইয়ার তা সময়মতো দিতে পারে না তখন আমরা এটাকে পরিবর্তন করে আরেক জায়গায় চলে যাই।’
মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আমাদের খাদ্য মন্ত্রণালয় কৃষি মন্ত্রণালয়কে সঙ্গে নিয়ে একদম ইন্টিগ্রিটেড ওয়েতে দেখে কী পরিমাণ চাল দরকার এগুলো নির্ধারণ হয়। আমাদের প্রয়োজন এবং আগামীর প্রয়োজন, পরবর্তী ফসল কখন আসবে, সেটিকে মাথায় রেখে আমাদের কাজটি করতে হয়।’
অর্থনৈতিকবিষয়ক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে জি টু জি পদ্ধতিতে ভারতের ন্যাশনাল ফেডারেশনের অব ফার্মাস প্রকিউরমেন্ট প্রসেসিং অ্যান্ড রিটেলিং কো-অপারেটিভ লিমিটেড (এনএসিওএফ) থেকে এক লাখ মেট্রিক টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) আমদানির নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
লকডাউনে দোকানপাট বন্ধ থাকায় নিম্ন আয়ের মানুষ সমস্যায় আছে, অর্থমন্ত্রী হিসেবে তাদের জন্য কিছু করার পরিকল্পনা আছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের যে সব কারণে লকডাউন দেওয়া হয়েছে সেটা আপনারা জানেন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা দেখে ব্যবস্থা নেবেন। করোনার প্রণোদনা প্যাকেজগুলো আমাদের মন্ত্রণালয় থেকেই ঘোষণা করা হয়েছে, কিন্তু সবগুলো প্যাকেজই প্রধানমন্ত্রীর ধারণা ও পরিকল্পনায় হয়েছে। তিনিই সেসব করে দিয়েছে। আমরা শুধু তার হয়ে এগুলো বাস্তবায়ন করেছি।
বিশ্বব্যাংকের প্রজেকশন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক অথবা আইএমএফ বিভিন্ন দেশের জন্য প্রজেকশন করে থাকে, টাইম টু টাইম। বিশ্বব্যাংক আমাদের সম্পর্কে বেশ উচ্ছ্বসিত ধারণা দিলো, এর সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল আছে আমাদের? মূলত আমাদের কাজ আমাদেরই করতে হবে। উন্নয়ন যাতে আরো বেশি বেশি করতে পারি এবং আমাদের পলিসি পারসপেকটিভে আইডিয়া ছিলে সেগুলো বাস্তবায়ন যেন যথাযথভাবে করতে পারি সেটাই আমাদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য পূরণ হলে আমরা টাইম টু টাইম প্রজেকশন করি বাস্তবায়ন কতটুকু হলো। কিন্তু তারা কিছু পসিবিলিটি ও অ্যাজামশনের উপর ভিত্তি কর প্রজেকশনটা করে।’